Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুরনো সিন্দুক

বিপুল মজুমদার: ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হিসাবে আজকের সকালটা বিজনের প্রথম সকাল। দুশো চল্লিশ স্কোয়ার ফিটের ছোট্ট এক পরিসরের মধ্যে ক্রমাগত ঘুরপাক খেতে খেতে এর মধ্যেই যেন হাঁপিয়ে উঠেছে বিজন। চার দেওয়াল, দরজা জানলা, ঘরের আসবাব সব একেবারে ঘাড়ের উপরে! সবচেয়ে বেশি বিরক্ত লাগছে সিন্দুকটাকে দেখে। পায়া ভেঙে একদিকে কাত হয়ে রয়েছে জিনিসটা। ওটা না থাকলে পশ্চিমের দেওয়ালটা দিব্যি খালি পাওয়া যেত। বাথরুমে যাতায়াতের জন্য বারবার ঠোক্কর খেতে হতো না। মাঝে মাঝে নিজের উপর খুব রাগ হয় বিজনের। দাদাদিদিদের মতো সেও কেন ধান্দাবাজ হতে পারল না! জন্মসূত্রে পাওয়া ছাদ মাথার উপর থেকে সরে যাবে জেনেও কেন সে চুপ করে থাকল। শুরুতেই কেন সব ভেস্তে দিল না আপত্তি জানিয়ে। সদ্য কেনা ওয়ান বিএইচকে ফ্ল্যাটের একমাত্র জানলাটার সামনে দাঁড়িয়ে সহসা নিজেকে বড্ড অসহায় লাগল বিজনের। পুরনো হলেও পিতৃপুরুষের ভিটেবাড়িটা বিশ্বস্ত একজন সঙ্গীর মতো তার সঙ্গে যেন লেপটে ছিল। বাড়ির গাছগাছালি, পাড়া প্রতিবেশী, এমনকী সামনের সরু গলিটাও তাকে ঘিরে রাখত সর্বক্ষণ। কিন্তু এখানে যে সে পুরো একলা! বড়দা সুজন কেন্দ্রীয় সরকারের একজন উচ্চপদস্থ অফিসার। তো সেই দাদা যেদিন দিদি চন্দনাকে সঙ্গে নিয়ে এসে বাড়ি বেচার কথাটা উত্থাপন করেছিল সেদিন বেশ ভ্যাবাচ্যাকাই খেয়ে গিয়েছিল বিজন। শুরুটা দাদাই করেছিল, ছেলেকে বেসরকারি কলেজে ডাক্তারি পড়াতে গিয়ে ওর নাকি গলদঘর্ম অবস্থা। চাপ সামলাতে ইমিডিয়েট ওর দশ লাখ টাকার ভীষণ প্রয়োজন!
দিদি চন্দনাও আরেকরকমের গাওনা গাইল, বড় মেয়ের ছেলে হয়েছে। নাতির ভবিষ্যতের জন্য দিদি চায় নাতিকে দশ লাখ টাকা ফিক্সড করে দিতে!
এরপরেই মোদ্দা কথাটায় এল ওরা, বিজন যদি দু’জনকে ওই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাটা দিতে পারে তাহলে কোনও সমস্যা নেই। নিজেদের অংশ হাসিমুখে ওরা লিখে দেবে ভাইকে। নইলে বাড়ি বেচে ভাগের টাকা ওরা বুঝে নেবে!
তেত্রিশ বছর বয়সে এসে আজও বিজন থিতুহীন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরিটা দুর্নীতির নাগপাশে বিশ বাঁও জলের নীচে তলিয়ে গেছে। কবে হবে তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। প্রাইভেট টিউশনের গোনাগুনতি টাকায় কোনওমতে দিন গুজরান হয় তার। এই অবস্থায় বিশলাখ টাকা সে কোথায় পাবে! সেকথা স্পষ্ট করে বলতেই ভুরু কুঁচকে ছিল সুজনদা, ‘তাহলে বাড়ি বেচা ছাড়া গতি নেই!’ বিজন হতবাক। বিস্ময় কাটতেই আমতা আমতা করে বলেছিল, ‘তাহলে আমার কী হবে! কোথায় যাব আমি?’
দাদা বোধহয় প্লট সাজিয়েই এসেছিল, ‘একলা মানুষ তুই। ভাগের যা টাকা পাবি তাই দিয়ে এক কামরার ফ্ল্যাট একখানা কিনে নিবি। ব্যস, প্রবলেম খতম!’
ঝগড়াঝাঁটি বরাবরই অপছন্দের বিষয় বিজনের। আর করলেই বা পাত্তা দিচ্ছে কে! দাদা দিদিরা যে মরিয়া! বিনা বাক্যব্যয়ে তাই ওদের প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল বিজন। কিন্তু বাড়ির অস্থাবর সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারার প্রশ্নে গোল বেঁধে গেল পুরনো সিন্দুকটাকে নিয়ে। সেগুন কাঠের মস্ত সিন্দুকটা আজকের নয়, ঠাকুরদার বাবার আমলের। জিনিসটার সঙ্গে ইতিহাসের একটা যোগসূত্রও রয়েছে। সেসবকে গুরুত্ব না দিয়েই দাদা বলেছিল, ‘যত সব ফালতু আবর্জনা! 
বেচে দে কাউকে।’ 
বিজন রাজি হয়নি। সাবেক পূর্ববঙ্গের চট্টগ্রামে ছিল বিজনদের পূর্বপুরুষের ভিটে। তখন ব্রিটিশ আমল। বিজনের প্রপিতামহ বার্মা থেকে আনা খাঁটি সেগুন কাঠ দিয়ে সিন্দুকটাকে তৈরি করিয়েছিলেন। বিজনের ঠাকুরদা কাঞ্চনের বয়স সবে আঠারো তখন। সেইসময় চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের একখানা পিস্তল লুকিয়ে রাখার দায়িত্ব বর্তায় তাঁর উপরে। বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না হলেও ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর অনুরোধে দায়িত্বটা ঘাড়ে নেন কাঞ্চন। কাপড়ে জড়িয়ে পিস্তলটাকে তিনি লুকিয়ে রাখেন সিন্দুকের মধ্যে। একমাত্র মা কিশোরীবালা ছাড়া বাড়ির আর কেউ জানতেন না সেই গোপন খবর।
কিন্তু ক’দিন বাদে বিপদ এসে হাজির হল দোরগোড়ায়। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পুলিস এসে হানা দিল বাড়িতে! যখন পুলিস এল বাড়িতে কিশোরীবালা আর তাঁর দু’বছরের শিশুকন্যাটি ছাড়া কেউ ছিল না। ছেলেকে বাঁচাতে তাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলেন কিশোরীবালা। অস্ত্রটাকে সিন্দুক থেকে বার করে ঢুকিয়ে দিলেন মেয়ের কাঁথার মধ্যে। তারপর কাঁথাসমেত মেয়েকে বুকে জড়িয়ে দরজা খুললেন 
আলতো হাতে। বাড়িতে ঢুকে সারা বাড়ি চষে ফেলল পুলিস। ঘেঁটে দেখল সিন্দুকটাকেও। তল্লাশির সময়টায় মেয়েকে স্তন্যপান করানোর অছিলায় ঘোমটা টেনে ঘরের এক কোণে ঠায় বসে ছিলেন কিশোরীবালা। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েই ফিরে গিয়েছিল ব্রিটিশ পুলিস। সেই ঘটনার পর থেকেই দত্ত পরিবারে আলাদা একটা মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত হয়েছিল সিন্দুকটা। দেশভাগের পর তাই সর্বস্ব ছেড়েছুড়ে চলে এলেও সিন্দুকটাকে সঙ্গে করে আনতে ভোলেননি বিজনের প্রপিতামহ। এদেশে আসবার পর বৃদ্ধ মানুষটা একটা কথা প্রায় বলতেন, এ সিন্দুক লক্ষ্মী! যার কাছে এটি থাকবে 
সে রাজা! পরবর্তীকালে বিজনের ঠাকুরদা কাঞ্চনও সেই একই বুলি আউড়াতেন। বিজনের বাবা অঞ্জন ছিলেন একজন বেহিসেবি মানুষ। টাকাপয়সা ওড়ানো নিয়ে বাপের সঙ্গে হামেশাই তার বিবাদ লেগে থাকত। সিন্দুকটার ব্যাপারে বাপের আদিখ্যেতা দেখে খুব হাসাহাসিও করতেন অঞ্জন। একদিন ছেলের বিদ্রুপে অতিষ্ঠ হয়ে রাগে ফেটে পড়লেন বিজনের ঠাকুরদা। ছেলেকে বললেন, আগামী পয়লা বৈশাখেই পর্দা ফাঁস করব এই সিন্দুক রহস্যের! শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই পর্দা ফাঁস করা আর হয়ে ওঠেনি। পয়লা বৈশাখের দু’দিন আগেই হার্ট অ্যাটাকে হঠাৎ মারা যান বৃদ্ধ। 
এককালে বাড়ির মেয়েদের গয়নাগাটি আর পোশাক আশাকের আশ্রয়স্থল ছিল এই সিন্দুকটা। বর্তমানে মায়ের কিছু শাড়ি আর পুরনো কাগজপত্র ছাড়া তেমন কিছুই আর নেই ওখানে। তো এমন একটা দুঃস্থ আসবাবের ব্যাপারে দাদা-দিদিদের যে কোনও আগ্রহ থাকবে না তা বলাই বাহুল্য। দাদা বলেছিল, ‘হাল ফ্যাশানের ফার্নিচার এনে ফ্ল্যাট সাজিয়েছি। সেখানে এসব মান্ধাতা আমলের জিনিস একেবারেই বেমানান। বেচতে যখন এতই অনীহা তখন ওটাকে বরং তোর কাছেই রাখ।’ 
দিদিরও একই বক্তব্য, ‘আমার বাপু ‘রাজা’ ‘রানি’ হওয়ার সাধ নেই! তুই একা মানুষ, তুই রাখ।’ 
অ্যাপার্টমেন্টে ঢোকার আগে ফ্ল্যাটের মাপজোক দেখে বিজন একটা বুদ্ধি ঠাউরেছিল। সিন্দুকটার উপর প্লাইউডের একটা টুকরো পেতে পরে খাওয়ার টেবিল হিসেবে ওটাকে ব্যবহার করবে। কিন্তু ভ্যানচালকদের বোকামির জন্য সেই ভাবনা আর টিকল কই! মালপত্র আনার সময় সিন্দুকটার একটা পায়া কী করে যেন ভেঙে ফেলেছে ভ্যানচালকরা। আর তার দরুন একদিকে হেলে পড়েছে জিনিসটা। গতকাল বিকেলে পরিচিত এক কাঠের মিস্ত্রিকে ফোন করেছিল বিজন। ভদ্রলোক বলেছে আজ আসবে। যদি না আসে তাহলে কাল রাতের মতো আজও তাকে মেঝেতে বসেই খেতে হবে। হঠাৎ দরজায় ঠকঠক শব্দে ঘোর কাটল বিজনের। কাঠের মিস্ত্রি ভেবে দরজা খুলতেই দেখল উল্টোদিকে হাসি হাসি মুখ করে টুসি দাঁড়িয়ে। গত রাতে ফোন করেছিল টুসি। বলেছিল, নতুন ফ্ল্যাট দেখার জন্য একদিন সে আসবে। কিন্তু সেই একদিনটা এত জলদি কেন! গত তিন বছর ধরে এই মেয়েটার কাছ থেকে এন্তার ধার নিয়েছে বিজন। ফেরত দেয়নি কানাকড়িও। টুসিও অবশ্য মুখ ফুটে কখনও কিছু বলেনি। ডায়েরির হিসাব মোতাবেক টাকার অঙ্কটা ছাব্বিশ হাজার ছুঁইছুঁই প্রায়। বাড়ি বেচার খবর পেয়ে তবে কি আজ সেই টাকা ফেরত চাইবে টুসি! ফ্ল্যাট কেনার পরেও ভাগের টাকার সামান্য কিছু অংশ বিজনের হাতে রয়ে গেছে এখনও। কিন্তু সে টাকা তো বেনারস যাওয়ার জন্য বিজন তুলে রেখেছে। অজানা আশঙ্কায় গলাটা তাই ওর কেঁপে উঠল, ‘ও... তুমি!’ 
বিজনের মতো টুসিও একজন প্রাইভেট টিউটর। একটি মেয়েকে তারা দু’জনেই পড়ায়। বিজনের সাবজেক্ট বাংলা টুসির ইংরেজি। ছাত্রীটির এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে দু’জনের আলাপ। সেই আলাপ গত তিন বছরে টুসির আগ্রহেই একটু একটু করে পল্লবিত হয়ে বন্ধুত্বের পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে। আগামী দিনে সেটা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বিজন জানে না। নিজের ছন্নছাড়া অবস্থার জন্য জানার তেমন ব্যাকুলতা নেই ওর। টুসির বাবা নেই। মা পেনশনার। বিজনের তুলনায় টিউশনের বাজারও অনেক ভালো টুসির। তাই বিপদভঞ্জন বন্ধুটিকে তোয়াজে রাখার জন্য বিজন গলে পড়ল, ‘এসো এসো, ভেতরে এসো।’ 
আজ টুসিকে একটু অন্যরকম লাগছে। বেশিরভাগ সময় শাড়ি পরলেও আজ পরেছে চুড়িদার। ভেতরে ঢুকেই ভেতরে থাকা সিন্দুকটার দিকে চোখ গেল ওর। জিনিসটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর মাথা ঝাঁকিয়ে বলে উঠল, ‘সত্যি তারিফ করবার মতোই জিনিস বটে। তা বেচারাকে চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রেখেছ কেন?’ 
টুসিকে কাঠের মিস্ত্রির কথাটা জানিয়ে লাজুক হাসল বিজন, ‘ঘরে চেয়ার পাতার জায়গা নেই। তাই খাটেই তোমাকে বসতে হবে টুসি।’ টুসি বসল না। ঝাঁকি মেরে এদিক সেদিক খানিক দেখার পর বলল, ‘ছাত্রীর বাড়িতে পড়াতে গিয়ে শুনলাম, আগামী মাসে তুমি নাকি বেনারস যাচ্ছ?’ ধারের টাকা যদি চেয়ে বসে সেই ভয়ে টুসিকে কিছু জানায়নি বিজন। কিন্তু ছাত্রী সব বলে দিয়েছে বুঝে বিজন ঢোঁক গিলল, ‘আমার দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করার ইচ্ছের কথাটা তো তুমি জানো। সুযোগ মিলতেই ভাবলাম যাই প্রথম অভিযানটা সেরেই আসি।’ 
‘শুনলাম টিকিটও নাকি কেটে ফেলেছ?’ 
‘হ্যাঁ... ইয়ে মানে... পরশু কেটেছি। ফ্ল্যাট কেনার পর সামান্য যা বেঁচেছিল তাই দিয়ে...।’ কথাটা বলেই আলমারির কাছে পৌঁছে গেল বিজন। আলমারি খুলে বের করে আনল ট্রেনের টিকিটটাকে। তারপর টুসির দিকে সেটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল, ‘একলাই যাচ্ছি। সেকেন্ড ক্লাস স্লিপারের কনফার্ম টিকিট। দেখ।’ 
অন্যমনস্কভাবে টিকিটটা নিতে গিয়ে হাত ফস্কাল টুসি। কাটা ঘুড়ির মতো লাট খেয়ে টিকিটটা গিয়ে পড়ল মেঝেতে। তারপর ফ্যানের হাওয়ার তাড়নায় পরক্ষণেই সেটা সেঁধিয়ে গেল সিন্দুকের নীচে! 
মেঝে আর সিন্দুকের মাঝখানে ইঞ্চি দুয়েকের মতো ফাঁক। টিকিটটা অনেক ভেতরে ঢুকে গেছে। পরিস্থিতিটা বুঝতে পেরে মুখটাকে কাঁচুমাচু করে ফেলল টুসি, ‘ইস, আমার বোকামির জন্যই...!’ ‘ডোন্ট ওরি’ বলে ঘরের ফুলঝাড়ুটাকে নিয়ে এল বিজন। চেষ্টা করল ঝাড়ুটার সাহায্যে টিকিটটাকে টেনে বার করে আনতে। কিন্তু বেয়াদপ টিকিটটা মেঝের সঙ্গে একেবারে যেন চিপকে গেছে। বিজনের এই কর্মকাণ্ডের মধ্যেই কাঠের মিস্ত্রির আগমন ঘটল। দরজা ঠেলে ভদ্রলোককে ঢুকতে দেখেই ব্যাকুল হয়ে বিজন বলে উঠল, ‘ফ্যানের হাওয়ায় আমার রেলের টিকিটটা সিন্দুকের তলে ঢুকে গেছে। কী করা যায় 
বলুন তো দাদা?’ 
মাঝবয়সি মিস্ত্রি ভদ্রলোক আড়চোখে টুসিকে একনজর দেখে বলল, ‘পায়াটাকে সারাতে হলে তো সিন্দুকটাকে ওল্টাতেই হবে। সবাই মিলে হাত লাগালে মনে হয় হয়ে যাবে কাজটা।’ সবাই মিলে মানে কি টুসিকেও ধরেছে লোকটা! বিজন বিব্রত। ওকে ভ্যাবলার মতো তাকাতে দেখে হেসে ফেলল টুসি, ‘ঘাবড়াচ্ছ কেন! বাইরে রোগা হলেও মানসিকতায় আমি কিন্তু দারোগা!’ 
অবশেষে তিনজনের মিলিত চেষ্টায় কাত করে মেঝেতে শোয়ানো গেল সিন্দুকটাকে। আর পরক্ষণেই যা নজরে পড়ল তাতে চক্ষু চড়কগাছ তিনজনেরই। উপর দিকের মতো সিন্দুকের নীচেও অনেকগুলো খোপ! এবং প্রত্যেকটা খোপই কাঠের ঢাকনা দিয়ে দৃঢ়ভাবে আটকানো। বিজনের নির্দেশে কাঠের মিস্ত্রি লোকটা সেই ঢাকনাগুলির একটাকে খুলতেই বিস্ময়ে চোখ কপালে গিয়ে ঠেকল সকলের। বিজন তো ‘ও মাই গড’ বলে মেঝেতে ধপ করে বসেই পড়ল। পুরো খোপটাই নানা ডিজাইনের সোনার হার আর লকেটে ভর্তি! এরপর আরেকটাকে খোলা হলে সেখানেও দেখা গেল একই দৃশ্য। অসংখ্য সোনার কানের দুলে থিকথিক করছে সেই খোপ! সিন্দুকটার নীচে মোট ছ’খানা খোপ। কাঠের মিস্ত্রি এরপর তৃতীয় খোপটা খুলতে গেলে হাত তুলে ভদ্রলোককে থামাল বিজন। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, ‘থাক, আর খুলে কাজ নেই।’ 
ভদ্রলোকের চোখেমুখে অপার বিস্ময়, ‘আপনি তো গুপ্তধন পেয়ে গেলেন দাদা! দুটোতে যা মাল রয়েছে, সবকটা খুললে পঞ্চাশ লাখ ছাড়িয়ে যাবে!’ 
বিস্ময়ে থ টুসিও। মিস্ত্রির কথা শেষ হতেই উল্লাসে ফেটে পড়ল সে, ‘তোমার প্রপিতামহ ঠিকই বলেছিলেন, এ সিন্দুক যার কাছে থাকবে সে রাজা। তুমি এবার সত্যিই রাজা বিজন। উফ, আমার যে কী আনন্দ হচ্ছে!’ 
স্নায়বিক উত্তেজনায় হাতের আঙুলগুলো তিরতির করে কাঁপছে বিজনের। বুকের নীচে অবিরাম ধড়াস ধড়াস। টুসির ঝলমলে মুখের দিকে তাকিয়ে সে ভাবল, আর্থিক সম্পদে বলীয়ান হলেই কি রাজা হওয়া যায় নাকি! রাজাকে এক অর্থে যে আমজনতার ভালোবাসার মানুষও হতে হয়। কিন্তু সে, আমজনতা তো দূর, প্রেম প্রত্যাশী একজন মেয়ের ভালোবাসার মানুষ হয়ে উঠতেও পারল না। টাকা ধারের গোপন ধান্দায় মেয়েটিকে অহেতুক দূরে দূরে রেখে দিল! 
বিজন তাই দ্রুত মনস্থির করে নিল। টিউশন সম্বল জীবনে সাহস করে এতদিন যে কথাটা বলে উঠতে পারেনি এবার সে সেই কথাটাই বলবে। কাঠের মিস্ত্রি বিদায় নিলেই টুসিকে বলবে, ‘বাবা বিশ্বনাথের পর বাকি এগারোটা জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করার সময় তুমি কি আমার সঙ্গী হবে টুসি? আমার অর্ধাঙ্গিনী হয়ে যাবে কি তুমি আমার সঙ্গে?’ 
05th  November, 2023
বুমেরাং

প্রতুলবাবুর মুখে আজ আচ্ছা করে ঝামা ঘষে দিয়েছেন অতুলবাবু। অ্যাক্টিংয়ের সাধ আর মজা করার নেশা আজ ছুটে গেছে জম্মের মতো।
বিশদ

03rd  December, 2023
স্পর্শ
রাজেশ কুমার

অন্বেষা ফোনেই পেয়েছিল খবরটা, গতকাল সকালে। মনে হচ্ছিল, ওই মানুষটাই কেন! পৃথিবীতে তো আরও মানুষ ছিল। চোর, গুন্ডা, ধর্ষক, নেশাখোর...। দেখে দেখে ভালো মানুষদেরই কেন এসব হয়, ওপরঅলা কি চোখে দেখতে পায় না!  বিশদ

26th  November, 2023
আবদুর রহিম খানের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

তাঁর এতদিনের অভিভাবক বৈরাম খানের অতি সক্রিয়তার খবর বাদশা আকবর পাচ্ছেন। ৫৮ বছর বয়সি বৈরাম সপ্তাহে তিনদিন দরবারের আমিরদের নিয়ে বসছেন বৈঠকে। অস্ত্রাগার, হাতিশাল, ঘোড়াশাল, রাজস্ব বিভাগ— প্রতিটি বিষয়েই তাঁর মতামত ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিশদ

19th  November, 2023
দুনিয়াদারি
সৌরভ মিত্র

কাল রাত থেকেই দেবোত্তমের মনটা বিশেষ ভালো নেই। ছেলেকে বকাবকি করলেই দু-তিনদিন এমন হয়। কারণগুলো আপাতভাবে ন্যায্য হলেও কোথাও যেন একটা অপরাধবোধ কাজ করে। বছর-আটেক বয়স। সেই অর্থে চালাক-চতুর নয়। আপনভোলা। বিশদ

19th  November, 2023
ভৌতিক কেল্লা ভানগড়
সমুদ্র বসু

ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে রাজস্থানের আলোয়ার জেলার ভানগড়ে তৈরি হয় একটি কেল্লা। যেটি তৈরি করেছিলেন অম্বরের তখনকার রাজা ভগবন্ত দাস। পরবর্তীকালে তাঁর ছোট ছেলে  মাধো সিং কেল্লাটির দখল নেন। মতান্তরে মাধো সিং-ই এই দুর্গ তৈরি করিয়েছিলেন। বিশদ

19th  November, 2023
মিষ্টির ভুবন
অর্পিতা সরকার (চন্দ)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘সন্দেশ বাংলাদেশে বাজিমাত করেছে। যা ছিল শুধু খবর, বাংলাদেশ তাকে সাকার বানিয়ে করে দিল খাবার।’ বিশদ

12th  November, 2023
পঞ্চমুণ্ডির আসন
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত

তুষারবাবু ভ্যানরিকশতে বসে শ্মশানের দিকে যাত্রা করার আগে গোবিন্দ সাহার পরিচিত স্থানীয় যে মানুষটির বাড়িতে সকালে এসে উঠেছিলেন সেই বিধু মল্লিক বললেন, ‘আপনার সঙ্গী হতে পারলাম না বলে দুঃখিত। একথা সত্যি সাধুবাবা পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে কারওর জন্যত কিছু চাইলে সে প্রার্থনা মঞ্জুর হয়। বিশদ

12th  November, 2023
বাজির আলোয় সেকালের কলকাতা

মারাঠা যুদ্ধে ইংরেজদের জয়লাভের উপর পাকা সিলমোহর পড়ল উনিশ শতকের একদম গোড়ায়। এমন ঘটনার উদযাপনে একটু বিশেষ ধরনের আমোদের ব্যবস্থা করতে আয়োজন হল এক এলাহি আতসবাজির প্রদর্শনী।
বিশদ

05th  November, 2023
কিংবদন্তি বেতারনাট্য প্রযোজক শ্রীধর

১৯৬৬ সালের জানুয়ারি মাসের একটি দিন। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে একটি নাটকের রেকর্ডিংয়ের জন্য অভিনেতারা সমবেত হয়েছেন।
বিশদ

05th  November, 2023
অতীতের পৃষ্ঠায় সংসদ ভবন
সমৃদ্ধ দত্ত

বাঙালির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া ভারতের এতকালের ওই পার্লামেন্ট ভবন। যাকে এখন নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘সংবিধান সদন’। বিশদ

29th  October, 2023
সংসারচরিত
সোমজা দাস

দীপ্তর সঙ্গে থাকা যে আর সম্ভব নয়, সেটা ভালোভাবে বুঝে গেছে সুমেধা। সাত বছরের প্রেমে কত স্মৃতি, একসঙ্গে কত শপথ, স্বপ্নের মুহূর্ত বুনেছে তারা। কিন্তু বিয়ের এক বছরেই এমন মোহভঙ্গ হবে সেটা সুমেধার ভাবনারও অতীত ছিল।           বিশদ

29th  October, 2023
সেকালের দুর্গাপুজোর আমোদ

বৃষ্টি, গুমোট গরম আর জল-কাদা মাখা রাস্তা ঠিক পুরাকালের রাজপুরুষদের দিগ্বিজয়ে বেরনোর মতো পরিবেশ তৈরি না করলেও, ক্যালেন্ডার বলছে ‘এসেছে শরৎ’।  তবে ছাপোষা গৃহস্থ প্রকৃতির উদার আহ্বানের থেকে পুজোর আগমন বার্তা বেশি টের পান কলিং বেলের টুং টাং ডাকে।
বিশদ

15th  October, 2023
উঠোন
সৌরভ হোসেন

আসমত গেরস্তর ভুঁইয়ের পরেই হজরুদ্দির বাড়ি। ভুঁইটা যেদিকটায় ঢালু হয়ে নেমে গিয়েছে সেদিকটায় বড়ঘাট্টা বিল। হজরুদ্দির বাপ নুরুদ্দি বলতেন, ওখানে আগে নদী ছিল। সে নদীর সঙ্গে পদ্মার যোগ ছিল। সে নদী মজে বিল হল। এখন নাবাল জমি। বিশদ

08th  October, 2023
হাতিবাগানের  থিয়েটার
সন্দীপন বিশ্বাস

দিনকয়েক আগে উত্তর কলকাতার রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট দিয়ে হাঁটতে গিয়ে থমকে গেলাম। অনেকেই রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট নামটা শুনে বুঝতে পারবেন না। কিন্তু যদি বলি একসময় এখানেই ছিল বিশ্বরূপা, রঙ্গনা, বিজন থিয়েটার সারকারিনা থিয়েটার হল, তাহলে হয়তো সবাই বুঝতে পারবেন। বিশদ

01st  October, 2023
একনজরে
আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...

জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

আমেরিকায় ফের শ্যুটআউট। এবার ডালাসের একটি বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হল। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM