সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
রাজ্য তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার মন্তব্য, আর জি করের ঘটনায় তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর সিবিআই প্রায় একমাস পার করে ফেলল। আমরা সকলেই সিবিআইয়ের কাছে দ্রুত বিচার চাইছি। কিন্তু এই বিচারের দাবি জোরালো করতে তৃণমূল যুব সংগঠনের কোনও কর্মসূচি নেই! যুব সংগঠনের উচিত ছিল, সিজিও কমপ্লেক্সেমুখী কোনও অভিযান করা কিংবা সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া। কিন্তু তাদোর এই ধরনের কোনও কর্মসূচি করতে দেখা যায়নি। দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় আরও উঠে এসেছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, তৃণমূল যুব সংগঠনের সেটাই তুলে ধরা উচিত ছিল। একইসঙ্গে দরকার ছিল তথ্য-পরিসংখ্যানসহ বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগের জুতসই জবাব দেওয়া। সামাজিক মাধ্যমে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত রাজ্যের শাসক দলের যুব শাখার সদস্যদের।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে জেলায় জেলায় যুব সংগঠন কতদূর এগিয়েছে, যুব সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কি না, তা নিয়েও কোনও পর্যালোচনা বৈঠক নেই। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হল, ২১ জুলাই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ব্যানারে ধর্মতলায় শহিদ দিবসের কর্মসূচি হয়েছে। অথচ সেখানে বক্তার তালিকায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের নাম ছিল না! তৃণমূলের অভ্যন্তরের আলোচনায় উঠে এসেছে, যুব সংগঠনের এক পদাধিকারীকে দল থেকে বলা হয়েছিল, একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের আলোচনাচক্রে যেতে, কিন্তু তিনি যেতে রাজি হননি। অন্যদিকে, তৃণমূলের ছাত্র শাখা ২৮ আগস্ট সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি পালন করেছিল। দলনেত্রীর নির্দেশে ৩০ আগস্টও কর্মসূচির উদযাপন হয়েছিল কলেজের গেটে। তারপর আর কোনও কর্মসূচিতে ছাত্র শাখাকে দেখা যায়নি বলে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট। সবিস্ময়-প্রশ্ন উঠেছে, আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের ডাক্তার সেল কোথায়!? সরকারের সপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরতে ডাক্তার-নেতাদের এত ‘ঘাটতি’ কেন?