Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অসহিষ্ণুতা
জিষ্ণু বসু

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭০ সাল। অতি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন পরীক্ষা বয়কটের ডাক দিয়েছে। কেন? কী কারণ? কারণটা অদ্ভুত। কাউকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এক সিংহহৃদয় মানুষ। অধ্যাপক গোপালচন্দ্র সেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের প্রবাদপ্রতিম অধ্যাপক এই ছাত্রদরদি মানুষটি অস্থায়ীভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। অধ্যাপক সেন বলেছিলেন, পরীক্ষা হবেই। যারা পরীক্ষা দিতে চায় তারা নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দেবে। তিনি পরীক্ষা নিয়েছিলেন এবং সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় দুর্গাপুজোর ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে পরীক্ষার মার্কশিট দিয়েছিলেন।
সেই অপরাধে ১৯৭০ সালের ৩০ ডিসেম্বর যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হত্যা করা হয় গোপালচন্দ্র সেনকে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সক্রিয় সদস্য রানা বসুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে উপচার্যকে খুনের। পিছন থেকে ছুরির আঘাতে ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান গোপালচন্দ্র সেন। আর ধনী ডাক্তার বাবার ক্ষমতার কারসাজিতে কানাডায় পালিয়ে যান অতি বিপ্লবী রানা বসু। আচ্ছা, রানা যে নিকৃষ্টতম কাজটি করেছিলেন সেটা কি কেবল তাঁর অল্প বয়সের হঠকারিতা? না কি কেউ পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় প্ররোচনা দিয়ে ধীরে ধীরে তাঁর মাথায় বিষ ঢুকিয়েছিল? তার নাম ‘অসহিষ্ণুতা’!
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সাল। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কে পি বসু সভাগৃহে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেইসঙ্গে বক্তৃতামালা—‘স্বাধীন ভারতে গণতন্ত্রের স্বরূপ’। আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক অচিন্ত্য বিশ্বাস, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দিলীপকুমার দুবে, শিল্পী অগ্নিমিত্রা পল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এবিভিপি-কে বা বিজেপি-কে কারও অপছন্দ হতেই পারে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তৃতা দেওয়ার অধিকার থাকবে না? তাঁকে ঘিরে ধরে জামাকাপড় ছিঁড়ে দিয়ে হেনস্তা করা হবে? কত বামপন্থী বক্তা ভারতের কত বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, তাঁদের মতামত রাখেন, সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও বামপন্থীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু, বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গে যে অসভ্যতা যাদবপুরে করা হয়েছে সাম্প্রতিককালে ভূভারতে এর উদাহরণ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা এই উচ্ছৃঙ্খল অসহিষ্ণুদের বোঝাবার চেষ্টা করেছেন, উপাচার্য বলেছেন, আচার্য স্বয়ং এসেছেন। কিন্তু প্রতিবাদী ছাত্রদের কেউ কথা শোনেননি। তাঁরা বলেছেন, বাবুল সুপ্রিয়কে ক্ষমা চাইতে হবে। কেন? বাবুল কী অপরাধ করেছেন? যাদবপুরে অবামপন্থী মতবাদী হয়ে বক্তব্য রাখতে এসেছেন—এই তাঁর অপরাধ? কারণ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেদিন ৩ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তো এই দল তাঁকে ছেঁকে ধরে। এই চরম অসহিষ্ণুতাকে কেবল ছাত্রসুলভ চপলতা ভাবলে ভুল হবে। কয়েক দশক ধরে ঠান্ডা মাথায় শেখানো হচ্ছে এই অসহিষ্ণুতা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে বার বার চোখে পড়েছে এই অসহিষ্ণুতা। কেউ যেন সুনিপুণভাবে শিখিয়েছে এই নিষ্ঠুর আচরণ। সংঘবদ্ধভাবে এই অসহিষ্ণুতার প্রদর্শনী যেন কৃতিত্ব! ১৯৯২ সাল। এপ্রিল মাসের এক দুপুরে সেন্ট্রাল লাইব্রেবির সামনে মাটিতে ফেলে একটি ছেলেকে চোরের মতো পেটাচ্ছে এক বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন। সেই বীরের দল তারপর তাঁকে ‘আশীর্বাদ ক্যান্টিন’-এর পিছনে ‘সায়েন্স ক্লাব’-এর সামনে নিয়ে এল। তখনও ছেলেটিকে পেটে ক্রমাগত লাথি মারা হচ্ছে আর জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে—‘বল, কোন কলেজ তোর?’ ছেলেটির তখন আর কথা বলার সামর্থ্য নেই। জানা গেল, ছেলেটি বিদ্যাসাগর কলেজে পড়েন আর এবিভিপি-র পক্ষে রামমন্দির আন্দোলনের উপর আপত্তিকর (?) কিছু লিফলেট বিলি করছিলেন। সেদিন উপাচার্যের অফিসে গিয়ে ছেলেটিকে বাঁচিয়েছিলেন অধ্যাপক ধনঞ্জয় দাস। অধ্যাপক দাস সেদিন প্রশ্ন করেছিলেন—‘এত নিষ্ঠুরতা কেন? ছেলেটিকে বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে এখানে ঢুকেছে বলে? নাকি ও যে লিফলেট বিলি করছিল সেটা দেশের আইনে নিষিদ্ধ?’ উপাচার্যের অফিসে কারও কোনও উত্তর ছিল না। কারণ, উত্তরটা হল—‘আমরা অসহিষ্ণু।’ বিরোধী কোনও মত এখানে প্রকাশ করা যাবে না।
ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির কিছু ছেলে ২০১৬ সালের ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ ত্রিগুণা সেন প্রেক্ষাগৃহে একটি ছায়াছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছিলেন। ছায়াছবিটি সেন্সর বোর্ডের অনুমোদিত একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার-পাওয়া—বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম’। শেষ পর্যন্ত এই অতি বামপন্থীরা কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে ফিল্মটির প্রদর্শন প্রেক্ষাগৃহে করতে দেননি। কিন্তু, ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির স্নাতক স্তরের নাছোড়বান্দা ছাত্ররা ব্লু আর্থ ওয়ার্কশপের সামনে চাদর টাঙিয়ে দেখিয়েছিলেন বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম। ফিল্মের প্রদর্শন বন্ধ করতে না পেরে এই অসহিষ্ণুর দল সেদিন পাগলের মতো আচরণ করেছিল। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর গাড়িতে লাথি মেরে, পরিচালকের গায়ে থুতু দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল। শেষে বঙ্গবাসী কলেজের অধ্যাপক দেবাশিস চৌধুরীকে ধরে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর অপরাধ ‘থিঙ্ক ইন্ডিয়া’ নামে ছাত্রদের যে সংগঠন এই স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছিল তিনি তাদের মেন্টর ছিলেন। সেই অপরাধে ‘বহিরাগত’ অধ্যাপককে একটি মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই অসহিষ্ণু দলের আদর্শের ভিত এতটাই ঠুনকো যে তারা ভয় পায়, যে ছাত্রছাত্রীরা এরকম ছবি দেখলে তাদের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।
সেদিন দেখা গিয়েছিল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সময় একদল লোক সেখানে ঢুকল। যাদের সামনে ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব কয়েকজন। একজন পরিণত বয়স্কা একটি হ্যান্ড মাইক হাতে প্রদর্শনস্থলে চিৎকার করছেন। বাবুল সুপ্রিয়কে চুল টানা, জামা ছিঁড়ে দেওয়া কিছু কমবয়সি ছেলের কাজ ভাবলে, তাঁদের মদতদাতাদের পাপকে লঘু করা হবে। হ্যান্ড মাইক হাতে ওই ভদ্রমহিলা—যাঁরা বাম জমানায় নিরন্তর তরুণ মনগুলোকে একটিমাত্র মত ছাড়া সবকিছুকে মেরে থেঁতলে দেওয়ার পাঠ দিয়েছেন, যাঁদের ‘পার্টি ক্লাস’ শুনে রানা বসু তদানীন্তন উপাচার্যকে হত্যা করেছিলেন—সেই পরিণত বুদ্ধির মানুষগুলি সমানভাবে দায়ী। দায়িত্ব থেকে যায় সেইসব সংবাদ মাধ্যমেরও যারা তাদের সুপরিণত বাণিজ্যিক বুদ্ধিতে এই ‘নুইসেন্স ভ্যালু’কে টিআরপি বাড়ানোর কাজে লাগান।
রবীন্দ্রনাথ গান্ধারীর আবেদনে বলেছিলেন—‘‘অধর্মের মধুমাখা বিষফল তুলি/আনন্দে নাচিছে পুত্র; স্নেহ মোহে ভুলি/ সে ফল দিয়ো না তারে ভোগ করিবারে;/কেড়ে লও, ফেলে দাও, কাঁদাও তাহারে।’’ ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃত স্বার্থে এই মধুমাখা বিষফল হাত থেকে টেনে ফেলে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন অধ্যাপক গোপালচন্দ্র সেন। আজও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের শারীরিক হেনস্তায় যে শতাধিক ছাত্রছাত্রী সমবেত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজনের মস্তিষ্কেই ওই অদম্য অসহিষ্ণুতা ঢোকাতে পেরেছে ওই অতি বামপন্থীরা। বাকিরা কেউ ভয়ে, কেউ বিপ্লবের স্টেটাস সিম্বল গায়ে লাগাতে আর বেশিরভাগই বন্ধুকৃত্য করতেই এই অশোভন কাজের সঙ্গে ছিলেন। এর জন্য অবশ্যই দায়ী যাদবপুরের মেরুদণ্ডহীন কর্তৃপক্ষ। যে মানুষটির শালগাছের মতো মেরুদণ্ড ছিল সেই উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে সমর্থন করার সাহস হয়নি রাজনৈতিক নেতৃত্বের।
আমার মতো হাজার হাজার প্রাক্তন ছাত্রের কাছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তীর্থক্ষেত্র। প্রযুক্তিবিদ্যায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর থেকে পিএইচ-ডি, সবটুকু পাঠই এখান থেকে। দেবদুর্লভ হৃদয়ের, অসামান্য পণ্ডিত অধ্যাপকদের সান্নিধ্য পেয়েছি। এঁরা কত বড় মাপের মানুষ তা গ্রামের দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছিলাম বলে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি। আজও গবেষণার কাজে বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। প্রযুক্তিবিদ্যা বা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগের (সাহিত্য আর সমাজবিজ্ঞানেরও নিশ্চয় আছেন) যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীদের পৃথিবীর নামকরা প্রতিষ্ঠানে দেখে গর্ব হয়। যে-কোনও জায়গায় যাদবপুরের কোনও প্রাক্তনীকে পেলে পরমাত্মীয় বোধহয়। কিন্তু, বিগত তিন দশক ধরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে বার বার এই অসহিষ্ণুতা দেখে মন ভারাক্রান্ত হয়েছে। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব থেকে চিন্তা মননের মুক্তির জন্যই তো ঋষি অরবিন্দের মতো মনীষীরা ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন’ তৈরি করেছিলেন, যেখানে সব মতের সব ভাবনার জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা হবে। সেই তীর্থক্ষেত্রের আজ এ কী অবস্থা! নিজের মতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের এ কোন বর্বর পন্থা?
একটা জিনিস মনে রাখা প্রয়োজন অতি বামপন্থীরা কোনোভাবে ছাত্র সংসদে টিকে আছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়টা তাদের নয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর যারা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সংঘবদ্ধভাবে বাবুল সুপ্রিয়কে শারীরিক নির্যাতন করেছেন, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন—যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কেবল তাঁদের সম্পত্তি নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় সম্পত্তি। যেসব ছেলেমেয়ে অনেক কষ্ট করে ভারতের অন্যতম বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল পড়াশোনা করতে এসেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরটা তাঁদেরও। পশ্চিমবঙ্গের যে কৃষক, যে দিন মজুর, যে শ্রমিক কর দেন, যাঁদের ছেলেমেয়েরা কখনও হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে না, এই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদেরও। বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেক শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক, সম্মাননীয় কর্মচারী, গবেষক আর পাঠাগারে আসা সকলের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সকল প্রাক্তন অধ্যাপিকা-অধ্যাপকের, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী—সকলের। যে আলিদা প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চা দিতেন, যে বিজনদা ব্লু আর্থ ওয়ার্কশপে কারিগর ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর তাঁদেরও অধিকার আছে। আমাদের সকলের কাছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মায়ের মতো। মায়ের গায়ে কেউ যদি কালি লাগাতে চায় তবে সকলের বুকেই বেদনা হয়। আজ বোধহয় সময় এসেছে, সমবেতভাবে এই অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদ করার। অধ্যাপক গোপালচন্দ্র সেনের ঋণ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো কখনও শোধ করতে পারবে না কিন্তু তাঁর পতাকা বহন করার শক্তি আমাদের অর্জন করতেই হবে।
 লেখক কলকাতায় সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এ কর্মরত  
23rd  September, 2019
বিপদ যখন ওষুধে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 সামান্য জ্বর জ্বর ভাব হলে কি ডাক্তার দেখাবেন? নাকি পাড়ার ওষুধের দোকানে গিয়ে বলবেন, দাদা একটা ক্যালপল দিন তো...! নিশ্চিতভাবে পরেরটা। ক্যালপলের জায়গায় ক্রোসিন, প্যারাসেফ হতেই পারে, কিন্তু ৮০ শতাংশ গ্রাহকই ‘প্যারাসিটামল’ দেওয়ার কথা বলেন না। প্যারাসিটামল অর্থাৎ ওষুধটির জেনেরিক নাম। আর ক্যালপল বা ক্রোসিন হল প্যারাসিটামলেরই ব্র্যান্ড নেম। আর এই দুই নামের সঙ্গেই জড়িয়ে ওষুধের নানা গোপন কাহিনী। কেন? বিশদ

স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’ জিম জোন্সের নাম আজ ক্যালিফোর্নিয়ায় মুখে আনাও পাপ!
মৃণালকান্তি দাস

জিম জোন্সের নাম শুনেছেন? এ এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর গল্প। যাঁর বিশ্বাসের উপর ভর করে আত্মহত্যার আড়ালে এক নিদারুণ গণহত্যার সাক্ষী হয়েছিল আমেরিকা। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একটি দরিদ্র পরিবারে জিমের জন্ম। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন বেশ বুদ্ধিমান এবং কিছুটা অদ্ভুত স্বভাবের। কিশোর বয়স থেকেই ধর্মের প্রতি তাঁর টান ছিল প্রবল।
বিশদ

23rd  September, 2019
পুজোর মুখে
শুভা দত্ত

পুজো আসছে। মাঝে আর মাত্র ক’টা দিন—তারপরই শুরু হয়ে যাবে দেবী দুর্গার আরাধনায় মত্ত বাঙালির উৎসব যাপন। আমাদের বিশ্বাস, সেই উৎসবের আনন্দ কোলাহলে আলোর বন্যায় জনস্রোতে ক’দিনের জন্য হলেও এনআরসি হোক কি যাদবপুর, কি সারদা নারদা রাজীব কুমার—সব তলিয়ে যাবে। চিহ্নমাত্র থাকবে না। এতদিন তাই হয়েছে—এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
বিশদ

22nd  September, 2019
এনআরসি, সংখ্যালঘু ভোট ও বিজেপি
তন্ময় মল্লিক

‘এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের আরও বেশি করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে। সেই মতো গ্রহণ করতে হবে যাবতীয় কর্মসূচি।’ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বকে এই কথাগুলি যিনি বলেছিলেন তিনি আর কেউ নন, ‘গেরুয়া শিবিরের চাণক্য’ অমিত শাহ।
বিশদ

21st  September, 2019
সরকারি চাকরির মোহে আবিষ্ট সমাজ
অতনু বিশ্বাস

সমাজ বদলাবে আরও। আমি বা আপনি চাইলেও, কিংবা গভীরভাবে বিরোধিতা করলেও। সরকারি বা আধা-সরকারি চাকরির নিরাপত্তার চক্রব্যূহ ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে পড়বে আরও অনেকটা। এবং দ্রুতগতিতে। গোটা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ এক প্রকারের ভবিতব্যই। একসময় আমরা দেখব, চাকরি বাঁচাতে গড়পড়তা সরকারি চাকুরেদেরও খাটতে হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরেদের মতো। সরকারি চাকরির নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের নিরাপত্তার ‘মিথ’ ভেঙে চুরচুর হয়ে পড়বে। এবং সে-পথ ধরেই ক্রমে বিদায় নেবে পাত্রপাত্রী চাই-য়ের বিজ্ঞাপন থেকে ‘সঃ চাঃ’ নামক অ্যাক্রোনিম।
বিশদ

21st  September, 2019
আলোচনার অভিমুখ
সমৃদ্ধ দত্ত

 প্রাচীন বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতায় দেখা যায় সম্রাটরা অসীম ক্ষমতার অধিকারী প্রমাণ করার জন্য অতি প্রাকৃতিক শক্তি সম্পন্ন হিসেবে নিজেদের প্রতিভাত করতেন। এর ফলে প্রজা শুধু সম্রাটকে যে মান্য করত তাই নয়, ভয়ও পেত, সমীহ করত। প্রাচীন মিশরে শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে ফারাওরা নিজেদেরই ঈশ্বর হিসেবে ঘোষণা করতেন।
বিশদ

20th  September, 2019
হিন্দু বাঙালির বাড়ি ভাঙছে, হারাচ্ছে দেশ 
শুভময় মৈত্র

জয় গৃহশিক্ষকতা করেন, বাড়ি সিঁথি মোড়ের কাছে, বরানগরে। নিজেদের তিরিশ বছরের পুরনো বাড়ি, সারানোর প্রয়োজন। একান্নবর্তী পরিবার, দাদা বড় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আর একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন কাছেই। 
বিশদ

20th  September, 2019
বাংলায় এনআরসি বিজেপির স্বপ্নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো 
মেরুনীল দাশগুপ্ত

লোকসভা ভোটে অপ্রত্যাশিত ফলের পর বাংলার বিজেপি রাজনীতিতে যে জমকালো ভাবটা জেগেছিল সেটা কি খানিকটা ফিকে হয়ে পড়েছে? পুজোর মুখে এমন একটা প্রশ্ন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আমজনতার মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। 
বিশদ

19th  September, 2019
জন্মদিনে এক অসাধারণ নেতাকে কুর্নিশ
অমিত শাহ

 আজ, মঙ্গলবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৬৯তম জন্মদিন। অল্প বয়স থেকেই মোদিজি নিজেকে দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। যৌবন থেকেই তাঁর মধ্যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর উন্নয়নে কাজের একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণের কারণে মোদিজির শৈশবটা খুব সুখের ছিল না। বিশদ

17th  September, 2019
ব্যাঙ্ক-সংযুক্তিকরণ কতটা সাধারণ মানুষ এবং সামগ্রিক ব্যাঙ্কব্যবস্থার উন্নতির স্বার্থে?
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

অনেকগুলি ব্যাঙ্ক সংযুক্ত করে দেশে সরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমিয়ে আনা হল আর সংযুক্তির পর চারটি এমন বেশ বড় ব্যাঙ্ক তৈরি হল, আকার আয়তনে সেগুলিকে খুব বড় মাপের ব্যাঙ্কের তকমা দেওয়া যাবে। এসব ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, এতে দেশের অর্থনীতির খুব উপকার হবে।  
বিশদ

16th  September, 2019
রাজনীতির উত্তাপ কি পুজোর আমেজ
জমে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
শুভা দত্ত

 পরিস্থিতি যা তাতে এমন কথা উঠলে আশ্চর্যের কিছু নেই। উঠতেই পারে, উঠছেও। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের মুখে প্রায় প্রতিদিনই যদি কিছু না কিছু নিয়ে নগরী মহানগরীর রাজপথে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে, পুলিস জলকামান, লাঠিসোঁটা, কাঁদানে গ্যাস, ইটবৃষ্টি, মারদাঙ্গা, রক্তারক্তিতে যদি প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজীবন ব্যবসাপত্তর উৎসবের মরশুমি বাজার কিছু সময়ের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তবে এমন কথা এমন প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক।
বিশদ

15th  September, 2019
আমেরিকায় মধ্যবয়সের
সঙ্গী সোশ্যাল মিডিয়া
আলোলিকা মুখোপাধ্যায়

যে বয়সে পৌঁছে দূরের আত্মীয়স্বজন ও পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ক্রমশ আগের মতো সম্ভব হয় না, সেই প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধার জীবনে ইন্টারনেট এক প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিয়েছে। প্রয়োজনীয় এই কারণে যে, নিঃসঙ্গতা এমন এক উপসর্গ যা বয়স্ক মানুষদের শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে। বিশদ

14th  September, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মশার আঁতুড়ঘর হিসেবে সল্টলেকে নয়া আতঙ্ক থানাগুলি। সম্প্রতি বিধাননগর পুরসভার পক্ষ থেকে সল্টলেক পূর্ব থানায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। তাতেই ধরা পড়েছে, থানার বিল্ডিং এবং ক্যাম্পাসের চারপাশে একাধিক জায়গায় জমা জল রয়েছে। ...

 নিউ ইয়র্ক, ২৩ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী কয়েকদিন এখানে তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ একঝাঁক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রীর। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: খড়্গপুরে কারখানার সম্প্রসারণ করতে চায় টাটা মেটালিক্স। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই তার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়েছে। সোমবার বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় এসে এ কথা জানালেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। এর ফলে আরও ৬০০ ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগ বন্ধ হয়ে গেল। স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা বলেন, ক্রীড়াসূচি তৈরি হওয়ার পর তিনটি ক্লাব নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ। তিনটি ক্লাবকে তারজন্য শোকজও করা হয়েছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৭: গায়ক কুমার শানুর জন্ম 

23rd  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৪ টাকা ৭১.৮৪ টাকা
পাউন্ড ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২৩ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৭ টাকা ৭৯.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৩২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৯০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ২৮/৩ অপঃ ৪/৪২। পুনর্বসু ১২/৩৪ দিবা ১০/৩১। সূ উ ৫/২৯/১৭, অ ৫/২৮/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৯ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/২৮ মধ্যে।
 ৬ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ১৫/৩৮/২২ দিবা ১১/৪৪/৩১। পুনর্বসু ৩/২৭/১৪ দিবা ৬/৫২/৪, সূ উ ৫/২৯/১০, অ ৫/৩০/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ১১/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪১ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১১/৪৮ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে ও ৪/৪৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯/২০ গতে ৮/২৯/৩০ মধ্যে, কালবেলা ১/০/০ গতে ২/৩০/১০ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/০/২০ গতে ৮/৩০/১০ মধ্যে।
২৪ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। বৃষ: শেয়ার বাজারে আজ কিছুটা বিনিয়োগ করতে পারেন। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৩২: স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু১৯৪৮: হোন্ডা মোটরস কোম্পানির প্রতিষ্ঠা১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

হাওড়ায় আত্মঘাতী পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া 
স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে শৌচাগারে আত্মঘাতী হল পঞ্চম শ্রেণীর এক ...বিশদ

08:54:53 PM

দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন 

07:26:05 PM

হরিপালের নন্দকুঠিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৩ 
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিনজনের। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ...বিশদ

06:28:27 PM

চোটের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দল থেকে ছিটকে গেলেন জসপ্রিত বুমরাহ 
অনুশীলনের সময় চোট পেলেন ভারতের তারকা পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। চিকিৎসকরা ...বিশদ

05:17:56 PM