Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। অর্থাৎ যে নামগুলি বাঙালি সমাজে ছিল ৭০ বছর আগেও। আবার আজও আছে। সেই অতীত ঐতিহ্যটি অজান্তেই রক্ষিত হয় এই অংশটির পরিবারের সদস্যদের নামকরণে। আজও যখন এই নামগুলি আমরা শুনতে পাই, তখন বুঝতে পারি নামগুলি আদতে কালজয়ী হয়ে গিয়েছে। চিরন্তন একটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু নাগরিক এলিট সমাজের একাংশ আবার এই নামগুলিকে ব্যাকডেটেড আখ্যা দিয়ে থাকে। 
আর একটি শ্রেণির মধ্যে ক্রমেই দেখা যায় এসব নাম আর দেওয়া হচ্ছে না। তাদের পরিবারে স্মার্ট, আধুনিকা এবং মেধাবী নামের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নামগুলিও চমৎকার হয়। উদ্ভাবনী এবং শিক্ষার ছাপও দেখা যায়। এর মধ্যে কোনও একটি প্রবণতা ভালো, আর অন্যটি খারাপ, একদল ধনী, অন্য দল দরিদ্র, এরকম কোনও জাজমেন্ট দেওয়া যায় না। এটা সমাজের নিজস্ব চলন প্রক্রিয়া। 
দুটি সামাজিক শ্রেণি প্রতিদিন বাঙালি সমাজে গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই থাকে। চলাফেরা করে। যাতয়াত করে একই পাবলিক ট্র্যান্সপোর্টে। কেউ শহরে থাকে। কেউ গ্রামে। সমাজের দুই শ্রেণির মধ্যে একদল এলিট, শহুরে, আধুনিক, শিক্ষিত। আর অন্য দলকে ওই প্রথম শ্রেণিটি অতটা সাংস্কৃতিক, সামাজিক, চেতনাগতভাবে উচ্চমননের মনে করে না। 
এই দুই শ্রেণির মধ্যে আজ থেকে ৩০ বছর আগেও খুব বেশি সামাজিক চিন্তনের পার্থক্য চোখে পড়ত না। অনেকটাই একে অন্যকে চিনত। বুঝত। সেই কারণে দেখা যেত, সাংস্কৃতিক বোধের ক্ষেত্রেও অনেকটাই মিল পাওয়া যেত। একই বাংলা গান এলিট এবং নন এলিটের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে। যেহেতু বাঙালিয়ানা মিশে ছিল পুরোদস্তুর। একই বাংলা সিনেমা শহর এবং গ্রাম উভয় ভৌগোলিক এবং সামাজিক স্তরেই সুপারহিট হয়েছে। 
বাংলার যাত্রাকে মনে করা হয় সম্পূর্ণ গ্রামীণ সংস্কৃতি। অথচ আটের দশকেও যাত্রা মফস্‌সল ও শহুরে সংস্কৃতিরও অঙ্গ ছিল। বিভিন্ন জেলা শহরের নিজস্ব ময়দানে যাত্রার আসর বসত নিয়ম করে। সার্কাস ছিল সর্বত্রগামী। 
মহুয়া রায়চৌধুরী, তাপস পাল, প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিৎ, দেবশ্রী রায়, শতাব্দী রায়, স্বপনকুমার, বীণা দাশগুপ্তাদের দুই সমাজের মানুষই মেনে নিয়েছে প্রিয় তারকা হিসেবে। পাশাপাশি চলেছে আর্ট ফিল্ম অথবা প্যারালাল সিনেমা, গ্রুপ থিয়েটার। কিন্তু দুই সমাজের পার্থক্যটা প্রবলভাবে প্রকট ছিল না। আজ যতটা হয়ে পড়ছে ক্রমাগত। 
ক্রমেই আরবান অটোক্রেসি গোটা সমাজকে দুই ভাগে বিভাজিত করে দিয়েছে অনেক বেশি প্রকারে। আমরা লক্ষ্য করলাম ধীরে ধীরে হাতিবাগান শ্যামবাজার পাড়ায় কমার্শিয়াল থিয়েটার বন্ধ হয়ে গেল। গিরীশ ঘোষ, অমৃতলাল বোস, বিনোদিনী দাসীরা যা জনপ্রিয় করেছিলেন, সেই কমার্শিয়াল থিয়েটারে উত্তমকুমার থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা অনুপকুমাররা অভিনয় করতেন। আম বাঙালি পুজোর বাজার এবং থিয়েটার একসঙ্গে উপভোগ করতেন উত্তর কলকাতার পাড়ায়। সেসব বন্ধ হল। তারপর বন্ধ হয়ে গেল তরুণ মজুমদার থেকে অঞ্জন চৌধুরী ধাঁচের আদ্যন্ত বাঙালির সিনেমা। আরবান এলিট থিয়েটার এবং সিনেমা ঢুকে পড়ল সংস্কৃতির চালিকাশক্তি হিসেবে। 
