Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আলোচনার অভিমুখ
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রাচীন বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতায় দেখা যায় সম্রাটরা অসীম ক্ষমতার অধিকারী প্রমাণ করার জন্য অতি প্রাকৃতিক শক্তি সম্পন্ন হিসেবে নিজেদের প্রতিভাত করতেন। এর ফলে প্রজা শুধু সম্রাটকে যে মান্য করত তাই নয়, ভয়ও পেত, সমীহ করত। প্রাচীন মিশরে শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে ফারাওরা নিজেদেরই ঈশ্বর হিসেবে ঘোষণা করতেন। আর সেই ঘোষণার পিছনে ছিল একটাই লক্ষ্য, যাতে কোনও বিদ্রোহ না হয়। ঈশ্বরের প্রতি ও ভক্তিতে প্রজারা সদা অনুগত থাকবে এটাই মূল উদ্দেশ্য।
প্রশাসন পরিচালনা সম্পর্কে নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি ১৫১৩ সালে তাঁর ‘দ্য প্রিন্স’ গ্রন্থে লিখেছিলেন, ভালোবাসা আর ভয় পাশাপাশি অবস্থান করতে পারে না। তুলনামূলকভাবে ভয় অনেক বেশি নিরাপদ ভালোবাসার থেকে। অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন প্রশাসককে প্রজা ভালোবাসে, এই প্রবণতা খুবই আনন্দাদায়ক হতে পারে, কিন্তু সেই ভালো লাগা অবস্থান যে কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে বদলে যেতে পারে। তখন আর ভালোবাসা না থেকে সেই প্রজা‌ হয়তো বিদ্রোহী হয়ে যাবে। তাই ভয় অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ যতদিন ভয় বজায় থাকবে,ততদিনই সিংহাসন সুরক্ষিত। আর তাই প্রাচীন ও মধ্যযুগে দেখা যেত এই ভয় কায়েম করে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত রাজতন্ত্র কিংবা একনায়কতন্ত্র কিছু না কিছু একটা ক্রাইসিস তাদের সাম্রাজ্যে হয় নির্মাণ করছে অথবা বজায় রেখে প্রচার করছে। যাতে অন্তহীন একটার পর একটা আশঙ্কার বাতাবরণ সারাক্ষণ রাষ্ট্রে জোরালোভাবে থাকে। তাহলে জনগণ সেই জানাঅজানা আশঙ্কা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, ভীত হয়। সাধারণত মানবসভ্যতায় দুই রকমের সরকার দেখা যায়। একটি হল ওয়ারফেয়ার প্রশাসন। অর্থাৎ সারাক্ষণই কেমন যেন একটা যুদ্ধ যুদ্ধ মনোভাব। আর একটি হল ওয়েলফেয়ার সরকার। যে সরকার নিভৃতে নানাবিধ জনকল্যাণমূলক কার্যে ব্যাপৃত থাকে এবং চেষ্টা করে রাষ্ট্রে যতটা সম্ভব সংঘাত কিংবা অস্থিরতাকে নিবৃত্ত করে রেখে শান্ত একটি আবহে সরকার পরিচালনা করতে। নীতি আদর্শ অনুযায়ী যুগে যুগে বিভিন্ন সরকার এই দুটি নীতি সামনে রেখেই এগিয়েছে।
এই প্রসঙ্গগুলি সামনে আসার কারণ হল আমরা লক্ষ্য করছি আমাদের জীবন এখন অনেক বেশি রাষ্ট্রীয় স্তরের ঘটনাপরম্পরা পরিচালনা করে চলেছে। প্রভাবিত করে চলেছে। কিছু বছর আগেও এভাবে সারাক্ষণ সাধারণ মানুষ নানাবিধ কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে চর্চা, প্রতিবাদ, সমর্থন কিংবা তর্কবিতর্কের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেনি। কিন্তু বর্তমান মোদি সরকারের আমলে এই প্রবণতা বহুল পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সূক্ষ্মভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, পরোক্ষে একটি ভয়, আশঙ্কা এবং অনিশ্চিয়তার চর্চাই সবথেকে বেশি স্থান করে নিচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে। প্রতিটি আলোচনায় চলে আসছে পক্ষে বিপক্ষে দুটি প্রকট বিভাজন। আবার কি কোনও বিশেষ নোট বাতিল হয়ে যেতে পারে? ব্যাঙ্কের সুদ কি আবার কমবে? এনআরসি কি আমাদের এখানেও চালু হবে? যদি চালু হয় তাহলে ডেটলাইন কী হবে? কোন কোন কাগজপত্র রেডি রাখা দরকার? হিন্দি কি একমাত্র অফিসিয়াল ভাষা হতে চলেছে? ইংরেজি তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে? হিন্দি না শিখলে তাহলে আগামীদিনে কি শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে বড়সড় সঙ্কট হবে? পাকিস্তান যদি পরমাণু বোমা ফেলে তাহলে কী হবে? উত্তর পূর্ব ভারতের আশঙ্কা কাশ্মীরের ৩৭০ অবলুপ্তির পর এবার কি ওইসব রাজ্যে ৩৭১ অবলুপ্তি হয়ে যাবে?
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন নোটবাতিল। তারপর থেকে লক্ষ করা যায়, যখনই সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় আজ রাত আটটায় কিংবা বিকেল চারটেয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন, তৎক্ষণাৎ একটা অনিশ্চয়তা, আশঙ্কা ও চরম কৌতূহলের সঞ্চার হয়ে যায় গোটা দেশে যে ‘এবার আবার কী নতুন হতে চলেছে ঘোষণা?’ গরিব খেটে খাওয়া এবং জীবিকার জন্য প্রাণান্তকর পরিশ্রম করে চলা প্রান্তিক কোটি কোটি মানুষগুলিকে বাদ দিলে প্রায় গোটা ভারতই উৎসুক, উদগ্রীব হয়ে টিভির সামনে হাজির হয় যে দেখা যাক নতুন কী ঘোষণা হবে!
এনআরসি চালু করা হলে প্রকৃত যাঁরা ভারতবাসী তাঁদের তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আর মোটামুটি বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের টার্গেট করা হবে যারা বেআইনি নাগরিক। কিন্তু অসমে দেখা যাচ্ছে বাদ যাওয়া ১৯ লক্ষের মধ্যে ১২ লক্ষই হিন্দু বাঙালি। মুসলিম অনেক কম। সুতরাং তারপরও যখন অমিত শাহ ঘোষণা করেন গোটা দেশেই চালু করা হবে এনআরসি, তখন স্বাভাবিকভাবেই আর নিশ্চিন্ত থাকা যায় না। হিন্দু মুসলিম সকলের মধ্যেই ভয় আর আশঙ্কা ঢুকে গিয়েছে। তাই আজকাল সর্বত্র এনআরসি নিয়ে আলোচনা। কিছুদিন আগে পর্যন্ত আলোচনা আবর্তিত হয়েছিল ৩৭০ নিয়ে। এনআরসির পাশাপাশি এখন এসেছে হিন্দি ভাষার আগ্রাসনের আশঙ্কা। সেই রেশ কাটার আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবার বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অর্থাৎ জল্পনা চলছে তাহলে কি বিজেপির আগামীদিনের লক্ষ্য ওয়ান নেশন, ওয়ান পার্টি, ওয়ান ল্যাংগুয়েজ?
বস্তুত প্রশ্ন হল এভাবে নিরন্তর আলোচনার কেন্দ্রে থাকা আর অনিশ্চয়তার বাতাবরণ নির্মাণ করে সরকার পরিচালনার পদ্ধতি কি সম্পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক? সম্ভবত এটাই একটি সূক্ষ্ম রাজনৈতিক কৌশল বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার। তাঁরা একটি ব্যাপারে সম্পূর্ণ সফল হয়েছেন। সেটি হল ভারতজুড়ে প্রতিনিয়ত তাঁরাই আলোচনার কেন্দ্রে থাকছেন সর্বদাই। একটা দিনও এরকম যাচ্ছে না যে সাধারণ মানুষ কোনও একটি বিষয়কে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদি অথবা অমিত শাহকে নিয়ে আলোচনা করছে না। এই যে অবিরত আলোচনায় থাকার প্রয়াস এর কারণ কী? কারণটি হল একটা পরোক্ষ বার্তা প্রদান যে এই সরকার নজিরবিহীনভাবে সক্রিয়। মোদি এবং অমিত শাহ এটাই প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন যে তাঁরা অতীতের প্রধানমন্ত্রী কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের তুলনায় অনেক বেশি অ্যাকটিভ। আধুনিক সমাজের একটি বিশেষ অংশের পালস তাঁরা সম্যকভাবে ধরে ফেলেছেন। সেই অংশটি অ্যাকটিভিটি পছন্দ করে। তারা সর্বদাই চায় একটা কিছু উত্তেজনাকর ঘটনা ঘটুক। এবং সরকার সর্বদা অ্যাকটিভ থাকুক। সেই অ্যাকটিভিটি আদতে ভালো না মন্দা বার্তা নিয়ে আসছে তা না ভাবলেও চলবে।
কিন্তু একটা পারসেপশন তৈরি হয়ে যায় যে এই সরকার অতি সক্রিয়, অলস নয়, আগে যা কেউ পারেনি এরা সেটা করে দেখাচ্ছে ইত্যাদি। আধুনিক যুগের এই ইনস্ট্যান্ট ডেমোক্রেসিতে এটা অত্যন্ত জনপ্রিয়। মনে করলে দেখা যাবে ডঃ মনমোহন সিংকে নিয়ে এরকম নিরন্তর আলোচনা, চর্চা হতো না। অথচ তাঁর ১০ বছরে ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি, তথ্য জানার অধিকার, কৃষকদের ৭০ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব, ২০০৮ সালের বিশ্বজুড়ে মন্দার সময়ও ভারতের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো থাকা ইত্যাদি বহু ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে। যা আজও সমান কার্যকর। কিন্তু যেহেতু মনমোহন সিং, প্রণব মুখোপাধ্যায় অথবা পি চিদম্বরমরা অতটা ভোকাল ছিলেন না, তাই সেইসময় কেন্দ্রীয় সরকারকে ঘিরে সারাক্ষণ কোনও চর্চা, আলোচনা হতো না। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা লার্জার দ্যান লাইফ এক ইমেজে পর্যবসিত হননি তখন।
এখন কিন্তু সেটাই হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ অথবা সামগ্রিকভাবে সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত ভুল হতে পারে, রাষ্ট্রের পক্ষে দীর্ঘকালীন ক্ষতিকর হতে পারে, অত্যন্ত অবিমৃশ্যকারী হতে পারে, আবার সেই সিদ্ধান্তগুলি ভালোও হতে পারে। এসব চর্চার থেকেও বড় যে বার্তাটি সামনে আসছে তা হল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও নেতানেত্রীদের থেকে প্রচারের হাওয়াটি কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন এই দুজন। সমর্থন অথবা নিন্দা, প্রতিদিন আমজনতা মোদি, অমিত শাহকেই নিয়েই ব্যস্ত। তাঁদের নিয়েই চলে চর্চা। রাজনৈতিকভাবে এই যে নিজেদের একটা অবিরত রাজনৈতিক-সামাজিক ডিসকোর্সের কেন্দ্রে নিয়ে আসা এটা একটা বৃহৎ সাফল্য। মোদি এবং অমিত শাহ সর্বদাই চাইছেন মানুষ তাঁদের নিয়েই আলোচনা করুক। অন্য কোনওদিকে চর্চার অভিমুখ ঘোরানোর সুযোগই দেন না তাঁরা।
তাই দেখা যাচ্ছে, ক্রমাগত একটির পর একটি ইস্যু সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। একটি ইস্যু থিতিয়ে গেলেই আবার অন্য একটি বিষয় নিয়ে তোলপাড়। আজ আম জনতা আর কাশ্মীরে সত্যিই কতটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে তা নিয়ে খোঁজখবর নেয়? নেয় না। এটাই জনতার প্রবণতা। দ্রুত ইস্যু থেকে ইস্যু থেকে সরে যাওয়া। আর এই প্রবণতাকেই কাজে লাগিয়ে নিজেদের সর্বদাই মানুষের মস্তিষ্কে স্থান করে দিয়ে চলেছেন মোদি ও অমিত শাহ। তাঁদের সম্পর্কে বিরক্তি কিংবা ভালো লাগা যাই হোক, মানুষের চর্চা তাঁদের ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে।
শাসকের অন্যতম প্রিয় অস্ত্র হল ভয়। সেটা সর্বদাই যে জনতাকে প্রত্যক্ষভাবে ভয় দেখানো এমন নয়। সম্ভাব্য শত্রু ও অজানা আশঙ্কার একটি অবয়ব তৈরি করে প্রতিটি সমস্যার কারণ হিসেবে সেই অবয়বের দিকে আঙুল তোলা একটি বিশেষ প্রশাসনিক কৌশল। প্রাচীনকাল থেকে এরকমই একটি বিশেষ শাসনপ্রক্রিয়ার নাম হল পপুলার ফিয়ার। অর্থাৎ যে ভয়টি জনপ্রিয়। মানুষ যে ভয়কে বিশ্বাস করতে পছন্দ করে। বৃহৎ সংখ্যক মানুষ ওই ভয়টাকে সত্যি মনে করে। তাই মাঝে মধ্যেই প্রচার করা হয় সমস্যা, সঙ্কট, বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এজন্য দায়ী হল কোনও বিশেষ জাতি, কোনও বিশেষ সম্প্রদায়, বিশেষ একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র, দেশের অভ্যন্তরের বিশেষ শ্রেণী। এরা সক঩লেই শত্রুপক্ষ। বৃহত্তর সংখ্যক জনগণের কাছে এই ধারণাটি গ্রহণযোগ্য হয়। অবিশ্বাস আর ভয়ের ককটেল।
জনগণকে তাই সর্বদাই পাশে পেতে মাঝেমধ্যেই সঙ্কট তৈরি করা নিয়ম। অর্থাৎ যুদ্ধ হতে পারে, অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, রক্তক্ষয়ী কোনও বিপ্লবের চক্রান্ত হতে পারে। এরকম আশঙ্কা এবং সম্ভাবনায় সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সরকারের পাশে থাকবে। আর সেটাই কাম্য। এই পদ্ধতি নতুন কিছু প্রবণতা নয়, প্রাচীন ইওরোপ এশিয়ার ইতিহাস থেকেই জানা যায়, এই প্রক্রিয়ার নাম ‘পপুলার ক্রাইসিস!’
20th  September, 2019
বিপদ যখন ওষুধে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 সামান্য জ্বর জ্বর ভাব হলে কি ডাক্তার দেখাবেন? নাকি পাড়ার ওষুধের দোকানে গিয়ে বলবেন, দাদা একটা ক্যালপল দিন তো...! নিশ্চিতভাবে পরেরটা। ক্যালপলের জায়গায় ক্রোসিন, প্যারাসেফ হতেই পারে, কিন্তু ৮০ শতাংশ গ্রাহকই ‘প্যারাসিটামল’ দেওয়ার কথা বলেন না। প্যারাসিটামল অর্থাৎ ওষুধটির জেনেরিক নাম। আর ক্যালপল বা ক্রোসিন হল প্যারাসিটামলেরই ব্র্যান্ড নেম। আর এই দুই নামের সঙ্গেই জড়িয়ে ওষুধের নানা গোপন কাহিনী। কেন? বিশদ

স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’ জিম জোন্সের নাম আজ ক্যালিফোর্নিয়ায় মুখে আনাও পাপ!
মৃণালকান্তি দাস

জিম জোন্সের নাম শুনেছেন? এ এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর গল্প। যাঁর বিশ্বাসের উপর ভর করে আত্মহত্যার আড়ালে এক নিদারুণ গণহত্যার সাক্ষী হয়েছিল আমেরিকা। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একটি দরিদ্র পরিবারে জিমের জন্ম। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন বেশ বুদ্ধিমান এবং কিছুটা অদ্ভুত স্বভাবের। কিশোর বয়স থেকেই ধর্মের প্রতি তাঁর টান ছিল প্রবল।
বিশদ

23rd  September, 2019
অসহিষ্ণুতা
জিষ্ণু বসু

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭০ সাল। অতি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন পরীক্ষা বয়কটের ডাক দিয়েছে। কেন? কী কারণ? কারণটা অদ্ভুত। কাউকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এক সিংহহৃদয় মানুষ। অধ্যাপক গোপালচন্দ্র সেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের প্রবাদপ্রতিম অধ্যাপক এই ছাত্রদরদি মানুষটি অস্থায়ীভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। 
বিশদ

23rd  September, 2019
পুজোর মুখে
শুভা দত্ত

পুজো আসছে। মাঝে আর মাত্র ক’টা দিন—তারপরই শুরু হয়ে যাবে দেবী দুর্গার আরাধনায় মত্ত বাঙালির উৎসব যাপন। আমাদের বিশ্বাস, সেই উৎসবের আনন্দ কোলাহলে আলোর বন্যায় জনস্রোতে ক’দিনের জন্য হলেও এনআরসি হোক কি যাদবপুর, কি সারদা নারদা রাজীব কুমার—সব তলিয়ে যাবে। চিহ্নমাত্র থাকবে না। এতদিন তাই হয়েছে—এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
বিশদ

22nd  September, 2019
এনআরসি, সংখ্যালঘু ভোট ও বিজেপি
তন্ময় মল্লিক

‘এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের আরও বেশি করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে। সেই মতো গ্রহণ করতে হবে যাবতীয় কর্মসূচি।’ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বকে এই কথাগুলি যিনি বলেছিলেন তিনি আর কেউ নন, ‘গেরুয়া শিবিরের চাণক্য’ অমিত শাহ।
বিশদ

21st  September, 2019
সরকারি চাকরির মোহে আবিষ্ট সমাজ
অতনু বিশ্বাস

সমাজ বদলাবে আরও। আমি বা আপনি চাইলেও, কিংবা গভীরভাবে বিরোধিতা করলেও। সরকারি বা আধা-সরকারি চাকরির নিরাপত্তার চক্রব্যূহ ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে পড়বে আরও অনেকটা। এবং দ্রুতগতিতে। গোটা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ এক প্রকারের ভবিতব্যই। একসময় আমরা দেখব, চাকরি বাঁচাতে গড়পড়তা সরকারি চাকুরেদেরও খাটতে হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরেদের মতো। সরকারি চাকরির নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের নিরাপত্তার ‘মিথ’ ভেঙে চুরচুর হয়ে পড়বে। এবং সে-পথ ধরেই ক্রমে বিদায় নেবে পাত্রপাত্রী চাই-য়ের বিজ্ঞাপন থেকে ‘সঃ চাঃ’ নামক অ্যাক্রোনিম।
বিশদ

21st  September, 2019
হিন্দু বাঙালির বাড়ি ভাঙছে, হারাচ্ছে দেশ 
শুভময় মৈত্র

জয় গৃহশিক্ষকতা করেন, বাড়ি সিঁথি মোড়ের কাছে, বরানগরে। নিজেদের তিরিশ বছরের পুরনো বাড়ি, সারানোর প্রয়োজন। একান্নবর্তী পরিবার, দাদা বড় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আর একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন কাছেই। 
বিশদ

20th  September, 2019
বাংলায় এনআরসি বিজেপির স্বপ্নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো 
মেরুনীল দাশগুপ্ত

লোকসভা ভোটে অপ্রত্যাশিত ফলের পর বাংলার বিজেপি রাজনীতিতে যে জমকালো ভাবটা জেগেছিল সেটা কি খানিকটা ফিকে হয়ে পড়েছে? পুজোর মুখে এমন একটা প্রশ্ন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আমজনতার মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। 
বিশদ

19th  September, 2019
জন্মদিনে এক অসাধারণ নেতাকে কুর্নিশ
অমিত শাহ

 আজ, মঙ্গলবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৬৯তম জন্মদিন। অল্প বয়স থেকেই মোদিজি নিজেকে দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। যৌবন থেকেই তাঁর মধ্যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর উন্নয়নে কাজের একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণের কারণে মোদিজির শৈশবটা খুব সুখের ছিল না। বিশদ

17th  September, 2019
ব্যাঙ্ক-সংযুক্তিকরণ কতটা সাধারণ মানুষ এবং সামগ্রিক ব্যাঙ্কব্যবস্থার উন্নতির স্বার্থে?
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

অনেকগুলি ব্যাঙ্ক সংযুক্ত করে দেশে সরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমিয়ে আনা হল আর সংযুক্তির পর চারটি এমন বেশ বড় ব্যাঙ্ক তৈরি হল, আকার আয়তনে সেগুলিকে খুব বড় মাপের ব্যাঙ্কের তকমা দেওয়া যাবে। এসব ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, এতে দেশের অর্থনীতির খুব উপকার হবে।  
বিশদ

16th  September, 2019
রাজনীতির উত্তাপ কি পুজোর আমেজ
জমে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
শুভা দত্ত

 পরিস্থিতি যা তাতে এমন কথা উঠলে আশ্চর্যের কিছু নেই। উঠতেই পারে, উঠছেও। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের মুখে প্রায় প্রতিদিনই যদি কিছু না কিছু নিয়ে নগরী মহানগরীর রাজপথে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে, পুলিস জলকামান, লাঠিসোঁটা, কাঁদানে গ্যাস, ইটবৃষ্টি, মারদাঙ্গা, রক্তারক্তিতে যদি প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজীবন ব্যবসাপত্তর উৎসবের মরশুমি বাজার কিছু সময়ের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তবে এমন কথা এমন প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক।
বিশদ

15th  September, 2019
আমেরিকায় মধ্যবয়সের
সঙ্গী সোশ্যাল মিডিয়া
আলোলিকা মুখোপাধ্যায়

যে বয়সে পৌঁছে দূরের আত্মীয়স্বজন ও পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ক্রমশ আগের মতো সম্ভব হয় না, সেই প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধার জীবনে ইন্টারনেট এক প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিয়েছে। প্রয়োজনীয় এই কারণে যে, নিঃসঙ্গতা এমন এক উপসর্গ যা বয়স্ক মানুষদের শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে। বিশদ

14th  September, 2019
একনজরে
 জম্মু, ২৩ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি ও আরএসএস নেতা খুনে অভিযুক্ত তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। নাসির আহমেদ শেখ, নিশাদ আহমেদ এবং আজাদ ...

 বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: এখন পাড়ায় পাড়ায়, মোড়ে মোড়ে রক্ত পরীক্ষার ল্যাবরেটরি। টিসি, ডিসি, ইএসআর, লিপিড প্রোফাইল থেকে শুরু করে কী না হচ্ছে! সই থাকছে এমডি প্যাথোলজি ডিগ্রিধারী চিকিৎসকের। সুতরাং সন্দেহেরও অবকাশ নেই। সত্যিই কি তাই? ...

বিজয় বর্মন, কুমারগ্রাম, সংবাদদাতা: কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ শহরের বুকে পারিবারিক এবং সর্বজনীন মিলে প্রায় পঁচিশটি দুর্গাপুজো আয়োজিত হয়। তবে বিগ বাজেটের দুর্গাপুজো কিন্তু এই শহরে হাতেগোনা। শহরের পুজোর উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যেই মণ্ডপ বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন।  ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগ বন্ধ হয়ে গেল। স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা বলেন, ক্রীড়াসূচি তৈরি হওয়ার পর তিনটি ক্লাব নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ। তিনটি ক্লাবকে তারজন্য শোকজও করা হয়েছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৭: গায়ক কুমার শানুর জন্ম 

23rd  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৪ টাকা ৭১.৮৪ টাকা
পাউন্ড ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২৩ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৭ টাকা ৭৯.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৩২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৯০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ২৮/৩ অপঃ ৪/৪২। পুনর্বসু ১২/৩৪ দিবা ১০/৩১। সূ উ ৫/২৯/১৭, অ ৫/২৮/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৯ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/২৮ মধ্যে।
 ৬ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ১৫/৩৮/২২ দিবা ১১/৪৪/৩১। পুনর্বসু ৩/২৭/১৪ দিবা ৬/৫২/৪, সূ উ ৫/২৯/১০, অ ৫/৩০/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ১১/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪১ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১১/৪৮ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে ও ৪/৪৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯/২০ গতে ৮/২৯/৩০ মধ্যে, কালবেলা ১/০/০ গতে ২/৩০/১০ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/০/২০ গতে ৮/৩০/১০ মধ্যে।
২৪ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। বৃষ: শেয়ার বাজারে আজ কিছুটা বিনিয়োগ করতে পারেন। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৩২: স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু১৯৪৮: হোন্ডা মোটরস কোম্পানির প্রতিষ্ঠা১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

হাওড়ায় আত্মঘাতী পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া 
স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে শৌচাগারে আত্মঘাতী হল পঞ্চম শ্রেণীর এক ...বিশদ

08:54:53 PM

দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন 

07:26:05 PM

হরিপালের নন্দকুঠিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৩ 
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিনজনের। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ...বিশদ

06:28:27 PM

চোটের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দল থেকে ছিটকে গেলেন জসপ্রিত বুমরাহ 
অনুশীলনের সময় চোট পেলেন ভারতের তারকা পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। চিকিৎসকরা ...বিশদ

05:17:56 PM