শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা সফরে এসেছিলেন। তখনই জানা যায়, চলতি মাসের শেষে তিনি ফের আসবেন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে আজ তিনি দু’দিনের জেলা সফরে পশ্চিম মেদিনীপুর আসছেন। এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে তিনি মেদিনীপুর পুলিস লাইনে জেলা প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন। এবার ডেবরা ব্লকে সেই আয়োজন করা হয়েছে। তবে, বিদ্যাসাগরে দ্বিশত জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের সূচনা করতে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী ওই মহাপুরুষের জন্মভিটেয় যাবেন। পরের দিন অর্থাৎ বুধবার তিনি ডেবরায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। সেই মতো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রবিবার রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, সহকারী সভাধিপতি অজিত মাইতি সহ পদাধিকারিরা বসে মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানে কীভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে, তার রূপরেখা তৈরি করেন। পাশাপাশি বীরসিংহ সহ আশপাশের এলাকায় কোনও দলীয় পতাকা যেন না থাকে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে বীরসিংহ গ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সাধারণ মানুষের জন্য কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, রূপশ্রী সহ মুখ্যমন্ত্রীর যেসব উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করেছেন, তা ফেস্টুন আকারে টাঙিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী বীরসিংহ গ্রামে আসছেন। তাই সেখানে কোনওভাবে দলীয় কোনও স্লোগান না যাতে দেওয়া হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বীরসিংহ গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই প্রথম আমাদের গ্রামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। তিনি আসছেন বলেই এই গ্রামে রাস্তা থেকে আলো, সবেতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। তিনি এসে বীরসিংহ গ্রামের উন্নয়ন নিয়ে কী কী বলেন, তাই এখন দেখার।
আজ, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে, নাকি সড়কপথে আসবেন, তা প্রশাসনিক কর্তারা সঠিকভাবে জানাতে পারেননি। তবে, সড়কপথের পাশাপাশি হেলিপ্যাডও তৈরি রাখা হয়েছে। মূল রাস্তার বাঁদিকে কিছুটা গেলেই বিদ্যাসাগরের স্মৃতি মন্দির। আর ডানদিকে ভগবতী হাইস্কুল রয়েছে। সেই স্কুলমাঠেই সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিদ্যাসাগরের স্মৃতি মন্দিরে মালা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্কুলমাঠের মূলমঞ্চে চলে যাবেন। সরকারি অনুষ্ঠানে জেলার একাধিক ব্লকের উপভোক্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠানস্থল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ৪০টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৫৪টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। সেইমতোই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্তরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিকেল ৩টে নাগাদ তিনি বীরসিংহে আসবেন। তার জন্যবীরসিংহ গ্রামে যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সরকারি এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর ৪৫ মিনিট থাকার কথা রয়েছে। নবান্নের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের এই সূচি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সোজা কোলাঘাট গেস্ট হাউসে চলে যাবেন। সেখানেই তাঁর থাকার কথা রয়েছে। বুধবার ডেবরা ব্লকে দুপুর ৩টে নাগাদ জেলা প্রশাসনিক বৈঠক শুরু হবে। সেই বৈঠকে জেলার উন্নয়নমূলক কাজকর্মের পর্যালোচনা করা হবে।