সমাজে যে দুই শ্রেণি বাস করে তাদের মধ্যে একটি শ্রেণি সরকারের উপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল। চিকিৎসায় নির্ভরশীল। শিক্ষায় নির্ভরশীল।  যাতায়াতে নির্ভরশীল। কিন্তু অন্য অংশটি যারা মূলত আরবান মিডল ক্লাস ও এলিট, তারা সরকারের উপর নির্ভরশীল নয়। এই অন্য অংশটি প্রাইভেট ডাক্তারকে ভিজিট দিয়ে চিকিৎসা করে, স্বাস্থ্য বিমার মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রাইভেট ক্লিনিকে ডায়গনস্টিক পরীক্ষা করায়। প্রাইভেট স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়ায়। সরকারি স্কুল হলে হাই প্রোফাইল বিখ্যাত স্কুলে। সাধারণ পুরসভা পরিচালিত স্কুলে পড়ে অন্য শ্রেণির ছেলেমেয়েরা। প্রাইভেট ট্রান্সপোর্টে সফর করতে পারে। অ্যাপ বেসড ক্যাব কিংবা এয়ারলাইন্স অথবা বন্দে ভারত। 
একটি শ্রেণি সরকারের থেকে যখন আর্থিক সহায়তা নেয় সেটিকে শহুরে এলিটের কিয়দংশ ভালো চোখে দেখে না। অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে এটা ভুল পদক্ষেপ, এরকম বলে থাকে। কেউ কেউ ভিক্ষা বলে বেশি ক্রুদ্ধ হয়ে। 
সমস্যা হল, সেই ৩০ বছর আগের মতো এখন আর গ্রাম শহর এলিট মিডল ক্লাস নিম্নবর্গ নির্বিশেষে সংস্কৃতির কোনও একটি অঙ্গ সকলের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এরকম আর হয় না। ভাগাভাগিটা প্রবল হয়ে গিয়েছে। আরবান এলিট ও মিডল ক্লাসের জন্য একরকমের সিনেমা তৈরি হয়। গান শোনা যায়। নাটক হয়। আধুনিক শহুরে সিনেমাকে ঝকঝকে নাগরিক তৈরি করার জন্য বাঙালি পরিবারের মেলোড্রামাকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু তাই বলে তো আর অঞ্জন চৌধুরী কিংবা সুখেন দাসদের সেই ফর্মুলা রাতারাতি  মন থেকে উধাও হয়ে গিয়ে নবজাগরণ আসেনি বৃহত্তর বাঙালি সমাজে!  সেই কারণেই কি বাঙালি ওই সমাজ দৈনিক টিভি সিরিয়ালে খু্ঁজে পেয়েছে হারানো মেলোড্রামাকে? ।  
এই কথাগুলি বলতে হল কেন? কারণ আর জি কর ইস্যুতে নাগরিকদের কাছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিচার চাওয়ার আন্দোলনে চমৎকার একটি সুযোগ এসেছিল এই আরবান মিডল ক্লাস ও এলিটদের সঙ্গে তুলনামূলক নিম্নবর্গের ভিন্ন সংস্কৃতির বাঙালি সমাজের একটি মেলবন্ধন ঘটানোর। অর্থাৎ এই আন্দোলনকে ভরকেন্দ্র করে সামগ্রিকভাবে বাঙালি সমাজের একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপ দেখিয়ে দেওয়ার।  
অথচ হল না। হাজার হাজার নিম্নবর্গ এবং আরবান এলিট সমাজের বাইরের গ্রাম শহরের মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেল না। তাদের পরিবারের সদস্যরা একে একে বিনা চিকিৎসায় মারা গেল। অপারেশন হচ্ছে না। এটা কিন্তু ঠিক উল্টো হতে পারত। এই মানুষগুলিকে আরও বেশি করে কাছে টানার সুবর্ণ সুযোগ ঘটেছিল। অর্থাৎ আন্দোলন চলুক। জুনিয়র ডাক্তারদের বিচারের দাবিতে কর্মসূচি একইরকম হোক। কিন্তু একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতালে গরিবদের চিকিৎসা আরও বেশি করে করা যেত। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আরও বেশি বার্তা দেওয়া যেত যে, ডাক্তাররা সত্যিই কতটা মানবিক ও ঈশ্বরপ্রতীম। সেটা দেখে গরিব মানুষ দ্বিগুণ আশীর্বাদ ও আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে যেতেন। কেন হল না সেটা একটা রহস্য! 
সমাজের একটি অংশের জীবনে একটি শব্দ আছে। উইকএন্ড। ওই শব্দ যেদিন আসে, সেদিন অফিসে যেতে হয় না। কাজে যেতে হয় না। ছুটির দিন। নিজের মতো করে কাটানো যায়। সমাজের অন্য অংশ আছে, যাদের কাছে উইকএন্ড বলে কোনও শব্দ নেই। তাদের প্রতিদিন বেরনো এবং প্রতিদিন কাজ করে আয় করা। একটু চোখকান খোলা রাখলেই জানা যাবে আমাদের আশপাশে এরকম কী কী পেশা রয়েছে যেখানে এই উইকএন্ডহীন মানুষদের জীবন জীবিকা জড়িত। প্রতিদিন মিছিল, ধর্না, আন্দোলন হতেই পারে। কিন্ত নিয়ম করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে সর্বাত্মক একটি বন্ধ পরিষেবার চিত্র নির্মাণ করে নয়। 
 সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের যাতায়াতের অনিশ্চয়তায় প্রবল পেশাগত সঙ্কট সৃষ্টি না করেই আন্দোলন করা হলে সমর্থনের পরিধি কিন্তু আরও বাড়বে। নিম্নবর্গের মানুষও বেশি করে যোগ দেবে। নয়তো এই যে নন এলিট অংশ এরা ভাববে আমাদের জীবন সম্পর্কে এরা যেমন জানে না, আমাদের সমস্যা নিয়েও এদের মাথাব্যথা নেই। 
এই যে শোনা যায় একটি বাক্য, ‘যাই হোক না কেন, ডাক্তাররা যেন কর্মবিরতি চালিয়ে যায়। কিছুদিন চিকিৎসা না পেলে কিছু এসে যাবে না।’ এই বাক্যগুলি শুনলেই সৎ ও প্রকৃত বিচারপ্রার্থীদের কিন্তু সতর্ক হতে হবে। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে যে, এটা কারা বলছে? কেন বলছে? তার উদ্দেশ্য আসলে কী? সে ঠিক কী চাইছে? গরিবের অসুবিধা করে, আমাদেরই রাজ্যবাসীকে প্রতিদিন বিপদে ফেলতে চাইছে কারা? ক্রমেই অচলাবস্থা সৃষ্টি হোক, এই ব্যাপারটা কাদের ঠিক কী ধরনের মুনাফা দেবে? সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা, গরিবের পরিবহণ ব্যবস্থা, এগুলো যদি দিনের পর দিন, মাসের পর মাসের বন্ধই থাকে কিংবা অনিশ্চিত হয়ে যায়, তাহলে সবথেকে বেশি প্রফিট হবে কাদের? 
নাগরিক আন্দোলন কীসের বিচার চাইছে? ঘৃণ্যতম অপরাধের। সিবিআই তদন্ত করছে। ধর্ষণ এবং হোমিসাইড। সবথেকে কঠিন একটি অপরাধের মামলা। অসংখ্য স্তর আছে তদন্তের। গ্রেপ্তার, চার্জ ফ্রেম, চার্জশিট, এক্সিবিট পেশ এবং এভিডেন্স। সেইমতো সিবিআই অগ্রসর হচ্ছে। সময়সাপেক্ষ। আইনে আছে এসব মামলায় দু মাসের মধ্যে চার্জশিট দিতে হবে। তারপর হবে শুনানি। সাক্ষ্য। বিচার। রায়। উচ্চ আদালতে যাওয়া। আইনের প্রক্রিয়াটি আমাদের বুঝতে হবে। তাহলে রাগ, আবেগের সঙ্গে আসবে বাস্তববোধ। আসবে ভাবনার সুস্থিতি। না জেনে নয়। আইনি প্রক্রিয়া জেনেই তদন্ত ও বিচারের দ্রুততার দাবিতে লাগাতার নাগরিক আন্দোলনের এই চাপ বজায় রেখে যেতে হবে। 
নাগরিক আন্দোলনের অভিমুখ হোক মানবিক। যারা আন্ডারপ্রিভিলেজড সমাজ, তাদের কাছে টেনে নিয়ে সবরকম সাহায্য দেওয়া হোক। নাগরিকরা যে তাদের পাশে আছে যে কোনও বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সেই বার্তা তাদের দেওয়া হোক। গরিব নিম্নবর্গকে যারা ঠকাচ্ছে, তাদের যারা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে, তাদের যারা প্রতারণা করছে সেইসব কিছুর প্রতিবাদ ও সুরাহার হাত বাড়িয়ে দিক নাগরিক সমাজ। বৈষম্য কাকে বলে, কারা করছে বৈষম্য এসব বোঝানো হোক তাদের। শামিল করা হোক অন্যায়ের প্রতিবাদে। তাদের কাছেও যেন আমরা শিখি জীবনবোধ এবং সংগ্রাম। আমরা সব জানি, তারা কম জানে, এরকম ভাবা নির্বুদ্ধিতা। তাই তাদের যেন বঞ্চিত করা না হয়। 
এসব না করে নিজেদের অজান্তেই তাদের কি দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না আরও? যেভাবে গত ৩০ বছর ধরে ক্রমেই তারা সরে গিয়েছে এলিট ও মিডল ক্লাস থেকে!  
06th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
একনজরে
টানা বৃষ্টির জেরে আসানসোল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত। পুজোর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। রবিবারও ছুটির দিনে বৃষ্টিতে পুজোর বাজার দফারফা করে দিয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া এদিন মানুষজন বাড়ি থেকে বের হননি। ঝড়-বৃষ্টির জেরে জিটি রোডের উপর একের পর এক গাছ ...

পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সকাল থেকেই পুজো উদ্যোক্তারা পড়ে আছেন পুজো প্রাঙ্গণে। কেউ ব্যস্ত প্যান্ডেল ...

আরজি কর কাণ্ডে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে বাম, অতিবাম, কংগ্রেস, বিজেপি সহ তামাম বিরোধী দল। ...

আবার হিট অ্যান্ড রানের ঘটনা বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে। দ্রুতগতির গাড়ি পিষে দিল দুই বাইকযাত্রীকে। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন বছর সতেরোর এক কিশোর। গুরুতর জখম তাঁর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ওজোন স্তর রক্ষা দিবস
১৭৩৬ - পোলিশ ডাচ পদার্থবিদ তথা প্রকৌশলী ও থার্মোমিটার উদ্ভাবক ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইটের মৃত্যু
১৮১২ - মস্কো শহরে এক অগ্নিকাণ্ডে এক দিনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহর পুড়ে গিয়েছিল
১৯০৮- জেনারেল মোটরস কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা
১৯১৬- ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর জন্ম
১৯৩১- হিজলি ক্যাম্পে বন্দিদের উপর গুলিতে হত দুই বিপ্লবী সন্তোষকুমার মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত
১৯৩২- নোবেলজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রসের মৃত্যু
১৯৪৫- রাজনীতিবিদ পি চিদাম্বরমের জন্ম
১৯৫৩- যুক্তরাষ্ট্রের রক্সি থিয়েটারে বিশ্বের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘দ্য রোব’ প্রদর্শিত
১৯৫৫- আন্তর্জাতিক কপিরাইট কনভেনশন চালু
১৯৮৭- বিশ্বের ২৭টি দেশ ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু মন্ডলকে রক্ষা করার জন্য ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস ব্যবহারে বিধিনিষেধ প্রয়োগে চুক্তিবদ্ধ হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৪ টাকা ১১২.১৯ টাকা
ইউরো ৯১.৫৩ টাকা ৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী ২৪/২০ দিবা ৩/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৭/৪৫ দিবা ৪/৩৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
৩০ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩৫ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতার সিপিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:59:00 PM

আগামী কাল, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিসে রদবদল করা হবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:58:00 PM

স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:57:00 PM

অভয়ার উদ্দেশ্যে সমবেদনা জানিয়ে বৈঠক শুরু করি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

আমরা উভয়পক্ষই খুশি, বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

কিছু বিষয়ে সহমত কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

11:53:00 PM