Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন। ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি অবসরের পর পেনশন পান না। এমনকী, পেনশন পান না ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘শর্ট সার্ভিস কমিশনড’ অফিসাররাও।  
পেনশনের দাবির জয়
যতদিন প্রত্যাশিত আয়ু কম ছিল, ততদিন পেনশনের বিশেষ গুরুত্ব ছিল না। সেসময় খুব কম লোক যেমন পেনশন পেতেন এবং তেমনি অবসর গ্রহণের পর বেঁচেও থাকতেন আরও কম মানুষ। ১৯৪৭ সালে, যখন ভারত স্বাধীন হল, তখন দেশবাসীর গড় আয়ু ছিল ৩৫ বছরের নীচে। আজ, সেই আয়ু বেড়ে ৭০ বছরের কিছু বেশিই হয়ে গিয়েছে। সুতরাং এখন পেনশন প্রদানের বাধ্যবাধকতা গড়ে দাঁড়িয়েছে অবসর গ্রহণ পরবর্তী ১০-১২ বছর। এরপর পারিবারিক পেনশনের ব্যবস্থা থাকলে সেই পেনভোগীর স্ত্রীর জন্যও সেটি অব্যাহত থাকতে পারে। এই কারণে বেশিরভাগ নিয়োগকর্তা পেনশন প্রদানের প্রশ্নে এখন সতর্ক। কর্মচারীদের তরফে যুক্তিগ্রাহ্য সওয়াল হল: আনুগত্যসহকারে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে পেনশন হল কর্মীর একটি অর্জিত অধিকার। অথবা, পেনশনকে বিলম্বিত মজুরি হিসেবেও দেখা যেতে পারে। অথবা, পেনশনকে ভাবা যেতে পারে অবসর গ্রহণের পর মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকারের একটি উপায় হিসেবেও।  
সরকারি কর্মচারীদের মামলার সওয়ালে ‘পেনশনের অধিকার’-এরই জয় হয়েছে এবং এটি একদম যথার্থ রায়। জনগণের যেসব অংশ পেনশন পাওয়ার অধিকারী নয়, তাদের দিকে ইঙ্গিত করে এই উত্তরই মিলেছিল যে, পেনশনের অধিকার তাদের দিকেও প্রসারিত করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, সকল শ্রেণির মানুষের জন্যই সর্বজনীন পেনশন স্কিম উন্মুক্ত হওয়া উচিত। 
পেনশন ব্যবস্থার সূত্র যেহেতু সরকারি কর্মচারীদের থেকে, তাই তার থেকে একটি নিশ্চিত ন্যূনতম পেনশনের ধারণাও গড়ে উঠেছে। পেনশনের দাবির মীমাংসা হয়েছে সর্বশেষ মূল বেতন এবং মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ’র ৫০ শতাংশের ভিত্তিতে।  
পরিবর্তিত পরিস্থিতি 
২০০৪ সালের জানুয়ারিতে ওল্ড পেনশন স্কিমকে (ওপিএস) সরিয়ে জায়গা নেয় নতুন পেনশন স্কিম (এনপিএস)। তখন পেনশনের দুটি স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে যায়: নন-কনট্রিবিউটরি ডিফাইন্ড বেনিফিট স্কিমটি তাতে কনট্রিবিউটরি ডিফাইন্ড বেনিফিট স্কিমে বদলে যায় এবং চুপচাপ খারিজ হয়ে যায় ন্যূনতম পেনশনের ধারণাটি। শুরু হয় প্রতিবাদ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি তাতে আমল দেননি। তাঁর উত্তরসূরি ডঃ মনমোহন সিংও দশবছর যাবৎ গুরুত্ব দেননি তাতে। একইভাবে, বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও প্রথম দশবছরের শাসনকালে। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের রায় মোদির এতদিনের সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছে। 
২০২২ সালের ৩ আগস্ট প্রকাশিত পিআইবি’র একটি প্রেস বিবৃতি অনুসারে জানানো যায় যে, কেন্দ্রীয় সরকারের মোট পেনশনভোগীর সংখ্যা ছিল ৬৯ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৪০ জন। পেনশনের জন্য ২০২৪-২৫ সালে বাজেট ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত এনপিএস গ্রাহক সংখ্যা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ২৩ লক্ষ ৮০ হাজার এবং রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে ৬০ লক্ষ ৭০ হাজার। সংখ্যা দুটি চলতি বছরে সামান্য কমবেশি হতে পারে, তবে আমরা জানি সংখ্যাটিতে বড় কোনও হেরফের হবে না। এই আলোচনা যেমনই হোক তা ভারতের মোট জনসংখ্যার সামান্য এক ভগ্নাংশ নিয়েই। 
একটি তহবিলবিহীন পেনশন স্কিম (ওপিএস এমনটাই ছিল) আর্থিক জাহাজ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে অর্থনীতিকে। সরকারগুলি বর্তমান রাজস্ব থেকে ‘যতটুকু ভোগ করবে ততটুকুরই দাম মেটাবে (পে অ্যাজ ‌ইউ গো)’ নীতিতে চলতে পারে না। এই প্রকল্প চালিয়ে যেতে কাউকে না কাউকে অর্থের জোগান অব্যাহত রাখতেই হবে। তহবিল ঠিক রাখতে টাকা দিতে হবে—হয় সরকারকে, নয়তো কর্মচারীদের কিংবা উভয় পক্ষকেই। এনপিএস এমন একটি স্কিম ছিল যাতে সরকার (১৪ শতাংশ) এবং কর্মচারী (১০ শতাংশ) উভয়কেই অর্থের সংস্থান করতে হয়েছে।  ‘ফান্ডিং’ হল সুষ্ঠু অর্থনীতি।
সরকারের তরফে ঘোষিত ইউনিফাইড পেনশন স্কিমটি (ইউপিএস) সরকার (১৮.৫ শতাংশ) এবং কর্মচারীর (১০ শতাংশ) যৌথ অর্থায়নের একটি প্রকল্প। অবসর পূর্ববর্তী ১২ মাসের মূল বেতনের গড় অঙ্কের ৫০ শতাংশ একজন ন্যূনতম পেনশন হিসেবে পাবেন। ইউপিএস এই নিশ্চয়তাও দিয়েছে। তবে শর্ত হল সেই পেনশন প্রাপককে কমপক্ষে ২৫ বছর চাকরি করতে হবে। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষাসহ প্রতিমাসে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা পেনশনের নিশ্চয়তাও এখানে দেওয়া হয়েছে। এখন  পরীক্ষা প্রার্থনীয়।  
এই লেখার সময় পর্যন্ত, বেশিরভাগ রাজ্য সরকার ইউপিএস নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। কংগ্রেসসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি ইউপিএস নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেশ কয়েকটি সংগঠন এবং একাধিক কেন্দ্রীয় শ্রমিক ইউনিয়ন পেনশন তহবিলে ‘কর্মচারীদের কনট্রিবিউশন’ করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।
তহবিল জোগান, কে এবং কীভাবে? 
একটা ভয়ানক দোলাচলের মধ্যে পড়ে গিয়েছে সরকার, রাজনৈতিক দলগুলি এবং কর্মচারী সংগঠনগুলি। সম্পূর্ণত আর্থিক-সচেতনতার দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় যে, ইউপিএস’কে চটজলদি প্রত্যাখ্যান করা উচিত নয়।  তবে কিছু প্রশ্নও থেকে যায়:
১. কর্মচারী এবং সরকারের কনট্রিবিউশনের মধ্যে ফারাকটা এখন ৮.৫ শতাংশ। এটা কি ভবিষ্যতে বেড়ে যেতে পারে? 
২. টি ভি সোমানাথন বলেছেন যে, ‘সরকার 
ঘাটতি পূরণ করবে।’ এটা কি ‘যতটুকু ভোগ করবে ততটুকুরই দাম মেটাবে (পে অ্যাজ ‌ইউ গো)’ নীতি থেকে এক ধাপ দূরে নয়? 
৩. কনট্রিবিউশনের ১০+১০ শতাংশ অনুমোদিত পেনশন ফান্ড ম্যানেজারদের উপর ন্যস্ত করা 
হবে। তার থেকে ৮.৫ শতাংশ কনট্রিবিউশন কি লগ্নি করা হবে? আর সেটা যদি করা‌ই হয়, তা কে এবং কোথায় করবেন? 
৪. প্রথম বছরের জন্য ৬,২৫০ কোটি টাকার অতিরিক্ত তহবিলকে ছোট করে দেখানো হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। এটা কি সত্যি?
৫. কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ইউপিএস অনুমোদিত হওয়ার আগে কি রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কোনোরকম পরামর্শ করা হয়েছিল? কর্মচারী সংগঠনগুলিও কি বোর্ডে আসবে? 
দেখা যাক, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলি দোলাচল কীভাবে কাটিয়ে ওঠে। 
 লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
02nd  September, 2024
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
একনজরে
এক সময় পড়ুয়া ভর্তি থাকত স্কুলে। কচিকাঁচাদের ভবিষ্যৎ গড়ার পাঠ দিতেন শিক্ষকরা। পড়াশোনার ঝাঁপ কয়েক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন নবাবহাটের কাছে গোদা বাইপাসের ...

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভার আয়োজন করল ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন। সোমবার মৌলালি যুবকেন্দ্রে সে সভায় উপস্থিত ছিলেন হান্নান মোল্লা, মহম্মদ সেলিম, রবীন দেব সহ একাধিক নেতৃত্ব। ছিলেন বুদ্ধদেববাবুর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। ...

মহমেডান আছে মহমেডানেই। বকেয়া বেতনের দাবিতে সোমবার অনুশীলন বয়কট করলেন কাসিমভরা। ২৬ জানুয়ারি অ্যাওয়ে ম্যাচে সাদা-কালো ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি। তার আগে বিতর্কে জেরবার রেড রোডের পাশের ক্লাব। ...

ফের বিষ মদে মৃত্যুর ঘটনা ‘ড্রাই স্টেট’ বিহারে। রবিবার পশ্চিম চম্পারণ জেলার লাউরিয়ায় বিষ মদ খেয়ে সাতজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
aries

সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০১ - টেলিফোনের উদ্ভাবক ইলিশা গ্রে-র মৃত্যু
১৯৩৩ - বিশিষ্ট ভাস্কর  শর্বরী রায়চৌধুরীর জন্ম
১৯৪৫- স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী বসুর মৃত্যু
১৯৭২ - মনিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা ভারতের পূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়।
১৯৮৬- অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্ম
২০০৮ - কালো সোমবার হিসেবে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে প্রতিষ্ঠিত। এফটিএসই ১০০-এর সূচক একদিনে সবচেয়ে বড় পতন ঘটে। ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জগুলো ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ - এর পর সবচেয়ে খারাপ করে শেষ হয়। এশিয়ার শেয়ার মার্কেটগুলোর সূচক ১৪% কমে যায়।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৩ টাকা ৮৭.১২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৮ টাকা ১০৭.০৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৮২ টাকা ৯০.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী ১৫/৪৩, দিবা ১২/৪০। চিত্রা নক্ষত্র ৪৩/১৩ রাত্রি ১১/৩৭। সূর্যোদয় ৬/২২/৪২, সূর্যাস্ত ৫/১৩/১০।  অমৃতযোগ দিবা ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৩ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ১/৯ গতে ২/৩১ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫২ গতে ৮/৩১ মধ্যে। 
৭ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী দিবা ১১/২৫। চিত্রা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৪৭। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১২। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩১ গতে ১০/৪৩ মধ্যে ও ১২/৫৬ গতে ২/২৫ মধ্যে ও ৩/৯ গতে ৪/৩৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৩ মধ্যে ও ৮/৪৯ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ১/৫৯ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৮ মধ্যে ও ১/১০ গতে ২/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫১ গতে ৮/৩০ মধ্যে। 
২০ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রকাশিত অর্থো, সার্জারি, ত্বক সহ কিছু বিভাগের পদোন্নতির তালিকা
রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হাজারেরও বেশি চিকিৎসকের পদোন্নতি আটকে ...বিশদ

08:12:00 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
১৯০১ - টেলিফোনের উদ্ভাবক ইলিশা গ্রে-র মৃত্যু ১৯৩৩ - বিশিষ্ট ভাস্কর  শর্বরী ...বিশদ

07:55:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: বিদ্যায় উন্নতির যোগ। বৃষ: চমকপ্রদ অগ্রগতি। মিথুন: আর্থিক উন্নতির যোগ। কর্কট: কারণে অকারণে মানসিক চাঞ্চল্য কমাবাড়া ...বিশদ

07:50:00 AM

আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

20-01-2025 - 11:47:43 PM

পূর্ণকুম্ভে চলছে লেজার লাইট শো, বিনামূল্যেই দর্শন করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা

20-01-2025 - 11:24:28 PM

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হল, শপথ নেওয়ার পরেই দাবি ট্রাম্পের

20-01-2025 - 11:21:00 PM



Loading...