Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্যারিসের ওলিম্পিক্স ভিলেজ যেন পাশ্চাত্যের বস্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

ওলিম্পিক গেমসকে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। ক্রীড়াবিদদের চমকে দেওয়া পারফরমেন্স, টান টান লড়াই, রেকর্ড ভাঙার অদম্য ইচ্ছা, পদক জয়ের জন্য নিজেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা— এসব দেখে মনে হয় ওলিম্পিক গেমস সত্যিই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। একটা প্রাথমিক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সদ্য সমাপ্ত ওলিম্পিক গেমসে যোগদান করেছিলেন ১৮৪টি দেশের চোদ্দো হাজারের বেশি প্রতিযোগী। তাঁরা সকলে লড়াই করেছিলেন ৩২৯টি ইভেন্টে পদক জয়ের জন্য। কেউ গ্যালারিতে বসে আবার কেউবা টিভিতে এই লড়াই উপভোগ করেছেন। জয়ের কিংবা পরাজয়ের পর প্রতিযোগীদের আনন্দ বা ব্যথার অশ্রুতে ভিজে গিয়েছে ওলিম্পিক গেমসের মাটি। ওলিম্পিক গেমস তাই সব সময় এক বীরত্বের কথা বলে। জয়ীকে যেমন তাঁর সম্মান ধরে রাখতে প্রেরণা দেয়, তেমনই বিজেতাকেও নতুন শপথে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞায় ঋদ্ধ করে। 
কিন্তু এই উজ্জ্বল আলো, ক্যামেরার ফোকাসের বাইরে ছিল ওলিম্পিক্সের আরও একটা গল্প। সেই গল্প মোটেও সুখকর নয়। সেই গল্পের মধ্যে মিশে আছে অবহেলা আর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ছোঁয়া। যেন প্রদীপের নীচে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘন অন্ধকার। বিশ্বের সমস্ত প্রতিযোগী থাকেন ওলিম্পিক্স ভিলেজে। প্রতিযোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য দান, তাঁদের খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি ব্যাপারে দায়িত্ব থাকে আয়োজক দেশের। এবার প্যারিসের সেই ভিলেজকে কেন্দ্র করে অসংখ্য নিন্দাজনক ঘটনা ঘটেছে। সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছিলেন প্রতিযোগীরা।
সারাদিনের অনুশীলন শেষে কিংবা প্রতিযোগিতার শেষে ক্রীড়াবিদরা যখন ক্লান্ত দেহে বিছানায় শুতে যাচ্ছেন, তাঁরা তো অবাক। সেই বিছানা কাঠ, প্লাই কিংবা লোহা দিয়ে তৈরি নয়। সেগুলি ছিল কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি। কোনওরকমে একজন শুতে পারবেন। এক বিছানায় দু’জন শোয়ার চেষ্টা করলেই সেই বিছানা ভেঙে পড়বে। শয্যাসামগ্রীও যথেষ্ট উপযুক্ত মানের ছিল না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ভিলেজে থাকা প্রতিযোগীরা। না, এখানেই শেষ নয়। সকালবেলা ব্রাশ করা থেকে শুরু হয়ে যেত জলের সঙ্কট। বাথরুম ব্যবহার করতে গিয়েও লাইন দিতে হয়েছে প্রতিযোগীদের। বহুক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে দশজনের জন্য বরাদ্দ পাশাপাশি দু’টি বাথরুম। ফলে সকাল হলেই সেখানে পড়েছে লাইন। স্নান কিংবা পানীয় জল পর্যাপ্ত মিলত না। ফুড কোর্টেও একই অবস্থা। সেখানেও বিশাল লাইন। প্রতিটি প্রতিযোগী বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করেন। কতটা পুষ্টি, কতটা ফ্যাট দরকার, সেই অনুযায়ী তাঁদের খাদ্যতালিকা তৈরি হয়। কিন্তু সেখানেও নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। যাঁরা শেষের দিকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা বহুক্ষেত্রে খাবার পাননি। অথবা বলা হয়েছে, ‘একটু অপেক্ষা করুন, খাবার আসছে।’ কখনও কখনও সেই খাবার আসতে আধঘণ্টাও হয়ে যেত। সবসময় সমস্যা দেখা দিত ডিম এবং মাংসের ক্ষেত্রে। এই কারণে কর্তৃপক্ষ ডিম এবং মাংসের ক্ষেত্রে মাথাপিছু বরাদ্দ করেছিল। অর্থাৎ রেশনিং সিস্টেম চালু হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ক্রীড়াবিদদের পুষ্টির সঙ্গে আপস করতে হতো। অস্ট্রেলিয়ার সাঁতারু অ্যারিয়েন তিতমাস বলেছেন, ‘ঠিকমতো খাবার না পাওয়ার প্রভাব পড়েছে আমার পারফরমেন্সে।’ ব্যাপারটা একটু খতিয়ে দেখা যাক। এবছরই অস্ট্রেলিয়ায় সুইমিং ট্রায়ালে তিনি দুশো মিটার ফ্রি স্টাইলে রেকর্ড করেন। গতবারের ওলিম্পিক্সে তিনি দুশো মিটার ফ্রি স্টাইলে ওলিম্পিক্স রেকর্ড করেছিলেন। মোট ছয়টি বিশ্ব রেকর্ড এই মহিলা সাঁতারুর ব্যাগে। এবারের ওলিম্পিক্সে তিনি দু’টি সোনা এবং দু’টি রুপো পেয়েছেন। গেম শেষে দেশে ফিরে টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম দিকে একদিন আমাদের বিছানার চাদর বদল করা হয়েছিল। তারপর যতদিন থেকেছি, একদিনও তা বদল করা হয়নি। বিছানায় শুতে গা ঘিন ঘিন করত। একটা অ্যাপার্টমেন্টে যতজন থাকতেন, তাঁদের সকলের জন্য দেওয়া হতো মাত্র একটা টয়লেট রোল। সেটা চারদিন ব্যবহার করতে হতো।’ সাঁতারে ইতালির সোনাজয়ী টমাস চেকনও ভিলেজ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এসি না থাকার জন্য আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সেই সঙ্গে খাবার দাবারও ছিল অখাদ্য।’ 
ফ্রান্সের মতো এক উন্নত দেশে প্যারিসের মতো এক হাইটেক তথা শিল্পের তীর্থভূমিতে এই ধরনের ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা, ভাবতেও কষ্ট হয়। কিন্তু বাস্তব ঘটনা বলছে, এত খারাপ ব্যবস্থাপনা এর আগে কোনও ওলিম্পিক্সে দেখা যায়নি। আয়োজক দেশ অবশ্য বলছে, ‘আমরা নানাভাবে চেষ্টা করেছি। থার্মাল কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করে প্রাকৃতিক উপায়ে বিভিন্ন রুমকে ঠান্ডা করার চেষ্টা হয়েছে।’ কিন্তু ৫২ হেক্টর জমির উপর তৈরি ভিলেজকে ঠান্ডা করা যায়নি। আয়োজকদের বক্তব্য, ‘ঘরগুলি এমনভাবে তৈরি যে, বাইরের থেকে ঘরের তাপমাত্রা অন্তত ছয় ডিগ্রি কম হবে।’ রোমানিয়ার টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ওসব সিস্টেমের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘কম হলেই বা কী! ঘরের তাপমাত্রাকে কি শুধু পাখা চালিয়ে জব্দ করা যায়?’ হাঁটা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার রিডিয়ান কাউলি বলেছেন, ‘এই ধরনের তাপমাত্রায় যে কোনও অ্যাথলিট বিপদের মুখে পড়তে পারতেন। জীবন সংশয়ের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
ওলিম্পিক গেমস চলাকালীন প্যারিসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। ফিল লাইক বা গরমের অনুভূতি ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। বিশেষষজ্ঞরা এই উষ্ণতাকে ‘রিংস অব ফায়ার’ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তা সত্ত্বেও ভিলেজে ছিল না কোনও শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। কেন? কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘এতগুলি এসি চললে তা পরিবেশের পক্ষে খারাপ হবে।’ সুতরাং হে প্রতিযোগীগণ, এসি ব্যবহার  না করে পরিবেশ রক্ষা করুন। তাই কানাডা, আমেরিকা, রাশিয়া, ইতালি কিংবা ডেনমার্কে সহ বহু দেশের প্রতিযোগীরা নিজেদের ব্যবস্থাপনায় পোর্টেবল এসি ব্যবহার করেছেন। ভিলেজে অবশ্য প্রচুর গাছপালা ছিল। অনেককেই দেখা গিয়েছে দুপুরে ঘর থেকে বাইরে এসে গাছতলায় শুয়ে ঘুমোচ্ছেন। সত্যিই কি এমন দৃশ্য কল্পনাতে আনা যায়!  
এরপরও ছিল পরিবহণ সমস্যা। কোনও প্রতিযোগীকে ভিলেজ থেকে হয়তো দশ-পনেরো কিলোমিটার দূরে যেতে হবে। সেখানে কোনও স্টেডিয়ামে তাঁর ইভেন্টে। তার জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, বহুক্ষেত্রেই বাস এসেছে নির্দিষ্ট সময়ের আধঘণ্টা পরে। কী করা উচিত বুঝতে পারেননি প্রতিযোগীরা। ভিলেজে থাকা স্বেচ্ছসেবকরা পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘স্যার বাসের জন্য অপেক্ষা না করে ট্রেনে চলে যান, নাহলে সময়ে পৌঁছতে পারবেন না।’ সেই মুহূর্তে প্রতিযোগী, ম্যানেজার সহ টিমকে পড়িমড়ি করে স্টেশনের দিকে ছুটতে হয়েছে। যেসব বাসে প্রতিযোগীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেগুলিতেও কোনও এসি ছিল না।     
ট্রায়াথেলন প্রতিযোগিতার একটি অংশ হল সাঁতার। সেই সাঁতারের অংশটুকু হয়েছিল শ্যেন নদীতে। প্রতিযোগীদের অভিযোগ, ‘নদীর জল যথেষ্ট দূষিত ছিল।’  এইসব দেখে বহু প্রতিযোগী প্রেসের কাছে সরাসরি বলেছেন, ‘এই রকম জঘন্য ব্যবস্থায় ভালো পারফর্ম করা খুবই কষ্টসাধ্য।’ তাই ওলিম্পিক্স চলাকালীন বহু প্রতিযোগী ভিলেজের বাইরে নিজেদের উদ্যোগে এবং নিজেদের ব্যয়ে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু প্যারিসের মতো শহরে সব প্রতিযোগীর তো আর বাইরে নিজের উদ্যোগে থাকার মতো ট্যাঁকের জোর নেই, তাই অনেককেই গজগজ করতে করতে সেই খাবারই খেতে হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয়, আধুনিক ওলিম্পিক্সের জনক পিয়ের দ্য কুবার্তিনের জন্ম প্যারিসেই। তিনি আজ এই ব্যবস্থা দেখলে খুবই রুষ্ট হতেন।        
আমাদের দেশের প্রতিযোগীরাও গরমের মধ্যে এসি না থাকায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আমাদের দেশ থেকেও পোর্টেবল এসি পাঠানো হয়েছিল প্রতিযোগীদের জন্য। ওলিম্পিক্স শেষে দেশে ফিরে পদকজয়ীরা যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন তিনি বলেন, ‘এসি না থাকায় তোমাদের খুব কষ্ট হয়েছিল তো?’ এরপর তিনি তাঁদের সঙ্গে রসিকতা করে বলেন, ‘কারা এসব রটায় যে, মোদি শুধু কথাই বলেন, কোনও কাজ করেন না!’
শুধু কি খেলোয়াড়রাই সমস্যায় পড়েছিলেন? না, দর্শকরাও খুব সমস্যায় পড়েছিলেন। গরমে শরীর শীতল করতে যে জল খাবেন, তারও উপায় নেই। গরম জল খেতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে কোথাও কোথাও দর্শকদের জন্য হাল্কা শাওয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে দর্শকরা মনের আনন্দে নিজেদের একটু ভিজিয়ে নিয়েছেন। গরম জেনেও কেন এত কষ্ট করতে এসেছেন? এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ব্রাজিল থেকে আসা এক দর্শক মজা করে বলেছিলেন, ‘ওলিম্পিক গেমসের মাহাত্ম্যই আলাদা। সেই গেমস দর্শন করলে পুণ্যলাভ হয়।’ 
ঠিক তাই, এই গেমস যেন এক রূপকথার মতো। সেখানে পদক জয় বড় কথা নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা। সবার রঙে রং মিলিয়ে পাঁচটি বৃত্তের বন্ধনে বেঁধে ফেলা যায় সবক’টি মহাদেশকে। তাই তো ওলিম্পিক গেমস গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ।
21st  August, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তিন নাবালক সহ মোট পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ডোমজুড়ের ওই কিশোরীর বন্ধুরা ...

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ভিয়েতনাম। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত  ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও ১৪০ জন। ভিটেমাটি হারিয়ে পথে বসেছেন শয়ে ...

পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...

লজ্জা। বিশ্বাস করুন, আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের রায় শোনার পর প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলারের স্বার্থ দেখা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তব্য। অথচ তার উল্টো পথেই হাঁটছে তারা। ফুটবল হাউস রাজনীতির আখড়া। জাতীয় দল নিয়ে ন্যূনতম পরিকল্পনাও নেই। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হবে বলেই আমরা আশাবাদী: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:55:00 PM

আজ আলোচনা হওয়া দরকার ছিল: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

আমরা চেয়ারের জন্য আলোচনা করতে আসিনি: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই হতাশ: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি কেন তা জানায়নি প্রশাসন: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:53:00 PM

আমরা খোলা মনে আলোচনার জন্যই এসেছিলাম: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:52:00 PM