Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

উঠোন
সৌরভ হোসেন

আসমত গেরস্তর ভুঁইয়ের পরেই হজরুদ্দির বাড়ি। ভুঁইটা যেদিকটায় ঢালু হয়ে নেমে গিয়েছে সেদিকটায় বড়ঘাট্টা বিল। হজরুদ্দির বাপ নুরুদ্দি বলতেন, ওখানে আগে নদী ছিল। সে নদীর সঙ্গে পদ্মার যোগ ছিল। সে নদী মজে বিল হল। এখন নাবাল জমি। একাত্তরের বন্যায় এই বিল উপচেই উঠোনটায় জল এসেছিল। শুধু জলই আসেনি, ভাসানের সে জলের সঙ্গে নানা মাছও এসেছিল। বাড়ির দাওয়ায় বসে ছিপে করে মাছ ধরেছিল হজরুদ্দি। বেড়ার ফাঁকে পেতেছিল বিত্তি। সে বিত্তি ভরে গিয়েছিল পুঁটি-খলসেতে। সে বিলও মরল, বিলের সঙ্গে সঙ্গে মাছও মরল। এখন আশ্বিন মাসে বিলটার উজান-নাবাল সব ধানি জমি হয়ে ওঠে। যে বছর পাটকাঠি আর কঞ্চির বেড়াটা ভেঙে-পচে ফাঁকা হয়ে যেত, সে বছর আল-বিল আর উঠোন এক হয়ে যেত। দাওয়া থেকে দেখা যেত বিলের জল। রাতের বেলায় যখন চাঁদের আলো পড়ত জলে তখন মনে হতো বিলটা রুপোতে ভরে আছে! আর উঠোনটা খিলখিল করে হাসত। হজরুদ্দি তখন উঠোনে নেমে আসত। সঙ্গে কুলছুম। হজরুদ্দি কুলছুমকে বলত, ‘এসো, এই জ্যোৎস্না রাতে আমরা একটুখানি কিতকিত খেলি।’ কুলছুম তখন আঁচলখানা উঠোনটায় বিছিয়ে দিত। আর বলত, ‘কিতকিত নয়, আজ উঠোনটায় শুইয়ে জ্যোৎস্না মাখতে ইচ্ছে করছে।’ 
‘কুলছুম, আমি মরতে দেব না।’ বুকের হাড়গুলোর ভেতরে যেখানে হজরুদ্দির হৃৎপিণ্ডখানা ছুপ মেরে আছে সেখানেই কথাটা বাজল। কত পিড়ির ভিটে তার গাছ-পাথর জানা নেই হজরুদ্দির। তবে এইটুকু জানে সে, তার বাপ, বাপের বাপ, বাপের বাপের বাপ এই ভিটেতেই জন্মেছেন! আর উঠোনটাতেই হেঁটে-চলে বড় হয়েছেন। মাঝেমধ্যে হজরুদ্দির মনে হয়, কী মরতে যে চারটে ছেলে নিতে গেছিলাম! একটাতেই ইতি টানলে ভালো হতো। উঠোনটার তো হতচ্ছিড়ি দশা হতো না! উত্তর মরেছে, দক্ষিণ মরেছে, পুব মরেছে এখন পশ্চিমটাও মরতে বসেছে! হজরুদ্দি বলতে গিয়েছিল, ‘পশ্চিমের মুখটা মারিস নে রে, আল্লাহর ঘর কাবা ওই দিকটায় আছে।’ তখন বশির বাপের মুখের উপর বলেছিল, ‘তাহলে আমরা কার ঘরে থাকব, আব্বা? আকাশে ফেরেশতাদের ঘরে?’ বাকি তিন ছেলে আপন আপন বাড়ি করে নিয়েছে। ছোট ছেলে বশিরের হাতে টাকা-পয়সা না থাকায় এতদিন বাড়িটা করতে পারেনি। পুরনো কুঠাপাড়া ঘরেই থাকে। সে বাড়িটাও আধখানা ভাঙা। ভাঙা অংশে নতুন বাড়ি করেছে মেজো ছেলে মেস্কাত। বশিরের হাতে এখন আরব-খাটা টাকা এসেছে। সে টাকায় বাড়ি হয়ে গাড়িও হয়ে যেতে পারে! আর থামবে কেন? তাছাড়া ছেলেমেয়েও বড় হচ্ছে। আর কিছুদিন গেলে বাড়িতে জামাই আসবে। বেটার বউ আসবে। বাড়ি তো একখানা লাগবেই? 
লাঠি হাতে উঠোনটায় তিন পেয়ে মানুষ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একাশির বুড়ো হজরুদ্দি। যেন দুখানা শুকনো বাঁশের লাঠি দাঁড়িয়ে আছে! দুনিয়াদারির মাংস ফুরোতে ফুরোতে শরীরটা একখানা কঙ্কাল! রাতের বেলায় সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন উঠোনটায় একা নেমে আসে হজরুদ্দি। হাতের লাঠিটা উঠোনটায় ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে কিছু একটা খোঁজে। আর বিড়বিড় করে বলে, ‘এখেনটায়, হ্যাঁ, এখেনটায়।’ আজ বশির বুড়ো বাপটাকে অমন করে বিড়বিড় করতে দেখে জিজ্ঞেস করল, ‘কী ওখানটায়, আব্বা? কী বিড়বিড় কচ্ছ?’ 
