Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

স্পর্শ
রাজেশ কুমার

অন্বেষা ফোনেই পেয়েছিল খবরটা, গতকাল সকালে। মনে হচ্ছিল, ওই মানুষটাই কেন! পৃথিবীতে তো আরও মানুষ ছিল। চোর, গুন্ডা, ধর্ষক, নেশাখোর...। দেখে দেখে ভালো মানুষদেরই কেন এসব হয়, ওপরঅলা কি চোখে দেখতে পায় না! 
এস এম স্যরের ক্যান্সারের খবরটা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছিল না সে। ছটফট করছিল ভেতরে ভেতরে। ঘুমাতে পারেনি সারা রাত। বিছানায় এপাশ ওপাশ করে কাটিয়েছে। তারপর সকাল হতেই একটা ভাড়ার গাড়ি নিয়ে রওনা দিয়েছে খড়গপুরের উদ্দেশ্যে। 
প্রায় একশো ষাট কিলোমিটার রাস্তা। চন্দননগর থেকে খড়্গপুর। গাড়িতে উঠেই জিজ্ঞেস করেছিল কতক্ষণ লাগতে পারে! ড্রাইভার বলেছিল, বলা যাবে না, কোলাঘাটের কাছে জ্যামের ওপর নির্ভর করছে। ফাঁকা পেলে টেনে দেব। তিন ঘণ্টায় খড়গপুর। এরপর আর কিছু বলার থাকে না। 
খড়্গপুরের দিকটায় আগে কখনও যায়নি অন্বেষা। ওদিকের রাস্তাঘাট সম্পর্কেও ধারণা নেই। তাই ভেতরে ভেতরে একটা অস্বস্তি হচ্ছিল তার। হাতে মোবাইল। চট করে গুগল ম্যাপে চোখ বুলিয়ে নেয় সে। সামনে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে তারপর বম্বে রোড। আসলে কাল স্যরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এত সময় লেগে গেল যে এই দিকটা আর বুঝে নেওয়া হয়নি। সে যাই হোক, ম্যাপটা একবার মাথার মধ্যে ঢুকে গেলে অনেকটাই নিশ্চিত। অস্বস্তিটা খানিক হলেও কাটিয়ে ওঠা যাবে। শাড়ির আঁচল টেনে নিয়ে চুপ করে বসে সে। দু’একটা ফোন করার ছিল। কিন্তু ইচ্ছা করছে না। অনেকটা পথ যেতে হবে, পরে দেখা যাবে। 
গাড়ি ছুটে চলেছে দিল্লি রোড ধরে। অন্বেষা বাইরের দিকে তাকিয়ে। ফোরলেন রোড, লম্বা হয়ে চলে গিয়েছে সাদা দাগ। মধ্যিখানে ডিভাইডার। বড় বড় দশ চাকার ট্রাকগুলো চলেছে হাতির মতো ঔদ্ধত্যে। দু’পাশে সবুজ গাছপালা। মাঝে মাঝে কল-কারখানা, হোটেল, রেস্তরাঁ। পাঞ্জাবি ধাবা। একটানা বাইরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ভাবে অন্বেষা, কলেজের সেই প্রথম দিনটা। এস এম স্যরের বাংলার ক্লাস। স্যরের বয়স তখন মেরে কেটে সাতাশ। লম্বা, ফেয়ার কমপ্লেকশন। চওড়া কাঁধ। টানটান চেহারা। চোখের দৃষ্টি অদ্ভুত শান্ত। পাহাড়ের কোলে যেন নিরিবিলি কোনও ঝিল। 
সবকিছু ওলট পালট হয়ে গিয়েছিল অন্বেষার। প্রথমবার রুপোলি পর্দায় তার প্রিয় নায়কের রোমান্টিক সিনেমা দেখার মতো। এস এম স্যর বলেছিল, আমি শুভময়। শুভময় মজুমদার, তোমাদের বাংলার ক্লাস নেব। স্যরের কথাগুলো কানে ঢোকেনি অন্বেষার। সে শুধু তাকিয়ে বসেছিল, শুভময় স্যরের মুখের দিকে। কেমন একটা ঘোর লেগে গিয়েছিল তার। নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে তুতলেছিল খানিক। ক্লাসের বাকি ছেলে মেয়েরা হেসেছিল। অবশ্য খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিয়েছিল সে। গলাটা দু’বার পরিষ্কার করে নিয়ে ফিরে এসেছিল বাস্তবে। বিষয়টা কাউকেই বুঝতে দেয়নি। প্রথম দিনের ক্লাস, নার্ভাসনেস থাকাটাই স্বাভাবিক। একমাত্র কিংশুকই ধরে ফেলেছিল আসল কথাটা। তাকে সাইডে ডেকে চুপি চুপি বলেছিল, কি রে, যেই না একটা হ্যান্ডু স্যর দেখলি লাট্টু হয়ে গেলি! অন্বেষা থতমত খেয়ে গিয়েছিল, কী বলবে ভেবে পায়নি। কেউ যে এরকম একটা কথা ভূমিকা ছাড়াই বলে দিতে পারে, অন্বেষার ধারণা ছিল না। কলেজের বাকি দিনগুলোয় বুঝেছে সে, কিংশুক ছেলেটাই ওরকম। তাল-জ্ঞান-মাত্রা নেই। হঠাৎ করে কিছু একটা বলে দেওয়াই স্বভাব। তা সেই কিংশুকই ফোন করেছিল গতকাল। বেলা দশটা নাগাদ। ফোন ধরেই চাঁচাছোলা জিজ্ঞেস করেছিল, এস এম স্যরের ক্যান্সার। কেমো চলছে, খবর পেয়েছিস কিছু! চমকে উঠেছিল অন্বেষা। মুহূর্তের জন্যে একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল, কিংশুক অনেক সময়ই নাটুকে কথাবার্তা বলে। অনেকটা স্কুপ নিউজের মতো। নিশ্চিত হতে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল সে, কোন এস এম স্যর! অন্বেষাকে হতবাক করে দিয়ে কিংশুক বলেছিল, আমাদের এস এম স্যর। শুভময় মজুমদার। এইমাত্র পেলাম খবরটা। ভাবলাম তোকে দিই। অন্বেষা কী বলবে বুঝতে পারছিল না। কথা বাড়ানোর ক্ষমতাও ছিল না তার। হঠাৎ করেই যেন কি একটা ঘটে গেল। ফোন রেখে চুপচাপ সে জানলার বাইরে তাকিয়েছিল। শূন্য দৃষ্টি, দু’চোখ আবছা হয়ে আসছিল ঘন ঘন। বয়সটা কম হলে হয়তো কান্নাকাটি করত। ছুটে গিয়ে আছড়ে পড়ত বিছানায়। কিন্তু চল্লিশ ছুঁই ছুঁই জীবন, এসময় হঠাৎ জমে ওঠা রাগ দুঃখ অভিমান বের হওয়ার দরজাগুলোয় কেমন জং ধরে যায়। মনের ভেতর উথাল পাথাল হয়। ঢেউ ওঠে। কিন্তু বাইরে থেকে টের পাওয়া যায় না।
অন্বেষা বিয়ে করেনি। বাবা মায়ের সঙ্গেই ফ্ল্যাটে থাকে। স্কুল টিচার। বর্ধমানের একটা স্কুলে। এসএসসি দিয়ে পেয়েছে সে। প্রায় দশ-এগারো বছর আগে। ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে, হাওড়া বর্ধমান মেইন লাইন। সকাল আটটায় বেরয়, বাড়ি ফেরে সন্ধে সাতটায়। ছুটির দিন তার মূলত কাটে গল্পের বই নিয়ে। বন্ধু-বান্ধব সামান্য কিছু আছে। তবে ওই পর্যন্তই। মেলামেশা সেভাবে নেই। সবাই যে যার সংসারে ব্যস্ত। চাকরি পাওয়ার ওই সময়টায় অন্বেষার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল শুভময় স্যরের সঙ্গে। পরীক্ষার প্রস্তুতি, ক্লাসের খুঁটিনাটি, টিচার্স রুমের রাজনীতি এসব নিয়েই কথা হতো বেশি। মাঝে মধ্যে অন্য কথা। খবরের কাগজের হেডলাইন কিংবা নতুন দেখা কোনও সিনেমা। শুভময় স্যর তখনও দ্যুপ্লেতেই ছিল। মানে চন্দননগর গভর্নমেন্ট কলেজ। ফলে দেখা সাক্ষাৎও হতো, ছুটি ছাটার দিন কখনও স্যরের বাড়িতে গেলে। স্যর হয়তো ব্যাচ পড়াত, প্রাইভেট টিউশন। স্যরের বউ চা করে আনত। হেসে অন্বেষাকে বলত, তুমি তো আবার দিদিমণি। কী খাবে বল! অন্বেষা লাজুক ঘাড় নাড়ত। সেই তিরিশ বছর বয়সেও স্যরের বউকে অহেতুক কেন যে লজ্জা পেত সে, আজও বুঝে উঠতে পারে না অন্বেষা। 
শুভময় স্যর ছাত্র পড়াতে পড়াতেই বলত, ওকে মৃত্যুঞ্জয়ের রসগোল্লা দুটো দাও। ওদের এখানে মৃত্যুঞ্জয়ের খুব নাম। স্যরের দেশের বাড়ি ছিল রায়গঞ্জ, উত্তরবঙ্গ। আর চাকরি ঘুরে ঘুরে, পশ্চিমবঙ্গের নানান সরকারি কলেজে। স্থায়ী প্রফেসরের চাকরি। তবে দক্ষিণবঙ্গের কোনও জায়গাকেই স্যর ঠিক নিজের মনে করতে পারেনি। একথা শুভময় স্যরই একবার দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেছিল অন্বেষাকে। সবাই এত দিল, তবুও মনে হয় আপন করে নিতে পারলাম না। অন্বেষার খুব রাগ হয়েছিল স্যরের কথা শুনে। মানুষটা সবাইকে দেখতে পেল, শুধু তাকে ছাড়াই। এই নিয়ে তার একটা অভিমানও ছিল। ক্লাসের বাইরে স্যর চিরকাল মাটির দিকে তাকিয়ে কথা বলে গেল তার সঙ্গে। চোখের দিকে তাকাল না একবারও। চাকরি পাওয়ার পরও পাল্টায়নি সেই অভ্যাস। হাবে ভাবে দু’এক বার বোঝানোর চেষ্টা করেছিল সে। লাভ হয়নি। এমনকী,,, চাকরি পাওয়ার পর দেখা করতে গেলে অন্বেষাকে নমস্কারটা পর্যন্ত করতে দেয়নি। বলেছিল, থাক, তুমি এখন শিক্ষিকা। কোনও এক মাপকাঠিতে আমরা দু’জনেই এই মুহূর্তে এক। আশা করি ভবিষ্যৎ জীবনে আমাকে ছাড়িয়ে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে তুমি। 
শুভময় স্যরের সঙ্গে অন্বেষার যোগাযোগ নেই বছর পাঁচেক। শুভময় স্যর বদলি হয়ে গিয়েছিল মুর্শিদাবাদ। তারপরও যোগাযোগ ছিল বেশ কিছু দিন। একদিন হঠাৎ করেই হারিয়ে যায় স্যরের মোবাইল নাম্বারটা। সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানির সার্ভার থেকেই যেন মুছে যায়। অনেক দিন চেষ্টা করেছিল অন্বেষা। বারবার সেই একঘেয়ে কণ্ঠস্বর ক্লান্তিহীন বলে গিয়েছে, আপনি একটি ভুল নাম্বার ডায়াল করেছেন। তারপর থেকে সোশ্যাল সাইটগুলোতেও অনেক খুঁজেছে সে। স্যর যেন হঠাৎ করেই লুকিয়ে ফেলেছিল নিজেকে।
ড্রাইভার বলল, কোলাঘাট এসে গিয়েছে ম্যাডাম। এখানেই খেয়ে নেওয়া ভালো। পর পর অনেকগুলো ধাবা পাবেন। অন্বেষার খেতে ইচ্ছা করছিল না। তবুও না খেলেই নয়। মা অনেক বার বলে দিয়েছে, ‘রাস্তায় কিছু খেয়ে নিস। না হলে শরীর খারাপ লাগবে।’ ওদিকে স্যরের বউও গতকাল রাতে ফোনে বলেছে, দুপুরে আমাদের সঙ্গে খেতে হবে। রাস্তায় খেয়ে এসেছ বললে শুনব না। স্যরের নাম্বারটা শেষ পর্যন্ত কিংশুকই জোগাড় করে দিয়েছিল অন্বেষাকে, কোনও একটা মাধ্যম থেকে। প্রায় রাত দশটা নাগাদ। অত রাতে আর কথা বাড়ায়নি অন্বেষা। একবারই বারণ করেছে। না না বউদি শুধু শুধু আবার ওসব ঝামেলা করতে যাবেন কেন! আমি একবার দেখা করেই চলে আসব। স্যরের বউ বলেছে, ঝামেলার কিছু নেই, এতদিন পর আসছ...। অস্ফুটে সায় দিয়েছিল অন্বেষা। যা ভালো বুঝবেন। 
ড্রাইভার গাড়ি থামায় একটা ধাবার সামনে। অন্বেষা চটপট সামান্য কিছু খেয়ে নেয়। ড্রাইভারকে বলে ভরপেট খেয়ে নিতে। ওখানে পৌঁছে কী হবে জানে না। বউদির মাথায় থাকলে ভালো, না হলেও অসুবিধায় পড়তে হবে না ওকে। তাড়াতাড়ি খাওয়া সেরে অন্বেষা গিয়ে বসে গাড়িতে। সাড়ে ন’টা নাগাদ ওরা রওনা দেয় আবার। 
কোলাঘাট থেকে ঠিক দু’ঘণ্টা। খড়্গপুরে স্যরের ফ্ল্যাটে পৌঁছে অবাক হয়ে যায় অন্বেষা। মানুষটাকে চেনাই যায় না। দড়ি পাকানো শরীর। চোখ মুখের অবস্থা আরও খারাপ। যেন আগুনের তাপে ঝলসে গিয়েছে সব। মাথায় চুল নেই। কেমো চলছে। দেখলেই বোঝা যায় দিন ফুরিয়ে এসেছে। তাকে দেখে ঠোঁট ফাঁক করে হাসে স্যর। জিজ্ঞেস করে, ‘কেমন আছ!’ স্যরের হাসিতে ঝরে পড়ে বিষণ্ণতা। অন্বেষা বোঝে কথা বলা দূরে থাক, সামান্য হাসতেও কষ্ট হচ্ছে। কিংশুকের মুখে শুনে আশঙ্কা করেছিল যতটুকু, অবস্থা তার থেকে অনেক গুণ খারাপ। অন্বেষা কী উত্তর দেবে বুঝে পায় না। প্রথম দিনের সেই ইনট্রোডাকটরি ক্লাসের মতো আজও সে একটা ঘোরের মধ্যে। তফাত শুধু আবাহন আর বিসর্জনের। অথচ মাঝে মাত্র কয়েকটা বছর, সব মিলিয়ে কুড়িটাও হবে না।   
স্যরের বউ শরবত নিয়ে আসে। দু’জনে বেডরুমের সোফায় বসে। স্যর বিছানায়, বালিশে মাথা দিয়ে আধ শোয়া অবস্থায়। ঘরের মধ্যে অদ্ভুত এক নীরবতা। সবাই যেন চুপ করে বসে সবকিছু থেমে যাওয়ার অপেক্ষায়। অন্বেষা কোথা থেকে শুরু করবে ভেবে পায় না। মাঝ সমুদ্র যতই শান্ত হোক, তার গভীরতা অতলান্তিক। অন্বেষা তলিয়ে যাচ্ছিল সেই গভীরতায়। পাশের ঘর থেকে খড়কুটো হয়ে ভেসে আসে স্যরের ছেলে। অন্বেষার দিকে তাকিয়ে সামান্য হাসে। তার পিঠে ব্যাগ। সে স্যরের দিকে তাকিয়ে বলে, বাবা পড়তে যাচ্ছি। তারপর ফ্ল্যাটের দরজা খুলে বেরিয়ে যায়। স্যর ঘাড় নেড়ে বলে, সাবধানে যেও। স্যরের বউ দরজা টানতে উঠে যায়। যেতে যেতে বলে, ক্লাস টেন চলছে। এতদিন ওর বাবা-ই দিয়ে আসা, নিয়ে আসা করত। এখন ক’টা দিন একাই যাচ্ছে। অন্বেষার খারাপ লাগে স্যরের বউ-ছেলের কথা ভেবে। নিজেকে বড় অসহায় মনে হয় তার।  দুপুরবেলা বউদি ডাইনিংয়ে খাবার দেয়। ভাত, মাছ, ডাল আর পটলের তরকারি। একদমই ঘরোয়া রান্না। অন্বেষা খেয়ে নিয়ে স্যরের ঘরে আসে। এবার বিদায় নেবার পালা। যেন দু’চোখ ফেটে জল আসছে তার। কোনও রকমে আগল দিয়ে রাখে সে। দরজা পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা নেই, তবুও উঠে বসে শুভময় স্যর। মুখ বাড়িয়ে ঘর থেকে যতটুকু দেখা যায় আর কী! অন্বেষা তড়িঘড়ি এগিয়ে আসে। থাক থাক আপনাকে আর উঠতে হবে না। হাত দু’টো ধরে আবার শুইয়ে দিতে যায় স্যরকে। ঠিক তখনই দু’হাতের পাতায় অল্প চাপ অনুভব করে সে। চোখ তুলে দেখে স্যরের চোখে জল। ঠোঁট দুটো কাঁপছে থর থর। অন্বেষার মনে হয় স্যর যেন বলতে চাইছে, জানি রে জানি, তোর কথাও সব জানি। 
26th  November, 2023
বুমেরাং

প্রতুলবাবুর মুখে আজ আচ্ছা করে ঝামা ঘষে দিয়েছেন অতুলবাবু। অ্যাক্টিংয়ের সাধ আর মজা করার নেশা আজ ছুটে গেছে জম্মের মতো।
বিশদ

03rd  December, 2023
আবদুর রহিম খানের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

তাঁর এতদিনের অভিভাবক বৈরাম খানের অতি সক্রিয়তার খবর বাদশা আকবর পাচ্ছেন। ৫৮ বছর বয়সি বৈরাম সপ্তাহে তিনদিন দরবারের আমিরদের নিয়ে বসছেন বৈঠকে। অস্ত্রাগার, হাতিশাল, ঘোড়াশাল, রাজস্ব বিভাগ— প্রতিটি বিষয়েই তাঁর মতামত ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিশদ

19th  November, 2023
দুনিয়াদারি
সৌরভ মিত্র

কাল রাত থেকেই দেবোত্তমের মনটা বিশেষ ভালো নেই। ছেলেকে বকাবকি করলেই দু-তিনদিন এমন হয়। কারণগুলো আপাতভাবে ন্যায্য হলেও কোথাও যেন একটা অপরাধবোধ কাজ করে। বছর-আটেক বয়স। সেই অর্থে চালাক-চতুর নয়। আপনভোলা। বিশদ

19th  November, 2023
ভৌতিক কেল্লা ভানগড়
সমুদ্র বসু

ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে রাজস্থানের আলোয়ার জেলার ভানগড়ে তৈরি হয় একটি কেল্লা। যেটি তৈরি করেছিলেন অম্বরের তখনকার রাজা ভগবন্ত দাস। পরবর্তীকালে তাঁর ছোট ছেলে  মাধো সিং কেল্লাটির দখল নেন। মতান্তরে মাধো সিং-ই এই দুর্গ তৈরি করিয়েছিলেন। বিশদ

19th  November, 2023
মিষ্টির ভুবন
অর্পিতা সরকার (চন্দ)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘সন্দেশ বাংলাদেশে বাজিমাত করেছে। যা ছিল শুধু খবর, বাংলাদেশ তাকে সাকার বানিয়ে করে দিল খাবার।’ বিশদ

12th  November, 2023
পঞ্চমুণ্ডির আসন
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত

তুষারবাবু ভ্যানরিকশতে বসে শ্মশানের দিকে যাত্রা করার আগে গোবিন্দ সাহার পরিচিত স্থানীয় যে মানুষটির বাড়িতে সকালে এসে উঠেছিলেন সেই বিধু মল্লিক বললেন, ‘আপনার সঙ্গী হতে পারলাম না বলে দুঃখিত। একথা সত্যি সাধুবাবা পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে কারওর জন্যত কিছু চাইলে সে প্রার্থনা মঞ্জুর হয়। বিশদ

12th  November, 2023
বাজির আলোয় সেকালের কলকাতা

মারাঠা যুদ্ধে ইংরেজদের জয়লাভের উপর পাকা সিলমোহর পড়ল উনিশ শতকের একদম গোড়ায়। এমন ঘটনার উদযাপনে একটু বিশেষ ধরনের আমোদের ব্যবস্থা করতে আয়োজন হল এক এলাহি আতসবাজির প্রদর্শনী।
বিশদ

05th  November, 2023
কিংবদন্তি বেতারনাট্য প্রযোজক শ্রীধর

১৯৬৬ সালের জানুয়ারি মাসের একটি দিন। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে একটি নাটকের রেকর্ডিংয়ের জন্য অভিনেতারা সমবেত হয়েছেন।
বিশদ

05th  November, 2023
পুরনো সিন্দুক

ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হিসাবে আজকের সকালটা বিজনের প্রথম সকাল। দুশো চল্লিশ স্কোয়ার ফিটের ছোট্ট এক পরিসরের মধ্যে ক্রমাগত ঘুরপাক খেতে খেতে এর মধ্যেই যেন হাঁপিয়ে উঠেছে বিজন।
বিশদ

05th  November, 2023
অতীতের পৃষ্ঠায় সংসদ ভবন
সমৃদ্ধ দত্ত

বাঙালির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া ভারতের এতকালের ওই পার্লামেন্ট ভবন। যাকে এখন নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘সংবিধান সদন’। বিশদ

29th  October, 2023
সংসারচরিত
সোমজা দাস

দীপ্তর সঙ্গে থাকা যে আর সম্ভব নয়, সেটা ভালোভাবে বুঝে গেছে সুমেধা। সাত বছরের প্রেমে কত স্মৃতি, একসঙ্গে কত শপথ, স্বপ্নের মুহূর্ত বুনেছে তারা। কিন্তু বিয়ের এক বছরেই এমন মোহভঙ্গ হবে সেটা সুমেধার ভাবনারও অতীত ছিল।           বিশদ

29th  October, 2023
সেকালের দুর্গাপুজোর আমোদ

বৃষ্টি, গুমোট গরম আর জল-কাদা মাখা রাস্তা ঠিক পুরাকালের রাজপুরুষদের দিগ্বিজয়ে বেরনোর মতো পরিবেশ তৈরি না করলেও, ক্যালেন্ডার বলছে ‘এসেছে শরৎ’।  তবে ছাপোষা গৃহস্থ প্রকৃতির উদার আহ্বানের থেকে পুজোর আগমন বার্তা বেশি টের পান কলিং বেলের টুং টাং ডাকে।
বিশদ

15th  October, 2023
উঠোন
সৌরভ হোসেন

আসমত গেরস্তর ভুঁইয়ের পরেই হজরুদ্দির বাড়ি। ভুঁইটা যেদিকটায় ঢালু হয়ে নেমে গিয়েছে সেদিকটায় বড়ঘাট্টা বিল। হজরুদ্দির বাপ নুরুদ্দি বলতেন, ওখানে আগে নদী ছিল। সে নদীর সঙ্গে পদ্মার যোগ ছিল। সে নদী মজে বিল হল। এখন নাবাল জমি। বিশদ

08th  October, 2023
হাতিবাগানের  থিয়েটার
সন্দীপন বিশ্বাস

দিনকয়েক আগে উত্তর কলকাতার রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট দিয়ে হাঁটতে গিয়ে থমকে গেলাম। অনেকেই রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট নামটা শুনে বুঝতে পারবেন না। কিন্তু যদি বলি একসময় এখানেই ছিল বিশ্বরূপা, রঙ্গনা, বিজন থিয়েটার সারকারিনা থিয়েটার হল, তাহলে হয়তো সবাই বুঝতে পারবেন। বিশদ

01st  October, 2023
একনজরে
জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM