উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
সূত্রের খবর, নবান্নের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, অর্থসচিব প্রভাত মিশ্র, শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার, ক্ষুদ্রশিল্প সচিব রাজেশ পান্ডে। ভার্চুয়ালি যোগ দেন পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথান। সেখানে স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক তৈরি ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি ‘প্রেজেন্টেশন’ দেখানো হয়। ২০২৪-এর পড়ুয়া সংখ্যার ভিত্তিতে ২০২৫-এ কত সেট পোশাক প্রয়োজন, সেই হিসেব করা হয়েছে। শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার পর এই সংখ্যা সামান্য কমবেশি হলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগে গুজরাত বা রাজস্থান থেকে এলেও বর্তমানে স্কুল ইউনিফর্মের জন্য প্রয়োজনীয় শুটিং-শার্টিংয়ের কাপড় তৈরি হয় পশ্চিমবঙ্গেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গৃহীত নীতি ও আর্থিক প্যাকেজের হাত ধরে ওই কাপড় তৈরির অত্যাধুনিক মেশিন রাজ্যে বসানো হয়েছে। সেই সুবাদে ইউনিফর্মের কাপড় সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে আসছে ক্ষুদ্রশিল্প দপ্তর। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজির অনুমোদিত মাপ এবং ডিজাইন অনুযায়ী সেই কাপড় কেটে সেলাই করে পঞ্চায়েত দপ্তরের ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে সেলাইয়ের জন্য কাপড় দেওয়ার কাজ শুরু করবে ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তর। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এক সেট করে পোশাক তৈরির জন্য কত সময় লাগবে। পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফে প্রথম সেট সেলাইয়ের জন্য দু’মাস সময় লাগবে বলে জানানো হয়। ফলে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে কাজ অনেকটা এগিয়ে যাবে ধরে নিয়েই শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ইউনিফর্ম তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। একই সঙ্গে নতুন জুতো ও ব্যাগ দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে রাজ্যের। কিছু ক্ষেত্রে চলতি শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় সেট পোশাক দেওয়ার কাজ এখনও বাকি। তা নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।