ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
বুধবার রাতেও ইসলামপুর থানার রামগঞ্জের খোঁচাবাড়ি এলাকা থেকে বনগাঁ ও ইসলামপুর থানার পুলিস যৌথ অভিযান চালিয়ে বাহাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তারপর ভয় আরও বেড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। ওই এলাকায় অনেকেই তাঁকে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিলেন।
হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানা গত ১৮ নভেম্বর রামগঞ্জ এলাকার কয়েকজনকে চিঠি দিয়েছে। ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, পরিচয়পত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বর ও এটিএম কার্ড সহ যাবতীয় নথিপত্র জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জালালউদ্দিন এপ্রসঙ্গে বলেন, ধৃতের আত্মীয়স্বজনদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢুকেছে। পুলিসের অভিযানের পর তারা সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন। এখন বাড়িতে শুধুমাত্র মহিলারাই আছেন।
দু’দিন আগে পণ্ডিতপোঁতা-২ পঞ্চায়েতের অমলঝাড়ি এলাকায় গিয়েছিল কলকাতা ও ইসলামপুর থানার পুলিস। তখন থেকেই ওই এলাকায় কয়েকটি পরিবারের পুরুষরা বাড়ি ছেড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি নুর আলম বলেন, গ্রামের এক বধূর স্বামী ভিনরাজ্যে কাজ করেন। তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ি চোপড়া এলাকায়। তিনি ওই বধূকে কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর সংগ্রহ করে দিতে বলেছিলেন। ওই গৃহবধূ সেই তথ্য দিলে অ্যাকাউন্টগুলিতে সরকারি প্রকল্পের অর্থ ঢোকার কথা ছিল। তারপর গ্রামের পাঁচজনের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার করে টাকা জমা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূর বাড়ি গিয়ে দেখা গেল তিনি নেই। তাঁর শাশুড়ি বললেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে বউমা শিলিগুড়িতে গিয়েছে। গত পরশু বাড়িতে পুলিস এসেছিল। শুনছি, আমার বউমা অ্যাকাউন্ট সংগ্রহ করে কাউকে দিয়েছে।
এদিকে, অন্য যে পাঁচটি পরিবারের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে বলে জানা গিয়েছে, সেই বাড়ির পুরুষদের আর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না এলাকায়।