গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
সামনের কয়েক মাস সূর্যর চালিয়ে ব্যাট করার সময়। এই সময়টাতেই তো সারা বছরের রান তুলে নেবে সে। নাহ্! এ আপনার পাশের বাড়ির ক্রিকেট-পাগল সূর্য নয়। স্বয়ং সূর্যদেব। তাপমাত্রার পারদের রেগুলেটর হাতে এখন তো তিনিই রাজা। গরমে ঘেমে ক্লান্ত আপনি। কিন্তু তাও সাজ চাই ষোলো আনা। সূর্য যতই রান তুলুক, আপনিই বা কম কিসে? গরমকে কাবু করতে পারবেন না ঠিকই। কিন্তু গ্রীষ্মকে মাথায় রেখে নিজের সাজে ঋতুবদল ঘটাতেই হবে। গরমে ফুরফুরে থাকতে পোশাকে যেমন আরাম খুঁজবেন, তেমনই মানানসই প্রিন্টও জরুরি।
ফ্যাশন আসলে ঘুরেফিরে আসে। বেশ কয়েক বছর আগে যে প্রিন্ট বাজারে রাজত্ব করত, ২০-৩০ বছরের বিরতি নিয়ে তারাই আবার নতুন ফর্মে ফিরে আসে। পুরনোকে সাক্ষী রেখেই নতুনত্ব খোঁজেন ফ্যাশন ডিজাইনার স্রোতস্বিনী মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘গরমের ফ্যাশনে যত কম স্টাইলিং হবে, তত লুকের মধ্যে একটা আরামদায়ক এফেক্ট আসবে। সেখানে প্রিন্টের গুরুত্ব রয়েছে। গত বছর থেকেই ভার্সেটাইল স্ট্রিট স্টাইল নানা রকম পোশাকের মধ্যে দিয়ে ফ্যাশনের দুনিয়ায় ছাপ ফেলেছে। আর প্রিন্টও লিঙ্গ নির্বিশেষে খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে। সকলেই এই ট্রেন্ডে অংশ নেন। পুরনোকে নতুন ভাবে সাজিয়ে নিতে ব্লক প্রিন্ট আদর্শ। যে কোনও ফ্যাব্রিকে ব্লক সবসময় আকর্ষণীয় ও আরামদায়ক। তার মধ্যে রকমারি গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ হয় এখন। পপ কালচার থিমে ব্লক সব বয়সের মানুষ পছন্দ করেন। অ্যাসিমেট্রিক কালার ব্লকও খুব জনপ্রিয়।’
দেবশ্রী’জ-এর কর্ণধার দেবশ্রী দাস আবার কলমকারির উপর জোর দিলেন। তাঁর কথায়, ‘ছত্তিশগড়ের লিনেনের উপর মূলতানি মাটির সঙ্গে কলমকারির অরিজিনাল ভেজিটেবল প্রিন্ট এবার খুব ট্রেন্ডিং। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কলমকারি আঁকতে হলে তার দাম অনেক হবে। সেটা হয়তো সকলের আয়ত্তে থাকবে না। তাই মূলতানি মাটির সঙ্গে ভেজিটেবল ডাই ব্যবহার করে প্রিন্ট করা হচ্ছে। রং অনেক গাঢ় হয়। ট্র্যাডিশনাল লুক তৈরি হয়। এগুলো ভীষণ পরিবেশবান্ধব।’
সময় অনুযায়ী সাজলে তবে তা মানায় ভালো। বসন্তের রেশ রেখেই তো আবহাওয়া গরম হতে শুরু করে। সাজেও তার প্রভাব পড়ে বলে মনে করেন স্রোতস্বিনী। তিনি বললেন, ‘বসন্তের উচ্ছ্বাস আর গরমের আরামের ভারসাম্য বজায় রাখতে ট্রপিক্যাল, ফ্লোরাল এবং অ্যানিম্যাল প্রিন্ট সবথেকে ভালো। জঙ্গল এফেক্টের গ্রাফিক্স, বাংলার ঐতিহ্যবাহী ফুল যেমন জবা, পদ্ম নিয়ে খুব সুন্দর ক্রিয়েটিভ প্রিন্ট তৈরি হয় এখন। সেগুলো ট্রাই করতে পারেন।’ পুরনো যা কিছু সবই তো আসলে ফেলে আসা ভালোবাসা। ফ্যাশন ট্রেন্ডও তার ব্যতিক্রম নয়। ‘নতুনভাবে পুরনো সাদা কালো স্ট্রাইপ, পোলকা ডট-এর ফ্যাশন আবার ফিরে এসেছে। যা গত কয়েক বছর ধরে আমরা ‘ওল্ড স্কুল’ বলে সরিয়ে রেখেছিলাম। ওয়ের্স্টান টাইপ এসব প্রিন্ট দিয়ে এথনিক এবং ইন্দো ওয়ের্স্টান লুক তৈরি করা যায়। এর মধ্যে গিনঘাম প্রিন্টও খুব ব্যবহার হচ্ছে। টাই অ্যান্ড ডাই-এর ওমব্রে িপ্রন্টও খুব রঙিন ট্রেন্ডি লুক তৈরি করতে পারে,’ বললেন তিনি।
• হেয়ার : বীথি রায় • ছবি: সুপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়
• শাড়ি ও সালোয়ার সেট: অনুশ্রী মালহোত্রা
যোগাযোগ : ৯৯০৩৯৫৫৩০০
• গ্রাফিক্স: সোমনাথ পাল