Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। এবং সবথেকে বেশি লাভ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারি বরাদ্দের টাকা যাদের হাতে যায় তাদের। 
দিল্লি এবং বেশ কিছু ভারতীয় শহরের বাসিন্দাদের বছরের বিভিন্ন মরশুমে মোবাইলে সকালে উঠে আবহাওয়া কন্ডিশন দেখা অভ্যাস। শীতকালে আগ্রহ সহকারে নাগরিকরা দেখতে চায় আজ কত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গ্রীষ্মকালে আগ্রহ তৈরি হয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত হবে অথবা কত ছিল। যখন মোবাইল ছিল না, তখনও এই আগ্রহ পূরণ করা হতো টিভির নিউজ দেখে। কিন্তু দেশের রাজধানী শহর দিল্লি এবং অন্য কিছু নগরীতে শীতকাল আসার আগের এক দুমাস ধরে অন্যতম মোবাইল সার্চিং-এর বিষয়বস্তু হল, একিউআই কত আছে? একিউআই হল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স। সাধারণ নিয়ম হল, ৫০-এর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স থাকলে সেটা শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য সহনীয় এবং ওটাই মাপকাঠি হওয়া উচিত। কিন্তু আদতে কত থাকে দিল্লি ও দেশের বহু নগরীর একিউআই? পেরিয়ে যায় চারশো, পেরিয়ে যায় ৮০০। যা দিনে ৬০ থেকে ৮০ টা সিগারেট খাওয়ার সমান। দিল্লিজুড়ে শ্বাসকষ্ট চলে। সবথেকে কাদের ক্ষতি? যাদের পেশার জন্য বাইরে না বেরিয়ে উপায় নেই। সবথেকে কাদের লাভ? চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যবসায়ী এবং কর্পোরেট সংস্থার। কেন? হু হু করে এয়ার পিউরিফায়ার বিক্রি হয়। দেশের সবথেকে বড় এয়ার পিউরিফায়ার মার্কেট হল দিল্লি ও উত্তর ভারত। ঠিক যেভাবে দেশজুড়ে অসংখ্য নামী অনামী প্যাকেজড ওয়াটার কোম্পানির বাণিজ্য সবথেকে বেড়েছে বিগত ২০ বছরে, তেমনই বাড়ছে এয়ার পিউরিফায়ার। এবং ওষুধ কোম্পানি তথা নার্সিংহোমদের মুনাফা চরমে। এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ— এই হল সবথেকে লাভজনক ব্যবসা এখন। 
ঠিক এখানেই প্রশ্ন ওঠে সরকারের ভূমিকা কী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ধন্দের জন্ম হয়। কারণ দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট টাকা বরাদ্দ করে। ২০২৪ সালের বাজেটে পরিবেশ মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, ৩৩৩০ কোটি টাকার কিছু বেশি। এই টাকার মধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৮৫৮ কোটি টাকা। গত আর্থিক বছরের বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৮৪৭ কোটি টাকা। যে টাকায় বিগত এক বছর ধরে কাজ হওয়ার কথা ছিল দূরণ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে। ওই টাকায় কী হল? কোথায় গেল সেই টাকা? দূষণ নিয়ন্ত্রণ খাতে কী কী ভাবে ব্যয় করা হয় টাকা? ৮৪৭ কোটি টাকা তো সামান্য নয়? কেন্দ্রীয় রাজকোষ থেকে এই টাকা কোথায় কোথায় গেল? কারা পেল? রাজ্যগুলি কীভাবে খরচ করল? এই তাবৎ প্রশ্নের একটি জবাব তো হওয়া উচিত যে, দূষণের হার কিছুটা কমেছে। কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না! উল্টে বেড়ে গিয়েছে। যারা ট্যাক্স দিচ্ছে বছরের পর বছর, ভোট দিচ্ছে, তাদের আয়ু কমে যাচ্ছে। তাদের চিরস্থায়ী শ্বাসজনিত রোগ হয়ে যাচ্ছে। দিল্লির অফিসগুলি ওয়ার্ক ফ্রম হোম করে দিয়েছে। স্কুল কলেজ বন্ধ। কেন? কারণ দূষণ। 
গোটা বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণ যেসব শহরে সেই ১০০টি শহরের মধ্যে ৬০টি ভারতে। ন্যাশনাল মিশন ফর গ্রিন ইন্ডিয়া। এই ব্যাপারটি ঠিক কী? কাদের কাছে এ বছরও ১৭০ কোটি টাকা গিয়েছে? তাদের কী করতে হয়? সাধারণ মানুষ কিন্তু জানে না। সাধারণ মানুষ শুধু জানতে চা‌ই঩ছে আমরা যে জিএসটি, ইনকাম ট্যাক্স কিংবা সেস বাবদ বিভিন্ন টাকা প্রতিদিন দিয়ে থাকি সেইসব টাকায় এই বরাদ্দগুলি করা হয়। তাহলে কোনও লাভ পাচ্ছি না কেন? ১৪৫ কোটি জনসংখ্যার দেশে নানাবিধ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেওয়া ট্যাক্সের টাকা কারা ভাগাভাগি করে নিয়ে নিচ্ছে? ১০ বছর আগে আমাদের চারদিকের পরিবেশ যেমন ছিল, তার থেকে দারুণ উন্নত হয়ে গিয়েছে এরকম তো হচ্ছে না? ঝকঝকে রাস্তা, পরিচ্ছন্ন ফুটপাত এবং প্রচুর পার্ক পেতে হলে আমাদের নতুন গড়ে ওঠা স্যাটেলাইট টাউনশিপে ৫০ লক্ষ অথবা ১ কোটি টাকার বেশি দামের ফ্ল্যাট কিনে যেতে হবে কেন? আমার সাধারণ পাড়ার বাড়িঘরের পার্শ্ববর্তী এলাকাকে বাসযোগ্য এবং উন্নত করে তোলার জন্য সরকার কী করছে? বিশুদ্ধ বাতাসই দিতে পারছে না? কোভিডের সময় যেমন অক্সিজেন দিতে পারেনি? 
এই যে এত বড় একটা ওলিম্পিক্স হয়ে গেল। আর কত বছর ধরে হা হুতাশ করব আমরা যে চীন পারে, আমেরিকা পারে, রাশিয়া পারে আমরা কেন পারি না। ৪০ বছর আগেও যা হতাশা ছিল, এখনও তাই। কিছু সোনার ছেলেমেয়ের উজ্জ্বল ব্যক্তিগত অবদানের জন্য আমাদের মুখ এক দুদিনের জন্য উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সামগ্রিকভাবে প্রথম সারিতে উঠে আসা আর হয় না ভারতের। কেন? ভারত সরকার ক্রীড়া মন্ত্রকের জন্য ৩৪৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল গত বছরে। আর এই বছরে ওলিম্পক্স হয়েছে। ওই টাকা কোথায় গেল? কারা পেল? কারা পেল না? কাদের মাধ্যমে খরচ হয়েছে? প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর আছে। কারণ ওই উত্তর প্রোটোকল অনুযায়ী প্রযোজ্য। অর্থাৎ কীভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, সরকার কি তৃণমূল স্তরে অডিট করছে?  খেলো ইন্ডিয়া নামক একটি প্রকল্প আছে। যা বর্তমান ভারত সরকারের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর এই ‘খেলো ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে ভারত সরকার দিয়েছে ৮৮০ কোটি টাকা। এই বছরের বাজেটে কত টাকা বাড়ানো হয়েছে? মাত্র ২০ কোটি টাকা! ভারত কেন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম সারির জায়গা করে নিতে পারছে না? এই প্রশ্ন সকল দেশবাসীর। সেই প্রশ্নের সামনে একটি তথ্য জানা দরকার। ভারতে গত বছরের ক্রীড়া বাজেটের তুলনায় এই বছরের বাজেট বেড়েছে ৪৫ কোটি টাকা। দিল্লির তিলক মার্গ অথবা সুন্দরনগরে একটি বাংলোর দাম কত? ১০০ কোটি টাকা! 
দূষণ কমাতে কি আদৌ সরকার পক্ষ চায়? টাকা কত বরাদ্দ করা হল, সেই টাকা কীভাবে ব্যয় করা হয়, কারা আসলে নানাবিধ পরিকল্পনা পেশ করে সিংহভাগ টাকা হস্তগত করল, কারা গোপনে গোপনে আত্মসাৎ করে নেয় বছরের পর বছর ধরে হাজার কোটি টাকা— এসব তো বৃহৎ প্রশ্ন! ক্ষুদ্র প্রশ্ন হল, সরকারের পক্ষ থেকে দূষণ কমানো, নিজেদের ভোটারদের, নাগরিকদের অন্তত স্বস্তি ও শান্তিতে থাকতে দেওয়ার কোনও ইচ্ছা ও আগ্রহ আছে? নেই। থাকলে এতদিনে পার্লামেন্টে আইন সংশোধন করে যত্রতত্র তারস্বরে মাইক বাজানো, ডিজে বাজানো কিন্তু বন্ধ হয়ে যেত। আইন এনে বলা হতো যে বাজি ফাটানো যাবে না। আইন আনলে কী হতো? পুলিসকে দায়বদ্ধ করা যেত যে, তারা চোখের সামনে বছরের পর বছর আইন অমান্য হচ্ছে দেখেও কিছু বলছে না। কোনও সরকার কিন্তু এসব বন্ধ করার কোনও উদ্যোগ মন থেকে করে না। আর তাই প্রতি বছর স্রেফ লোকদেখানো কিছু প্রহসন হয়। কেমন প্রহসন?
উৎসবের মরশুমের আগে সুপ্রিম কোর্ট কড়া নির্দেশিকা দেয় বাজি ফাটানো নিয়ে। প্রবল নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। সেটা বড় বড় হেডলাইন হয় সংবাদপত্রে। পুলিস নিয়ম করে দেখায় যে তারা কোথা থেকে কত বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। আর পাশাপাশি সর্বত্র নিষিদ্ধ বাজি তৈরি হয়। বিক্রি হয়। কেনাকাটা হয়। যে কোনও ধর্মীয় উৎসবের সময় যথারীতি বাজি ফাটে। মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। দিল্লি ও উত্তর ভারত দূষণের ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। পাশাপাশি চলে ফসলের অবশেষে নাড়া পোড়ানো। সেই ধোঁয়া ঢোকে। সুপ্রিম কোর্ট সরকারদের বকাবকি করে। আবার হেডলা‌ইন হয় সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু দূষণ কমে না। মানুষ অসুস্থ হয়। মাস্ক কেনে। এয়ার পিউরিফায়ার কেনে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম হয়। এরপর বাতাস বইতে শুরু করে। কমতে থাকে একটু দূষণ। সবাই সব কিছু ভুলে যায়। আবার আসছে বছর আবার হবের প্রস্তুতি চলে। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে চলছে। 
বিগত ২০ অথবা ৩০ বছরে কী হয়েছে সেই হিসাব বাইরে রাখছি। শুধু বিগত পাঁচ বছরে দিল্লির যমুনা নদীকে দূষণমুক্ত ও বিষাক্ত পদার্থমুক্ত করতে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এক বিন্দুও পরিবর্তন হয়নি।  কোথায় গেল সেই টাকা? দূষণমুক্ত করার জন্য গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান অথবা নমামি গঙ্গে প্রকল্প। কখনও বরাদ্দ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা! কখনও ২৬ হাজার কোটি টাকা। কোথায় গেল সেইসব টাকা? গঙ্গা কতটা পরিচ্ছন্ন হয়েছে গঙ্গোত্রী থেকে সাগর পর্যন্ত? 
সারাবছর কাদের ঘুম নিশ্চিন্তে হয়? ভিআইপিদের। নেতা, মন্ত্রী, কর্পোরেট। যাদের বাড়ির আশপাশে সারারাত ধরে বাজি ফাটে না। উচ্চস্বরে মাইক বাজে না। বাড়ি এবং হৃদপিণ্ড কাঁপিয়ে ডিজে বাজে না। অসুস্থ বোধ করলে অক্সিজেন পাওয়া যায়। যখন তখন রক্ত পাওয়া যায় যে কোনও ব্লাডগ্রুপের। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কিছু এসে যায় না। আর পক্ষান্তরে এসব কাদের ভাগ্যে নেই? যারা আম জনতা নামে পরিচিত, তারা এসব পায় না। তারা কী পায়? প্রতিশ্রুতি, আশ্বাস এবং বঞ্চনা। কারা বছরভর স্বস্তি, শান্তি এবং নিরুপদ্রব এক জীবনযাপন করে? যারা ভোট পায়। কারা শান্তির জীবন পায় না? যারা ভোট দেয়! 
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার থেকে রাজ্য যাত্রা উৎসব শুরু হওয়ার কথা ছিল। আপাতত তা স্থগিত রাখা হচ্ছে। পরবর্তী দিনক্ষণ সরকারি তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে যাত্রা আকাদেমি সূত্রে বলা হয়েছে। গত বছর থেকে এই উৎসবের সূচনা হয় রবীন্দ্রসদন চত্বরের একতারা মঞ্চে। ...

ওপেনিংয়ে লোকেশ রাহুলের উপর আস্থা রাখলেন সুনীল গাভাসকর। কিংবদন্তি ওপেনারের মতে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় গত বছর ও সেঞ্চুরি করেছিল ওপেনিংয়ে নেমে। ওটা আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস। ...

রাইটস ও রেল বিকাশ নিগমের দেওয়া উপহার ফেরালেন বিহারের আরার সাংসদ সুদামা প্রসাদ। সিপিআই (এমএল)-এর এই সাংসদ লোকসভায় রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। উপহার ফেরানোর কথা তিনি রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। ...

কলকাতায় জঙ্গি হামলা! তাও আবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ভিতরে! কোনও এক ভিভিআইপিকে বন্দি করে নিয়েছে জঙ্গিরা। চারদিক ঘিরে ফেলেছে সেনা জওয়ানরা। নামানো হয় এনএসজি’র কমান্ডো বাহিনী। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৪- রবার্ট ক্লাইভের মৃত্যু
১৮৫৬- বিধবা বিবাহ আইনের প্রেক্ষাপটে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয় যে, বিধবা বিবাহ করলে বরকে এক হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে
১৮৭৭- গ্রামোফোন আবিস্কার করেন টমাস আলফা এডিসন
১৯৩৯- রাজনীতিক মুলায়ম সিং যাদবের জন্ম
১৯৪৮- বলিউডের বিশিষ্ট নৃত্য পরিচালক সরোজ খানের জন্ম
১৯৬৩- টেক্সাসে খুন হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, হামলায় গুরুতর আহত হন টেস্কাসের গভর্নর জন কোনালি’ও, সন্দেহভাজন লি হার্ভে অসওয়াল্ডকে ধরা হল দু’দিন পর পুলিসি হেপাজতে তাকে গুলি করে হত্যা করে জ্যাক রুবি
১৯৬৭- টেনিস তারকা বরিস বেকারের জন্ম
১৯৭০- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মারভান আত্তাপাত্তুর জন্ম
১৯৮৬- ট্রেভর বারবিককে হারিয়ে বক্সিংয়ের ইতিহাসে তরুণতম হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হলেন মাইক টাইসন
১৯৮৬- দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবন্ধী অ্যাথলিট অস্কার পিস্টোরিয়াসের জন্ম
১৯৮৭- সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মৃত্যু
১৯৯৫- প্রকাশিত হল কম্পিউটার ইমেজ দিয়ে তৈরি প্রথম ফিচারধর্মী ছবি ‘টয় স্টোরি’
২০০৩- বাগদাদে ডি এইচ এল এক্সপ্রেস নামক পণ্যবাহী বিমানে ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত হানে জঙ্গিরা, ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই হামলায় বিমানটির বাঁদিকে পাখা ক্ষতিগ্রস্তগ্রস্ত হয়, জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় সেটি
২০১৬ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৯ টাকা ৮৫.৩৩ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৬ টাকা ১০৮.৭৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৫ টাকা ৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪। সপ্তমী ৩২/৫৫ রাত্রি ৬/৮। অশ্লেষা নক্ষত্র ২৮/০ সন্ধ্যা ৫/১০। সূর্যোদয় ৫/৫৭/৫৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪১ গতে ১১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ৯/২০। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৯/১। সূর্যোদয় ৬/০, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭ মধ্যে ও ৭/৩৯ গতে ৯/৪৬ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ২/৪৩ মধ্যে ও ৩/২৫ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৯ গতে ৩/৩৪ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১৯ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টেস্ট (প্রথম দিন): ১৫০ রানে অল আউট ভারত (প্রথম ইনিংস), বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া

12:46:00 PM

প্রথম টেস্ট (প্রথম দিন): ৮ রানে আউট বুমরা, ভারত ১৪৪/৯ (প্রথম ইনিংস), বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া

12:41:00 PM

মণিপুর হাইকোর্টের অষ্টম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন বিচারপতি ডি কৃষ্ণকুমার

12:35:00 PM

পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার ২

12:32:00 PM

প্রথম টেস্ট (প্রথম দিন): ৭ রানে আউট হর্ষিত, ভারত ১২৮/৮ (প্রথম ইনিংস), বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া

12:30:00 PM

প্রথম টেস্ট (প্রথম দিন): ৩৭ রানে আউট ঋষভ, ভারত ১২১/৭ (প্রথম ইনিংস), বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া

12:20:00 PM