উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
যার জেরে রবিবার কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে আটকে পড়ল বেশ কয়েকটি আলু ও পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক। আগে থেকেই ‘স্লট বুকিং’ থাকায় এদিন অবশ্য বিকেলের দিকে আগের ছ’টি আলু বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তবে পেঁয়াজের কোনও গাড়ি বাংলাদেশে এদিন রপ্তানি হয়নি। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে কোনও পণ্য রপ্তানি করতে হলে সুবিধা পোর্টালে আগাম ‘স্লট বুকিং’ করতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারের খাতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব জমা দেওয়ার পরেই পণ্যভর্তি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের ছাড়পত্র মেলে। শনিবারও এই নিয়ম মেনে ভারত থেকে বাংলাদেশে আলু সহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি হয়েছে। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে পরিবহণ দপ্তরের সুবিধা পোর্টালে অন্যান্য পণ্যের হলেও আলু ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ‘স্লট বুকিং’ হচ্ছে না। যার জেরে বাংলাদেশে ওই দু’টি আনাজ পাঠানো নিয়ে দারুণ সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিন সীমান্তেই দাঁড়িয়ে থাকে আলু ও পেঁয়াজ বোঝাই বেশ কয়েকটি ট্রাক। ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, এই সীমান্ত দিয়ে যেসব পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে যায়, সেগুলি ভিনরাজ্য থেকে আসে। এই রাজ্যের উৎপাদিত পেঁয়াজ নয়। তবে আলুর ক্ষেত্রে ভিনরাজ্যের পাশাপাশি এই রাজ্যের আলুও বাংলাদেশে রপ্তানি হয়।
শুল্কদপ্তরের কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফে এই নিয়ে কোনও নির্দেশিকা না এলেও আলু ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে এদিন সুবিধা পোর্টালে ‘স্লট বুকিং’ হচ্ছিল না। তবে আগাম স্লট বুক থাকায় এদিন ছ’টি আলু ভর্তি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাকিগুলি আটকে গিয়েছে। পেঁয়াজের কোনও গাড়ি এদিন বাংলাদেশে যেতে পারেনি।
কাস্টমস সুপারিন্টেন্ডেন্ট নবনীত কুমার বলেন, আগাম স্লট বুকিং থাকায় এদিন ছ’টি আলু বোঝাই গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তবে এদিন নতুন করে স্লট বুকিং নেয়নি বলে শুনেছি।
এই ঘটনার জেরে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বাংলাদেশে আলু রপ্তানি আটকাতে নতুন করে ‘স্লট বুকিং’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিকাশ সাহা বলেন, বাইরে আছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।
(চ্যাংরাবান্ধায় দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। - নিজস্ব চিত্র।)