শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার এই শিলিগুড়ি শহর বাণিজ্যনগরী হিসাবে পরিচিত। এই শহরে ছোট-বড় মিলিয়ে অসংখ্য দুর্গাপুজো কমিটি রয়েছে। বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলির মধ্যে এনজেপি সেন্ট্রাল কলোনি দুর্গা পুজো কমিটি অন্যতম। এবার এখানকার পুজো ৫৭তম বর্ষে পদার্পন করছে। পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর এই পুজোর বাজেট ছিল প্রায় ৩০লক্ষ টাকা। এবার তা কমিয়ে করা হয়েছে ২৫লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সহ সভাপতি পার্থ দে বলেন, বাজারে এখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। চাঁদা সংগ্রহের সময় বাসিন্দারা বলছেন, হাতে টাকা নেই। এখন চাঁদা দিতে পারব না। তাছাড়া, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছ থেকে আগের মতো বিজ্ঞাপনও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই গত বছরের থেকে এবার বাজেটে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা কমানো হয়েছে।
শহরের আরএকটি বিগ বাজেটের পুজো কমিটি হল সুব্রত সংঘ। দেশবন্ধুপাড়ার এই পুজোর বয়স ৬২বছর। শহরের এই এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাই সরকারি চাকরিজীবী। এবার এই পুজো কমিটিও অস্বাভাবিক হারে বাজেট কমিয়েছে। পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর এই পুজোর বাজেট ছিল প্রায় ৩০লক্ষ টাকা। এবার তা কমিয়ে করা হয়েছে ২৫লক্ষ টাকার আশপাশে। পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের মধ্যে পার্থ সাহা বলেন, এখানকার পুজো মূলত স্পনসরশিপ-নির্ভর। আগে যেসব সংস্থা বিজ্ঞাপন বাবদ ২০ হাজার টাকা দিত, এবার সেই সব সংস্থা বিজ্ঞাপন বাবদ ১০-১৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। তাই পুজোর বাজেট কমানো হয়েছে। তবে, সারা বছর ক্লাবের সদস্যদের কাছ থেকে মেম্বারশিপ চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। সেই অর্থ পুজোর কাজে লাগানো হয়। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এবার অনুদান বাবদ ২৫ হাজার টাকা এবং পর্যটন দপ্তরের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ কিছু টাকা পাব। তা দিয়ে বাজেট কিছুটা মেক আপ দেওয়া হবে।
শহরের উল্লেখযোগ্য পুজো কমিটির মধ্যে উজ্জ্বল সংঘ অন্যতম। গত বছর এই পুজোর বাজেট ছিল প্রায় ১৮লক্ষ টাকা। এবার সামান্য কমিয়ে ১৭লক্ষ টাকা করা হয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, ইচ্ছা থাকলেও বাজেট বাড়ানোর সাহস পাইনি। কারণ বাজারের অবস্থা খুব খারাপ। তবে, ক্লাবের সদস্যদের কাছ থেকে মাসে মাসে ৩০, ৫০ ও ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়। সেই টাকা থাকায় কিছুটা সুবিধা হয়েছে।
শহরের শক্তিগড় সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির অবস্থাও একই রকম। পুজো কমিটির সহ সম্পাদক রাজু সাহা বলেন, গত বছর ১৪-১৫লক্ষ টাকার মতো বাজেট ছিল। এবার তা সামান্য বাড়ানো হয়েছে।