শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
পরে সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ফায়ার লাইসেন্স ফি কমিয়ে দেওয়া হল। তিনি মনে করেন, দমকল রাজস্ব আদায়ের দপ্তর নয়। রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আর্ট গ্যালারি প্রভৃতির জন্য এতদিন ফায়ার লাইসেন্স ফি দিতে হতো প্রতি বর্গ মিটারে ৫৩.৮ টাকা। তা কমিয়ে করা হল প্রতি বর্গমিটারে ৪.৩৫ টাকা। হাসপাতাল সহ সমগোত্রীয় ক্ষেত্রে বর্তমানে লাইসেন্স ফি দিতে হয় প্রতি বর্গমিটারে ৮০.৭ টাকা। তা কমিয়ে করা হল ৬.৫২ টাকা। বন্দর, বিমানবন্দর, শপিং মলের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ফায়ার লাইসেন্স ফি দিতে হয় ১০৭.৬০ টাকা। তা কমিয়ে করা হল ৮.৭ টাকা। ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের ইউনিটের জন্য এখন ফায়ার লাইসেন্স দিতে হয় প্রতি বর্গমিটারে ১৬১.৪০ টাকা। তা কমিয়ে করা হল ১৩.৫ টাকা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ২০১৭ সালের তুলনায় ৯২ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হল। ২০০৫ সালের তুলনায় অল্প কিছু বেড়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সাল থেকে যা ফি ছিল, তার থেকে ১০.৬৮ গুণ বেড়েছে ২০১৭ সালে। এক ধাক্কায় দশগুণের বেশি বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ী ও শিল্পমহলে নাড়াচাড়া পড়ে যায়। বণিকসভা ও শিল্পপতিদের প্রতিনিধিরা দমকল দপ্তরকে তাদের আপত্তির কথাও জানান। কিন্তু বিষয়টি দমকলের দপ্তরের অধীনে নয় বলে তারাও জানিয়ে দেয়। দমকল দপ্তরের পক্ষ থেকে শিল্পপতি ও বণিকসভার প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ফি পরিকাঠামো তৈরি করে অর্থদপ্তর। এ ব্যাপারে অর্থদপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে।
বিভিন্ন শিল্পসংস্থার প্রতিনিধিরা নবান্ন সভাঘরে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফায়ার লাইসেন্স ফি স্ট্রাকচার নিয়ে আপত্তির কথা জানান। কয়েকজনও এ ব্যাপারে ক্ষোভও জানান। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, আমি শুনেছি, ফায়ার লাইসেন্স ফি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমি বিষয়টি দেখছি। এরপরই তিনি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং মুখ্যসচিব মলয় দে’কে বিষয়টি পর্যালোচনা করে কিছুদিনের মধ্যে নতুন ফি কাঠামো তৈরির নির্দেশ দেন। সেই মতো আলোচনাও হয়। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র তাঁর দপ্তরের অফিসার এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও তাঁর দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন। সেখানে নতুন ফি কাঠামো তৈরি হয়। যেখানে সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।