শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
এরপর বিল্বডাল দ্বারা দেবীর মন্ত্র সহ দেবীর দন্তমার্জনা করা হয়। এসব আচরণ অনুষ্ঠিত হয় মায়ের সামনে একটি তাম্রাধার রেখে। তার উপরে দর্পণ স্থাপন করে সেই দর্পণের ওপর মায়ের প্রতিবিম্ব পড়ে তাই দর্পণের ওপরই এইসব কাজ সম্পন্ন হয়। শুরু হয় দেবীর মহাস্নান। দর্পণ প্রতিবিম্বে দেবীকে চন্দন, হলুদ, পিটুলি, পঞ্চশস্য প্রভৃতি চূর্ণ, নানা ধরনের সুগন্ধি তেল ও মাটি প্রভৃতি মাখিয়ে মন্ত্রপাঠ সহ শীতলজল, শঙ্খজল, গঙ্গাজল, বৃষ্টির জল, সাতসমুদ্রের জল, ঘি, দুধ, অগুরু, চন্দন জল, শিশিরের জল, মধু, নারকেলের জল, মুক্তোজল প্রভৃতি দ্বারা মাকে স্নান করানো হয়। নতুন বস্ত্র প্রদান করা হয় মাকে।
এরপর মন্ত্র দ্বারা মাকে স্বাগত জানিয়ে পাদ্য, অর্ঘ্য, আচমনীয়, মধুপর্ক, স্নানীয়, বস্ত্র, আভরণ, শঙ্খাভরণ, সিন্দূর, চন্দন, পুষ্প, বিল্বপত্র, মাল্য, কজ্জল, ধূপ, দীপ, রচনা, নৈবেদ্য, পানার্থোদক, পুনরাচমনীয়, তাম্বুল দিয়ে দেবীকে অর্চনা করে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
এরপর হয় আভরণ পুজো। তারপর নবপত্রিকার পুজো শুরু হয়। যে নয়টি দ্রব্য দ্বারা নবপত্রিকা তৈরি করা হয় সেই নয়টি দ্রব্যের প্রত্যেকটি একেকজন দেবীর প্রতীক। এরপর গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, মহাদেব, নারায়ণ, মহিষাসুর সহ দেব-দেবীদের বাহন, অস্ত্র, গঙ্গা, যমুনা, চতুর্বেদ, নীলকণ্ঠ, দশাবতার, অষ্টবসু প্রভৃতির পুজো করে সকল দেবতাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। মূল মন্ত্র জপ, চণ্ডীপাঠ করে ভোগ প্রদান হয়ে গেলে আরতি করে সপ্তমী পুজো সমাপ্ত হয়। এখানে উল্লেখ করা দরকার, মা দুর্গা ও তাঁর চার ছেলেমেয়ে আমিষ অর্থাৎ মাছ, বলির মাংস ভোগরূপে গ্রহণ করেন। আবার নিরামিষ ভোগও গ্রহণ করে থাকেন, কিন্তু শিব বা বিষ্ণুর ভোগ সব সময়ই নিরামিষ।
সন্ধের পর মাকে শীতলি ভোগ, নাড়ু, তক্তি, মুড়কি, মিষ্টি প্রভৃতি নিবেদন করে আরতি করে তাঁকে শয়ন দেওয়া হয়। সপ্তমীর দিন চণ্ডীপাঠ হয়।
দূর্বা বাগচী