নয়াদিল্লি: ভারতের অর্থে যে প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলি বাংলাদেশের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। ফলে কোনও প্রকল্পই বন্ধ হচ্ছে না। মঙ্গলবার একথা জানান সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানিয়েছেন সালেহউদ্দিন। তাঁর কথায়, ইতিমধ্যেই দেশে ভারতের অর্থনৈতিক আনুকুল্যে যে প্রকল্পগুলি রয়েছে, তার প্রত্যেকটিই বড়সড়। সেগুলির স্থগিত রাখার কোনও প্রশ্নই নেই। আরও বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা। ভারতের পক্ষ থেকেও আগামীতেও সহযোগিতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। ভারত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং গবেষণাগারের ক্ষেত্রেও সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা। প্রণয় ভার্মা জানান, কিছু প্রকল্পের ঠিকাদাররা ভারতে চলে গেলেও তাঁরা দ্রুত বাংলাদেশে ফিরে কাজ শুরু করবেন। গত মাসে তীব্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকার ক্ষমতাচ্যুতহয়। ভারতে চলে আসেন হাসিনা। ফলে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক সাময়িক ধাক্কা খায়। এরপর লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি)-এ ভারতের তিনটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সালেহউদ্দিনের এই বক্তব্য দুই দেশের সম্পর্কে নতুন অক্সিজেন জোগাবে মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলা প্রকল্পগুলির গুরুত্ব নিয়ে বলতে গিয়ে সালেহউদ্দিন জানান, এগুলি দেশের নিজস্ব চাহিদার ভিত্তিতে শুরু করা হয়েছিল। বিতরণজনিত কিছু সমস্যা থাকলেও তা সমাধানের চেষ্টা করছি আমরা। জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ২০১০ সালের আগস্ট মাসে প্রথম এলওসি চুক্তি হয়। যেখানে টাকার পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৬ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার। ২০১৬ সালের মার্চে দ্বিতীয় চুক্তি হয় ২০০ কোটি ডলারে। ২০১৭ সালে তৃতীয় চুক্তির আর্থিক বরাদ্দ ছিল সাড়ে চারশো কোটি ডলার।