শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
মহানবমীতে বলিদানের বিধান দৃষ্ট হয়। এই বলিদান প্রসঙ্গে প্রখ্যাত সাধক মনীষী মহানামব্রত ব্রহ্মচারী তাঁর কালজয়ী ‘চণ্ডীচিন্তা’ গ্রন্থে এক অনুপম ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘মায়ের শ্রীকরে কিছু উপহার দিতে হইবে। সুরথ রাজা ‘নিজগাত্রাসৃগুক্ষিতং’ দ্রব্যাদি দিয়াছেন। নিজগায়ের রক্তমাখা দ্রব্যাদি। আমরা কথায় বলি ‘গায়ের রক্ত’ অর্থাৎ সর্বাপেক্ষা প্রিয় বস্তু, বহু কষ্টার্জিত বস্তু মাকে দিতে হয়। যাঁহারা রাজসিক বা তামসিক পূজা করেন তাঁহারা বলির দ্রব্য বলিতে বুঝেন একটি নিরীহ চতুষ্পদ প্রাণী। যাঁহারা সাত্ত্বিক তাঁহারাও একটি চতুষ্পদ প্রাণী আনেন— ওই প্রাণীটির পা হইল মন, বুদ্ধি, চিত্ত ও অহংকার। এই চতুষ্পদ বিশিষ্ট নিজ অন্তঃকরণটি তাঁহারা মাকে দিয়া দেন।’
আবার অনেক জায়গায় মহাষ্টমী ও মহানবমীর মধ্যরাত্রে বলিদানের মাধ্যমে রহস্য পূজা রীতিসিদ্ধ। শারদীয়া দুর্গাপূজায় অধিষ্ঠিতা এই আদ্যাশক্তি মহামাতার বিশেষ পূজা-অর্চনা চলে মহা সমারোহে। এক এক দিনে আকর্ষণীয় বেশ নানারূপে পরিদৃষ্ট হয়।
শারদ মহাষ্টমী ও মহানবমীর মহানিশায় সম্পাদিত হয় দেবীর রহস্য পূজা। দুটি করে মেষবলি ও আমিষ ভোগ শাস্ত্র আচারে নিবেদিত হয় বিমলা মায়ের মনোবাঞ্ছায়। এই রহস্য পূজার সময় মন্দিরের পুরোহিতরা থাকেন অনুপস্থিত। উষালগ্নের আগেই এই বলিপ্রথা উদ্যাপন করতে হয়। এই পুজো হয়ে গেলে তবেই মন্দিরের দ্বার খোলা হয়।