‘খাটিয়া।’ হজরুদ্দি কোনও কিছু খেয়াল না করেই কথাটা বলল। 
‘খাটিয়া! কীসের খাটিয়া?’ বশির বিস্মিত হল। আচমকা হজরুদ্দির খেয়াল ফিরল, বলল, ‘ও কিচ্ছু না, একটা জিনিস আন্দাজ কচ্ছিনু।’
‘কুন জিনিস, আব্বা?’
‘উঠেন।’
‘আবারও সেই উঠেন লিয়ি পড়িচ!’ বশিরের চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ। আর কথা বাড়াল না। গটগট করে ঘরের ভেতর সেঁধিয়ে গেল। বুড়ো হজরুদ্দি কিন্তু জায়গাটা থেকে এক ইঞ্চি সরল না। সে বিড়বিড় করে বলে যেতে থাকল, ‘এখেনটায়, হ্যাঁ, এখেনটাই তো?’
দুই
পুরো বাড়িতে কানাঘুষো। গতরাতে বুড়ো হজরুদ্দি নাকি এতটুকুও ঘুমোয়নি! সারারাত উঠোনটায় লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল! ল-বউ সাহানা বাথরুম করতে উঠে শ্বশুরমশাইকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিল! ভয়ে চিৎকার করে উঠেছিল। সে চিৎকারের শব্দ শুনে বাড়ির সবাই ঘুম থেকে উঠে এসেছিল উঠোনে। তারপর বাপ হজরুদ্দিকে হাত ধরে ঘরে নিয়ে গিয়েছিল বেটার বউরা।
বারান্দায় বসে বশিরের বউ লাইলা বলল, ‘মুনে হয় মানুষটার মাথা খারাপ হয়ি গেচে।’ জানলার ঘুপসি দিয়ে বড়বউ আয়েশা বলল, ‘বয়স হয়িচে, মাথা কি আর আগের মুতন কাজ করবে? করবে না।’ বেড়ার ফাঁকে চোখ রেখে মেজো বউ মজিদা বলল, ‘আমার তো ভয় লাগে! মানুষটার মধ্যে জিন ভর করল না তো!’ তিন বউয়ের ছ-খানা চোখে কৌতূহলের শেষ নেই। আগে এই সময় তারা একসঙ্গে কলতলায় বাসন মাজত। ধোয়া বাসনগুলোর ওপর তেরছা করে পড়ত বিহেন বেলার রোদ। এখন সে কলতলাটা নেই। সংসার ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে কলের সংখ্যাও বেড়েছে। যেখানে কলতলাটা ছিল তার পিছনেই ছিল একটা মস্ত বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ। গাছটা ঝাঁকড়া হয়ে উঠেছিল। দিঘল উঠোনটায় ফাল্গুন মাসের মিঠে রোদে বসে যখন থপ থপ করে কুলোয় ধান ঝাড়ত কুলছুম তখন হজরুদ্দি কৃষ্ণচূড়ার ফুল ছিঁড়ে চুপ করে কুলছুমের চুলের খোঁপায় গুঁজে দিত। তারপর খিলখিল করে হেসে বলত, ‘উঠোনে আরও একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ হয়েছে গ!’ কুলছুম রাগত না। একটা অন্যরকম আনন্দ পেত। বড় ছেলে আলাউদ্দি যখন নতুন বাড়ি তুলল, তখনই গাছটা কেটে ফেলল। হজরুদ্দির বুকের ব্যথাটা তখন থেকেই উস্কেছে। উঠোনটায় দাঁড়ালে অনেক কথা মনে পড়ে হজরুদ্দির। মাঠের ধান-গম এই উঠোনটাতেই পালা দেওয়া থাকত। তখন উঠোনটাই ছিল ফসল ঝাড়াই-বাছাইয়ের খলেন। তখনও ধানঝাড়া মেশিন আসেনি দেশে। তক্তা পেতে তাতে বাড়ি মেরে মেরে ধান ঝাড়া হতো। একদিকে জমে উঠত ঝাড়া ধান আরেক দিকে পাহাড় হয়ে উঠত ধানের নাড়া! ধান ঝাড়াই-মাড়াই হয়ে গেলে এই উঠোনেই সার করে খেতে বসত মুনিষেরা। তখন বাড়িতে ভালোমন্দ রান্না হতো। ক্ষীর-পায়েস। পুকুরের মাছ। বাড়ির পোষা মুরগি। হজরুদ্দির তিন বেটা আর দুই বিটির বিয়ের খানা তো এই উঠোনেই হয়েছিল। শুধু বশিরের খানা হয়েছিল বড় ছেলে আলাউদ্দির ছাদে। কুলছুম যখন বউ হয়ে এসেছিল এ বাড়িতে তখন এই উঠোনটাতেই প্রথম বসেছিল। বেনারসি পরা ঘোমটা মাথায় সে লাল টুকটুকে বউটাকে মাঝেমধ্যেই দেখতে পায় হজরুদ্দি। তখন আপন খেয়ালে ফিকফিক করে হাসে সে। কুলছুম মারা যাওয়ার পর থেকে সে দেখাটা আরও বেড়ে গেছে। শুধু কুলছুমের নতুন বউ হয়ে বসে থাকাটাই নয়, হজরুদ্দি এখন দেখে, কুলছুম উঠোনে মেলা সেদ্ধ ধানে পা দিচ্ছে আর সে চুপি চুপি গিয়ে পিছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরছে তাকে! কুলছুম বলছে, ‘ছাড় ছাড়, এ কী করছ! ছেলে-বউরা সব দেখে নেবে!’ 
হজরুদ্দির এক সমস্যা হয়েছে। সে সব ছেলেদের একসঙ্গে পায় না। দু’জন ভিন রাজ্যে গিয়েছে ভিনখাটতে। একজন কেরলে একজন গুজরাতে। বড় ব্যাটা বাড়িতে থাকে। তাও রাতটুকুন। দিনমান খেতালেই কেটে যায়। থাকা বলতে গেলে বশির। মাসখানেক হল আরব-খেটে দেশে ফিরেছে। তাছাড়া তিন দিকে তিনখানা বাড়ি। পুরনো ভাঙা বাড়িখানা ধরলে সাড়ে তিনখানা। মাঝে কারও ইটের পাঁচিল তো কারও পাটকাঠির বেড়া। বাড়িতে ঢোকার মুখও হয়েছে তিন তিনখানা! সদর বলে কিচ্ছু নেই। ঘরের মুখ আর রাস্তার মুখ এক। হজরুদ্দি গজগজ করে, বাড়ি না পাখির খোপ! নিঃশ্বাসের হাওয়া আসবে কোন দিক থেকে! আলো তো ঢুকবেই না, আঁধার-ঘুলঘুলি হয়ে থাকবে। আজ বশিরকে দেখতে পেয়েই বলল, ‘আমি মরার পর উঠেনটুকুতে বাড়ি তুলিস, বশির।’
‘কেন?’ কণ্ঠ গরম হয়ে উঠল বশিরের। হজরুদ্দি বলল, ‘এইটুকু তো আর উঠেন বাকি পরে আছে। আমি মরলে মরার খাটিয়াটা কুণ্ঠে থুবি?’
‘সবসময় মরার কথা ভাব কেন? দুনিয়ায় কি আর কুনু কথা নাই?’ গজগজ করল বশির। তার হিলহিলে শরীরটা বাঙ্গির মতো শক্ত হয়ে উঠল। গায়ের স্যান্ডো গেঞ্জিটা খুললে বিত্তির খিলের মতো হাড়গুলো দেখা যায়। খুঁটল চোখগুলোয় বিরক্তির ছাপ। ‘এখুন যে কথা ফুরিয়ে যাওয়ার সময়, বাপ। তোর মা যে আমাকে ডাকচে। ওপারে ওর একলা থাকতে আর ভাল্লাগচে না।’ তারপর ঠকঠক করে উঠোনটায় নেমে গেল হজরুদ্দি। পশ্চিমের এক কোণে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে বলল, ‘শুদু এখেনটা। এখেনটা ফাঁকা থুলেই হবে। কতটুকুন আর হবে? ওই সাড়ে তিন হাত।’
‘ওখেনটায় কী এমন আছে যে ওখেনটাই ফাঁকা থুতে হবে?’ ধমকের সুরে বলল বশির। ছেলের কথা শুনে হজরুদ্দির চোখ ছলছল করে উঠল, বলল, ‘ভুলি গেলি বাপ। জন্মদাত্রী মায়ের মরার খাটিয়াটা কুণ্ঠে রাখা ছিল তাও ভুলি গেলি! তোর মা জানতে পারলে যে খুব কষ্ট পাবে রে!’
