গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
টপটপ করে ঘাম পড়ছে মুখ থেকে। ধীরে ধীরে ভিজে যাচ্ছে শরীর। দেহের টক্সিন বেরিয়ে আসছে রোমকূপের মাধ্যমে। গ্রীষ্মকালে এ তো চেনা দৃশ্য। যে কোনও বয়সেই ঘাম অত্যন্ত স্বাভাবিক। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের ঘাম বেশি হয়। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক অসুস্থতাতেও ঘাম বেশি হওয়ার প্রবণতা থাকে। তা নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে সাধারণ কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে মুখের ঘাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে পারেন। গরমে তাতে খানিক স্বস্তি মিলবে। বাড়িতেই ঘাম নিয়ন্ত্রণে কী কী করবেন, তার পরামর্শ দিলেন রূপ বিশেষজ্ঞ পায়েল ভট্টাচার্য।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার জন্যই ঘাম হয়। অ্যাক্র্যাইন এবং অ্যাপোক্রিন নামে দুটো গ্রন্থি থেকে ঘাম নিঃসরণ হয়। শরীরে যখন তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ঘাম নির্গত হয়। তার সঙ্গে কিছু বর্জ্য পদার্থও। হরমোনের নানা পরিবর্তনে ঘাম বেশি হয়। থাইরয়েডের সমস্যা, অ্যাংজাইটি থেকেও অত্যধিক ঘাম হতে পারে। পায়েল জানালেন, মুখের ঘাম কমাতে চাইলে আগে ত্বকের টোনিং প্রয়োজন। এতে ত্বকের যে রোমকূপগুলোর মুখ খুলে যায়, সেগুলো কিছুটা কমানো সম্ভব। বাজারচলতি টোনার ব্যবহার না করে শসার রস ফ্রিজে রেখে কিউব তৈরি করে নিন। সকালে মুখ পরিষ্কার করে ওই কিউব ১০-১৫ মিনিট হাল্কা বুলিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার দিন। আবার শসার রসের সঙ্গে টক দই এবং মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর হাল্কা ঘষে ধুয়ে নিন। এতেও রোমকূপের খোলা মুখ কিছুটা ছোট হয়ে যায়। এই প্যাক সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যবহার করলে উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন। পাশাপাশি ঘাম নিয়ন্ত্রণ হবে।
আলুর রসেও প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। সেটাও ঘাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী। আলু গ্রেট করে রস বের করে নিন। এরপর কিউব তৈরি করে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যে কোনও ধরনের ত্বকের যত্নে মধু অত্যন্ত উপকারী উপাদান। মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিলেও উপকার পাবেন।
গরমে দিনে বা রাতে বেরনোর আগে যদি মেকআপ করেন, তার আগে এক টুকরো বরফ নিয়ে সারা মুখে ঘষে নিন, এতেও রোমকূপের মুখ বন্ধ হবে। ফলে মুখের ঘাম কম হবে। ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখুন। স্ক্রাব করে মৃত কোষ তুলে দিন। ঘরোয়া টোনার দিয়ে তারপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। প্রতিদিনের যত্নে ত্বক তরতাজা থাকবে। একইসঙ্গে খাবারের দিকেও নজর দিন। সবুজ শাকসব্জি, মরশুমি ফল এবং প্রচুর পরিমাণ জল খেতে হবে।