Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মিষ্টির ভুবন
অর্পিতা সরকার (চন্দ)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘সন্দেশ বাংলাদেশে বাজিমাত করেছে। যা ছিল শুধু খবর, বাংলাদেশ তাকে সাকার বানিয়ে করে দিল খাবার।’

কথায় বলে, ‘বাঙালির হলেও মিষ্টি, মরলেও মিষ্টি।’ বিখ্যাত প্রাবন্ধিক তথা সংখ্যাতত্ত্ববিদ যতীন্দ্রমোহন দত্ত বলেছিলেন, বাঙালির মেধার গ্রাফ এই যে, দিনে দিনে পড়তির দিকে তার কারণও নাকি মিষ্টি। মানে মিষ্টির দাম বেড়ে যাওয়া আর তার কারণে বাঙালির মিষ্টি বিমুখতা। তাঁর কথায়, ‘যখন সন্দেশের সের দুই আনা তিন আনা তখন দেশে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মাইয়াছেন, যখন সন্দেশের দর চার আনা ছয় আনা তখন দেশে বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ জন্মাইলেন, যখন সন্দেশের সের এক টাকা, দেড় টাকা তখন দেশে সুনীতি চাটুজ্যে, সত্যেন বসু, মেঘনাদ সাহা জন্মাইয়াছেন...।
আখের রস জাল দিয়ে গুড় আর শর্করা তৈরির কৌশল জানিয়ে দিয়ে যে আমাদের দেশই ভুবনজুড়ে মিষ্টির এই আসন পেতেছে, সে কথা আজ আর কারও অজানা নয়। তা বলে কি শর্করার আগে কোনও মিষ্টি জিনিস ছিল না? ছিল, মধু আর মিষ্টি ফলা ও ফলের রস। বেদে আখের কথা থাকলেও গুড়ের  কথা কিন্তু নেই। মোটামুটি ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে গুড় এবং গুড় থেকে প্রস্তুত মিষ্টির বহুল ব্যবহার লক্ষ করা যায়। পাণিনি যেখানে গুড় ও ফাণিত এই দুটির নাম করেছেন, সেখানে তার একশো বছর পর কৌটিল্য বলছেন গুড়, ফাণিত, মৎসাণ্ডিকা (আজকের মিছরি), খণ্ড (লালচে চিনি) ও শর্করা (দানা চিনি)— এই পাঁচ রকম ইক্ষুরসজাত দ্রব্যের কথা। বানভট্ট ‘হর্ষচরিত’-এ ‘পাটল শর্করা’ মানে লাল শর্করা আর ‘করক শর্করা’ মানে সাদা শর্করার কথা বলেছেন। তবে, ইক্ষু শর্করার আজকের এই রমরমা কিন্তু বৌদ্ধ ধর্ম ও বৌদ্ধ শ্রমণদের দান। গৌতম বুদ্ধের অতি প্রিয় ছিল এই ইক্ষুজাত বস্তুটি। তাই তো চীনা মহাযান বৌদ্ধ সাহিত্যে গৌতম বুদ্ধকে ‘ইক্ষুর রাজা’ বলা হয়েছে। সপ্তম শতকে হর্ষবর্ধনের সময় চীনা সম্রাটের পাঠানো প্রতিনিধি দল এবং ভারত থেকে যাওয়া বৌদ্ধ শ্রমণদের হাত ধরে আখ চাষের কৌশল ও আখের রস পরিশুদ্ধ করে তার থেকে চিনি প্রস্তুতের পদ্ধতি চীনে পৌঁছয়। 
পারস্যের সাসানীয় সম্রাট প্রথম খুসরু (৫৩১-৫৭৮) সখের ঔষধি বৃক্ষের উদ্যানের জন্য ভারত থেকে আখ গাছ নিয়ে গিয়েছিলেন। আলেকজান্ডারের ভারত অভিযানের সময় তার সেনাদের আখের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল, সেটা তাঁর সেনাপতি নিয়ারকাসের বর্ণনাতেই পাওয়া যায়। তিনি বলেছিলেন যে, ভারতীয়রা মৌমাছি ছাড়া একধরনের তৃণজাতীয় গাছ থেকে মধু তৈরি করে।    
এবার আসা যাক মিষ্টান্নর কথায়। বেদে বর্ণিত অপূপ হল আমাদের পাতের প্রথম মিষ্টি, যা আজও মালপোয়া, পূয়া, গুড়ের পিঠা ইত্যাদি নামে আমাদের স্বাদকোরককে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে। জাতকের কাহিনিতে ‘মধুগোলক’ নামক একপ্রকার মোদকের উল্লেখ আছে। মোদককার বা মোদক হল মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারী জাতি, চলিত বাংলায় যাদের ময়রা বলা হয়।
প্রাচীন ভারতে ‘সম্যাভ’ নামে গমের আটা ঘিয়ে ভেজে তার সঙ্গে দুধ ও গুড় যোগ করে বানানো  হালুয়ার মতো একপ্রকার মিষ্টির কথা পাওয়া যায়। স্বাদবর্ধক হিসেবে এতে মেশানো হতো এলাচ, গোলমরিচ ও আদা। চক্রপাণি দত্তের স্ত্রীরোগ চিকিৎসা সংক্রান্ত অধ্যায়ে এই ‘সম্যাভ’-এর আর একটি প্রকার পাই যেখানে ছাগদুগ্ধ, গমের আটা, মধু, ঘি ও চিনিকে একযোগে পাক করে বানানো হচ্ছে একধরনের মিষ্টান্ন, যা শরীরের জন্য উপকারী। এই সম্যাভর পারস্য দেশীয় সংস্করণ ছিল ‘আফ্রাসাগ’ নামক মিষ্টি, যেখানে দুধ বাদে বাকি মূল উপকরণ ও রন্ধন পদ্ধতি প্রায় এক। আরবদের পারস্য জয়ের পর কিছু সেদেশীয় মিষ্টিকে আরবরা তাদের ভাষায় ‘হিলওয়া’ (মানে মিষ্টি) আখ্যা দেয়, ফার্সি ভাষায় সেটাই হল ‘হালভা’। কিন্তু পরবর্তীকালে ওই প্রাচীন আফ্রাসাগ-ই কেবল হালভা নামে জনপ্রিয় হয়। এই হালভা মোঘল-পাঠানদের হাত ধরে আমাদের দেশেও পৌঁছে যায়। আর শুধু পৌঁছে যায় কেন, এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, ভারতে বিশেষ করে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে মোদকদের মতো ‘হালভাই’ নামক এক পেশার জন্ম হয়। হিন্দি হালভাই কথাটি খুব সম্ভবত এসেছে তুর্কি ‘হালভারি’ মানে মিষ্টি তৈরির কারিগর থেকে। আমাদের মোহনভোগ পশ্চিম এশিয়ায় হল ‘হালভা আর্দ-এ সুজি’। আবার জগন্নাথদেবের ছাপান্ন ভোগে তারই নাম ‘বল্লভ’। আর পশ্চিম এশিয়ার আটার হালুয়া ‘হালভা খোস্ক’ শিখ ধর্মাবলম্বীদের গুরুদ্বারে হয়েছে ‘কারা প্রসাদ’।  
শুধু কি তাই! ‘ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে’ যে ফেনির কথা আছে কালে কালে তার নাম হল বাতাসা। এই বাতাসা নামটি ফার্সি শব্দ। ছোটবেলায় কেউ তারকেশ্বরের মন্দিরের প্রসাদ এনেছে শুনলেই সাদা বাতাসা আর নকুলদানা পাব বলে সে কি উচ্ছ্বাস। এই নকুলদানা সে তো পারস্যের ‘নঘুল’, আফগানিস্তানে এসে ‘নকুল’ হয়ে আজ সে বাঙালির নকুলদানা। ছোলা, বাদাম জাতীয় দানাকে চিনির মোড়ক পরিয়ে আজও ইরানে তৈরি হয় নঘুল।      এবার আসি ক্ষীরের মিষ্টির কথায়। মণ্ড মানে যেমন কোনও কিছুর তাল বোঝায় তেমনি মণ্ডা মানে হল ঘনীভূত দুধ বা জমাট বাঁধা দুধ, যাকে আমরা খোয়া ক্ষীর বলি। জগন্নাথদেবের ছাপান্ন ভোগের অন্যতম হল ‘খোয়া মণ্ডা’ (খোয়া ক্ষীর ও খণ্ড চিনি মিশিয়ে বানানো লাড্ডু বিশেষ)। চতুর্দশ শতকে সংকলিত ‘প্রাকৃত পৈঙ্গল’ গ্রন্থে আমরা ‘মণ্ডা’ নামক গোলাকার মিষ্টির নাম পাই। আবার জৈন সাহিত্যিক জিনাসুর তাঁর গ্রন্থে প্যাড়া জাতীয় মিষ্টির কথা বলেছেন, যার নাম ‘পিণ্ড’। ক্ষীরের পাকের তারতম্যের জন্য রকমফের হয় ক্ষীরের মিষ্টির। উত্তর ভারত ও বর্তমান বাংলাদেশের ক্ষীর যদি দেখেন দেখবেন যে, সেখানের ক্ষীর দক্ষিণবঙ্গের ক্ষীরের মতো সাদা বা হালকা বাদামি আভা যুক্ত নয়। তার রং ঘন বাদামি। যেমনটা থাকে এপারের বিখ্যাত রসকদম্বে, বা ওপারের রাজশাহি-নাটোর-পাবনা প্রভৃতি অঞ্চলের বিখ্যাত মিষ্টি ‘অবাক সন্দেশে’। 
বাঙালির মিষ্টির অন্যতম সন্দেশ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘সন্দেশ বাংলাদেশে বাজিমাত করেছে। যা ছিল শুধু খবর, বাংলাদেশ তাকে সাকার বানিয়ে করে দিল খাবার। এখানকার সন্দেশেও খবর-খাবারের অর্থাৎ সাকার-নিরাকারের শিবরাত্রির মিলন।’ সত্যি কি নিরাকার খবরকে সাকার খাবার করার কৃতিত্ব বাঙালির একার! মনে হয় না, কারণ সংস্কৃত অভিধানে ‘সম-দেশ’ নামক এক মিষ্টান্নের উল্লেখ আছে। ব্যাকারণ বইতে এই ‘সম-দেশ’-এর ‘ম’ কেন ‘ন’ হয়ে গিয়েছে তা বলা আছে।  এই ‘সম-দেশ’ নামক মিষ্টির উল্লেখ শুধু অভিধান আর লোকমুখেই সীমাবদ্ধ ছিল। সে যুগের কোনও সাহিত্যে এর উল্লেখ নেই। হয়তো তেমন পাত্তা দেওয়ার মতন বা তেমন জনপ্রিয় মিষ্টি ছিল না। তেমন যদি হয়ে থাকে, তাহলে স্বীকার করতেই হয় একে জাতে তুলেছে বাঙালি।  সেখানেই বাঙালির কৃতিত্ব।
বাংলায় ছানার সন্দেশের বহুল প্রচলনের কৃতিত্ব দাবি করতে পারে বৈষ্ণব ধর্ম। রাধা-কৃষ্ণের ভোগারতিতে ছানার মিষ্টান্নের বহুল প্রচলন হয় পুরী ও বৃন্দাবনের প্রভাবে। বলা হয়, মল্লভূমের মল্ল রাজ বীর হাম্বিরের বৈষ্ণব ধর্মের দীক্ষাগুরু শ্রীনিবাস আচার্য বৃন্দাবনের অনুকরণে  রাধাকৃষ্ণের ভোগে ছানার মিষ্টির প্রচলন করেন বিষ্ণুপুরে। আর সেই প্রথা মেনে মল্লরাজরা যে সব রাধাকৃষ্ণের মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন তার কাছে ভগবানের ভোগের মিষ্টির জোগান দেওয়ার জন্য একঘর মোদক আর এক ঘর গোপ বা গয়লা এনে বসালেন। মল্লরাজ চৈতন্য সিংহ যখন আর্থিক সঙ্কটের শিকার হন, তখন তিনি কলকাতার ধনী নুনের ব্যবসায়ী গোকুল মিত্রের কাছে তার মদনমোহন বিগ্রহ বন্ধক দিয়ে অর্থ সাহায্য গ্রহণ করলেন। আর গোকুল মিত্র বাগবাজারে প্রতিষ্ঠা করলেন বিশাল মদনমোহন মন্দির।
গৌতম গুপ্ত তাঁর ‘দ্বারিকের মিষ্টি’ শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছিলেন যে, একবার নাকি কলকাতা হাইকোর্টের একজন বিচারপতি দ্বারিক ঘোষের কাছে গিয়ে ফরমাশ করলেন তার মেয়ের বিয়েতে ক্ষীরের হাইকোর্ট ইত্যাদি বানিয়ে দিতে হবে। তখন ডাক পড়ল কুমোরটুলির শিল্পীদের। তাঁরা মাটির তালের মতো ক্ষীর ও মাখনের তাল দিয়ে গড়ে দিলেন সব। তত্ত্বের মিষ্টি আজ এক শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাঙালির মিষ্টি, যা এই জাতির কাছে ইমোশন। যে আসন সে একদিন পেতেছিল সারা দুনিয়ার জন্য সেই মিষ্টির আসন তার নিজের হৃদয়েও স্থায়ী আসন পেতেছে।
12th  November, 2023
বুমেরাং

প্রতুলবাবুর মুখে আজ আচ্ছা করে ঝামা ঘষে দিয়েছেন অতুলবাবু। অ্যাক্টিংয়ের সাধ আর মজা করার নেশা আজ ছুটে গেছে জম্মের মতো।
বিশদ

03rd  December, 2023
স্পর্শ
রাজেশ কুমার

অন্বেষা ফোনেই পেয়েছিল খবরটা, গতকাল সকালে। মনে হচ্ছিল, ওই মানুষটাই কেন! পৃথিবীতে তো আরও মানুষ ছিল। চোর, গুন্ডা, ধর্ষক, নেশাখোর...। দেখে দেখে ভালো মানুষদেরই কেন এসব হয়, ওপরঅলা কি চোখে দেখতে পায় না!  বিশদ

26th  November, 2023
আবদুর রহিম খানের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

তাঁর এতদিনের অভিভাবক বৈরাম খানের অতি সক্রিয়তার খবর বাদশা আকবর পাচ্ছেন। ৫৮ বছর বয়সি বৈরাম সপ্তাহে তিনদিন দরবারের আমিরদের নিয়ে বসছেন বৈঠকে। অস্ত্রাগার, হাতিশাল, ঘোড়াশাল, রাজস্ব বিভাগ— প্রতিটি বিষয়েই তাঁর মতামত ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিশদ

19th  November, 2023
দুনিয়াদারি
সৌরভ মিত্র

কাল রাত থেকেই দেবোত্তমের মনটা বিশেষ ভালো নেই। ছেলেকে বকাবকি করলেই দু-তিনদিন এমন হয়। কারণগুলো আপাতভাবে ন্যায্য হলেও কোথাও যেন একটা অপরাধবোধ কাজ করে। বছর-আটেক বয়স। সেই অর্থে চালাক-চতুর নয়। আপনভোলা। বিশদ

19th  November, 2023
ভৌতিক কেল্লা ভানগড়
সমুদ্র বসু

ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে রাজস্থানের আলোয়ার জেলার ভানগড়ে তৈরি হয় একটি কেল্লা। যেটি তৈরি করেছিলেন অম্বরের তখনকার রাজা ভগবন্ত দাস। পরবর্তীকালে তাঁর ছোট ছেলে  মাধো সিং কেল্লাটির দখল নেন। মতান্তরে মাধো সিং-ই এই দুর্গ তৈরি করিয়েছিলেন। বিশদ

19th  November, 2023
পঞ্চমুণ্ডির আসন
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত

তুষারবাবু ভ্যানরিকশতে বসে শ্মশানের দিকে যাত্রা করার আগে গোবিন্দ সাহার পরিচিত স্থানীয় যে মানুষটির বাড়িতে সকালে এসে উঠেছিলেন সেই বিধু মল্লিক বললেন, ‘আপনার সঙ্গী হতে পারলাম না বলে দুঃখিত। একথা সত্যি সাধুবাবা পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে কারওর জন্যত কিছু চাইলে সে প্রার্থনা মঞ্জুর হয়। বিশদ

12th  November, 2023
বাজির আলোয় সেকালের কলকাতা

মারাঠা যুদ্ধে ইংরেজদের জয়লাভের উপর পাকা সিলমোহর পড়ল উনিশ শতকের একদম গোড়ায়। এমন ঘটনার উদযাপনে একটু বিশেষ ধরনের আমোদের ব্যবস্থা করতে আয়োজন হল এক এলাহি আতসবাজির প্রদর্শনী।
বিশদ

05th  November, 2023
কিংবদন্তি বেতারনাট্য প্রযোজক শ্রীধর

১৯৬৬ সালের জানুয়ারি মাসের একটি দিন। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে একটি নাটকের রেকর্ডিংয়ের জন্য অভিনেতারা সমবেত হয়েছেন।
বিশদ

05th  November, 2023
পুরনো সিন্দুক

ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হিসাবে আজকের সকালটা বিজনের প্রথম সকাল। দুশো চল্লিশ স্কোয়ার ফিটের ছোট্ট এক পরিসরের মধ্যে ক্রমাগত ঘুরপাক খেতে খেতে এর মধ্যেই যেন হাঁপিয়ে উঠেছে বিজন।
বিশদ

05th  November, 2023
অতীতের পৃষ্ঠায় সংসদ ভবন
সমৃদ্ধ দত্ত

বাঙালির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া ভারতের এতকালের ওই পার্লামেন্ট ভবন। যাকে এখন নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘সংবিধান সদন’। বিশদ

29th  October, 2023
সংসারচরিত
সোমজা দাস

দীপ্তর সঙ্গে থাকা যে আর সম্ভব নয়, সেটা ভালোভাবে বুঝে গেছে সুমেধা। সাত বছরের প্রেমে কত স্মৃতি, একসঙ্গে কত শপথ, স্বপ্নের মুহূর্ত বুনেছে তারা। কিন্তু বিয়ের এক বছরেই এমন মোহভঙ্গ হবে সেটা সুমেধার ভাবনারও অতীত ছিল।           বিশদ

29th  October, 2023
সেকালের দুর্গাপুজোর আমোদ

বৃষ্টি, গুমোট গরম আর জল-কাদা মাখা রাস্তা ঠিক পুরাকালের রাজপুরুষদের দিগ্বিজয়ে বেরনোর মতো পরিবেশ তৈরি না করলেও, ক্যালেন্ডার বলছে ‘এসেছে শরৎ’।  তবে ছাপোষা গৃহস্থ প্রকৃতির উদার আহ্বানের থেকে পুজোর আগমন বার্তা বেশি টের পান কলিং বেলের টুং টাং ডাকে।
বিশদ

15th  October, 2023
উঠোন
সৌরভ হোসেন

আসমত গেরস্তর ভুঁইয়ের পরেই হজরুদ্দির বাড়ি। ভুঁইটা যেদিকটায় ঢালু হয়ে নেমে গিয়েছে সেদিকটায় বড়ঘাট্টা বিল। হজরুদ্দির বাপ নুরুদ্দি বলতেন, ওখানে আগে নদী ছিল। সে নদীর সঙ্গে পদ্মার যোগ ছিল। সে নদী মজে বিল হল। এখন নাবাল জমি। বিশদ

08th  October, 2023
হাতিবাগানের  থিয়েটার
সন্দীপন বিশ্বাস

দিনকয়েক আগে উত্তর কলকাতার রাজা রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট দিয়ে হাঁটতে গিয়ে থমকে গেলাম। অনেকেই রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট নামটা শুনে বুঝতে পারবেন না। কিন্তু যদি বলি একসময় এখানেই ছিল বিশ্বরূপা, রঙ্গনা, বিজন থিয়েটার সারকারিনা থিয়েটার হল, তাহলে হয়তো সবাই বুঝতে পারবেন। বিশদ

01st  October, 2023
একনজরে
পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সালার থানার খাড়েরা গ্রামের এক যুবকের। মৃতের নাম বাদশা শেখ (২৪) । গ্রামের অঞ্চলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাসতিনেক আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজে সেখানে গিয়েছিলেন। ...

জবজের চিত্রগঞ্জ কালীবাড়িতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা দিনে দিনে বাড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসছেন। ...

আজ, মঙ্গলবার বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শনে আসছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল। আজ সকাল ১০টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল বালুরঘাট এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ...

২০০৪ সাল। ভারতীয় ফুটবলে সাড়া জাগানো নাম মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড। ম্যানেজমেন্টের আন্তরিকতা দেখে সই করতে দ্বিধা করিনি। মরশুমের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাত। একদিন অনুশীলনের আগে হঠাৎ ডাক পড়ল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৫ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯২ টাকা ১০৭.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৯.১৩ টাকা ৯২.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৩,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৬,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৬,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী ৪৬/১৯ রাত্রি ১২/৩৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৫৩/৪৯ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৬/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪২। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৩২ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৪১ গতে ৩/২৭ মধ্যে পুনঃ ৫/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৭ মধ্যে। 
১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। অষ্টমী রাত্রি ১১/২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ২/৫৯। সূর্যোদয় ৬/৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বচসার জেরে গুলি চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিনেতা ভূপিন্দর সিং, মৃত ১, জখম ৩

08:26:58 PM

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেবন্ত রেড্ডিই, জানাল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

07:00:00 PM

ভাইফোঁটায় সলমন খানকে আমন্ত্রণ মমতার

06:56:35 PM

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়

06:45:00 PM

কেউ আমাদের ভাগ করতে পারবে না: মমতা

06:44:48 PM

বাংলা এখন ফিল্ম ডেস্টিনেশন হতে পারে: মমতা

06:43:53 PM