বাপের কথা শুনে বশির কিছুক্ষণ ঝিম মেরে গেল। কিন্তু ভেঙে পড়ল না। মনটাকে শক্ত করে বলল, ‘জায়গাটুকুন ফাঁকা থুলে যে আমার বাড়িটা ছোট হয়ি যাবে। সওয়া কাঠা তো জায়গা তার আবার এক ছটাক ফাঁকা থুলে বাড়ি কী করি হবে? মানুষের ঘর হবে না পাখির কোটর হবে? অন্য ভাইদের বেলায় কিচ্ছু বুল্লে না, যত কান্নাকাটি আমার বেলায়?’ ফদফদ করে বকে গেল বশির। তারপর বলল, ‘আর কিচ্ছু করার নাই। মাপজোখ হয়ি গেচে। কাল থেকিই নেউ খুঁড়তে মিস্ত্রি লাগবে।’ কথা তো নয় যেন একটা কোপ! ধারালো করাতের কোপ! বুড়ো হজরুদ্দি আর কিচ্ছুটি বলল না। শুধু আপশোস করল, কেন যে ভিটেটুকুন বেটাদের নামে লিখে দিলাম! আজ আমার লাশ রাখার উঠোনটুকু থাকছে না! যে জায়গাটায় দাঁড়িয়েছিল লাঠিটা দিয়ে সে জায়গার মাটিতে কী সব আঁকিবুঁকি করতে লাগল হজরুদ্দি। 
পরের দিন বশিরের বাড়ির পুস্তে তোলার জন্য নেউ কাটা শুরু হল। ‘খচ’ ‘খচ’ করে মাটি কাটার শব্দ হচ্ছে। হজরুদ্দি সারাদিন ঘর থেকে বাইরে বের হল না। শুধু ঘরের ভেতরে লাঠি হাতে পায়চারি করার শব্দ কানে এল। রাত হল। কাটা নেউ-এর গর্ত থেকে ঝুপ মেরে থাকা অন্ধকার চারপাশে ছড়িয়ে গেল। ঝিঁঝি পোকা ডাকল। আবুলদের পুকুর থেকে ব্যাং ডাকার শব্দ এল। যখন বাঁশরায় বাঁদুরের ডানা ঝাপটানোর শব্দটা থামল আর আকাশ থেকে স্যাৎ করে নেমে আসা তারাখসাটা বিলের পানে নেমে গেল তখনই ‘কট’ করে উঠল হজরুদ্দির বুকটা! সঙ্গে সঙ্গে ‘বশির’ বলে চিল্লিয়ে উঠল। ওই একবারই। তারপর কুঁকড়ে গুটিয়ে গেল বিছানায়। বাপের চিৎকারটা শুনতে পেল বশির। ধড়ফড় করে উঠে গেল বাপের বিছানায়। দাওয়াতেই শুয়ে থাকে হজরুদ্দি। কুলছুম মারা যাওয়ার পর থেকে আর এক রাতও ঘরের ভেতরে শোয়নি। বললে, বলে, ‘কুলছুম এলে আমাকে দেখতে পাবে না গ।’
টানা সতেরো দিন হাসপাতালে থাকল হজরুদ্দি। এই ক’দিনে যমে-মানুষে টানাটানি হল। মৃত্যুর ফেরেশতা আজরাইল, আশপাশে ঘুরঘুর করেও হজরুদ্দির রুহটা কব্জা করতে পারলেন না। একটা ছোটখাট স্ট্রোক ঘটিয়েই খালি হাতে ফিরলেন উপরে। হজরুদ্দি উপরের বাড়ি ফিরল না। ফিরল ইহকালের বাড়ি। টোটো গাড়িটা বাড়ির কাছে আসতেই হজরুদ্দির ঘুলঘুলে চোখগুলো থ হয়ে গেল! এ কী দেখছে সে! তার আকাশ থেকে পড়ার শামিল হল। 
এই সতেরো দিনে যেখানে একখানা ছোটখাট বাড়ি তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা সেখানে মাটি কাটা নেউগুলো সব বোজানো! আর উঠোনের যে জায়গাটায় কুলছুমের লাশ রাখা ছিল খাটিয়ায় সেখানে একটা জলচৌকি রাখা! বাপ হজরুদ্দিকে টোটো থেকে নামিয়ে জলচৌকিটার কাছে নিয়ে এসে বশির বলল, ‘আব্বা, এখেনে বস।’ হজরুদ্দি চোখগুলো ঘুলঘুল করে তাকাল বশিরের দিকে। বলল, ‘তোর বাড়ি?’
‘ওই তো, ওখেনে।’ বশির হাত দিয়ে পুরনো ভাঙা বাড়িটার দিকে দেখাল। হজরুদ্দি মায়াভরা চোখে দেখল, পুরনো ভাঙা বাড়িটা আর নেই। সেখেনে একটা নতুন বাড়ি গড়ে উঠছে। চৌকিটায় আলতো করে বসল। তারপর চিৎ হয়ে শুলো। নীচের দিকে মুখ করে ফিসফিস করে বলল, ‘কুলছুম, তুমি দেখতে পাচ্চ, তুমার খাটিয়াটার কাছেই আমার খাটিয়াটা থাকবে!’
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
08th  October, 2023
বুমেরাং

প্রতুলবাবুর মুখে আজ আচ্ছা করে ঝামা ঘষে দিয়েছেন অতুলবাবু। অ্যাক্টিংয়ের সাধ আর মজা করার নেশা আজ ছুটে গেছে জম্মের মতো।
বিশদ

03rd  December, 2023
স্পর্শ
রাজেশ কুমার

অন্বেষা ফোনেই পেয়েছিল খবরটা, গতকাল সকালে। মনে হচ্ছিল, ওই মানুষটাই কেন! পৃথিবীতে তো আরও মানুষ ছিল। চোর, গুন্ডা, ধর্ষক, নেশাখোর...। দেখে দেখে ভালো মানুষদেরই কেন এসব হয়, ওপরঅলা কি চোখে দেখতে পায় না!  বিশদ

26th  November, 2023
আবদুর রহিম খানের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

তাঁর এতদিনের অভিভাবক বৈরাম খানের অতি সক্রিয়তার খবর বাদশা আকবর পাচ্ছেন। ৫৮ বছর বয়সি বৈরাম সপ্তাহে তিনদিন দরবারের আমিরদের নিয়ে বসছেন বৈঠকে। অস্ত্রাগার, হাতিশাল, ঘোড়াশাল, রাজস্ব বিভাগ— প্রতিটি বিষয়েই তাঁর মতামত ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিশদ

19th  November, 2023
দুনিয়াদারি
সৌরভ মিত্র

কাল রাত থেকেই দেবোত্তমের মনটা বিশেষ ভালো নেই। ছেলেকে বকাবকি করলেই দু-তিনদিন এমন হয়। কারণগুলো আপাতভাবে ন্যায্য হলেও কোথাও যেন একটা অপরাধবোধ কাজ করে। বছর-আটেক বয়স। সেই অর্থে চালাক-চতুর নয়। আপনভোলা। বিশদ

19th  November, 2023
ভৌতিক কেল্লা ভানগড়
সমুদ্র বসু

ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে রাজস্থানের আলোয়ার জেলার ভানগড়ে তৈরি হয় একটি কেল্লা। যেটি তৈরি করেছিলেন অম্বরের তখনকার রাজা ভগবন্ত দাস। পরবর্তীকালে তাঁর ছোট ছেলে  মাধো সিং কেল্লাটির দখল নেন। মতান্তরে মাধো সিং-ই এই দুর্গ তৈরি করিয়েছিলেন। বিশদ

