Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হিন্দু বাঙালির বাড়ি ভাঙছে, হারাচ্ছে দেশ 
শুভময় মৈত্র

জয় গৃহশিক্ষকতা করেন, বাড়ি সিঁথি মোড়ের কাছে, বরানগরে। নিজেদের তিরিশ বছরের পুরনো বাড়ি, সারানোর প্রয়োজন। একান্নবর্তী পরিবার, দাদা বড় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আর একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন কাছেই। বাড়ি সারানোর জন্যে পুজোর আগে কয়েকদিন সবাই মিলে চলে যাওয়া হয়েছে সেই ঝকঝকে নতুন আবাসনে। মিস্তিরিরা কাজ করছে পুরনো বাড়িতে। ছাত্র পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে সেখানে কাজের দেখভাল করছেন জয়। সন্ধেবেলা ছাত্র পড়াচ্ছেন, এর মধ্যেই মায়ের ফোন। সাধারণত মা এইসব সময় ফোন করেন না, জানেন ছেলে পড়ানোয় ব্যস্ত। টুক করে ফোনটা কেটে দিয়ে ছাত্রের না পারা অঙ্ক কষায় মন দিলেন জয়। কিন্তু আবার ফোন। বিরক্ত হলেও ফোনটা ধরতেই হল। সত্তর বছর পেরনো মা, হয়তো কোন জরুরি দরকার পড়েছে। কিন্তু তার জন্যে তো বাড়িতে দশ ক্লাসে পড়া নাতনী আছেই। মুঠোফোনে কথা শুরু হতেই মায়ের আকুতি, “আমাকে এক্ষুনি পুরনো বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে চল, এখানে আর এক মুহূর্ত থাকব না।” কারণ জানতে গিয়ে বোঝা গেল মনের কোণে লুকিয়ে আছে বৌবাজার। নতুন ফ্ল্যাট বাড়ির ছাদে উঠেছিলেন শেষ বিকেলে। বিশ্বকর্মা পুজোর আবহে কার্নিশে পড়ে ছিল সব হারানো কাটা একটা ঘুড়ি। তখনই তাঁর মনে আসে নিজের পুরনো একতলা বাড়ির ছাদে পথ ভুলে আশ্রয় নেওয়া অন্য অনেক কাটা ঘুড়ির কথা। মনে হয় আর কখনও যদি ফিরে যেতে না পারেন নিজের বহু পুরনো আশ্রয়ে!
আসলে সমাজবদ্ধ মানুষের জীবনশৈলী যেভাবে এগিয়েছে, তাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল স্থিতাবস্থা। অবশ্যই কিছু মহান মানুষ বদ্ধ ঘরে না থেকে জগৎ জয় করতে চান। তাঁরাই হয়তো এই সভ্যতার অগ্রগতিতে অনেকটা বেশি অবদান রাখেন। কিন্তু মোটের উপর বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ জীবন কাটিয়ে দেন সাদামাটা উপায়ে। এর মধ্যে যদি বিশেষভাবে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী হিন্দু বাঙালিদের কথা ধরা যায়, তারা খুব বাধ্য না হলে নিজের গ্রাম-শহর ছেড়ে দুঃসাহসিক অভিযানে নেমে পড়েন না। অবশ্যই যত দিন যাচ্ছে এই রাজ্যে কাজের সুযোগ কমছে অনেকটা। সে জন্যেই হয়তো দেশের অন্যান্য অংশে বৃত্তির সন্ধানে পাড়ি দেন নিম্নবিত্ত মানুষ। বাঙালি মধ্যবিত্তদের একটা অংশ পড়াশোনা করে পৌঁছে যান আমেরিকা কিংবা ইউরোপে। কিন্তু শতাংশের হিসেবে তা নগণ্য। সাধারণ বাঙালি থাকতে চান তাঁর নিজের বাড়িতে, অতিপরিচিত সংসারের বন্ধনী আঁকড়ে। তাতে একটু কষ্ট হলেও তাঁরা মেনে নেন অনেক কিছু। সময়ের সঙ্গে শহরাঞ্চলে যৌথ পরিবার ভেঙে টুকরো অণুবৃত্ত। তবে তা শুধু শহরকেন্দ্রিক মধ্যবিত্ত বাঙালির বৈশিষ্ট্য। উত্তর কলকাতার পুরনো বাড়ির ছাদে বেড়ার দেওয়াল দিয়ে ভেন্ন হওয়া কিন্তু সারা বাংলার চিত্র নয়। গ্রাম কিংবা মফস্‌স঩লে নিম্নবিত্ত বাঙালি সংসার এখনও ততটা ভাঙেনি। সব মিলিয়ে হিন্দু বাঙালি মনের যে নমনীয়তা, দুঃসাহসিকতার অভাব, স্থিতিশীল একান্নবর্তী জীবনযাত্রার প্রতি আসক্তি, সেটাই আমাদের চরিত্র। কথায় কথায় সমাজবদলের ডাক দিয়ে শুধু হইচই করলেই তো চলবে না। মায়ের হলুদ মাখা আঁচল, বাবার সন্ধেবেলার আড্ডা, ছোট ছেলেমেয়েদের দল বেঁধে সরস্বতী আরাধনা, বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ঘুড়িতে মাঞ্জা, দুর্গাপুজোয় অষ্টমীর অঞ্জলি, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল, উত্তম-সুচিত্রা, হেমন্ত-মান্না-সন্ধ্যা-আরতি সব মিলিয়ে হিন্দু বাঙালির যে ছবি, সেটাকে মুছে দেওয়ার একটা চেষ্টা চলছে অনেক দিন ধরেই। বিশেষ করে আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই প্রবণতা বিশেষভাবে বর্তমান, আমাদের এই রাজ্যেই। সেই জন্যেই হিন্দু বাঙালি এখন পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে। তারা কি বাধ্য হবে রাজনৈতিক নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে নিজেদের বদলাতে? নাকি লড়ে যাবে শিকড়টাকে শক্ত অথচ চেনা মাটিতে গেঁথে রাখার সংগ্রামে?
অসমে যখন দেশ হারাচ্ছেন মানুষ, ঠিক সেই সময়েই শহর কলকাতায় নিজের বাড়ি হারাচ্ছেন বহু বছর ধরে বউবাজারে দিন কাটানো লোকজন। দু’দিকেই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। অসমের এনআরসিতে দেশ থেকে কিছু মানুষ কমিয়ে বাকি নাগরিকের উন্নতির উপন্যাস। কলকাতায় মাটির তলা দিয়ে পাতালরেল চালিয়ে শহরের মুখ উজ্জ্বল করার ছোটগল্প। দু’দিকেই হাড় হিম করা অনুভূতি। কোথাও হারাতে হবে দেশ, কোথাও বা নিজের পূর্বপুরুষের ভিটে। উন্নয়নের হিংস্রতায় কিছু মানুষের যে প্রাণ যাবে, একথা এখন সবার জানা হয়ে গেছে। সেটাই তো সভ্যতার সংজ্ঞা। কিন্তু তবু তো আমরা চাই নিজের মতো করে একটু শান্তিতে বাঁচতে। পাতাল রেলের পথ কখন কীভাবে বদলাবে সেকথা জানার অধিকার থাকবে না কলকাতায় বহু বছর ধরে বাস করা বাঙালি পরিবারের? কী ভাবছেন আমাদের রাজ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা তৃণমূল সরকার আর তাঁদের দখল করা কলকাতা পুরসভা? তাঁদের অনুমতি ছাড়া তো মাটির তলার দানবীয় যন্ত্র যখন তখন পথ বদলাত না। বহুদিন ধরে অসমে বাস করা হিন্দু বাঙালির নাম বাদ যাবে নাগরিকপঞ্জি থেকে। এ ব্যাপারে কী ভাবছে বিজেপি? তাদেরও তো কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইনিংস। প্রশ্ন উঠবেই, কারণ গত সাতই সেপ্টেম্বর, শনিবার, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সম্মেলন হয়েছে রাজস্থানের পুষ্করে। সেখানে আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত সংগঠন ‘সীমা জাগরণ মঞ্চ’ অত্যন্ত দুশ্চিন্তার সঙ্গে জানিয়েছে যে অসমে নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ যাওয়া উনিশ লক্ষ মানুষের মধ্যে একটা বড় অংশ হিন্দু। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে এই সংখ্যায় হিন্দু বাঙালি খুব কম নেই।
একটু ভাবলেই বোঝা যাবে যে স্বাধীনতা পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কংগ্রেস, বাম এবং তৃণমূল ব্যাপকভাবে সংখ্যালঘু তোষণ করেছে। আর এই তোষণ একেবারেই লোক দেখানো, কারণ সকলেই জানেন এরাজ্যে সেভাবে সংখ্যালঘুরা উচ্চপদের সরকারি বা বেসরকারি চাকরি পেয়ে থাকেন বেশ কম। তাঁদের সার্বিক উন্নতি হয়নি কিছুই। তবে এই লেখায় তাঁদের কথা থাক। যেটা বলার তা হল কংগ্রেস, বাম, তৃণমূলের লোক দেখানো অসাম্প্রদায়িকতার স্লোগানে হিন্দু বাঙালিদের ভুগতে হয়েছে প্রচুর। আর আজকের দিনে বিজেপির যে রাজনীতি, তাতে সংখ্যালঘুদের চাপে রাখার বিষয়টা পরিষ্কার। কিন্তু একইসঙ্গে তাঁদের কর্মসূচিতে হিন্দু বাঙালিদের ভবিষ্যতের কথাও খুব পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না। বাংলার বাইরে থেকে ধার করে আনা হিন্দুত্বের দাপটে এই রাজ্যের মানুষের অবস্থা বেশ কোণঠাসা। রামনবমী কিংবা গণেশপুজোর উৎসবে অবশ্যই অবাঙালি প্রভাব বেশি। তাই বিজেপির নেতানেত্রীদের মুখে বাংলা থেকে এক, দুই কিংবা তিন কোটি অনুপ্রবেশকারী বিদায় করা নিয়ে যে আস্ফালন তাতে হিন্দু বাঙালিদের ভয় পাওয়ারই কথা। শেষে হয়তো দেখা গেল যে এরাজ্যে হিন্দু বাঙালিরাই ভিড় করে ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকছে!
আসলে সাধারণ হিন্দু বাঙালিদের মধ্যে কড়া হিন্দুত্ব কম, উদারনীতি এবং প্রগতিশীলতা বেশি। রোজ দুবেলা লোক দেখানো পুজো পার্বণ বাঙালিদের ট্র্যাডিশন নয়। কিন্তু একটু পরিসংখ্যান নিলেই দেখতে পাবেন বহু বাঙালি বাড়িতে নিত্যপূজা হয় আজকের দিনেও। সে পুজোয় আড়ম্বর নেই, আছে বিশ্বাস। সাধারণ বাঙালিদের কাছ থেকে তাদের সাধের দুর্গোৎসব একেবারে হাতছাড়া। তা এখন কর্পোরেটের বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকেছে। পুজো কমিটি আর প্যান্ডেলের মালিকানা নিয়ে লড়াই করছে তৃণমূল-বিজেপি। বাড়ির কাছে শান্তিতে অঞ্জলি দেওয়ার জায়গা নেই, এদিকে দুর্গাপুজোর সময় রাস্তা আটকে বাঁশ বেঁধে প্যান্ডেল বানানোয় যানজটে বিপর্যস্ত হিন্দু বাঙালিরাই। কলকাতার বাইরে অবশ্যই দুর্গাপুজো হয়। কিন্তু একটু হিসেব কষলে দেখা যাবে যে মুম্বইতে কুড়ি বছর আগে যতগুলো দুর্গাপুজো হতো, তার থেকে খুব বেশি কিছু সংখ্যা বাড়েনি। অথচ, কলকাতায় কুড়ি বছর আগে গণেশপুজোর এরকম রমরমা বারোয়ারি চরিত্র দেখা যেত না আদৌ। এর কারণ বাংলার প্রচারসর্বস্ব ধর্মাচরণে এখন পুরোটাই রাজনীতি। আর সেই জায়গাতেই হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ আর সংখ্যালঘু তোষণের জটে পথ হারাচ্ছে হিন্দু বাঙালি। অন্ধ ধর্মবিশ্বাস বা ধান্দাবাজির রাজনীতি দিয়ে এই শ্রেণীর উন্নতির সম্ভাবনা কম।
হিন্দু বাঙালিদের বাঁচাতে পারে তাদের নিজস্ব প্রগতিশীল চেতনা, উদারনৈতিক ভাবধারা এবং আন্তরিক ধর্মবিশ্বাস। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে থেকেও যে হিন্দু বাঙালিদের ভালো রাখা যেতে পারে, এই বিষয়টা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। তাই নিজেদের উৎসবের মরশুমে একটাই প্রার্থনা, হিন্দু বাঙালিরা পুজোর কদিন একটু শান্তিতে ধর্মাচরণের সুযোগ পাক। সেটা আমিষ খেয়েই হোক বা নিরামিষ। সেখানে যেন রাজ্যের উন্নয়নে পায়ের তলার মাটি না সরে যায়, আর রাষ্ট্রের উন্নয়নে যেন দাঁড়াতে না হয় নাগরিকত্ব প্রমাণের দীর্ঘ বক্ররেখায়। রাজনীতির কারবারিরা একটু সরে দাঁড়িয়ে আম জনতাকে একবার মনে করার সুযোগ দিন যে দুর্গাপুজো আসছে। তিনি তো শুধু আমাদের উপাস্য দেবী নন, হিন্দু বাঙালির ঘরের মেয়ে।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত 
20th  September, 2019
বিপদ যখন ওষুধে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 সামান্য জ্বর জ্বর ভাব হলে কি ডাক্তার দেখাবেন? নাকি পাড়ার ওষুধের দোকানে গিয়ে বলবেন, দাদা একটা ক্যালপল দিন তো...! নিশ্চিতভাবে পরেরটা। ক্যালপলের জায়গায় ক্রোসিন, প্যারাসেফ হতেই পারে, কিন্তু ৮০ শতাংশ গ্রাহকই ‘প্যারাসিটামল’ দেওয়ার কথা বলেন না। প্যারাসিটামল অর্থাৎ ওষুধটির জেনেরিক নাম। আর ক্যালপল বা ক্রোসিন হল প্যারাসিটামলেরই ব্র্যান্ড নেম। আর এই দুই নামের সঙ্গেই জড়িয়ে ওষুধের নানা গোপন কাহিনী। কেন? বিশদ

স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’ জিম জোন্সের নাম আজ ক্যালিফোর্নিয়ায় মুখে আনাও পাপ!
মৃণালকান্তি দাস

জিম জোন্সের নাম শুনেছেন? এ এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর গল্প। যাঁর বিশ্বাসের উপর ভর করে আত্মহত্যার আড়ালে এক নিদারুণ গণহত্যার সাক্ষী হয়েছিল আমেরিকা। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একটি দরিদ্র পরিবারে জিমের জন্ম। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন বেশ বুদ্ধিমান এবং কিছুটা অদ্ভুত স্বভাবের। কিশোর বয়স থেকেই ধর্মের প্রতি তাঁর টান ছিল প্রবল।
বিশদ

23rd  September, 2019
অসহিষ্ণুতা
জিষ্ণু বসু

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭০ সাল। অতি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন পরীক্ষা বয়কটের ডাক দিয়েছে। কেন? কী কারণ? কারণটা অদ্ভুত। কাউকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এক সিংহহৃদয় মানুষ। অধ্যাপক গোপালচন্দ্র সেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের প্রবাদপ্রতিম অধ্যাপক এই ছাত্রদরদি মানুষটি অস্থায়ীভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। 
বিশদ

23rd  September, 2019
পুজোর মুখে
শুভা দত্ত

পুজো আসছে। মাঝে আর মাত্র ক’টা দিন—তারপরই শুরু হয়ে যাবে দেবী দুর্গার আরাধনায় মত্ত বাঙালির উৎসব যাপন। আমাদের বিশ্বাস, সেই উৎসবের আনন্দ কোলাহলে আলোর বন্যায় জনস্রোতে ক’দিনের জন্য হলেও এনআরসি হোক কি যাদবপুর, কি সারদা নারদা রাজীব কুমার—সব তলিয়ে যাবে। চিহ্নমাত্র থাকবে না। এতদিন তাই হয়েছে—এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
বিশদ

22nd  September, 2019
এনআরসি, সংখ্যালঘু ভোট ও বিজেপি
তন্ময় মল্লিক

‘এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের আরও বেশি করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে। সেই মতো গ্রহণ করতে হবে যাবতীয় কর্মসূচি।’ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বকে এই কথাগুলি যিনি বলেছিলেন তিনি আর কেউ নন, ‘গেরুয়া শিবিরের চাণক্য’ অমিত শাহ।
বিশদ

21st  September, 2019
সরকারি চাকরির মোহে আবিষ্ট সমাজ
অতনু বিশ্বাস

সমাজ বদলাবে আরও। আমি বা আপনি চাইলেও, কিংবা গভীরভাবে বিরোধিতা করলেও। সরকারি বা আধা-সরকারি চাকরির নিরাপত্তার চক্রব্যূহ ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে পড়বে আরও অনেকটা। এবং দ্রুতগতিতে। গোটা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ এক প্রকারের ভবিতব্যই। একসময় আমরা দেখব, চাকরি বাঁচাতে গড়পড়তা সরকারি চাকুরেদেরও খাটতে হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরেদের মতো। সরকারি চাকরির নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের নিরাপত্তার ‘মিথ’ ভেঙে চুরচুর হয়ে পড়বে। এবং সে-পথ ধরেই ক্রমে বিদায় নেবে পাত্রপাত্রী চাই-য়ের বিজ্ঞাপন থেকে ‘সঃ চাঃ’ নামক অ্যাক্রোনিম।
বিশদ

21st  September, 2019
আলোচনার অভিমুখ
সমৃদ্ধ দত্ত

 প্রাচীন বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতায় দেখা যায় সম্রাটরা অসীম ক্ষমতার অধিকারী প্রমাণ করার জন্য অতি প্রাকৃতিক শক্তি সম্পন্ন হিসেবে নিজেদের প্রতিভাত করতেন। এর ফলে প্রজা শুধু সম্রাটকে যে মান্য করত তাই নয়, ভয়ও পেত, সমীহ করত। প্রাচীন মিশরে শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে ফারাওরা নিজেদেরই ঈশ্বর হিসেবে ঘোষণা করতেন।
বিশদ

20th  September, 2019
বাংলায় এনআরসি বিজেপির স্বপ্নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো 
মেরুনীল দাশগুপ্ত

লোকসভা ভোটে অপ্রত্যাশিত ফলের পর বাংলার বিজেপি রাজনীতিতে যে জমকালো ভাবটা জেগেছিল সেটা কি খানিকটা ফিকে হয়ে পড়েছে? পুজোর মুখে এমন একটা প্রশ্ন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আমজনতার মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। 
বিশদ

19th  September, 2019
জন্মদিনে এক অসাধারণ নেতাকে কুর্নিশ
অমিত শাহ

 আজ, মঙ্গলবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৬৯তম জন্মদিন। অল্প বয়স থেকেই মোদিজি নিজেকে দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। যৌবন থেকেই তাঁর মধ্যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর উন্নয়নে কাজের একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণের কারণে মোদিজির শৈশবটা খুব সুখের ছিল না। বিশদ

17th  September, 2019
ব্যাঙ্ক-সংযুক্তিকরণ কতটা সাধারণ মানুষ এবং সামগ্রিক ব্যাঙ্কব্যবস্থার উন্নতির স্বার্থে?
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

অনেকগুলি ব্যাঙ্ক সংযুক্ত করে দেশে সরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমিয়ে আনা হল আর সংযুক্তির পর চারটি এমন বেশ বড় ব্যাঙ্ক তৈরি হল, আকার আয়তনে সেগুলিকে খুব বড় মাপের ব্যাঙ্কের তকমা দেওয়া যাবে। এসব ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, এতে দেশের অর্থনীতির খুব উপকার হবে।  
বিশদ

16th  September, 2019
রাজনীতির উত্তাপ কি পুজোর আমেজ
জমে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
শুভা দত্ত

 পরিস্থিতি যা তাতে এমন কথা উঠলে আশ্চর্যের কিছু নেই। উঠতেই পারে, উঠছেও। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের মুখে প্রায় প্রতিদিনই যদি কিছু না কিছু নিয়ে নগরী মহানগরীর রাজপথে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে, পুলিস জলকামান, লাঠিসোঁটা, কাঁদানে গ্যাস, ইটবৃষ্টি, মারদাঙ্গা, রক্তারক্তিতে যদি প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজীবন ব্যবসাপত্তর উৎসবের মরশুমি বাজার কিছু সময়ের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তবে এমন কথা এমন প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক।
বিশদ

15th  September, 2019
আমেরিকায় মধ্যবয়সের
সঙ্গী সোশ্যাল মিডিয়া
আলোলিকা মুখোপাধ্যায়

যে বয়সে পৌঁছে দূরের আত্মীয়স্বজন ও পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ক্রমশ আগের মতো সম্ভব হয় না, সেই প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধার জীবনে ইন্টারনেট এক প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিয়েছে। প্রয়োজনীয় এই কারণে যে, নিঃসঙ্গতা এমন এক উপসর্গ যা বয়স্ক মানুষদের শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে। বিশদ

14th  September, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগ বন্ধ হয়ে গেল। স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা বলেন, ক্রীড়াসূচি তৈরি হওয়ার পর তিনটি ক্লাব নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ। তিনটি ক্লাবকে তারজন্য শোকজও করা হয়েছে।  ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: খড়্গপুরে কারখানার সম্প্রসারণ করতে চায় টাটা মেটালিক্স। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই তার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়েছে। সোমবার বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় এসে এ কথা জানালেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। এর ফলে আরও ৬০০ ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: কোথাও থিম আলো, আবার কোথাও দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলা। কোথাও সবুজ বাঁচানো ও জল সংরক্ষণের বার্তা, আবার কোথাও প্রতিমা নয়, নিজের মায়ের মধ্যেই দুর্গাকে দেখার আহ্বান। এগরা শহরের পুজোয় এবারও বিভিন্ন ক্লাব নানা থিমের ডালি নিয়ে হাজির। শহরে ...

 জম্মু, ২৩ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি ও আরএসএস নেতা খুনে অভিযুক্ত তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। নাসির আহমেদ শেখ, নিশাদ আহমেদ এবং আজাদ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৭: গায়ক কুমার শানুর জন্ম 

23rd  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৪ টাকা ৭১.৮৪ টাকা
পাউন্ড ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২৩ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৭ টাকা ৭৯.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৩২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৯০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ২৮/৩ অপঃ ৪/৪২। পুনর্বসু ১২/৩৪ দিবা ১০/৩১। সূ উ ৫/২৯/১৭, অ ৫/২৮/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৯ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/২৮ মধ্যে।
 ৬ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ১৫/৩৮/২২ দিবা ১১/৪৪/৩১। পুনর্বসু ৩/২৭/১৪ দিবা ৬/৫২/৪, সূ উ ৫/২৯/১০, অ ৫/৩০/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ১১/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪১ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১১/৪৮ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে ও ৪/৪৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯/২০ গতে ৮/২৯/৩০ মধ্যে, কালবেলা ১/০/০ গতে ২/৩০/১০ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/০/২০ গতে ৮/৩০/১০ মধ্যে।
২৪ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। বৃষ: শেয়ার বাজারে আজ কিছুটা বিনিয়োগ করতে পারেন। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৩২: স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু১৯৪৮: হোন্ডা মোটরস কোম্পানির প্রতিষ্ঠা১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

হাওড়ায় আত্মঘাতী পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া 
স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে শৌচাগারে আত্মঘাতী হল পঞ্চম শ্রেণীর এক ...বিশদ

08:54:53 PM

দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন 

07:26:05 PM

হরিপালের নন্দকুঠিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৩ 
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিনজনের। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ...বিশদ

06:28:27 PM

চোটের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দল থেকে ছিটকে গেলেন জসপ্রিত বুমরাহ 
অনুশীলনের সময় চোট পেলেন ভারতের তারকা পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। চিকিৎসকরা ...বিশদ

05:17:56 PM