Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

পর্ব-৫৫
দাসোয়ান খুদকুশি করেছেন শুনে ‌কেল্লার বাইরে বিশাল জমায়েত। মাসুদ খাঁ বলল, হুজুর, দাওনা হয়ে গিয়েছিল তসবিরওয়ালা।
দাওনা, মানে পাগল! দাসোয়ানের কথা কিছু কানে এসেছিল বীরবরের। হারেমের এক বিবির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠার খবর কানে গিয়েছিল বাদশাহেরও। বাদশাহ কাউকে কিছু বুঝতে দেননি, এখন মাসুদ খানের কাছে শুনলেন কয়েকদিন আগে হারেমের এক দারোগা সেই বিবিকে নিয়ে গিয়েছিল কোথাও, সেখানে সেই বিবিকে কোতল করা হয়েছিল এই অবৈধ সম্পর্কের জেরে। খবরটা কানে যেতে দাসোয়ান পাগল হয়ে গিয়েছিল, আজ সে নিজের হাতে বল্লম গিঁথে দিয়েছে গলায়।
শাহেনশাহিতে এ সব খবর খুব যে আলোড়ন তোলে তা নয়, নিত্যদিন এখানে কেউ না কেউ কোতল হয়ে যাচ্ছে নানা অপরাধে। তবু দাসোয়ান ছিল তসবিরখানার এক দানাদার আদমি। তার চেহারাটাও ছিল দশাসই, তাই তার আত্মহত্যা নিয়ে কিছু ফিসফিসানি চলল ক’দিন।
ক’দিন পরে ভুলেও গেল সবাই। ভুলতেই হবে কেননা শাহেনশাহিতে চলতে থাকে একের পর এক ঘটনা, একটির জের না মিটতে আর একটি।
তার পরেই যে ঘটনাটা ঘটে গেল বীরবরের জীবনে তা সাংঘাতিক। বাদশাহ বললেন, বীরবরজি, চৌগান খেলার মাঠে হাতির লড়াই হচ্ছে। চলুন দেখে আসি।
হাতির লড়াই দেখা সম্রাটের খুব প্রিয় খায়েস। সম্রাট আকবর এসেছেন গাঢ় সবুজ শেরওয়ানি পরে, বীরবরের গায়ে লাল টকটকে বেনিয়ান। চৌগান খেলার মাঠ তখন ভরে উঠেছে কয়েক হাজার আম-আদমি। দুই পিলবান তাদের হাতি নিয়ে প্রস্তুত। দুই হাতির একটির নাম কাকর যে কিনা চণ্ড প্রকৃতির, এর আগে মেরেছে বেশ কয়েকটা হাতি, কয়েকজন ইনসানও। তবু কাকরকেই লড়াইয়ে আনা হয়েছে যাতে বেশ তুল্যমূল্য লড়াই হয়।
বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উদ্দেশেই তাড়া করল। তার হিংস্র মূর্তি দেখে বীরবর কী করবেন ভেবে পেলেন না। হাতিটা তখন বিপুল বেগে ছুটে আসছে তাঁকে লক্ষ করে। আর একটু পরেই তাঁকে শুঁড়ে জড়িয়ে তুলে আছাড় দেবে। বীরবর ভয়ে কাঁপছেন। সেই মুহূর্তে কী হল, দেখলেন এক ঘোড়সওয়ার তীব্র গতিতে ছুটে এসে তাঁকে তুলে নিলেন ঘোড়ার পিঠে, বাঁচিয়ে দিলেন হাতিটার শুঁড় থেকে, নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে। বীরবর ভয়ে চোখ বুজিয়ে ছিলেন, কাঁপছিলেন ঠকঠক করে, হঠাৎ চোখ খুলে দেখলেন স্বয়ং বাদশাহ নতুন জীবন দিলেন তাঁকে।
বীরবরের মুখ দিয়ে শব্দ বেরচ্ছে গোঁ গোঁ করে, শুধু বলতে পারলেন, জাহাঁপনা, হাতিটা আপনাকেও মেরে ফেলতে পারত।
বাদশাহ আকবরও বিড়বিড় করছেন, বীরবরজি, আর একটু হলেই সর্বনাশ ঘটে যেত। বীরবর উপলব্ধি করলেন সম্রাট আকবর তাঁর জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করলেন সেদিন। ভাবতেই পারছেন না একজন সম্রাট তাঁকে এত ভালোবাসেন জেনে!
তার কিছুদিনের মধ্যে বাদশাহের কাশ্মীর ফতে করার খায়েস।
অনেকদিন ধরেই ইউসুফজাইয়ের আফগান আর মান্দার উপজাতিরা মছলা করছিল বাদশাহের সঙ্গে। তাদের একের পর এক হাঙ্গামায় নিদ ছুটে যাচ্ছিল তাঁর। বাদশা তাদের জব্দ করতে এক বিশাল ফৌজ নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন রাওয়ালপিন্ডি হয়ে অ্যাটকের উদ্দেশে। এক তাগদঅলা মনসবদার জইন খান কোকলতাশকে বলা হল ফৌজ নিয়ে বজাউর হয়ে ঢুকতে, অন্য আর একটি ফৌজ রওয়ানা দিল সামা উপত্যকা দিয়ে লড়াই শুরু করতে।
পেশোয়ার আর সোয়াত নদীর মাঝখানে পাহাড়ি এলাকাতেই মান্দার উপজাতির ঘাঁটি। জইন খান কোকলতাশ আক্রমণে উঠে বাদশাহের কাছে খবর পাঠায়, হুজুর, মান্দার সংখ্যায় অনেক, আরও ফৌজ পাঠান।
ক’দিনের মধ্যে বাদশাহের কাছ থেকে একটি ফরমান পেলেন বীরবর। বীরবরজি, আপনি জংয়ে যেতে চেয়েছিলেন, এবার আপনার সামনে সেই সুযোগ। জইন খান কোকলতাশ এখন বজাউরে আছে ফৌজ নিয়ে। আপনি মির আতিসের কাছ থেকে ফৌজ নিয়ে সামা হয়ে সোয়াত চলে যান। আপনার সঙ্গে আরও ফৌজ নিয়ে যাবেন হাকিম আবুল ফাথ, তাকে বলা হয়েছে কারাকার গিরিপথ হয়ে আরও পুবে যেতে।
চিরকুটটি পেয়ে বীরবর কয়েক লহমা ভাবলেন সোয়াত এলাকার কথা। খুবই খতরনাক এলাকা। ক্রোশের পর ক্রোশ শুধু পাহাড় আর পাহাড়। খতরনাক সব গিরিখাত আর উপত্যকা। তেমনই খরস্রোতা সোয়াত নদী। আরও খতরনাক ওই উপজাতিরা। তবু শাহেনশাহ যখন ফরমান পাঠিয়েছেন, তাঁকে যেতেই হবে।
বিশাল ফৌজ সঙ্গে নিয়ে বীরবল চললেন সোয়াতের উদ্দেশে। বাদশাহ আকবর তখন অ্যাটকে আছেন আরও এক বড় ফৌজ নিয়ে। অ্যাটক পাহাড়ি এলাকায় এক ছোট্ট গঞ্জ। বাদশাহের সঙ্গে দেখা করতেই বীরবরের হাতে হাত রেখে মসাফা করে হেসে বললেন, তাহলে এবার আপনি সত্যিই জংয়ে চললেন? তবে ইউসুফজাইয়ের আফগানরা খুবই খতরনাক। সাবধানে ফৌজ নিয়ে এগবেন।
বলে বাদশাহের স্বর একটু নরম হল, বললেন বীরবরজি, কেল্লার কেউ কেউ আপনাকে মশকরা করে বীরবল বলে ডাকেন। শুনেছি আপনি তাতে রুষ্ট হন।
বীরবর মুচকি হেসে বললেন, না জাহাঁপনা। বল শব্দটার মধ্যে বেশ জোশ আছে। আমার তো বেশ লাগে।
—সহি বাত, বীরবরজি? শব্দটায় জোশ আছে, তাগদও আছে। আমি এই নামটাই আপনাকে দিলাম। আপনি একই সঙ্গে বীরও বটে, আবার তাগদওয়ালাও বটে। এবারের জংয়ে গিয়ে আপনি দেখিয়ে দিন আপনার তাগদ, তাহলে আর কেউ আপনাকে নিয়ে মশকরা করার সাহস পাবে না। আপনি এমন জং করবেন যাতে কাশ্মীর যুক্ত হতে পারে হিন্দুস্তানের সঙ্গে। আকবর বাদশাহের দীর্ঘদিনের সঙ্গী নতুন নামে সাব্যস্ত হয়ে শরম নয়, গর্বিত—ফখর বোধ করলেন। বাদশাহ তাঁর জন্য যা করেন, যা বলেন—সবই অনেক বিবেচনা করে করেন।
—বীরবলজি, আপনি রওয়ানা হন। জইন খান কোকলতাশ আপনার জন্য ইন্তেজার করছেন। বীরবর, না এখন তিনি বীরবল, দীর্ঘ পথ ছুটলেন তাঁর প্রিয় ঘোড়া বিজলির পিঠে। বিজলি কি একটু বুড়ো হয়েছে! তিনি নিজেও কি আন্দাজ করতে পারছেন বয়সের ভার! কত বয়স হল তাঁর! প্রায় ষাট ছুঁতে চলেছেন। দীর্ঘ আঠাশ বছর আছেন বাদশাহের পাশে পাশে। আজ তাঁর উপর দায়িত্ব এক গুরুত্বপূর্ণ জং ফতে করার।
দীর্ঘ পাহাড়িপথ, অসংখ্য গিরিপথ আর উপত্যকা পেরিয়ে বীরবল যখন পৌঁছলেন, কোকলতাশ বললেন, আমার কাজ শেষ। এখন আমি চাকদারাতেই ফৌজ রেখে চেষ্টা করব আফগানদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে। আপনাকে আর লাগবে না।
বীরবল বুঝে উঠতে পারলেন না কোকলতাশের কথা, বললেন কিন্তু আমার উপর হুকুম আছে আফগানদের উপর আক্রমণ হানতে।
ফৌজ নিয়ে পৌঁছে গেছে হাকিম অল ফাতও। সেও বলল, বাদশাহের হুকুমের কথা। কিছুক্ষণের মধ্যে জইন খানের সঙ্গে বীরবল আর হাকিম অল ফাতের অবনিবনার শুরু। বীরবল কিছুতেই জইন খানের হুকুম শুনতে নারাজ। জইন খান উত্তেজিত হয়ে বললেন, এ সব এলাকা তন্নতন্ন চিনি। আপনি আমার কথা শুনতে নারাজ হলে আমার কিছু করার নেই। আপনি তো সবকিছু একটু বেশি বোঝেন।
খুবই অপমানিত বোধ করলেন বীরবল। মতপার্থক্য চূড়ান্ত হতে জইন খান বললেন, তাহলে আপনি মালাখান্দ গিরিখাত দিয়ে ফিরে যান।
বীরবল তাতে নারাজ কেননা ওই পথ দিয়ে তারা এসেছেন, তাতে চূড়ান্ত নাকাল হতে হয়েছে তাঁদের। তাঁরা বরং ফিরতে চান কারাকার আর মালানদারাই মাঝখানের গিরিপথ দিয়ে।
জইন খানের ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি, বলেন, ওই পথ যদি সুবিধের মনে হয়, তাই যান।
জইন খানের হাসির মানে বুঝতে পারলেন না, বীরবল ফৌজ নিয়ে ফিরে চললেন মালানদারাইয়ের দুর্গম উপত্যকার পথে। হাকিম অল ফাত কিন্তু ফিরল না সে-পথে। বীরবলকে নিষেধও করল না।
ক্রোশের পর ক্রোশ পাহাড়ি পথ, কোথাও পথ এত সরু, ঘোড়ার চারটে খুরও ধরে না। বীরবলের সামনে পিছনে কয়েক হাজার ঘোড়সওয়ার, সবাই বেশ সন্ত্রস্ত সরু পথ দিয়ে যেতে হওয়ায়।
দুর্গম পথ দিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে হঠাৎ কীভাবে যেন খবর পেয়ে গেল ইউসুফজাইয়ের আফগান আর মান্দাররা। একটু পরেই দেখা গেল হাজার হাজার শত্রুফৌজ ছুটে আসছে বীরবলদের ফৌজ লক্ষ করে। তখন পালানোর জায়গাও নেই।
বীরবলের ফৌজ তখন পিছন ফিরে পালাতে চেষ্টা করছে, কিন্তু ফিরে যাবে কি! পায়ে-চলা সরু পথে একটি ঘোড়াও দৌড়ে যেতে পারে না। পিছু ফিরতে গিয়ে একে অপরের গায়ে ধাক্কা লেগে হুড়মুড় করে পাহড়ের গা বেয়ে পড়তে শুরু করল। সজোরে পড়ছে ঘোড়াসুদ্ধ ঘোড়সওয়ার। অনন্ত খাদের মধ্যে শব্দ হচ্ছে ঝুপ ঝুপ ঝুপ ঝুপ—
বীরবল শুনতে পাচ্ছেন, বুঝতে পারছেন তাঁরও নিস্তার নেই। সমস্ত ঘোড়া পড়ছে একের পর এক। চেষ্টা করলেন একটা গিরিপথ বেয়ে পালানোর। হঠাৎ বুঝলেন পিছন থেকে কেউ তলোয়ার চালিয়ে দিল তাঁর শরীর লক্ষ করে। তিনিও—
রক্তাক্ত অবস্থায় ঘোড়াসুদ্ধ ঝাঁপ দিয়ে পড়ছেন নীচের দিকে। এক বিপুল অন্ধকারের মধ্যে। পড়ার মুহূর্তে মনে পড়ছে আকবর বাদশাহের মুখ, বিড়বিড় করছেন, জাহাঁপনা আমি আপনার কথা রেখেছিলাম, কিন্তু জইন খান আমাকে ঠিক পথ বলে দেয়নি—
ঘোর পাহাড়ি-এলাকা অ্যাকট গঞ্জ, লোকালয় থেকে একটু দূরে, সিন্ধু নদের ধারে বিশাল তাঁবু ফেলেছেন সম্রাট আকবর। চারপাশে আরও অসংখ্য তাঁবু, তার ভিতরে ও বাইরে দু’হাজারি, তিন হাজারি মনসবদাররা সারাক্ষণ ইন্তেজার করছে কখন বাদশাহ তাদের উপর কী হুকুম করবেন।
রাজা বীরবলকে জংয়ে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন না সম্রাট। বীরবলেরই খায়েস তিনি জং ফতে করতে যাবেন বাদশাহের হয়ে। বীরবল দানেশমন্দ আদমি, জং বিষয়ে তেমন রপ্ত নন। তাই সঙ্গে দিয়েছেন হাকিম অল ফাত-এর মতো লড়াইবাজকে।
রোজই একজন-দুজন করে ঘোড়সওয়ার জংয়ের গতিপ্রকৃতি পৌঁছে দেয় বাদশাহের কাছে। হঠাৎ একদিন কোনও সংবাদ না-আসায় খুবই ব্যস্ত হয়ে বীরবলের খবর নিতে পাঠালেন তাঁর একজন বিশ্বস্ত জানদারকে। জওয়ান জানদার ঘোড়া ছুটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর সারাদিন কাটালেন খুব পেরেশানির মধ্যে, সন্ধেয় তাদের জন্য ইন্তেজার করছেন সিন্ধুর তীরে, পায়চারি করছেন আর গোঁফে হাত বোলাচ্ছেন, সে সময় ফিরে এল জানদার, সঙ্গে জইন খান কোকলতাশের বারিদ। বাদশাহ ব্যস্ত হয়ে বারিদকে জিজ্ঞাসা করলেন, কী হল, সারাদিন কোনও খবর পাঠায়নি কেন জইন খান?
দুই ঘোড়সওয়ারকে চুপ দেখে অধৈর্য হয়ে ধমক দিয়ে বললেন, কী হল, কথা বলছ না কেন?
যা খবর পেলেন, বাদশাহের মাথা ঘুরে গেল, টাল সামলে চিৎকার করে উঠে বললেন, সে কী!
দুজনকে চুপ দেখে আবার চিৎকার, জইন খান কোথায়?
জইন খান চাকদারায় আছে শুনে প্রায় উন্মাদের মতো বললেন, বেতত঩মিজটা কেন ওখানে বসে আছে! বীরবলজি গলদ পথে যাচ্ছে দেখেও কেন আহাম্মক তার হাত টেনে ধরেনি! তাকে আমি কয়েদ করব। এক্ষুনি ডাকো তাকে! আমি আন্দাজ করছি তাকে ষড়যন্ত্র করে মারা হয়েছে।
বাদশাহ কাঁপছেন থরথর করে। তাঁর খুনশি মূর্তি দেখে তাঁর কাছে যেতে সাহসই পাচ্ছে না কেউ। কাঁপতে কাঁপতে বাদশাহ বসে পড়লেন বিশাল নদের তীরে ঘাসের উপর। সামনে নদীর ছলচ্ছল শব্দ। সূর্য তখন অস্ত গেছে, লাল হয়ে আছে পশ্চিম দিগন্ত। বীরবলকে কোতল করা হয়েছে জেনে মনে হচ্ছিল আকাশের পশ্চিমদিকে যেন খুন ছড়িয়ে আছে রাজা বীরবলের। সম্রাটকে ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হল তাঁবুর ভিতর। সারা রাত নিদ এল না তাঁর চোখে। সারা রাত বিড়বিড় করে শুধু বললেন, কেন আমি আপনাকে ওরকম খতরনাক পাহাড়ি জায়গায় পাঠালাম। কেন আমি—! আপনি তো একজন দানেশমন্দ আদমি। আপনি কাসিদা লিখবেন, গান গাইবেন, আমাকে কিতাব পাঠ করে শোনাবেন, আপনার কি জং ফতে করতে যাওয়া মানায়!
রাতে তাঁকে খানা তৈয়ার করে দিলে তা পড়ে থাকল তাঁবুর একপাশে। পরদিন ভোরে উঠে বললেন, সিক্রি ফিরে যাব। তাঁবু ওঠাও।
সিক্রি ফিরে গিয়ে ঢুকে পড়লেন বাদশাহ মহলে। পানি পর্যন্ত ছুঁয়ে দেখলেন না। সারাটা দিন শুয়ে রইলেন বেস্তারার উপর, আর বলতে লাগলেন, বীরবলজি, এ আমি কী গলদ করলাম! আমাকে বেসাহারা করে আপনি কোথায় চলে গেলেন? আমার দোস্ত যদি পাশে না-থাকে আমি কী করে—
সম্রাট আকবরের এত বছরের জীবনে কেল্লার কেউ কখনও তাঁকে এভাবে বিপর্যস্ত হতে দেখেনি। খবর পেয়ে যোধামহল থেকে ছুটতে ছুটতে এলেন যোধাবাঈ, বাদশাহের চোখে জল দেখে চমকে উঠলেন, হিন্দুস্তানের শাহেনশাহ কারও জন্য চোখের জল ফেলছেন এ-দৃশ্য বোধ হয় এই প্রথম।
টানা তিনদিন যখন না-নাস্তা, না-খানা কিছুই ছুঁয়ে দেখলেন না বাদশাহ, যোধাবাঈ বললেন, জাহাঁপনা, আপনি কি জানেন, বাদশাহ খাচ্ছেন না বলে কেল্লার কেউই তিনদিন কিছু মুখে দেয়নি!
বাদশাহ চমকে উঠে বললেন, তাই নাকি? ঠিক আছে, খানা লে আও।
তার পরদিন থেকে যে-বাদশাহকে তামাম ইনসানরা দেখল, তিনি অন্য মানুষ। দেওয়ান-ই আমে তাঁর যাওয়া বন্ধ। দেওয়ান কখনও এসে ইন্তেজার করেন বাদশামহলের সামনে দাঁড়িয়ে, বহুক্ষণ পরে বাদশাহ ডেকে পাঠালে নিঃশব্দে তাঁর হাতের পাঞ্জা দিয়ে সই দেন কোনও ফরমান বা ফতোয়ায়। কারও টুঁ শব্দটি আর উচ্চারণ করার জো নেই বাদশাহের সামনে। হঠাৎ একদিন খবর পেলেন বীরবলকে দেখা গেছে চাকদারার পাহাড়ি পথে। বাদশা লাফিয়ে উঠে মির আতিসকে বললেন, আমি জানতাম বীরবলজির মওত হতে পারে না। যাও, ফয়রান চারজন ঘোড়সওয়ার পাঠাও। নিয়ে আসুক বীরবলজিকে।
সাতদিন কেটে গেল, তখনও কোনও খবর নেই। খুনশি হয়ে বললেন, আরও চারজনকে পাঠাও। বেত঩তেমিজরা সেখানে গিয়ে ঘুমোচ্ছে।
দশদিন পরে সবাই ফিরে এল খালি হাতে। বাদশাহের মুখে অন্ধকার ঢেলে দিল কেউ। আবার ঝিমিয়ে পড়লেন। হঠাৎ সাতদিন পরে আবার খবর এল বীরবলকে দেখা গেছে দিল্লির পথে। আবারও চলল খোঁজাখুঁজি। কিন্তু না, তিনি বীরবল নন।
বীরবলের মওতের দু’মাস পরে প্রবল হতাশ হয়ে সম্রাট হঠাৎ বললেন, দেওয়ানজি, আমি আর সিক্রিতে থাকব না।
দেওয়ান তাজ্জব হয়ে বললেন, কী করবেন, হুজুর?
—আমি লাহোরে থাকব। উঠাও রাজধানী।
এত সাধের কেল্লা ছেড়ে লাহোরে! কিন্তু বাদশাহ অনড়, কিছুতেই বীরবলহীন সিক্রিতে আর থাকবেন না। অতএব—
অল হিজরি ৯৭৭ আগ্রা থেকে রাজধানী তুলে নিয়ে আকবর এসেছিলেন সিক্রিতে। অল হিজরি ৯৯৪ ফতেপুর সিক্রিতে সতেরো বছর কাটিয়ে সেখান থেকে রাজধানী তুলে নিয়ে বাদশাহ চললেন লাহোরে, নতুন রাজধানীতে। দিলশঙ্করের পিঠে দু’চোখে জল নিয়ে বাদশাহ আকবর, তাঁর পিছনে বিশাল কাফেলা চলেছে লাহোরের নতুন জীবনে।
সম্রাট বিড়বিড় করে বলছেন, বীরবলজি, আপনার মওত হতে পারে না। আপনি জিন্দা থাকবেন হিন্দুস্তানের আম-আদমির জীবনে। আকবর যতদিন হিন্দুস্তানে বেঁচে থাকবে, আপনিও ততদিন—
(শেষ)
অলংকরণ : সুব্রত মাজী
17th  November, 2019
মানুষ গড়ার কারিগর
সৌমিত্র চৌধুরী

 চোখের জল মুছে বাবা বলল, ‘ঠিক আছে স্যার, আপনার কথা রাখলাম। তবে ঋণ বাড়াব না। ফেল করলে ওর কিন্তু পড়া বন্ধ।’ এত দূর বলে আমাদের পিসিএম থামল। আমার চোখে বিস্ময়। জম স্যার নিজে গেল হাটখোলায়? একটু অবাক হয়েছিলাম সেদিন। কিন্তু কয়েকমাস পরে ক্লাসের সবাইকে, এমনকী গোটা স্কুলকে অবাক করে দেবার মতো ঘটনা ঘটল। অঙ্কে আশি নম্বর পেয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় চার নম্বর স্থানটা দখল করেছে প্রদীপ। বিশদ

08th  December, 2019
অথৈ সাগর

 আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

08th  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
সন্দীপ রায়চৌধুরী

 ওপার বাংলা থেকে আসা ‘বাঙাল’ ভানুকে শুধু চেহারা দেখেই নাকি ‘জাগরণ’ ছবির জন্য নির্বাচন করেছিলেন বিভূতি চক্রবর্তী। কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‘আমার ছবিতে দুর্ভিক্ষপীড়িত চিমসে চেহারার একটা চরিত্র আছে, সেটা তুমি করবে।’ বিশদ

08th  December, 2019
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পর্ব * ১
সন্দীপ রায়চৌধুরী

উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের দ্যুতিতে ভাস্বর। এই লাইনটা বললে হয়তো এক রকম অপমানই করা হয় তাঁদের। কারণ অন্যের আলোয় আলোকিত হওয়ার প্রয়োজন এঁদের কারও কখনও হয়নি। এঁরা নিজেরাই এক একজন কিংবদন্তি।   বিশদ

01st  December, 2019
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

01st  December, 2019
ফেসবুকে বনলতা
শুচিস্মিতা দেব 

আমি তপেন বাগচি। পেশাহীন এবং নেশাহীন ছাপোষা মানুষ। পেশার অভাবে নেশা করার হিম্মত হয়নি কখনও। অভিজাত পাড়ায় ঠাকুরদার আমলের দোতলা বাড়িতে বিনা পয়সার বাসস্থান। বাবা ছিলেন ব্যারিস্টার ঠাকুরদার ল ফার্মের যোগ্য উত্তরাধিকারী।   বিশদ

01st  December, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মহাকালীর কালীমঠ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

পর্ব-৩৭

হিমালয়ের পবিত্র দেবস্থানগুলি বারে বারে পরিব্রজন করলেও গুপ্তকাশীর অদূরে কালীমঠে আর যাওয়াই হয় না। তাই সেবার গৌরীকুণ্ডের পথে ত্রিযুগীনায়ারণ হয়ে গুপ্তকাশীতে এসে রাত্রিবাস করলাম। 
বিশদ

24th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৭

ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র, বিষয় ছিল রসায়ন। তিনি নিজের সম্পর্কে বলতেন, ‘আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। আচারে-ব্যবহারে, ভ্রমণে-পর্যটনে, খাদ্যে-পানীয়ে কালাপাহাড় বলিয়া পরিচিত মহলে আমার অখ্যাতি আছে; তবু আজ অস্বীকার করিতে পারি না, অলৌকিক শ্রেণীর দুইটি ঘটনার আমি সাক্ষী হইয়া আছি। 
বিশদ

24th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
একনজরে
অমিত চৌধুরী, হরিপাল: হরিপাল থানার কৈকালা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদবাঁধ গ্রামে প্রতিবছর শীতের সময় ভিড় করে পরিযায়ী পাখি। বিদেশি পাখির আগমনকে ঘিরে একসময় এলাকায় পিকনিকের আসর বসলেও স্থানীয় মানুষ উদ্যোগ নিয়ে পাখিদের নিশ্চিন্তে অস্থায়ী ঠিকানায় বাস করতে বন্ধ করে দিয়েছেন পিকনিক। ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: অজ্ঞাতপরিচয় এক সাধুর মৃত্যু হল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রবিবার রাতে তারাপীঠের শ্মশান থেকে অসুস্থ ওই সাধুকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে তারাপীঠ থানার পুলিস। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ, ১০ ডিসেম্বর থেকে নিজেদের মার্জিনাল কস্ট অব ফান্ডস বেসড লেন্ডিং রেট বা এমসিএলআর কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই)। এক প্রেস বিবৃতিতে তারা একথা জানিয়ে বলেছে, আগে তাদের বার্ষিক এমসিএলআর ছিল আট শতাংশ। ...

ওয়েলিংটন, ৯ ডিসেম্বর (এএফপি): ছবির মতো সুন্দর হোয়াইট আইল্যান্ড। ভ্রমণের আনন্দে মশগুল পর্যটকের দল। ভরদুপুরে হঠাৎ করে জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি। সোমবার নিউজিল্যান্ডের এই ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত পাঁচজনের। জখম ১৮ জন। সরকারি সূত্রে খবর, আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস,
১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,
১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম,
২০০১- অভিনেতা অশোককুমারের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৪ টাকা ৭২.১৪ টাকা
পাউন্ড ৯২.০৭ টাকা ৯৫.৩৭ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১১/২৬ দিবা ১০/৪৪। কৃত্তিকা ৫৯/২৯ শেষ রাত্রি ৫/৫৭। সূ উ ৬/৯/৩১, অ ৪/৪৮/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪৩ গতে ৩/৩০ মধ্যে পুনঃ ৫/১৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১০/২/৪৮ দিবা ১০/১২/৫। কৃত্তিকা ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৬/১০/৫৮, অ ৪/৪৯/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/১২ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৯/৫৩ গতে ২/৯/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/২৬ গতে ৮/৯/৩৯ মধ্যে।
 
মোসলেম: ১২ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি লন্ডনের প্যালেস অব ...বিশদ

04:28:18 PM

আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। বৃষ: অর্থভাগ্য খুব ভালো না হলেও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত স্কুলছাত্র 
চিনা মাঞ্জার বলি স্কুলছাত্র। সুতোর ধারে গলা কেটে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:20:33 PM

২৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:02:02 PM

আইলিগ: ইস্ট বেঙ্গল ৪-১ গোলে হারাল নেরোকাকে 

04:01:36 PM