উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বারাসত শহরে যানজট এড়াতে বাম জমানায় চাঁপাডালি থেকে কলোনি মোড় পর্যন্ত ১২ নম্বর রেলগেটের উপর দিয়ে উড়ালপুল তৈরি হয়েছিল। গত ২০ বছরে এই ফ্লাইওভারে একাধিকবার সংস্কারের কাজ হয়েছে। এই উড়ালপুল দিয়েই বারাসত থেকে সহজে যাওয়া যায় বারাকপুর, নৈহাটি, বড় জাগুলিয়ার দিকে। তিনটি রুটের বাস ছাড়াও প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে চলাচল করে কয়েক হাজার অটো, টোটো ও যাত্রীবাহী গাড়ি। কয়েক বছর আগে উড়ালপুলের গার্ডার সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু উড়ালপুলের বেশ কিছু বিয়ারিংয়ের অবস্থা ভালো নয়। অবিলম্বে সেগুলি পরিবর্তন করা দরকার। না হলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায়। পূর্তদপ্তর জেলা প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে ব্রিজ বন্ধ রাখার আবেদন করেছিল। ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বারাসত উড়ালপুল সংস্কারের কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দপ্তর। সেই মতো জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী উড়ালপুল দিয়ে সব ধরনের গাড়ির যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। কিন্তু, সেই সংস্কারের কাজ আজ পর্যন্ত হয়নি। সম্প্রতি পূর্তদপ্তরের বারাসত ডিভিশনের পক্ষ থেকে এই উড়ালপুলের স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। তার ভিত্তিতে ডিসেম্বরের গোড়ায় বারাসত উড়ালপুলের স্বাস্থ্যপরীক্ষার কাজ শুরু হবে। তারপর হবে সংস্কার। এর জন্য সমস্ত ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ প্রসঙ্গে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, উড়ালপুলের বেশ কিছু গার্ডার পরিবর্তন করতে হবে। ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই কাজ শুরু হবে। তার দু’দিন আগে থেকেই যান চলাচল বন্ধ কর হবে। পাশাপাশি উড়ালপুলের নীচে হকারদের যে দোকান রয়েছে, সেগুলিও বন্ধ রাখতে হবে। এই কাজ রাতে হবে। পূর্তদপ্তরের বারাসত ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রতাপ পুরকায়েত বলেন, কাজ শুরু আগে পূর্তদপ্তরের পক্ষ থেকে আরও একবার পরিদর্শন করা হবে। তারপর হবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও সংস্কার। -ফাইল চিত্র