19th  November, 2023
মিষ্টির ভুবন
অর্পিতা সরকার (চন্দ)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘সন্দেশ বাংলাদেশে বাজিমাত করেছে। যা ছিল শুধু খবর, বাংলাদেশ তাকে সাকার বানিয়ে করে দিল খাবার।’ বিশদ

12th  November, 2023
পঞ্চমুণ্ডির আসন
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত

তুষারবাবু ভ্যানরিকশতে বসে শ্মশানের দিকে যাত্রা করার আগে গোবিন্দ সাহার পরিচিত স্থানীয় যে মানুষটির বাড়িতে সকালে এসে উঠেছিলেন সেই বিধু মল্লিক বললেন, ‘আপনার সঙ্গী হতে পারলাম না বলে দুঃখিত। একথা সত্যি সাধুবাবা পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে কারওর জন্যত কিছু চাইলে সে প্রার্থনা মঞ্জুর হয়। বিশদ

12th  November, 2023
বাজির আলোয় সেকালের কলকাতা

মারাঠা যুদ্ধে ইংরেজদের জয়লাভের উপর পাকা সিলমোহর পড়ল উনিশ শতকের একদম গোড়ায়। এমন ঘটনার উদযাপনে একটু বিশেষ ধরনের আমোদের ব্যবস্থা করতে আয়োজন হল এক এলাহি আতসবাজির প্রদর্শনী।
বিশদ

05th  November, 2023
কিংবদন্তি বেতারনাট্য প্রযোজক শ্রীধর

১৯৬৬ সালের জানুয়ারি মাসের একটি দিন। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে একটি নাটকের রেকর্ডিংয়ের জন্য অভিনেতারা সমবেত হয়েছেন।
বিশদ

05th  November, 2023
পুরনো সিন্দুক

ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হিসাবে আজকের সকালটা বিজনের প্রথম সকাল। দুশো চল্লিশ স্কোয়ার ফিটের ছোট্ট এক পরিসরের মধ্যে ক্রমাগত ঘুরপাক খেতে খেতে এর মধ্যেই যেন হাঁপিয়ে উঠেছে বিজন।
বিশদ

05th  November, 2023
অতীতের পৃষ্ঠায় সংসদ ভবন
সমৃদ্ধ দত্ত

বাঙালির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া ভারতের এতকালের ওই পার্লামেন্ট ভবন। যাকে এখন নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘সংবিধান সদন’। বিশদ

29th  October, 2023
সংসারচরিত
সোমজা দাস

দীপ্তর সঙ্গে থাকা যে আর সম্ভব নয়, সেটা ভালোভাবে বুঝে গেছে সুমেধা। সাত বছরের প্রেমে কত স্মৃতি, একসঙ্গে কত শপথ, স্বপ্নের মুহূর্ত বুনেছে তারা। কিন্তু বিয়ের এক বছরেই এমন মোহভঙ্গ হবে সেটা সুমেধার ভাবনারও অতীত ছিল।           বিশদ

29th  October, 2023
সেকালের দুর্গাপুজোর আমোদ

বৃষ্টি, গুমোট গরম আর জল-কাদা মাখা রাস্তা ঠিক পুরাকালের রাজপুরুষদের দিগ্বিজয়ে বেরনোর মতো পরিবেশ তৈরি না করলেও, ক্যালেন্ডার বলছে ‘এসেছে শরৎ’।  তবে ছাপোষা গৃহস্থ প্রকৃতির উদার আহ্বানের থেকে পুজোর আগমন বার্তা বেশি টের পান কলিং বেলের টুং টাং ডাকে।
বিশদ

15th  October, 2023
হাতিবাগানের  থিয়েটার
সন্দীপন বিশ্বাস

দিনকয়েক আগে উত্তর কলকাতার রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট দিয়ে হাঁটতে গিয়ে থমকে গেলাম। অনেকেই রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট নামটা শুনে বুঝতে পারবেন না। কিন্তু যদি বলি একসময় এখানেই ছিল বিশ্বরূপা, রঙ্গনা, বিজন থিয়েটার সারকারিনা থিয়েটার হল, তাহলে হয়তো সবাই বুঝতে পারবেন। বিশদ

01st  October, 2023
একনজরে
২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...

আমেরিকায় ফের শ্যুটআউট। এবার ডালাসের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হল। ...

রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...

জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM