শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
তারপরে স্বশাখোক্ত-সূক্ত পাঠ করে স্বশাখোক্ত ঘট স্থাপন করেন। তখন সামান্যার্ঘ্য, ভূতশুদ্ধি মাতৃকান্যাস, পীঠন্যাস করে গণেশের ধ্যান করতে হয়। তারপর শিব, পঞ্চদেবতা, নবগ্রহ, দশদিক্পাল, দশাবতার, লক্ষ্মী, মনসা, গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর ধ্যান মন্ত্র পড়ে পুজো করা হয়।
তারপর শ্বেত সরষে মন্ত্রদ্বারা চতুর্দিকে ছিটিয়ে দিয়ে ভূতাপসারণ বা বিঘ্ননাশ করা হয়। এরপর যথাবিহিত মন্ত্রদ্বারা করন্যাস, অঙ্গন্যাস ও ধ্যানমন্ত্র প্রভৃতির দ্বারা মানসোপচারে দেবীর পুজো করে বিশেষার্ঘ্য স্থাপন করে মন্ত্র দ্বারা দেবীর আহ্বানপূর্বক ‘ওঁ দুর্গে দুর্গে রক্ষনি স্বাহা হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ’ মন্ত্রে দেবীর পুজো করে মন্ত্রসহ পাদ্যাদি দ্বারা বিল্ববৃক্ষের পুজো করে মাষভক্তবলী প্রদান করা হয়।
এরপর পঞ্চগব্য ও পঞ্চামৃত দ্বারা পূর্বদিকবর্ত্তিনী বিল্বশাখাকে তন্ত্রমতে অভিমন্দ্রিত করে মন্ত্রপাঠ করে বিল্বতরু বা বেলগাছকে আমন্ত্রণ করা হয়। অর্থাৎ বিল্ববাসিনী দুর্গাকে আমন্ত্রণ করা হয়। তারপর মন্ত্রবলে সাতবার সুতো দিয়ে বেস্টন দেওয়া হয়।
এই আমন্ত্রণের সময় মাকে বিভিন্ন ফল-মিষ্টি নৈবেদ্য নিবেদন করা হয়। আরতিও করা হয়ে থাকে।
এরপর শুরু হয় মা দুর্গার অধিবাস। পুরোহিত শুদ্ধাসনে বসে আচমনপূর্বক যজমানের গোত্র তিথি নক্ষত্র বলে সংকল্প করে পর পর আসনশুদ্ধি, ভূতাপসারণ প্রভৃতি করে সামান্যার্ঘ্য স্থাপন করে পীঠপুজো করে গণেশ ও অন্যান্য দেবতার সমাপ্ত করে করাঙ্গন্যাস পূর্বক দেবীর ধ্যান করেন। নিজের মাথায় পুষ্প প্রদান করে মানসোপচারে দেবীর পুজো করে ধ্যান আবহানাদি করে দেবীকে প্রণাম মন্ত্র উচ্চারণ করে দেবীর আশীর্বাদ কামনা করা হয়।
এরপর পাদ্যাদি দ্বারা বিল্ববৃক্ষের অর্চনা করে বক্ষমাণ মন্ত্র পাঠ করতে হয়। অতঃপর প্রশস্তিবন্দনোক্ত দ্রব্যাদি দ্বারা বিল্ববৃক্ষ ও ঘটে দেবীর দুর্গার অধিবাস করে মণ্ডপে এসে আগের সব দ্রব্য দ্বারা দেবী ও নবপত্রিকার অধিবাস করতে হয়। তারপর প্রতিমার চারদিক তিরকাঠি স্থাপন করে সূত্রবেষ্টন করা হয়।