গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
একদিকে কেমিক্যাল থেকে চুল নষ্ট হওয়ার ভয়, অন্য দিকে ফ্যাশনদুরস্ত লুক। ভারি মুশকিলে পড়া গেল। কোন দিকে হাঁটবেন নব্য তরুণীরা? প্রশ্ন করেছিলাম রূপ বিশেষজ্ঞ দিব্যা সিংকে। তিনি জানালেন একটা মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা যেতেই পারে। তাতে চুলের স্বাস্থ্য বজায় থাকবে আর ফ্যাশনও নেহাত মন্দ হবে না। উপায়টির নাম ন্যাচারাল হেয়ার ডাই। অর্থাৎ প্রাকৃতিক উপায়ে চুলে রং।
হেনা তো আমাদের সকলেরই বেশ পরিচিত। হেনা পাউডার চায়ের লিকারে গুলে সারা রাত রেখে চুলে লাগিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হয় চুল। তাহলেই কেল্লা ফতে। চুলে লালচে রং ধরে যায় নিমেষে। অনেকে আবার চুলের পুষ্টির কথা ভেবে তাতে ডিমও মেশান। কেউ বা আমলার নির্যাস মেশান হেনার সঙ্গে। যাই হোক, এমন রঙের স্থায়িত্ব খুব বেশি না হলেও চুলের কোনও ক্ষতি হয় না এতে। ফলে চুলের পক্ষে এই রং খুবই উপযুক্ত।
এছাড়াও আরও নানারকম প্রাকৃতিক উপকরণ আছে চুল রাঙানোর, জানালেন দিব্যা। তাঁর কথায়, গায়ের রং যদি মোটামুটি উজ্জ্বল হয় তাহলে গাজর দিয়ে বানাতে পারেন হেয়ার ডাই। সেক্ষেত্রে দুটো গাজর মিক্সিতে বেটে রস বের করে নিতে হবে। তার সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে অন্তত ঘণ্টা দুয়েক রেখে দিন। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন। ভেজা অবস্থাতেই চুলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার লাগিয়ে নিন। এই পদ্ধতিতে পরপর তিন দিন চুল রং করলে চুলে একটু চেরি রং ধরবে। শ্যাম্পু করার গ্যাপের উপর নির্ভর করে এই রঙের স্থায়িত্ব দিন পনেরো টিকতে পারে।
চুলে গাঢ় লাল রং চাইলে বিটের রস ব্যবহার করুন। একটা বিট মিক্সিতে বেটে তার রস বের করে নিন। এরপর নারকেল তেলের সঙ্গে এই রস মিশিয়ে একটা থকথকে মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার চুলে এই মিশ্রণ মেখে অন্তত তিন ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুলে লালচে রং আসবে।
গাঢ় বাদামি রং আমাদের ত্বকের রঙের সঙ্গে বেশ ভালোই মানায়। চুলে সেই রং আনতে চান? আপনার সাহায্যে হাজির কফি। ২ টেবিল চামচ ডার্ক রোস্টেড কফি কাপ উষ্ণ গরম জলে গুলে নিন। তারপর তার সঙ্গে বাজারচলতি ভালো কোনও কন্ডিশনার মিশিয়ে নিন। এবার স্নানের পর চুল ভেজা অবস্থায় এই মিশ্রণ চুলে মোটা করে লাগিয়ে রেখে দিন। মোটামুটি ঘণ্টা তিন থেকে চার রেখে ধুয়ে ফেলুন। পরপর দু’বার ব্যবহার করলে চুলে একটা ডার্ক মেহগনি রং ধরবে।
ক্যামোমাইল চায়ের ফুল দিয়েও চুলে রং করতে পারেন। এর ব্যবহারে হালকা খয়েরি রং ধরবে চুলে। একটা সোনালি আভা দেখা দেবে। চুলের হাইলাইট হিসেবে এটি উপযুক্ত। কাপ ক্যামোমাইল ফুল এক কাপ জলে ফুটিয়ে নিন। জলে রং ধরলে খানিকক্ষণ রেখে ছেঁকে ফেলুন। ঠান্ডা হলে চুলে এই মিশ্রণ মেখে নিন। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে পরপর বার পাঁচেক এই পদ্ধতিটি চুলে প্রয়োগ করুন। চুলে ফিকে সোনালি রং ধরবে।