Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কিংবদন্তি বেতারনাট্য প্রযোজক শ্রীধর

তরুণ চক্রবর্তী: ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি মাসের একটি দিন। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে একটি নাটকের রেকর্ডিংয়ের জন্য অভিনেতারা সমবেত হয়েছেন। তাঁরা অপেক্ষা করছেন নাটকের প্রযোজকের জন্য। মহড়ার দিনেও যে মানুষটি আগে থেকেই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন শিল্পীদের স্বাগত জানাতে, কই আজ তো তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। অভিনেতারা সে বিষয়েই নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলেন। কিন্তু রেকর্ডিংয়ের নির্ধারিত সময় সাড়ে ৯টা থাকলেও ঘড়ির কাঁটা যখন ১১টা ছুঁতে চলেছে, সবাই বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন। এমনটা তো অস্বাভাবিক, বিশেষ করে এই প্রযোজকের সময়ানুবর্তিতা যে দৃষ্টান্ত যোগ্য!
অবশেষে তিনি এলেন, কিছুটা বিধ্বস্ত যেন। হন্তদন্ত হয়ে ঢুকলেন। কারও সঙ্গে কোনও কথা না বলে সোজা গিয়ে বসলেন ড্রামা স্টুডিওর রেকর্ডিং রুমে। ঝোলা থেকে নাটকের স্ক্রিপ্টটা বের করলেন। এরপরই অভিনেতারা শুনতে পেলেন তাঁর সংক্ষিপ্ত দু’টি কথা, ‘সবাই রেডি? এবার রেকর্ডিং শুরু করছি।’
রেকর্ডিং শুরু হল, এক সময় শেষও হল নির্বিঘ্নেই। তারপর প্রযোজক সহ নাটকের অভিনেতা ও রেকর্ডিস্ট, সবাই মিলে গেলেন ক্যান্টিনে চা খেতে। প্রযোজকের বিলম্ব নিয়ে তখনও কেউ কিছু বলেননি। চা খেতে খেতে প্রযোজকই এবার দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, ‘খারাপ লাগছে সবাইকে আজ অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হল। কিছু মনে কর না। আসলে আমার বড় মেয়ে অণিমা আজ চলে গেল। ওর দাহ কাজের জন্য কেওড়াতলায় যেতে হয়েছিল। সেখান থেকেই সব মিটিয়ে আসতে বড় দেরি হয়ে গেল!’
অবধারিতভাবে মনে পড়ে যায় বনফুল রচিত ‘অগ্নীশ্বর’-এর ছায়াছবিতে উত্তমকুমারের মুখের মর্মস্পর্শী সেই সংলাপটি ‘আমার বাড়িতে একজন প্রিয় অতিথি এসেছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে কিছুদিন ছিলেন। আজ তিনি চলে গেলেন। তাঁকে বিদায় দিতে গিয়েই আমার এই দেরি।’
কিন্তু সে ছিল সিনেমা আর এ একেবারে বাস্তব ঘটনা। আকাশবাণীর সেদিনের সেই প্রযোজক আর কেউ নন, বিখ্যাত বেতার নাট্যব্যক্তিত্ব শ্রীধর ভট্টাচার্য।
সুন্দর হাতের লেখার সমাদর সর্বত্রই। আর এই মাধ্যমটিকেই সম্বল করে শ্রীধরবাবু একদিন তাঁর গ্রাসাচ্ছাদনের সংস্থান করতে পেরেছিলেন। তাঁর অন্তরঙ্গ বন্ধু, স্বর্ণকণ্ঠের অধিকারী সঙ্গীত শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় একবার লিখেছিলেন, ‘ওর হাতের লেখা ছিল মুক্তোর মতো। ওর হাতের লেখা স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যেত রেডিও আর্টিস্টদের মধ্যে।’
ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র হলেও দারিদ্র্যের জন্য, পড়াশোনা ছেড়ে, জন্মস্থান পূর্ববঙ্গের ফরিদপুরের ঊনশিয়া গ্রাম থেকে ১৯৩৫ সালে শ্রীধর ভট্টাচার্যকে চলে আসতে হয়েছিল কলকাতায়। কোনও এক সুজনের দৌলতে থিয়েটারে প্রম্পটারির একটা কাজ জুটে গেল। এ কাজে পারদর্শিতার জন্য ক্রমে আরও দু-তিনটি থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হলেন তিনি। এর সঙ্গে বিভিন্ন রঙ্গমঞ্চে অভিনীত নাটকের প্রতিলিপি তৈরির কাজও হাতে এল তাঁর। চমৎকার হস্তাক্ষরের জন্য এই কাজটি তাঁকে করে যেতে হয়েছিল আজীবন।
কলকাতা বেতারের নাটক বিভাগের অন্যতম কর্তা তখন বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য। বাণীকুমার নামেই যিনি খ্যাত। তিনি বেতারে যোগ দেওয়ার অনেক আগে থেকেই ‘চিত্রা সংসদ’ নামে একটি নাট্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একদিন তাঁর চোখে পড়ল শ্রীধর ভট্টাচার্যের হাতে লেখা একটি স্ক্রিপ্ট। জহুরির চোখ ছিল তাঁর, সঙ্গে সঙ্গেই চিনে নিয়েছিলেন রত্ন-বিশেষ মানুষটিকে। কলকাতা বেতারে তাঁকে নিয়ে চলে আসতে আর দেরি করেননি বাণীকুমার।
বাণীকুমারের হাত ধরেই শ্রীধর ভট্টাচার্য আকাশবাণীতে যোগ দিলেন ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বর মাসে, একজন Capyist বা প্রতিলিপিকার হিসেবে। কেবল নাটকেরই নয়, বেতার সম্প্রচারের নানা লিপিই তাঁকে কপি করতে হতো। আকাশবাণীতে নাটকের কপি লেখার কাজ হাতে নেওয়ার আগেই তিনি শুরু করেছিলেন মৌলিক নাটক লেখার কাজও। দেখা গেল, একের পর এক বেতার নাটকের প্রযোজনা করে শ্রীধর ভট্টাচার্য হয়ে উঠলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় এক প্রযোজক। পৌরাণিক, ঐতিহাসিক, সামাজিক ও কৌতুকনাট্য ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ, পরশুরাম, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্রনাথ মিত্র প্রমুখ লেখকের উপন্যাস ও গল্পের সার্থক বেতার নাট্যরূপ দিলেন। প্রযোজনা করলেন দু’শোরও বেশি নাটক। সেকালে আকাশবাণীর অন্যতম জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান ছিল ‘পল্লিমঙ্গলের আসর’। এই অনুষ্ঠানেও ‘মুখুজ্জে মশাই’-এর ভূমিকায় অভিনয় করতেন তিনি। যেসব বেতার নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন, নিঃসঙ্গ নায়ক, পদ্মানদীর মাঝি, মসনদ, মায়ামৃগ, শিলাপটে লেখা, নাইন আপ, আরণ্যক। রবীন্দ্রনাথের ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’-এ রাইচরণ এবং হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘নাইন আপ’ নাটকে জমিদার বাড়ির কাজের লোক ভগবানের ভূমিকায় তাঁর অসাধারণ অভিনয় শ্রোতাদের হৃদয়ে গাঁথা হয়ে থাকবে। তাঁর প্রযোজিত নাটকে ছবি বিশ্বাস, পাহাড়ি সান্যাল, বিকাশ রায়, শম্ভু মিত্র, তৃপ্তি মিত্র, নির্মলকুমার, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর মতো খ্যাতনামা শিল্পীরা অভিনয় করেছেন।
১৯৬৮ সালে ‘কৃষ্ণলীলা’ নামে একটি চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছিলেন তিনি। এটি ছিল দক্ষিণ ভারতীয় একটি ছবির বাংলা রূপান্তর।
যেসব বিখ্যাত মানুষের সান্নিধ্যে এসেছিলেন তিনি, তাঁদের মধ্যে অন্যতম কাজী নজরুল ইসলাম, দাদাঠাকুর অর্থাৎ শরৎচন্দ্র পণ্ডিত, শিশির ভাদুড়ী, নরেশ মিত্র প্রমুখ। দাদাঠাকুর একবার চমৎকার একটি হেঁয়ালিও করেছিলেন তাঁকে নিয়ে। সেদিন আকাশবাণী ভবনে ঢুকেই দাদাঠাকুরের চোখে পড়ল, নাটকের প্রতি নিবেদিত প্রাণ শ্রীধর একটি নাটকের রিহার্সাল নিয়ে খুব ছোটাছুটি করছেন। তিনি তাঁকে ডাকলেন, ‘এই যে শ্রীধর, খুবই তো খাটাখাটনি করছ দেখছি। তা এত পরিশ্রম করলে তোমার ধড়ে আর শ্রী ফিরবে কেমন করে বাপু?’
তাঁর ‘শ্রীধর’ নামটি বলতে গিয়ে একবার খুবই বিপাকে পড়তে হয়েছিল অস্থায়ী এক বেতার ঘোষককে। সে সময় আকাশবাণী কর্তৃপক্ষের একটি নির্দেশ জারি হয়েছিল, কেবলমাত্র বাইরের শিল্পী ও বক্তাদের নামের ক্ষেত্রেই বেতারে ঘোষণার সময় ‘শ্রী’ বলতে হবে, বেতার কর্মীদের নামের আগে ‘শ্রী’ বাদ দিতে হবে।
নবাগত সেই ঘোষক একদিন একটি নাটকের ঘোষণায় প্রথমে ও শেষে দু’বারই বলে দিলেন ‘নাটকটি প্রযোজনা করেছেন, ধর ভট্টাচার্য।’ বেতারের কর্মী বলেই শ্রীধর ভট্টাচার্যের নামের আগে শ্রী-টি তিনি বর্জন করেছিলেন। দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ছিলেন বেতার ঘোষক। এরপরের আখ্যানটুকু তাঁর লেখা থেকেই উদ্ধৃত করা যাক— ‘ভদ্রলোক কাঁদো কাঁদো মুখে বিমলদার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, বিমলদা বলে চলেছেন, ধর ভট্টাচার্য! ধর কি কারও নাম হয়? সে চুরি করছে না ডাকাতি করছে যে তারে ধরবা? শ্রী তো তার নামের মধ্যেই আছে, তার নামটাই তো শ্রীধর, ‘শ্রী’ তো যুক্ত করা হয় নাই যে বাদ দিবা।’
অত্যন্ত সাধাসিধা মানুষটির প্রতিবাদী রূপেরও একটি প্রকাশ একবার ঘটেছিল। কলকাতা বেতার কেন্দ্র তখন ডালহৌসি অঞ্চলে ১ নম্বর গার্স্টিন প্লেসে। দাদাঠাকুর সেখানে অন্তত দু’টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করতেন—‘ছোটদের বৈঠক’ আর ‘পল্লি মঙ্গলের আসর’। এ জন্য তাঁকে কিঞ্চিৎ সম্মান-দক্ষিণাও দেওয়া হতো, চেকে।
সেদিন আকাশবাণী ভবনের বাইরে পান খেতে গিয়ে দাদাঠাকুরের মুখোমুখি হলেন শ্রীধরবাবু। তাঁকে দেখেই দাদাঠাকুর বললেন, ‘আরে বল কেন, ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম এখান থেকেই দেওয়া একটা চেক নিয়ে, তা ওরা তো আমাকে বলতে গেলে একরকম তাড়িয়েই দিলে।’ তারপর একরাশ হাসি হেসে বললেন, ‘হয়তো ভিখিরিই ভেবেছে আমাকে। কি আর করি, এখানেই না হয় জমা দিয়ে যাই চেকটা।’
শ্রীধরবাবু তো শুনে থ। প্রচণ্ড রেগে গিয়ে বললেন, ‘না না, এ তো কোনও মতেই সহ্য করা যাবে না। দাদাঠাকুর আমার অনুরোধ, আপনি আর একটু কষ্ট করে চলুন আমার সঙ্গে। দেখি ওরা চেক ভাঙিয়ে দেয় কি না। আর হাঁটতে হবে না আপনাকে, চলুন আমরা ট্রামে করেই যাব।’
ব্যাঙ্কে ঢুকেই বেশ রাগতস্বরে কাউন্টারে বসা কর্মচারীকে শ্রীধরদা বললেন, ‘একটু আগেই ইনি এসেছিলেন একটা চেক ভাঙাতে, জানতে পারি কি, কেন ফিরিয়ে দিয়েছেন এঁকে?’ এ কী করেছেন আপনারা? জানেন কি ইনিই আমাদের দেশবরেণ্য দাদাঠাকুর!’ তাঁর কথা শুনে ব্যাঙ্ক কর্মচারীটি প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেলেও পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সনির্বন্ধ ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন তাঁদের কাছে।
ইংরাজিতে যাকে বলে ক্ল্যাসিক, তেমন গল্প, উপন্যাসের বেতার নাট্যরূপ দিতেই বেশি আগ্রহ ছিল শ্রীধরবাবুর। একদিন শুরু করলেন মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘কৃষ্ণকুমারী’র বেতার নাট্যরূপ রচনার কাজ। কিন্তু হায়! সে কাজ অসম্পূর্ণই থেকে গেল। পরদিনই তিনি পাড়ি দিলেন অনন্তলোকে।
শ্রীধরবাবু জন্মেছিলেন ১৯১৫ সালের ১৫ নভেম্বর আর তাঁর চলে যাওয়ার দিন ১৯৭৩-এর ৫ নভেম্বর। তাঁর ‘জন্মদিন মৃত্যুদিন একাসনে দোঁহে’ না বসলেও মাত্র কয়েক দিনের তফাতে ‘দুই আলো মুখোমুখি মিলিছে’।
(লেখক আকাশবাণীর প্রাক্তন উপস্থাপক)
05th  November, 2023
বুমেরাং

প্রতুলবাবুর মুখে আজ আচ্ছা করে ঝামা ঘষে দিয়েছেন অতুলবাবু। অ্যাক্টিংয়ের সাধ আর মজা করার নেশা আজ ছুটে গেছে জম্মের মতো।
বিশদ

03rd  December, 2023
স্পর্শ
রাজেশ কুমার

অন্বেষা ফোনেই পেয়েছিল খবরটা, গতকাল সকালে। মনে হচ্ছিল, ওই মানুষটাই কেন! পৃথিবীতে তো আরও মানুষ ছিল। চোর, গুন্ডা, ধর্ষক, নেশাখোর...। দেখে দেখে ভালো মানুষদেরই কেন এসব হয়, ওপরঅলা কি চোখে দেখতে পায় না!  বিশদ

26th  November, 2023
আবদুর রহিম খানের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

তাঁর এতদিনের অভিভাবক বৈরাম খানের অতি সক্রিয়তার খবর বাদশা আকবর পাচ্ছেন। ৫৮ বছর বয়সি বৈরাম সপ্তাহে তিনদিন দরবারের আমিরদের নিয়ে বসছেন বৈঠকে। অস্ত্রাগার, হাতিশাল, ঘোড়াশাল, রাজস্ব বিভাগ— প্রতিটি বিষয়েই তাঁর মতামত ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিশদ

19th  November, 2023
দুনিয়াদারি
সৌরভ মিত্র

কাল রাত থেকেই দেবোত্তমের মনটা বিশেষ ভালো নেই। ছেলেকে বকাবকি করলেই দু-তিনদিন এমন হয়। কারণগুলো আপাতভাবে ন্যায্য হলেও কোথাও যেন একটা অপরাধবোধ কাজ করে। বছর-আটেক বয়স। সেই অর্থে চালাক-চতুর নয়। আপনভোলা। বিশদ

19th  November, 2023
ভৌতিক কেল্লা ভানগড়
সমুদ্র বসু

ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে রাজস্থানের আলোয়ার জেলার ভানগড়ে তৈরি হয় একটি কেল্লা। যেটি তৈরি করেছিলেন অম্বরের তখনকার রাজা ভগবন্ত দাস। পরবর্তীকালে তাঁর ছোট ছেলে  মাধো সিং কেল্লাটির দখল নেন। মতান্তরে মাধো সিং-ই এই দুর্গ তৈরি করিয়েছিলেন। বিশদ

19th  November, 2023
মিষ্টির ভুবন
অর্পিতা সরকার (চন্দ)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘সন্দেশ বাংলাদেশে বাজিমাত করেছে। যা ছিল শুধু খবর, বাংলাদেশ তাকে সাকার বানিয়ে করে দিল খাবার।’ বিশদ

12th  November, 2023
পঞ্চমুণ্ডির আসন
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত

তুষারবাবু ভ্যানরিকশতে বসে শ্মশানের দিকে যাত্রা করার আগে গোবিন্দ সাহার পরিচিত স্থানীয় যে মানুষটির বাড়িতে সকালে এসে উঠেছিলেন সেই বিধু মল্লিক বললেন, ‘আপনার সঙ্গী হতে পারলাম না বলে দুঃখিত। একথা সত্যি সাধুবাবা পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে কারওর জন্যত কিছু চাইলে সে প্রার্থনা মঞ্জুর হয়। বিশদ

12th  November, 2023
বাজির আলোয় সেকালের কলকাতা

মারাঠা যুদ্ধে ইংরেজদের জয়লাভের উপর পাকা সিলমোহর পড়ল উনিশ শতকের একদম গোড়ায়। এমন ঘটনার উদযাপনে একটু বিশেষ ধরনের আমোদের ব্যবস্থা করতে আয়োজন হল এক এলাহি আতসবাজির প্রদর্শনী।
বিশদ

05th  November, 2023
পুরনো সিন্দুক

ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হিসাবে আজকের সকালটা বিজনের প্রথম সকাল। দুশো চল্লিশ স্কোয়ার ফিটের ছোট্ট এক পরিসরের মধ্যে ক্রমাগত ঘুরপাক খেতে খেতে এর মধ্যেই যেন হাঁপিয়ে উঠেছে বিজন।
বিশদ

05th  November, 2023
অতীতের পৃষ্ঠায় সংসদ ভবন
সমৃদ্ধ দত্ত

বাঙালির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া ভারতের এতকালের ওই পার্লামেন্ট ভবন। যাকে এখন নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘সংবিধান সদন’। বিশদ

29th  October, 2023
সংসারচরিত
সোমজা দাস

দীপ্তর সঙ্গে থাকা যে আর সম্ভব নয়, সেটা ভালোভাবে বুঝে গেছে সুমেধা। সাত বছরের প্রেমে কত স্মৃতি, একসঙ্গে কত শপথ, স্বপ্নের মুহূর্ত বুনেছে তারা। কিন্তু বিয়ের এক বছরেই এমন মোহভঙ্গ হবে সেটা সুমেধার ভাবনারও অতীত ছিল।           বিশদ

29th  October, 2023
সেকালের দুর্গাপুজোর আমোদ

বৃষ্টি, গুমোট গরম আর জল-কাদা মাখা রাস্তা ঠিক পুরাকালের রাজপুরুষদের দিগ্বিজয়ে বেরনোর মতো পরিবেশ তৈরি না করলেও, ক্যালেন্ডার বলছে ‘এসেছে শরৎ’।  তবে ছাপোষা গৃহস্থ প্রকৃতির উদার আহ্বানের থেকে পুজোর আগমন বার্তা বেশি টের পান কলিং বেলের টুং টাং ডাকে।
বিশদ

15th  October, 2023
উঠোন
সৌরভ হোসেন

আসমত গেরস্তর ভুঁইয়ের পরেই হজরুদ্দির বাড়ি। ভুঁইটা যেদিকটায় ঢালু হয়ে নেমে গিয়েছে সেদিকটায় বড়ঘাট্টা বিল। হজরুদ্দির বাপ নুরুদ্দি বলতেন, ওখানে আগে নদী ছিল। সে নদীর সঙ্গে পদ্মার যোগ ছিল। সে নদী মজে বিল হল। এখন নাবাল জমি। বিশদ

08th  October, 2023
হাতিবাগানের  থিয়েটার
সন্দীপন বিশ্বাস

দিনকয়েক আগে উত্তর কলকাতার রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট দিয়ে হাঁটতে গিয়ে থমকে গেলাম। অনেকেই রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট নামটা শুনে বুঝতে পারবেন না। কিন্তু যদি বলি একসময় এখানেই ছিল বিশ্বরূপা, রঙ্গনা, বিজন থিয়েটার সারকারিনা থিয়েটার হল, তাহলে হয়তো সবাই বুঝতে পারবেন। বিশদ

01st  October, 2023
একনজরে
রাজ্যে বাড়ছে মাদক কারবারের রমরমা। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক। এই রাজ্য হয়ে তা চলে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বাংলাদেশে। ...

আচমকা চিতাবাঘের দেখা! দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাইয়ে এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্য পশুটির খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। ...

আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM