ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
শীত পড়তে না পড়তেই দিল্লিতে শুরু হয়ে গিয়েছে মাত্রাছাড়া দূষণ। সাদা ফেনা ভাসছে যমুনায়। পঙ্কজের কাজ বেড়ে গিয়েছে তাই বহুগুণ। তাঁর কাজের গণ্ডি এখন আর শুধু দিল্লি-এনসিআরেই সীমাবদ্ধ নেই। অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার যখন ‘বর্তমান’-এর সঙ্গে তাঁর কথা হচ্ছে, পঙ্কজ তখন দূষণ মোকাবিলায় বারাণসীতে। বললেন, ‘আমার একটি টিম রয়েছে। প্রত্যেকেই স্বেচ্ছাশ্রম দেন। আমি যখন ভিন রাজ্যে কাজে যাই, আমার টিমের বাকি সদস্যরা দিল্লিতে দূষণ মোকাবিলায় কাজ করেন।’ তবে আমি সবথেকে বেশি সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান করেছি দিল্লিতেই।’
চাকরি ছাড়ার পর পঙ্কজ প্রথম যখন পরিবেশ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন, তখন অক্সিজেন মাস্ক পরে এবং পিঠে সিলিন্ডার নিয়ে প্রচার চালাতেন। এখন অবশ্য পরিধি বেড়েছে। বদলেছে কাজের ধরন। বললেন, ‘যমুনায় বিষ জল ছড়াচ্ছে। ঠিকমতো বর্জ্য সাফাই হচ্ছে না। তা নিয়ে দীর্ঘদিন দিল্লি জল বোর্ডে হত্যে দিয়েছি। যার ফলে প্রশাসন পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে।’
অর্থনৈতিক বাধা তো আছেই। পাশাপাশি ভালো কাজের ‘পুরস্কার’ হিসেবে অনেক সময় তাঁকে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকিও পান এই ‘পরিবেশবন্ধু’ যুবক। ‘বর্তমান’কে বললেন, ‘কাজ করতে গিয়ে কারও কারও ল্যাজে তো পা পড়েই যায়। তারা ক্ষতি করার চেষ্টা করে। ভয় দেখায়।’
দিল্লির দূষণের মূল কারণ কী? পঙ্কজ মনে করেন, ‘বায়ুদূষণের মাত্র পাঁচ শতাংশ শস্যের আগাছা পোড়ানোর জন্য হয়। বাকি দূষণের মোকাবিলায় আমআদমির সচেতনতা প্রয়োজন।’ তাঁর বার্তা,‘কাউকে চাকরি ছাড়তে হবে না। শুধু কিছু সময় পরিবেশকে দিন। পরিবেশ আপনাকে পাল্টা অনেক কিছু ফিরিয়ে দেবেই।’ একদিন মানুষের ঘুম ভাঙবে এই আশায় দিল্লিবাসীর ঘুম ভাঙানোর ব্রত নিয়েছেন তরুণ এই পরিবেশযোদ্ধা।