শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
মৃতার মা মিতা দাস বলেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপরে অত্যাচার চালানো হত। মাঝেমধ্যেই ও আমার কাছে চলে আসত। আবার ওকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হতো। আমার মেয়েকে ওরাই মেরে ফেলেছে। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। গৃহবধূর শাশুড়ি চিন্ময়ী পাত্র বলেন, ও আত্মহত্যা করেছে। প্রতিদিনই ছেলের সঙ্গে ঝগড়া করতো, কোনও কথা শুনত না। আমরা কোনও অত্যাচার করিনি। ঘটনার পরপরই এলাকায় গিয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলার সুদীপা মিত্রের স্বামী সঞ্জীব মিত্র। শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা প্রাক্তন কাউন্সিলার সঞ্জীববাবু বলেন, উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করেছে। আসলে খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা সেই কারণেই জনতা ক্ষুব্ধ হয়েছিল। প্রতিবেশীদের কাছে শুনেছি, ওই বাড়ির বউ হিসাবেই প্রতিবেশীরা মেয়েটিকে চিনতই না। তারা জানত ও বাড়ির ভাড়াটে। ফলে পরিবেশটা সহজেই অনুমান করা যায়। যা হোক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। পুলিস ওই বাড়ির দু’জনকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে। চুঁচুড়া থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে চন্দননগরের ফটকগোড়ার বাসিন্দা রিয়া দাসের সঙ্গে মিয়ারবেড়ের দেবজ্যোতি পাত্রর বিয়ে হয়। দু’জনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। গরিব পরিবারের রিয়াকে নিয়ে প্রথম থেকেই ছেলের বাড়িতে সমস্যা তৈরি হয়। পাশাপাশি দেবজ্যোতি নিজেও নেশায় আসক্ত বলে জানা গিয়েছে। দেবজ্যোতির বাবা ও মা দু’জনেই সরকারি চাকুরে। এই পরিস্থিতিতে নিত্য পারিবারিক অশান্তি ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই ফের পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়।
সোমবার দুপুরে গৃহবধূর শাশুড়ি বেয়ানকে ফোন করে বলেন যে রিয়া ঘরের দরজা খুলছে না। তখনই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে দেখেন মেয়ে পাখা থেকে ঝুলছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ জনতা ওই বাড়িতে দেদার ভাঙচুর চালায়। ঘটনার সময় ছেলে ও তার বাবা বাড়িতে ছিল না। আতঙ্কে চিন্ময়ী পাত্র ও তার মেয়ে একটি ঘরে লুকিয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে পুলিস এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।