Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

 ৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা। তিনি তাঁর জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন ভাগলপুরে। তাঁর যখন বারো বছর বয়স সেইসময় তাঁর প্রথম পদ্য ‘সন্ধ্যা’ প্রকাশিত হয় ‘সখা ও সাথী’ নামে এক মাসিক পত্রিকায়। সেই প্রথম পদ্যই তৎকালীন গুণীজনদের প্রশংসা আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল। অত্যন্ত সাহসী এই মানুষটির পরলোক, প্রেতাত্মা ইত্যাদি ব্যাপারে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস ছিল না। কোনও আড্ডায় এই ধরনের কোনও প্রসঙ্গ উঠলে তিনি হো-হো করে হেসে বক্তাকে অপ্রস্তুত করে প্রায় থামিয়ে দিতেন।
এইরকম ভূত-অবিশ্বাসী মানুষটিও একদিন তাঁদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯০২ সালের কথা, সেইসময় তিনি সপরিবারে ভাগলপুর থেকে চলে এসেছেন ভবানীপুরের কাঁসারিপাড়া রোডের একটি ভাড়া বাড়িতে।
মাসটা ভাদ্র, উপেন্দ্রনাথের মা বাড়িতে উদ্‌যাপন করবেন তালনবমী ব্রত। সেই উপলক্ষে বাড়িতে বেশ কয়েকজন অতিথি এসেছেন। তাঁরা রাতের আহার করেই বাড়ি ফিরবেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন উপেনবাবুর অত্যন্ত পরিচিত শ্যামরতন চট্টোপাধ্যায় ও দ্বিজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। দ্বিজেন্দ্রনাথবাবু নাকুবাবু নামেই বন্ধু মহলে বেশী পরিচিত ছিলেন।
কাঁসারিপাড়ার বাড়ির বৈঠকখানায় তখন আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। হঠাৎই নাকুবাবু বললেন, উপেনবাবু আপনার এই বাড়িতে কিন্তু ভূত আছে।
তাঁর কথা শুনে উপেনবাবু সহ সবাই হইহই করে হেসে উঠলেন।
তাঁদের বিদ্রূপাত্মক হাসিতে একটু আহতই হলেন নাকুবাবু, তিনি উষ্ণ কণ্ঠে বলে উঠলেন, এখন হাসছেন হাসুন! কিন্তু সেই ভূত যখন আপনাদের সামনে এসে দাঁড়াবে, তখন আপনাদের মুখ থেকে আর কোনও কথা বেরবে না।
অতিথিদের মধ্যে একজন তাঁর কাছে জানতে চাইলেন, আপনি কী করে জানলেন এ বাড়িতে ভূত আছে?
নাকুবাবু বললেন, এক মাস, দু’মাস নয় এই বাড়িতে আমরা বছর খানেক কাটিয়ে গিয়েছি। এখানে আমরা ভাড়া থাকতাম। আমি নিজের চোখে সেই ঘটনা দেখেছি।
উৎসাহী এক অতিথি জানতে চাইলেন আপনি কী দেখেছিলেন বলুন না আমাদের?
নাকুবাবু গুছিয়ে বসে গল্প শুরু করলেন। বললেন, শুনুন তাহলে! আমাদের আগে এই বাড়িতে যাঁরা ভাড়া থাকতেন, তাঁদের বছর চারেকের একটি ছেলে ছিল। সারাটা দিন সে মার্বেলের গুলি নিয়ে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় খেলে বেড়াত, কখনও কখনও রাতে ঘুম ভেঙে গেলেও সে তার ঘরের মেঝেতে মার্বেল গড়িয়ে দিত। সেই ছেলেটি মারাত্মক কলেরায় একদিন হঠাৎই মারা গেল। আমরা যে ঘরে বসে এখন গল্প করছি এর ওপরের ঘরটাতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে ছেলেটি থাকত। ওই ঘরেই সে মারা যায়। তারপর থেকে প্রতিদিন রাত একটার সময় ছেলেটি ওই ঘরে একবার করে মার্বেল ছড়িয়ে দেয়। শান্ত রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে সেই মার্বেল ঠক ঠক করে গড়িয়ে যায় ঘরের এ মাথা থেকে ও মাথায়। আর সেই শব্দে অতি সাহসী মানুষেরও মশাই বুকের রক্ত হিম হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যে ভিতর বাড়ি থেকে অতিথিদের খেতে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসেছেন উপেন্দ্রনাথবাবুর ভাগ্নে সুশীলচন্দ্র। রাত তখন সাড়ে দশটা। আড্ডা ভেঙে গেল, সবাই রওনা হলেন রাতের আহার সারতে।
খাওয়া সেরে যখন প্রায় সব নিমন্ত্রিতই বিদায় নিয়েছেন ঠিক সেইসময় উপেন্দ্রনাথ তাঁর ঘনিষ্ট বন্ধু শ্যামরতন চট্টোপাধ্যায়কে বললেন, এখন তো প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজে। আর ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষা করলেই আমরা শুনতে পাব বালক ভূতের মার্বেলের শব্দ। আজ তুমি রাতটা এখানেই থেকে যাও। আজকেই প্রমাণ হয়ে যাবে সত্যি ভূত আছে কী নেই!
শ্যামরতনবাবু বললেন, আমি তোমাদের এখানে থেকে যেতেই পারি, তবে আমাকে একবার বাড়িতে গিয়ে খবরটা দিয়ে আসতে হবে।
কিছুক্ষণের মধ্যে শ্যামরতনবাবু ফিরে এলেন বাড়ি থেকে। বৈঠকখানার ঘরের আরামকেদারায় তখন নিজের শরীর মেলে দিয়েছেন পরিশ্রান্ত সুশীলচন্দ্র। তাঁদের জন্য তৈরি করা বিছানায় দুই বন্ধু পাশাপাশি শুয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন সেই বালক ভূতের মার্বেল গড়ানোর শব্দ শোনার জন্য।
বাড়ির সবাই তখন যে যাঁর ঘরে শুয়ে পড়েছেন। ঢং করে একবার শব্দ করে দেওয়াল ঘড়ি জানিয়ে দিল সময় আসন্ন। দুই বন্ধুই বিছানার ওপর উঠে বসলেন। আর ঠিক তখনই ওপরের ঘরের মেঝেতে ঠক ঠক ঠক ঠক করে মার্বেল গড়ানো শুরু হল। সেই আওয়াজে দুই বন্ধু বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লেন। উপেন্দ্রনাথ এগিয়ে গেলেন দরজার দিকে। তিনি চাইছিলেন নিজের চোখে পুরো ঘটনাটি দেখতে। শ্যামবাবু বন্ধুর ডান হাতের কনুইয়ের কাছটা চেপে ধরে বললেন, এতরাতে সাহস দেখিয়ে আর কাজ নেই। চলো, শুয়ে পড়া যাক। বন্ধুর কথায় উপেনবাবু শুতে চললেন।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই উপেন্দ্রনাথ তাঁর দাদা লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়কে রাতের পুরো ঘটনাটি বললেন। তিনি সব শুনে বললেন, এটা নিয়ে অহেতুক চিন্তা করার কিছু নেই। তবে, একটা কথা মাথায় রেখো, বাড়ির মেয়েরা যেন এই ব্যাপারটা জানতে না পারে। তাহলে অহেতুক ভয় পাবে।
এই ঘটনাটি ঘটার দিন কয়েক পরে শ্বশুরবাড়িতে এলেন লালমোহনবাবুর দ্বিতীয় জামাতা সুবোধচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে তিনিই হবেন পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেদিন রাত একটা নাগাদ তাঁর দরজার সামনে মার্বেল গড়ানোর শব্দ পেয়ে তিনি দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলেন, তাঁর ঘরের দরজার সামনে একটা ছোট্ট ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। সুবোধবাবু তাকে চিনতে পারলেন না। তিনি বাচ্ছাটির কাছে জানতে চাইলেন, তুই কে? এত রাতে এখানে কী করছিস?
প্রশ্ন শুনেই বারান্দার সামনে ঘন গাছটির মধ্যে ছেলেটি অদৃশ্য হয়ে গেল। শিউরে উঠলেন সুবোধচন্দ্র। ইষ্টনাম জপতে জপতে তিনি তড়িঘড়ি ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়লেন বিছানায়। সেই রাতে তিনি দু’চোখের পাতা আর এক করতে পারেননি।
পরবর্তীকালে এই প্রসঙ্গে উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় লিখলেন, ‘সুবোধের অভিজ্ঞতা ও আমাদের অভিজ্ঞতার দুটি গল্পকে স্বতন্ত্রভাবে উড়িয়ে দেওয়া যত সহজ, একত্রে তত সহজ নয়। দুটি গল্পকে সংযুক্ত করে দেখলে মনে হয়, উভয়ের সমষ্টি থেকে কোনও এক সত্যের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।’
(ক্রমশ)
ছবি: পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সৌজন্যে
অলংকরণ: চন্দন পাল
10th  November, 2019
মানুষ গড়ার কারিগর
সৌমিত্র চৌধুরী

 চোখের জল মুছে বাবা বলল, ‘ঠিক আছে স্যার, আপনার কথা রাখলাম। তবে ঋণ বাড়াব না। ফেল করলে ওর কিন্তু পড়া বন্ধ।’ এত দূর বলে আমাদের পিসিএম থামল। আমার চোখে বিস্ময়। জম স্যার নিজে গেল হাটখোলায়? একটু অবাক হয়েছিলাম সেদিন। কিন্তু কয়েকমাস পরে ক্লাসের সবাইকে, এমনকী গোটা স্কুলকে অবাক করে দেবার মতো ঘটনা ঘটল। অঙ্কে আশি নম্বর পেয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় চার নম্বর স্থানটা দখল করেছে প্রদীপ। বিশদ

08th  December, 2019
অথৈ সাগর

 আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

08th  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
সন্দীপ রায়চৌধুরী

 ওপার বাংলা থেকে আসা ‘বাঙাল’ ভানুকে শুধু চেহারা দেখেই নাকি ‘জাগরণ’ ছবির জন্য নির্বাচন করেছিলেন বিভূতি চক্রবর্তী। কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‘আমার ছবিতে দুর্ভিক্ষপীড়িত চিমসে চেহারার একটা চরিত্র আছে, সেটা তুমি করবে।’ বিশদ

08th  December, 2019
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পর্ব * ১
সন্দীপ রায়চৌধুরী

উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের দ্যুতিতে ভাস্বর। এই লাইনটা বললে হয়তো এক রকম অপমানই করা হয় তাঁদের। কারণ অন্যের আলোয় আলোকিত হওয়ার প্রয়োজন এঁদের কারও কখনও হয়নি। এঁরা নিজেরাই এক একজন কিংবদন্তি।   বিশদ

01st  December, 2019
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

01st  December, 2019
ফেসবুকে বনলতা
শুচিস্মিতা দেব 

আমি তপেন বাগচি। পেশাহীন এবং নেশাহীন ছাপোষা মানুষ। পেশার অভাবে নেশা করার হিম্মত হয়নি কখনও। অভিজাত পাড়ায় ঠাকুরদার আমলের দোতলা বাড়িতে বিনা পয়সার বাসস্থান। বাবা ছিলেন ব্যারিস্টার ঠাকুরদার ল ফার্মের যোগ্য উত্তরাধিকারী।   বিশদ

01st  December, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মহাকালীর কালীমঠ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

পর্ব-৩৭

হিমালয়ের পবিত্র দেবস্থানগুলি বারে বারে পরিব্রজন করলেও গুপ্তকাশীর অদূরে কালীমঠে আর যাওয়াই হয় না। তাই সেবার গৌরীকুণ্ডের পথে ত্রিযুগীনায়ারণ হয়ে গুপ্তকাশীতে এসে রাত্রিবাস করলাম। 
বিশদ

24th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৭

ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র, বিষয় ছিল রসায়ন। তিনি নিজের সম্পর্কে বলতেন, ‘আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। আচারে-ব্যবহারে, ভ্রমণে-পর্যটনে, খাদ্যে-পানীয়ে কালাপাহাড় বলিয়া পরিচিত মহলে আমার অখ্যাতি আছে; তবু আজ অস্বীকার করিতে পারি না, অলৌকিক শ্রেণীর দুইটি ঘটনার আমি সাক্ষী হইয়া আছি। 
বিশদ

24th  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

17th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
একনজরে
জম্মু, ৯ ডিসেম্বর (পিটিআই): কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর ফের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাক সেনা। সোমবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে ভারতীয় সেনার চৌকি লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায়। ...

অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: স্কুলের কাছে ‘প্রায়র পারমিশন’ (পিপি) এসে পৌঁছনোর আগেই শিক্ষক পদপ্রার্থীদের হাতে তা চলে আসছে। আর তার প্রতিলিপি নিয়েই স্কুলে যোগ দিতে চলে আসছেন শিক্ষকরা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এই ঘটনা ঘটছে। বদলির আবেদন করা শিক্ষকদের হাতে এই পিপি ...

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে চাঁচলে। এই সপ্তাহেই চাঁচলের খরবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ, ১০ ডিসেম্বর থেকে নিজেদের মার্জিনাল কস্ট অব ফান্ডস বেসড লেন্ডিং রেট বা এমসিএলআর কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই)। এক প্রেস বিবৃতিতে তারা একথা জানিয়ে বলেছে, আগে তাদের বার্ষিক এমসিএলআর ছিল আট শতাংশ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস,
১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,
১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম,
২০০১- অভিনেতা অশোককুমারের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৪ টাকা ৭২.১৪ টাকা
পাউন্ড ৯২.০৭ টাকা ৯৫.৩৭ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১১/২৬ দিবা ১০/৪৪। কৃত্তিকা ৫৯/২৯ শেষ রাত্রি ৫/৫৭। সূ উ ৬/৯/৩১, অ ৪/৪৮/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪৩ গতে ৩/৩০ মধ্যে পুনঃ ৫/১৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১০/২/৪৮ দিবা ১০/১২/৫। কৃত্তিকা ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৬/১০/৫৮, অ ৪/৪৯/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/১২ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৯/৫৩ গতে ২/৯/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/২৬ গতে ৮/৯/৩৯ মধ্যে।
 
মোসলেম: ১২ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি লন্ডনের প্যালেস অব ...বিশদ

04:28:18 PM

আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। বৃষ: অর্থভাগ্য খুব ভালো না হলেও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত স্কুলছাত্র 
চিনা মাঞ্জার বলি স্কুলছাত্র। সুতোর ধারে গলা কেটে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:20:33 PM

২৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:02:02 PM

আইলিগ: ইস্ট বেঙ্গল ৪-১ গোলে হারাল নেরোকাকে 

04:01:36 PM