Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।সুকমল এমনিতেও ভিতু মানুষ। ভয় পায় দেরি করে স্কুলে ঢুকলে পাছে হেডমাস্টারমশাই কিছু বলে বসেন। তাই ফোনটা বাজতে থাকলেও ও কিছুতেই ফোন ধরছিল না। সুজাতাকেও ফোন ধরতে বলার উপায় নেই। ও বাথরুমে। দু’জনে প্রায় একই সময়ে বেরয়। ফোনটা ও ধরছিল না কিন্তু চতুর্থবার ফোনটা রিং হওয়ার পরে সুকমলের মনে হল কিছু একটা হয়েছে। ফোনটা ধরা উচিত। ডান হাতে রেজার। একদিকের গালে সাবান মাখা। সে অবস্থাতেই বাঁ হাতে ও ফোনটা ধরে স্পিকারে দিল। তখনই বড়মা খবরটা দিল। সাধনদা আর নেই। খবরটা শুনে চোখে জল এল না। কিন্তু বুকের মধ্যে অদ্ভুত এক শূন্যতা ও অনুভব করল। বাবা মারা যাওয়ার সময়ও ও প্রথমে কাঁদেনি। কেমন একটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল বুকটা। সাধনদার মৃত্যুর খবরে ও দেখল প্রায় সেরকমই অনুভূতি হচ্ছে ওর।
সুজাতা বাথরুম থেকে বেরলেই সুকমল ওকে খবরটা দিল। থমকে গেল সুজাতা। বলল, চলে গেল? কী হয়েছিল? 
সুকমল বলল, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়টুকুও পায়নি।
সুজাতা বলল, কই, পুজোর সময় তো বোঝাই যায়নি এতটা অসুস্থ! 
ঠিকই। ক’দিন আগেই এ বছরের পুজোতেও সাধনদা যথারীতি পঞ্চমীর দিন হাজির হয়েছিল। ওকে দেখে মনে হয়নি আর ক’দিনই মাত্র ওর আয়ু। সুকমল বলল, বাইরের চেহারায় সবসময় ভেতরের অসুস্থতা ফুটে বেরয় না। 
সুজাতা কিছু বলল না। গম্ভীর মুখে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়াল। সুকমলের দশ মিনিট আগেই সুজাতার ট্রেন। ওর স্কুল সুকমলের স্কুলের থেকেও অনেক দূরে। সুজাতা বেরিয়ে যাবার সময় সুকমল দেখল ওর মুখ তখনও থমথমে। হবে নাই বা কেন? ওদের বিয়ে হয়েছে বাইশ বছর। বাইশ বছর ধরে সাধনদাকে সুজাতা দেখছে। মনখারাপ হওয়া স্বাভাবিক। সাধনদাকে সুকমল যে কত বছর ধরে দেখছে তা ওর মনে নেই। মনে হয় বুঝি বা জন্ম থেকেই সাধনদাকে ও দেখছে। আজ আটচল্লিশ বছর ধরেই মনে হয় সাধনদা বুঝি বা একই রকম আছে। মাথায় কাঁচা পাকা চুল। সামনের তিনটে দাঁত নেই। হাত শিরা-ওঠা। মুখে অজস্র বলিরেখা। 
স্কুলে পৌঁছেও সুকমল দেখল শূন্যতার বোধ ওকে ছেড়ে যাচ্ছে না। ক্লাস নিতে নিতে বারবার অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছে সে। সাধনদা ওর নিজের দাদা তো নয়ই, পরিবারেরও কেউ নয়। কিন্তু তবুও মানুষটার জন্য বুক হু হু করছে। এর মধ্যেই মা একবার ফোন করেছে ওকে। মা এখন আছে মুম্বইতে, ভাইয়ের কাছে। সাধনদার মৃত্যুতে খুবই ভেঙে পড়েছে মা। ফোনে এমনকী কাঁদছিল। সাধনদার মৃত্যুতে এতখানি বিপন্ন বোধ করছে ওরা সবাই অথচ শেষ কয়েক বছর সাধনদার সঙ্গে ওদের দেখা হতো কেবল পুজোর সময়েই। পঞ্চমীর দিন সাধনদা ঠিক ওদের গ্রামের বাড়িতে হাজির হয়ে যেত। সাধনদার ফোন ছিল না। তাই ওকে খবর দেওয়ারও কোনও ব্যাপার ছিল না। কিন্তু ঠিক পঞ্চমীর দিন এসে হাজির হয়ে যেত সাধনদা। সেই কত কত বছর ধরে। তারপর পুজোর ক’টা দিন একসময় বাবার পেছন পেছন ব্যাগ হাতে করে হাটে যেত সে। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে বাজারে যেত সুকমলের সঙ্গে। শেষের ক’বছর তেমন কাজকর্ম আর করতে পারত না। ওই সকালবেলা একটু হাটে যাওয়া আর রাত্রিবেলা সদর দরজায় তালা দেওয়া। এই ছিল ওর কাজ। বাকি সময়টুকু নানা গল্পে ভরিয়ে রাখত ও। বিচিত্র সব গল্প। তার কোনটা যে সত্যি আর কোনটা যে মিথ্যে বোঝার কোনও উপায়ই ছিল না। কত কত কথা মনে পড়ছে সুকমলের। ক্লাসে ও মন বসাতেই পারছে না। 
ও যে বেশ অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছে সেটা খেয়াল করেছিল নিবেদিতা। থার্ড পিরিয়ডটা অফ ছিল সুকমলের। নিবেদিতারও অফ। সুকমলকে জিজ্ঞেস করল নিবেদিতা, আপনার আজ মুড অফ বলে মনে হচ্ছে। কী হয়েছে?
সুকমল বলল, একজন মারা গেছে। 
নিবেদিতা বলল, কে?
সুকমল বলল, সাধনদা, আমাদের গ্রামের বাড়ির কাজের লোক। 
নিবেদিতা বলল, আপনাদের বাড়িতেই থাকতেন উনি? 
সুকমল বলল, না, না, পুজোর সময় প্রতিবছর আসত। আর নানা অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে। আমার বিয়েতে খুব খেটেছিল। 
নিবেদিতা বলল, আজ আমি একটু মাংসের ঘুগনি করে এনেছিলাম। কিন্তু আপনার তো মনখারাপ। আজ নিশ্চয়ই আপনি ঘুগনি খাবেন না। পরে আবার অন্য একদিন বানিয়ে আনব। 
নিবেদিতা এটা করে। মাঝে মাঝেই সুকমলের জন্য নানান খাবার বানিয়ে নিয়ে আসে। বিয়ে করেনি। সারা বছরে একাধিকবার ভারতের নানা জায়গায় বেড়াতে যায় আর নানা ধরনের খাবার বানায়। এ দুটোই ওর শখ। কিন্তু নিবেদিতার ওর জন্য এই খাবার বানিয়ে নিয়ে আসা নিয়ে মাঝে মাঝে খুবই সংকোচ বোধ করে সুকমল। টিফিনের সময় স্টাফরুমে সকলের সামনেই ওর জন্য আলাদা করে বানিয়ে আনা খাবার সুকমলকে দেয় নিবেদিতা। এক-একদিন এমন হয় যে, নিবেদিতার বানিয়ে আনা খাবার খাওয়ার জন্য বাড়ির টিফিন স্টেশনের ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয় সুকমলকে। কারণ, বাড়িতে টিফিন ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া বিপদের। একটা সময় কিছুদিন রাঁধুনি রেখেছিল সুজাতা। কিন্তু, কারওর রান্নাই ওর পছন্দ হতো না। তাই একে একে সবাইকেই ছাড়িয়ে দেয়। এখন খুব ভোরে উঠে নিজেই রান্না করে সুজাতা। নিজের আর সুকমলের টিফিনও বানায়। সেই টিফিন না খেয়ে সুকমল নিবেদিতার আনা টিফিন খেয়েছে এ কথা জানতে পারলে সুজাতা যে কুরুক্ষেত্র বাঁধাবে বাড়িতে, তা সে জানে। তাই যেদিন নিবেদিতা টিফিন আনে ওর জন্য, সুজাতার বানানো টিফিন স্টেশনের ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া ছাড়া ওর আর অন্য কোনও উপায় থাকে না। মাঝে মাঝেই ও ভেবেছে, ওর জন্য নিবেদিতা যে টিফিন বানিয়ে আনে সেটা ওর সুজাতাকে জানানো উচিত। সুজাতাকে এটা না জানিয়ে ও অন্যায় করছে। কিন্তু ভয়েই ও আজ পর্যন্ত সুজাতাকে কথাটা বলে উঠতে পারেনি। এদিকে নিবেদিতাকে যে টিফিন আনতে নিষেধ করবে সেই সাহসও সুকমলের নেই। ও জানে ওর জন্য নিবেদিতার এই টিফিন আনা নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে ফিসফাস কথাবার্তা হয়। নিবেদিতা সেসবকে পাত্তাই দেয় না। সুকমলকে মাঝে মাঝে দু-একজন দু-একটা বাঁকা কথা শোনালে ও চুপ করেই থাকে।
সুকমল বেশ অনেকক্ষণ চুপ করে আছে দেখে নিবেদিতা বলল, মেনে নেওয়া খুব কঠিন, কিন্তু জানেন তো, মৃত্যুই জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য। এবং মৃত্যু সহ্যও হয়ে যায়। 
তা ঠিক। ভুল বলেনি নিবেদিতা। বাবাকে হারিয়ে ওরা দুই ভাই আর মা তো দিব্যি বেঁচে আছে। জেঠুকে হারিয়ে ওর জেঠতুতো বোন আর জেঠিমা মানে বড়মাও তো জীবনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। শোকের আয়ু স্বল্প। কিন্তু বেদনার নয়। মৃত্যু এমন এক বেদনার জন্ম দেয় যা মানুষ অনেকদিন পর্যন্ত বহন করতে থাকে। বাবা বা জেঠুর মৃত্যুর বেদনা ওরা এখনও বহন করছে বইকি! সুকমল জানে সাধনদার মৃত্যুর বেদনাও দ্রুত অন্তর্হিত  হবে না। 
সন্ধেবেলা মা সুকমলকে বলল, তোর একবার বেলিয়াতোড় যাওয়া উচিত। সাধনের স্ত্রীকে কিছু টাকা দিয়ে আসা দরকার। 
কথাটা ভুল বলেনি মা। এত বছরের সম্পর্ক। সাধনদার অবর্তমানে ওর পরিবারকে কিছুটা সাহায্য তো করা দরকার অবশ্যই। সাধনদার বাড়ি বারবেঁধা। ওদের গ্রাম বেলিয়াতোড়ের থেকে খানিকটা দূরে ছোট্ট আরেকটা গ্রাম। কিন্তু সে গ্রামে আজ পর্যন্ত কোনওদিন যায়নি সুকমল। ও ঠিক করল রবিবার দিন বারবেঁধা যাবে। 
রবিবার সকাল সকাল বেলিয়াতোড় পৌঁছে গেল সুকমল। দেখল, ও সাধনদার বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বড়মা খুবই খুশি হয়েছে। অনর্গল বলে চলেছে সাধনদার কথা। যে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে সাধনদা কীভাবে বারবার বাজারে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য পান-সিগারেট কিনে এনে দিত, সে কথা বলছে। ছোটদের কীভাবে ভূতের গল্প শোনাত সাধনদা, বলছে সে কথা। বলছে একবার ওদের গ্রামের যাত্রায় অভিনয় করতে গিয়ে যে-ডায়লগ ও মাত্র একটিবার বলেছিল কীভাবে প্রতিবার সুকমলদের বাড়িতে এসে সেই ডায়লগ ও প্রতি বছর সবাইকে শোনাত, সে কথাও। সুকমলের মনে পড়ল একটা অদ্ভুত রহস্যজনক গল্প বলত সাধনদা। মাঝে বছর তিনেক পুজোর সময় সাধনদা আসেনি। তারপরে হঠাৎ উদয় হয়। সুকমলরা অবাক হয়ে গিয়েছিল। সাধনদা তিন বছর কেন বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল জিজ্ঞেস করায় ও অম্লান বদনে বলেছিল, চলে গিয়েছিল ভিয়েতনাম। শুনে চমকে উঠেছিল সুকমল। বলেছিল, ভিয়েতনাম গেলে কী করে? তোমার কি পাসপোর্ট আছে নাকি? উত্তরে যে গল্প বলেছিল সাধনদা তা রীতিমতো রহস্যজনক। এক আড়কাঠি নাকি ওকে বাঁকুড়া থেকে ধরে নিয়ে পাচার করে দিয়েছিল ভিয়েতনামে। সেখানে ওকে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতে হতো। ভিয়েতনামে কাজ করা এক বাঙালি পুলিস অফিসার তাকে উদ্ধার করে এবং তারপর সেই অফিসারের দয়াতেই নাকি সাধনদা আবার বাঁকুড়ায় ফিরে আসে। সুকমলরা যখন ওকে জিজ্ঞেস করত, আচ্ছা, বল তো প্লেনের ভেতরটা কীরকম দেখতে, ও বলতে পারত না। যখন বলত, দেখাও তো তোমার পাসপোর্ট, তখন বলত, পাসপোর্ট নাকি কেড়ে নিয়েছিল ভিয়েতনামের ওই দালাল। ওদের নানা প্রশ্নের সদুত্তর সাধনদা কিছুতেই দিতে পারত না ঠিকই, কিন্তু নিখুঁত বর্ণনা দিত ভিয়েতনামের রাস্তাঘাটের। শুনে মনে হতো ও বুঝি সত্যিই ভিয়েতনামে ছিল। সাধনদার ওই তিন বছর উধাও হয়ে যাওয়ার আসল কারণ যে কী তা ওর কথাবার্তা থেকে কিছুতেই স্পষ্ট হতো না। বোঝাই যেত না যে, ও সত্যি বলছে নাকি মিথ্যে বলছে। আসলে ওকে অবিশ্বাস করার কারণও ছিল। একবার ও এসে জানায়, ওর ঘরদোর নাকি হাতি ভেঙে দিয়েছে। ওই অঞ্চলে হাতির উৎপাত প্রবল। কাজেই ওরা সবাই সাধনদার কথা বিশ্বাসই করেছিল। পরে সাধনদার গ্রামের গণেশদা বলেছিল, হাতি ওদের গ্রামে এসেছিল সত্যি। কিন্তু সাধনদার বাড়ি হাতি একেবারেই ভাঙেনি। ও নাকি নিজেই পাঁচিলের কিছুটা অংশ ভেঙে দিয়েছিল যাতে হাতি বাড়ি ভাঙলে পঞ্চায়েত যে টাকা দেয়, সেই টাকাটা ও পায়। গণেশদাকে সাধনদার ভিয়েতনাম যাওয়া নিয়েও জিজ্ঞেস করেছিল সুকমল। কিন্তু এ বিষয়ে গণেশদাও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেনি। সাধনদার ভিয়েতনাম যাওয়ার গল্পটাকে সুকমলরাও তাই শেষ পর্যন্ত একটা মজার খেলা হিসেবেই নিয়েছিল। পুজোর সময় নতুন বন্ধুবান্ধবরা এলে ওরা সাধনদাকে বলত ওর ভিয়েতনাম যাওয়ার গল্পটা শোনাতে। সাধনদা গড়গড় করে মুখস্থ বলার মতো একই গল্প বলে যেত। বন্ধুরা মজা পেত। মজা পেত সুকমলরাও। আজ হঠাৎ সুকমলের মনে হচ্ছে, সাধনদা সত্যিই ভিয়েতনাম গিয়েছিল কি না সেটা ওর স্ত্রীর কাছ থেকে আজকে জেনে নেওয়া যাবে। সাধনদার জীবনের একটা বড় রহস্য অন্তত ওর মৃত্যুর পরে স্পষ্ট হওয়া দরকার। সুকমল আরেকটা সিদ্ধান্তও নিল। যদি দেখা যায় সাধনদা সত্যিই ভিয়েতনামে গিয়েছিল, তাহলে ও সুজাতাকে নিবেদিতার ওর জন্য টিফিন বানিয়ে নিয়ে আসার বিষয়টা জানাবে। সুজাতার কাছ থেকে এই ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখতে ওর মনের ওপর ভীষণ চাপ পড়ে। 
ভাড়া গাড়িতে সুকমল যখন বারবেঁধায় সাধনদার বাড়ি পৌঁছল, তখন সন্ধে হব হব। সাধনদার মৃত্যুতে ওর দুই ছেলে এবং স্ত্রী খুব একটা যে ভেঙে পড়েছে তেমনটা মনে হল না। সুকমল কুড়ি হাজার টাকার নোটের একটা বান্ডিল সাধনদার স্ত্রীর হাতে দিয়ে বলল, জীবিত অবস্থায় সাধনদার জন্য তেমন কিছু তো করতে পারিনি। এই টাকাটুকু রাখুন বউদি। হয়তো আপনাদের কাজে লাগবে। 
টাকাটা পেয়ে সাধনদার স্ত্রী খুবই খুশি হয়েছে মনে হল। মা-বড়মার খবর নিল। কথাবার্তা আরেকটু এগতেই সুকমল জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা বউদি, সাধনদা প্রায়ই আমাদের বলত ও একবার বছর তিনেকের জন্য ভিয়েতনামে গিয়েছিল। সত্যিই গিয়েছিল কি? 
সাধনদার স্ত্রী বলল, আমি জানি নাই। উ একবার অনেক দিনের লাগ্যে ঘরে ফিরে নাই। কুথায় ছিল জানি নাই। মাঝে মাঝেই লোকটা হাপিশ হঁয়্যে যেত, আবার ফিরত। উর অত খবর রাখতাম নাই।
শুনে অবাক হয়ে গেল সুকমল। সাধনদার নিজের স্ত্রীও জানে না ও সত্যি সত্যিই ভিয়েতনামে গিয়েছিল কি না। একটা লোক এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল, অথচ তাকে ঘিরে থাকা একটা রহস্যের সমাধান হল না। একটা সত্য জানা গেল না। 
বারবেঁধা থেকে বেলিয়াতোড় ফেরার সময় সুকমল দেখল মধ্য-হেমন্তেই রাস্তার দু-পাশে ঘন কুয়াশা জমতে শুরু করেছে। একটু এগতেই কুয়াশার ওপাশে বারবেঁধা বলে যে একটা গ্রাম আছে আর মনেই হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল কুয়াশা গ্রামটাকে মুছেই দিয়েছে একেবারে। ধূসর ঘন কুয়াশার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সুকমল ঠিক করল নিবেদিতার বিষয়টা সুজাতাকে জানাবে না। ওর মনে হল, পৃথিবীর কিছু কিছু সত্য মাত্র কয়েকজন লোকই জানে। হয়তো বা একজনই জানে। সকলে জানে না। জানার প্রয়োজনও নেই। কিছু কিছু সত্য কুয়াশার আড়ালে থাকাই ভালো। 
10th  November, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
গুপ্ত রাজধানী: সেন্ট জেমস চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

এই সময়টা খুব গরম পড়ে। আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই। প্রিন্টার্সের এই ঘরটা সারাক্ষণ উত্তপ্ত থাকে। এই কাজটাও করতে ভালো লাগে না জেমসের।  দরদর করে সে ঘামছে। কলকাতা নামক শহরটায় এত গরম কেন? এখান থেকে পালাতে পারলে ভালো হতো।  বিশদ

03rd  November, 2024
আজও রহস্য: বাজিরাওয়ের কেল্লা
সমুদ্র বসু

 

পুনের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান হল শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গ। যার সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মারাঠাদের নাম। সর্বোপরি এই কেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাজিরাও পেশোয়া। একসময় মারাঠাদের ঐতিহ্য ও অহংকার এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশদ

03rd  November, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
একনজরে
তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে অনেকেই ছুটছেন চিকিৎসকদের কাছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের চেম্বার এড়িয়ে দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ...

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...

ছ’ মাস ফুটপাতে ঘুগনি বিক্রি, আর বাকি ছ’ মাস সেই টাকায় সাইকেলে চেপে ভারত ভ্রমণ। তবে নেহাত শখে নয়, বিশ্বশান্তির বার্তা দিতেই সেই ভ্রমণ। দুর্গাপুরের এ জোনে সেকেন্ডারি মোড়ে গেলে দেখা যাবে শ্যামাপদ শর্মার গরম ঘুগনির দোকান। ...

রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলির কর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠকটি আগামী কাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM