Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

চিরদিনের সেই গান
শতবর্ষে মান্না দে 
হিমাংশু সিংহ

২৫ ডিসেম্বর ২০০৮। কলকাতার সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহ। একসঙ্গে আসরে প্রবাদপ্রতিম দুই শিল্পী। পদ্মভূষণ ও দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত মান্না দে ও গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। একজনের বয়স ৮৯ অন্য জনের ৭৭। মঞ্চে দুই মহান শিল্পীর শেষ যুগলবন্দি বলা যায়। সেইসঙ্গে, বাংলা গানের এক ঐতিহাসিক কালজয়ী মুহূর্ত। আমরা যারা বাংলা গানের স্বর্ণযুগের পোকা, অথচ বয়স অপেক্ষাকৃত কম হওয়ার কারণে, খুব কাছ থেকে সময়টাকে সেভাবে প্রত্যক্ষ করা হয়ে ওঠেনি, তাদের কাছে অন্তত কিছুটা সেই পুরনো ম্যাজিক উপভোগ করার সুবর্ণ সুযোগ। হঠাৎই গান চলতে চলতে একফাঁকে মান্নাবাবু বলে উঠলেন, এবার চিরদিনের সেই গানটা হবে। বলা মাত্রই শ্রোতাদের মধ্যে সে কী আলোড়ন। নিমেষে যেন ফিরে এল ফেলে আসা হাজারো স্মৃতি আর ফিসফাস, কানাকানি। অবশেষে শুরু হল সেই চিরদিনের গান। পাশে বিশ্বস্ত রাধাকান্ত নন্দী নেই। তাতে কিছু যায় আসেনা, বয়সে নবীন তবলিয়াকে নিয়েই সেই রাতে দাদরা কাহারবা ত্রিতালে আসর মাত হল। শতবর্ষ থেকে মাত্র ১১ বছর দূরে দাঁড়ানো শিল্পীর গলাটা যৌবনের সেই সোনাঝরা দিনগুলির মতো অতটা আর সাথ দিচ্ছিল না। সতেজতাও কম। দমের কষ্ট হওয়াও স্বাভাবিক। তবু শুরু হল চিরদিনের সেই গান। নচিকেতা ঘোষের অনন্য চির অমলিন সৃষ্টি ‘আমায় চিরদিনের সেই গান বলে দাও’। চিরদিনের ছায়াছবির এই গানটি রেকর্ড হয়েছিল কয়েক দশক আগে। কিন্তু, এতদিন পরেও সে গানের আবেশ যেন ফিকে হয়নি একটুও। নিঃসন্দেহে বাংলা ও বাঙালির শ্রেষ্ঠ গানগুলির অন্যতম। বার দুয়েক কথা ভুল হল। আগে পিছে হয়ে গেল সুর। ঘোর বিরক্তিতে মাথায় হাত ঠেকালেন তিনি। পাশ থেকে সন্ধ্যাদেবী অগ্রজ শিল্পীকে ভুলে যাওয়া কথাটা ধরিয়ে দিলেন। এগিয়ে দিলেন কয়েক দশক আগের পুরনো স্বরলিপিটাও। এভাবেই নিজেকে বার দুয়েক সামলে নিয়ে গানের সেই পুরনো সুর আর মেজাজটাকে আঁকড়ে ধরলেন ৯০ ছুঁই ছুঁই শিল্পী। আর ভুলচুক নয়। সেই রোমান্টিক জাদু মাখানো স্বরক্ষেপণ আর তুখোড় দরদি গায়কী তামাম বাঙালির বড় চেনা। বড় কাছের। এভাবেই কখনও অবুঝ প্রেম, দু’জনের মন দেওয়া নেওয়ার অনবদ্য আলাপন চলতে থাকে তাঁর গলায়।
তাঁর গানের সেই প্রাণ জুড়নো প্রসাদ দশকের পর দশক চেটেপুটে আস্বাদন করে যৌবন থেকে কখন প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে গিয়েছি আমরা। চুলে পাক ধরেছে। কিন্তু তবু তাঁর গলায় এখনও ‘রঙ্গিনী কত মন, মন দিতে চায়’, ‘ও আমার মন যমুনার অঙ্গে অঙ্গে ভাব তরঙ্গে কতই খেলা’ বা ‘এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি’ শুনলে মনের কোণে কী এক অব্যক্ত আবেগ উথলে ওঠে। এক লহমায় বয়সটা কমে আবার কখন যেন নিজের অজান্তে যৌবনে ফিরে যাই। কিংবা বিখ্যাত ‘শঙ্খবেলা’ ছবিতে তিনি যখন গেয়ে ওঠেন ‘কে প্রথম কাছে এসেছি, কে প্রথম ভালোবেসেছি’ (১৯৬৬) তখনও প্রথম যৌবনের দুষ্টুমিষ্টি প্রেমের আবিষ্ট করা গন্ধ গানের পরতে পরতে অনুভব করা যায়। এমন অনবদ্য ডুয়েট বাংলা গানে বড় কমই আছে। এভাবেই ‘ললিতা গো ওকে আজ চলে যেতে বল না’ থেকে ‘সুন্দরী গো দোহাই দোহাই মান কোরো না’ নিঃসন্দেহে তাঁর গলায় সমান অনন্য। আবার তাঁর গানে ভর করেই আমরা পৌঁছে যাই ভক্তি মেশানো শেষ জীবনের আর্তিমাখা উপলব্ধিতে, যা তাঁর গলায় জীবন্ত হয়ে বড় সহজে আপামর বাঙালির হৃদয় ছুঁয়ে যায়। পরতে পরতে বাঙালির আবেগকে ধারণ করা এবং গানের মাধ্যমে শুরু থেকে শেষ বাঙালিয়ানার জয়গান গাওয়া তাই মান্না দে-র গানের চিরকালীন বৈশিষ্ট্য। যার জন্য প্রয়াণের ছ’বছর পরও তিনি সাধারণ শ্রোতার কাছে এতটা জনপ্রিয়। এখনও তাঁর গান শুনলে মনে হয় তিনি কোথাও যাননি, বহাল তবিয়তে খুব কাছাকাছি কোথাও তাঁর হৃদয়ের গান সাধনায় ব্যস্ত। তাঁর গানে ধ্রুপদী গানের ওস্তাদি আছে। সুরের অসম্ভব ঝঙ্কার আছে, কিন্তু, তা বলে সুর তাল লয়ের জটিলতা দিয়ে সাধারণ শ্রোতার ধৈর্যচ্যুতি ঘটানো নৈব নৈব চ। গান নিয়ে অযথা পাণ্ডিত্য কালোয়াতি দেখানোর তুলনায় সঙ্গীতকে শ্রোতার মনের আরও কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়াই ছিল আজীবন মান্নাবাবুর সবচেয়ে বড় ইউএসপি। বাংলা গানের পাশাপাশি হিন্দি গানেও তাঁর সমান বিচরণ অবাক করে। এমনকী, বিবাহসূত্রে দক্ষিণ ভারতীয় সুলোচনা দেবীর সঙ্গে আবদ্ধ হওয়ার সুবাদে দক্ষিণ ভারতীয় গানেও তিনি যথেষ্ট সাবলীল ছিলেন। আজ যখন একটু অন্যরকম বাংলা গান নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে তখনও তাঁর দুটি গান সময়ের বিচারে ভয়ঙ্কর প্রাসঙ্গিক। ‘জীবনে কী পাব না ভুলেছি সে ভাবনা’ আর ‘হয়তো তোমারই জন্য, হয়েছি প্রেমে যে বন্য’ শুনলে বোঝা যায় সময়ের চেয়েও কখনও কখনও এই মহান শিল্পীর গান দ্রুত ছুটেছে। হিন্দি সঙ্গীতের জগতে তাঁর ছিল অবাধ বিচরণ কাকার হাত ধরে। তাঁর আশীর্বাদেই প্রবোধ চন্দ্র দে থেকে মান্না দে-তে উত্তরণ এই মহান শিল্পীর। ‘ওই মহা সিন্ধুর ওপার থেকে’, ‘স্বপন যদি মধুর এমন’ এবং ‘অন্ধকারের অন্তরেতে অশ্রুবাদল ঝরে’ — পরিণত বয়সে কাকার এই তিন কালজয়ী গান গেয়ে তিনি সার্থক গুরুদক্ষিণা দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে সমৃদ্ধ করেছিলেন নিজেকেও। পরে একে একে সলিল চৌধুরী, শচীন দেব বর্মন, শচীনপুত্র পঞ্চম, রাজকাপুর, কল্যাণজি আনন্দজি, শঙ্কর-জয়কিষাণ, কাকে ছেড়ে কার নাম বলব? সবার সুরেই তিনি অবলীলায় মুম্বই মাতিয়েছেন। মুম্বইতে ১৯৪২ সাল থেকে কাজ শুরু করলেও ১৯৫৩-তে ‘দো বিঘা জমিন’ ছবিতে সাফল্যের পর আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর একে একে — ‘শ্রী ৪২০’, ‘মেরা নাম জোকার’, ‘আনন্দ’। পরপর হিন্দি গানে মান্নাবাবুর সাফল্যের এক একটা মাইলস্টোন। ১৯৬৪ সালে রাহুল দেব বর্মন তাঁকে পশ্চিমি সুরে ‘আও ট্যুইস্ট করে’ বলে একটি গান গাওয়ান। সেটিও অসম্ভব জনপ্রিয় হয়।
আবার সেই তিনিই যখন মেজাজ বদলে অবলীলায় গেয়ে ওঠেন ‘আমি নিরালায় বসে গেঁথেছি আমার স্মরণবীণ’, ‘এই তো সেদিন তুমি আমারে বোঝালে আমার অবুঝ বেদনা’ বা পুলকবাবুর রচনা ‘তুমি অনেক যত্ন করে আমায় দুঃখ দিতে চেয়েছ’ তখন কেমন যেন মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে এক অদ্ভুত অন্ধকার বিষাদে ডুব দেয়। কিংবা তাঁর গলায় শোনা আর এক ক্ল্যাসিক ‘মার স্নেহ কাকে বলে জানি না, বাবার মমতা কী বুঝতে না বুঝতে এ বিরাট পৃথিবীকে........ সে আমার ছোট বোন’ শুনলেই একটা আটপৌরে মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের যত্নে সাজানো উঠোনটাকে দেখতে পাই, যা ক্রমেই আমাদের থেকে অনেক দূরে সরে গিয়ে আজ আমাদের বড্ড একা করে দিচ্ছে। আবার ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ শুনতে শুনতে প্রত্যেক বাঙালি তাঁর আশপাশের অমল, সুজাতা, মইদুলদের মতো স্বপ্নভঙ্গ হওয়া মানুষদের খুঁজে নেয় তার চারপাশেরই চেনা বৃত্তে। জীবনের চলার পথে এরকম হাজার সম্ভাবনার মৃত্যু আমরা দেখে চলেছি প্রতিনিয়ত, মান্নাবাবুর গানে যেন তারই প্রতিধ্বনি। এভাবেই তাঁর গানে মূর্ত হয় মানবিক সম্পর্কের চড়াই উতরাই পেরনো এক গড় বাঙালির নির্ভেজাল প্রেমিক সত্তা থেকে অভিমান ভরা বিরহ। হাজারো সাফল্য-ব্যর্থতা পার হয়ে জীবনের শেষ প্রান্তে মায়ের মন্দিরে একটু বসার জায়গা পাওয়ার আকুল আর্তি। কখনও আবার সেই শিল্পীর গলাতেই ‘আমি দু’চোখ ভরে ভুবন দেখি, মায়ের দেখা পাই না, আমি হাজার গান তো গেয়ে বেড়াই মায়ের গান তো গাই না’ বলে বুকফাটা আক্ষেপ বেরিয়ে আসে। বাঙালি জীবনের সব ঋতুর সব অনুভবের মশলা মজুদ তার গানে। আসলে গানের মাধ্যমে যৌবনকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং চাওয়া পাওয়ার অদ্ভুত আবর্তের মন কাড়া রসায়নটাই বাঙালি জীবনে শিল্পী মান্না দে-র গানের সবচেয়ে বড় প্রভাব বলে আমার বিশ্বাস। কিছুতেই যেন শিল্পীর বয়স বাড়ে না। বোঝাই যায়না দশকের পর দশক বাঙালির মনোরঞ্জন করে তিনি সত্যি কখন আপামর সঙ্গীতপিপাসুকে কাঁদিয়ে নিজেই সকলের অজান্তে বিদায় নিয়েছেন। নাকি তাঁর এ চলে যাওয়া শুধুই চোখের, মনের ভুল। সত্যি হয়ত আগের মতোই তিনি এখনও একইরকমভাবে পরপারে গিয়েও অজানা কোনও সুরলোকে তাঁর পছন্দের হারমোনিয়ামটা সামনে ধরে সুর সাধনায় মগ্ন। একের পর এক গান গেয়ে চলেছেন হারমোনিয়াম না থামিয়ে। পাশে কোনও ওস্তাদ তবলিয়া। তবু খুঁতখুঁতে শিল্পী বারবার মাথা ঝাঁকাচ্ছেন ঠেকাটা ঠিকমতো হচ্ছে না বলে। এভাবেই তাঁর গান চিরদিন এক যৌবনোচ্ছ্বল মেজাজি আপাদমস্তক বাঙালির ছবিকেই তুলে ধরে, তাই এই শতবর্ষেও তিনি তরতাজা যুবক হয়েই আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় উজ্জ্বল। নব্বই বছরের আশপাশেও জন্মদিনে তাঁকে এই শহরে অনুষ্ঠান করতে দেখা গিয়েছে সুঠাম শরীরে। গান শুরুর আগে বাল্যবয়সে শরীরচর্চা ও কুস্তির আখড়ায় তাঁর হাতেখড়ি হয়েছিল। সেই শরীরচর্চার ছাপ তাঁর মধ্যে শেষদিন পর্যন্ত দেখা গিয়েছে। গোয়াবাগানে গোবর পালওয়ানের আখড়ায় তাঁর নিয়মিত কুস্তি শিক্ষা চলত। স্কটিশচার্চ কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনার ফাঁকেই ময়দানের খেলার মাঠও তাঁকে টানত। পরে গান গাওয়ার সুবাদেই তিনি হয়ে ওঠেন বিখ্যাত সুরকার শচীন দেব বর্মনের অত্যন্ত কাছের। তাঁদের সেই সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঈর্ষণীয়। ফুটবল মাঠে ইস্টবেঙ্গল সমর্থক শচীনকর্তাকে নিয়ে ছুটে যাওয়া ও খুনসুটি ছিল তাঁর অত্যন্ত প্রিয় আড্ডার বিষয়। বাঙালির ফুটবলের সঙ্গে নিবিড় যোগের অসামান্য উৎসব তার ‘সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল’ গানটিতে। যা আজও গড় বাঙালির কাছে ফুটবল মাঠের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবেই পরিচিত।
গানের কথা আর বক্তব্যের শালীনতার ব্যাপারে তিনি কতটা সংবেদনশীল ছিলেন তার একটা আন্দাজ পাওয়া যায় একটি ঘটনায়। তাঁর অত্যন্ত স্নেহের শিল্পী কবিতা কৃষ্ণমূর্তি একবার মান্নাবাবুর বাড়িতে এসে বললেন একটা গান তাঁর গলায় খুব হিট হয়েছে। মান্নাবাবু জানতে চাইলেন গানটা কী? কবিতা গেয়ে শোনাতেই মান্নাবাবু রেগে গেলেন। গানটা ছিল ‘তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত’। ক্ষুব্ধ মান্নাবাবু বললেন তুমি নিজে মহিলা হয়ে আর একজন মহিলাকে ‘চিজ’ বলে সম্বোধন করছ! আত্মজীবনীতে শিল্পী লিখেছেন, তাঁর তিরস্কারে কবিতা দেবী সেদিন কেঁদে ফেললেও পরে মান্নাবাবুর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। আত্মজীবনীতে শিল্পী লিখছেনও সেই কথা।
স্ত্রী সুলোচনা দেবীর সঙ্গে মান্না দে-র প্রেম কিন্তু একটি অসম্ভব জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীতকে ঘিরে। একটি অনুষ্ঠানে দু’জনের গানটি একসঙ্গে গাওয়ার কথা ছিল। ‘আমি তোমারও সঙ্গে বেঁধেছি আমারও প্রাণ সুরের বাঁধনে’। সেই গানের রিহার্সালেই সম্পর্কের শুরু। তারপর কখন সুরের বাঁধন জীবনের বাঁধনে পরিণত হল তা ইতিহাস। লতা মঙ্গেশকর ও কিশোর কুমারের সঙ্গে মান্নাবাবুর ডুয়েট গানের কথা আজ স্মরণ না-করলেই নয়। কিশোরের সঙ্গে ‘চতুর নার’ আর ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে’। লতাজির সঙ্গে ‘প্যার হুয়া ইকরার হুয়া’। এরপর প্রায় পাঁচ দশক এই অনন্য সাধারণ শিল্পীর স্টিয়ারিং ধরা ছিল সুলুদেবীর হাতেই। সেই গানের মণিমুক্তোর সম্ভারের মধ্যে দুটি গানের উল্লেখ এখানে না-করলেই নয়। ‘লাগা চুনরি মে দাগ’ আর ‘বাজেরে পাওলিয়া। মুম্বইয়ে নিজের মনের মতো একটা বাড়ি করেছিলেন। নাম ‘আনন্দন’। জমি দেখা থেকে বাড়ির নকশা সবই হয়েছিল স্ত্রী সুলোচনা দেবীর নিখুঁত পরিকল্পনায়। দু’জনেরই নজর ছিল যাতে মিউজিক রুমটা বড় হয়, মনের মতো হয়। যেখানে বসে একমনে নিভৃতে সঙ্গীতসাধনায় ডুবে থাকতে পারবেন তিনি। হয়েও ছিল তাই। অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী ওই বাড়ি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেই বাড়ি ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে ফিরতে হয় তাঁকে। নিজের প্রাণের চেয়েও আপন ‘আনন্দন’ ছেড়ে আসা শিল্পীকে ভয়ঙ্কর আহত করেছিল। সে-কথা তিনি লিখেও গিয়েছেন। সেই জায়গায় আজ সুউচ্চ অট্টালিকা। কত মধুর গানের স্মৃতি চাপা পড়ে আছে তার নীচে তা কে জানে! বেঙ্গালুরুতেই ২০১২ সালে শিল্পী-পত্নী সুলোচনা দেবী কঠিন অসুখে মারা যান। তাঁর প্রয়াণের পর মান্নাবাবুর শরীরও ভেঙে পড়ে। এর পরের বছরই অগণিত মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতা ও ভক্তকে চোখের জলে ভাসিয়ে ইহলোক ছেড়ে শিল্পী ‘সুরলোকে’ যাত্রা করেন। সম্ভবত হেমন্তকুমার, কিশোর কুমারকে ছেড়ে দিলে বাংলার আর কোনও শিল্পী জাতীয় স্তরে এতটা সুনাম ও প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে পারেননি। আজ তাঁর প্রয়াণের ছ’বছর পর যখন তাঁর জীবনের জলসাঘরে প্রবেশের শতবর্ষ পালিত হচ্ছে তখনও তিনি আমাদের স্মৃতিতে একইরকম জীবন্ত ও প্রাসঙ্গিক।
জীবনের জলসাঘরে মান্না দে-র প্রবেশ ১ মে ১৯১৯ সালে। শুধু দেশ তখনও স্বাধীনতা পায়নি তাই নয়, ভয়ঙ্কর জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার মাত্র ১৮ দিন পর সেই উত্তাল সময়ে শিল্পীর জন্ম। তাঁর মাতা-পিতার নাম মহামায়া দে ও পূর্ণচন্দ্র দে। কিন্তু, সঙ্গীতে তাঁকে নিয়ে আসা এবং পূর্ণাঙ্গ একজন শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার কাজ করেছেন তাঁর স্বনামধন্য কাকা কৃষ্ণচন্দ্র দে। মূলত কাকার উৎসাহ আর সহযোগিতার জোরেই ১৯৪২-এ মান্নাবাবুর মুম্বই পাড়ি। সেইসঙ্গে খুলে গেল ভারতীয় সঙ্গীতের দরজা, যা তাঁকে একজন পূর্ণ শিল্পী হতে সাহায্য করেছে। ভরিয়ে দিয়েছে অভিজ্ঞতার ঝুলি। মুম্বই তাঁকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। একজন সর্বভারতীয় শিল্পী হিসেবে মহম্মদ রফি, কিশোর কুমার, লতা, আশা, মুকেশদের সঙ্গে একাসনে বসিয়েছে। একজন বাঙালি শিল্পী হিসেবে এ বড় কম কথা নয়। তাঁরই সমসাময়িক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন অত্যন্ত সুরেলা সোনাঝরা রোমান্টিক কণ্ঠের অধিকারী। কে বড় ছিলেন তা নিয়ে এখনও চর্চা চললেও এভাবে দুই কালজয়ী শিল্পীর তুলনা টানা অসমীচীন। যতদিন বাংলা গান থাকবে, মান্না দে আমাদের হৃদয়ে অক্ষয় হয়ে থাকবেন।
মান্নাবাবু যে মাপের শিল্পী, মৃত্যুর পর তাঁকে আমরা সেই যোগ্য সম্মান কিন্তু দিতে পারিনি। তাঁর অন্ত্যেষ্টিও হয়েছে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে — ভক্তদের ফাঁকি দিয়ে। তাই এই শতবর্ষে মান্না দে-কে নিয়ে, তাঁর গান নিয়ে একটি ট্রাস্ট গড়ে গবেষণা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক। না-হলে পরের প্রজন্ম এই বিশাল ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত থেকে যাবে। সেইসঙ্গে বিডন স্ট্রিট থেকে হেঁদোর মোড়ের মধ্যে তাঁর একটি আবক্ষ মূর্তি বসিয়ে ওই রাস্তাটির নাম রাখা হোক মান্না দে সরণি। এ-ব্যাপারে কলকাতা পুরসভা তথা রাজ্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। বঙ্গদেশে সহসা তাঁর মতো শিল্পীর দেখা মিলবে না। মেলেনি আজও। এত শিল্পী উঠে আসছেন, তাঁদের সাঙ্গীতিক প্রতিভা, গানের শিক্ষা এবং তালিম অসাধারণ। কিন্তু কেউই মান্না দে-র সমকক্ষ হতে পারেননি। মুম্বইতে রাজ-করা যাকে বলে, মান্নাবাবুর পর দাপটের সঙ্গে আর কোন বাঙালি কণ্ঠ কি তা পেরেছে? তাই এই শতবর্ষের প্রাকমূহূর্তে তাঁকে আমার শতকোটি প্রণাম।  
28th  April, 2019
মাসুদনামা

অবশেষে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহার। ভারতের কূটনীতির কাছে পরাস্ত চীন এবং পাকিস্তান। কীভাবে উত্থান হল তার? রাষ্ট্রসঙ্ঘের সিদ্ধান্তে মোদির লাভই বা কতটা হল? লিখলেন শান্তনু দত্তগুপ্ত
বিশদ

12th  May, 2019
কবিতর্পণ 

তিনি রবীন্দ্রনাথের বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রপৌত্রী। জোড়াসাঁকো ও শান্তিনিকেতনে শৈশব কাটানোর সুবাদে কবিগুরুকে খুব সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর। যদিও শৈশবের বেশিরভাগ স্মৃতিই কালের নিয়মে ঢাকা পড়েছে ধুলোর আস্তরণে। তবুও স্মৃতির সরণিতে কিছু ঘটনা ইতিউতি উঁকি মেরে যায়। একসময়ে নিজে অভিনয় করেছেন সত্যজিৎ রায়, তপন সিংহের মতো পরিচালকদের ছবিতে। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মঞ্চেও। আজ তিনি অশীতিপর। আরও একটি পঁচিশে বৈশাখের আগে ঠাকুরবাড়ির কন্যা স্মিতা সিংহের কবিতর্পণের সাক্ষী থাকলেন বর্তমানের প্রতিনিধি অয়নকুমার দত্ত। 
বিশদ

05th  May, 2019
রাজনীতির ভাগ্যপরীক্ষা
আকাশদীপ কর্মকার

 এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে মুখ্য আলোচিত বিষয় লোকসভা নির্বাচন। রাজনীতিকদের ভাগ্যপরীক্ষা। এই নির্বাচনে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি ভাগ্য পরীক্ষা দেশের হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদেরও।
বিশদ

21st  April, 2019
প্রতীক বদলে ডিজিটাল ছোঁয়া
দেবজ্যোতি রায়

সাহিত্য বা লেখালিখিতে সর্বদা সময়ের দাবিই উঠে আসে। প্রতিফলিত হয় তৎকালীন সময়ের পটভূমি, চরিত্র, চিত্রায়ন। অতীতেও হয়েছে, আধুনিক বা নব্য আধুনিক যুগও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে আধুনিক সাহিত্য বা পটভূমির একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম।
বিশদ

21st  April, 2019
শতবর্ষে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি প্রতিবাদ সভায় জেনারেল ডায়ার বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন। এ বছর ওই হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর। সেদিনের ঘটনা স্মরণ করলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

14th  April, 2019
প্রথম ভোট
সমৃদ্ধ দত্ত

সকলেই চাইছে লাঙল। ১৯৫১ সালের ১ জুলাই। রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন মিটিং ডেকেছেন। নির্বাচনী প্রতীক বন্টন করা হবে। প্রতিটি দলকে বলা হয়েছিল আপনারা নিজেদের পছন্দমতো প্রতীক নিয়ে আসবেন সঙ্গে করে। সেটা প্রথমে জমা নেওয়া হবে। তারপর স্থির করা হবে কাকে কোন প্রতীক দেওয়া যায়। কিন্তু, মিটিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। কারণ প্রায় সিংহভাগ দলেরই পছন্দ লাঙল। কেন?
বিশদ

07th  April, 2019
সিনেমার রাজনীতি
শাম্ব মণ্ডল

সেদিন পোডিয়ামে উঠেই শ্রোতাদের চমকে দিয়ে একটা ডায়লগ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি: ‘হাও ইজ দ্য জোশ?’ এক মুহূর্ত দেরি না করে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে সমস্বরে উত্তর এসেছিল ‘হাই স্যর!’ যিনি ডায়লগটা শ্রোতাদের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২০ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমা-র উদ্বোধনে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখেও তখন ‘উরি’র ক্রেজ।
বিশদ

31st  March, 2019
ভোট মানেই তো
স্লোগানের ছড়াছড়ি
কল্যাণ বসু

ভোটের মাঠে হরেক রকমের সুর। স্লোগানে মেলে ছড়ার ছন্দ। গ্রাম-শহরের অলি-গলি ছাপিয়ে রাজপথে মাইকে ভাসে সেই ছন্দময় স্লোগান। চলে স্লোগান নিয়ে শাসক-বিরোধীর আকচা-আকচিও। বহু স্লোগান দাগ কেটে যায় দেশের মাটিতে। বহুকাল টিকে থাকে তার স্মৃতিও। দেশের সৈনিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৯৬৫ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর স্লোগান ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ আজও তো কত ইতিহাসের সাক্ষী। 
বিশদ

31st  March, 2019
স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভারতের ভোট
ব্যবস্থার রূপকার সুকুমার সেন
অভিজিৎ দাস

রাস্তাঘাটের দুর্বিষহ দশা। কোথাও আবার রাস্তাই নেই। বিস্তর ঝক্কি পেরিয়ে প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছনো। দেশের সিংহভাগ জায়গা টেলি যোগাযোগের বাইরে। এখনও বাকি পড়ে রয়েছে বহু কাজ। তার মধ্যেই বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হল। তাতে চোখ বুলিয়ে আঁতকে উঠলেন এক বঙ্গসন্তান।
বিশদ

24th  March, 2019
বদলে যাওয়া
ভোট
রজত চক্রবর্তী

 নির্বাচন গ্রামে-গঞ্জে-মফঃস্বলে আগে উৎসবই ছিল। তোরঙ্গ থেকে পাট ভাঙা শাড়ি পরতেন মা-মাসিরা। সেখান থেকে প্রচারে চলে এল ক্যাপশান, ‘গণতন্ত্রের মহান উৎসব নির্বাচন’। এই প্রচারের উল্টোপিঠে ছিল আরও একটি প্রচার। ‘নির্বাচন কোনও উৎসব নয়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাবার পদ্ধতি’।
বিশদ

24th  March, 2019
লাগল যে দোল
সন্দীপন বিশ্বাস

বসন্তের প্রকৃতিজুড়ে রংয়ের ঝরনাধারা। শিমুলে, পলাশে সে কী শিহরণ! হৃদয়জুড়ে জেগে ওঠে আকুলতা। রাধার হৃদয়েও জাগে তীব্র প্রত্যাশা। তাঁর মন যেন বলে ওঠে, মাধব, তুমি কোথায়! আমার এই শ্যামহীন বিবর্ণতা মুছে দাও তুমি তোমার স্পর্শে। তোমার স্পর্শেই আছে পৃথিবীর অনন্ত রং। সেসব ছড়িয়ে পড়ুক আমার শরীরে, অন্তরে।
বিশদ

17th  March, 2019
পুরাণে ও ইতিহাসে হোলি

আমরা বলি দোল। উত্তর ভারতের লোকেরা বলেন হোলি। এই হোলি শব্দটি এসেছে হোলিকা থেকেই। হোলিকা হল পুরাণের এক চরিত্র। সে ছিল দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর বোন। স্বভাবে সে ছিল অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির। হিরণ্যকশিপু ছিলেন বিষ্ণুর বিরোধী। তাঁর ছেলে প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর পরম ভক্ত।  বিশদ

17th  March, 2019
বেলুড় মঠে দোল

ফাগুন সেজে ওঠে পলাশের রংয়ে। শীতের শুষ্কতা এবং গ্রীষ্মের রুক্ষতার মাঝে এ এক নির্মল প্রাকৃতিক আনন্দের সময়কাল। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হয় রং খেলা। অন্যান্য জায়গার মতো বেলুড় মঠেও দোল খেলা হয়। সকলে ফাগের আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু সেই মেতে ওঠাটার ভিতরে মিশে থাকে অন্য এক তাৎপর্য।
বিশদ

17th  March, 2019
 ওয়ার রুম

গোটা ভারত উত্তাল। পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে। মুখের মতো। সাউথ ব্লক। ভারত তথা দিল্লির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং। এটাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স চিফদের অফিস, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর অজিত দোভালের দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চেম্বার। সেকেন্ড ফ্লোর।
বিশদ

10th  March, 2019
একনজরে
 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

 সংবাদদাতা, মালবাজার: ফুল ঝাড়ুকেই এখন প্রধান অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে বেছে নিয়েছেন কালিম্পং জেলার গোরুবাথান ব্লকের সামসিং ফরেস্ট কম্পাউন্ড বস্তির কয়েকশ চাষি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সকলেই এখন ঝাড়ুকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। কারণ ঝাড়ু ফলিয়ে তাঁরা এখন বেশি লাভের মুখ দেখছেন। একবার ...

বীরেশ্বর বেরা, কলকাতা: বালিগঞ্জ ফার্ন রোডের অভিজাত এলাকায় সাদা রঙের দোতলা বাড়ির বাসিন্দা মিতা চক্রবর্তী। এবার তিনি কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়ালেও ...

  বিএনএ, বর্ধমান: স্ট্রংরুম পরিদর্শনে গিয়ে লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের এজেন্টরা তার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবেন না। প্রার্থীদের এজেন্টরা পরিচয়পত্র নিয়ে নিয়মিত স্ট্রংরুম ভিজিটে যান। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, প্রেমিসেস থেকে বেশকিছুটা দূরে একটি ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনির জন্ম
১৯৭৫: প্রথম মহিলা হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন জুঙ্কো তাবেই
১৯৭৮: অ্যাথলিট সোমা বিশ্বাসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৪৯ টাকা ৭১.১৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৮১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৮/৮ দিবা ৮/১৬। চিত্রা ৫৮/১০ রাত্রি ৪/১৬। সূ উ ৫/০/৮, অ ৬/৫/৪৪, অমৃতযোগ দিবা ৩/২৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৫/৩২/৪৭ দিবা ৭/১৩/২৬। চিত্রানক্ষত্র ৫৭/১১/১৩ রাত্রি ৩/৫২/৪৮, সূ উ ৫/০/১৯, অ ৬/৭/১৫, অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৪ গতে ৬/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ২/৪ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/০ মধ্যে, বারবেলা ৪/২৮/৫৩ গতে ৬/৭/১৫ মধ্যে, কালবেলা ২/৫০/৩১ গতে ৪/২৮/৫৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৩৩/৪৭ গতে ১২/৫৫/২৫ মধ্যে।
১০ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: উচ্চশিক্ষায় সাফল্য। বৃষ: উচ্চপদস্থ ব্যক্তির আনুকূল্যে কর্মক্ষেত্রে প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা ...বিশদ

07:03:20 PM

ঝড়-বৃষ্টিতে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ডুবল জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ি শহরের বিস্তীর্ন অংশ ডুবে রয়েছে অন্ধকারে। সন্ধ্যা থেকে ঝড়-বৃষ্টির ...বিশদ

08:10:08 PM

ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

07:27:00 PM

বিমান সংস্থার উপর চটলেন শ্রেয়া
বিমানে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয় সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালকে। ...বিশদ

06:21:47 PM

ভোটের দিন গরম বাড়বে
উত্তর বঙ্গের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভোটের দিন কিন্তু ...বিশদ

06:10:39 PM