উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ নভেম্বর বারাসতের শিমুলতলা এলাকা থেকে মাদক পাচারের অভিযোগে রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করে তিনজনের নাম উঠে আসে। কারণ, মাদক পাচারের পাশাপাশি চুরির একাধিক ঘটনায় রাজু অভিযুক্ত। সে চুরি করতে কোনও বাড়ির ভিতরে ঢুকত না। জানালা দিয়ে কখনও সোনার গয়না, কখনও ল্যাপটপ আবার কখনও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যেত। চুরি করা সামগ্রী নিয়ে সে ভোর পাঁচটায় ট্রেন ধরে নিজের বাড়ি বসিরহাটে ফিরে যেত। এরপর সে বিভিন্ন চোরাই সামগ্রী বিক্রি করত দেগঙ্গার শাহানুর সর্দারকে। শাহানুর সেগুলি আবার বিক্রি করত শরিফুল মণ্ডলকে। তার কাছ থেকে সেসব যেত দেগঙ্গার গোঁসাইপুরের আরিফ বিল্লার কাছে। আর আরিফ এই জিনিসপত্র দিত বাংলাদেশে পাচারকারী বসিরহাটের মোস্তাফা আলিকে।
পুলিসের দাবি, মোস্তাফা ঘোজাডাঙা বর্ডার দিয়ে চোরাই সামগ্রী বাংলাদেশে পাচার করে দিত। এটাই ছিল মোস্তাফার মূল পেশা। কয়েকদিন আগে মোস্তাফাকে ধরতে বসিরহাটে হানা দেয় পুলিস। কিন্তু সে গায়েব হয়ে যায়। এনিয়ে বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গি বলেন, মূল পাচারকারী মোস্তাফাকে ধরতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এরা আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত। এদের মাস্টারমাইন্ড রাজু দাস। আমরা একে জেরা করে বারাসত শহরের বিভিন্ন এলাকায় চুরির বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করছি। আগামী দিনে আরও সামগ্রী উদ্ধার করা হবে। - নিজস্ব চিত্র