Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। অর্থাৎ যে নামগুলি বাঙালি সমাজে ছিল ৭০ বছর আগেও। আবার আজও আছে। সেই অতীত ঐতিহ্যটি অজান্তেই রক্ষিত হয় এই অংশটির পরিবারের সদস্যদের নামকরণে। আজও যখন এই নামগুলি আমরা শুনতে পাই, তখন বুঝতে পারি নামগুলি আদতে কালজয়ী হয়ে গিয়েছে। চিরন্তন একটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু নাগরিক এলিট সমাজের একাংশ আবার এই নামগুলিকে ব্যাকডেটেড আখ্যা দিয়ে থাকে। 
আর একটি শ্রেণির মধ্যে ক্রমেই দেখা যায় এসব নাম আর দেওয়া হচ্ছে না। তাদের পরিবারে স্মার্ট, আধুনিকা এবং মেধাবী নামের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নামগুলিও চমৎকার হয়। উদ্ভাবনী এবং শিক্ষার ছাপও দেখা যায়। এর মধ্যে কোনও একটি প্রবণতা ভালো, আর অন্যটি খারাপ, একদল ধনী, অন্য দল দরিদ্র, এরকম কোনও জাজমেন্ট দেওয়া যায় না। এটা সমাজের নিজস্ব চলন প্রক্রিয়া। 
দুটি সামাজিক শ্রেণি প্রতিদিন বাঙালি সমাজে গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই থাকে। চলাফেরা করে। যাতয়াত করে একই পাবলিক ট্র্যান্সপোর্টে। কেউ শহরে থাকে। কেউ গ্রামে। সমাজের দুই শ্রেণির মধ্যে একদল এলিট, শহুরে, আধুনিক, শিক্ষিত। আর অন্য দলকে ওই প্রথম শ্রেণিটি অতটা সাংস্কৃতিক, সামাজিক, চেতনাগতভাবে উচ্চমননের মনে করে না। 
এই দুই শ্রেণির মধ্যে আজ থেকে ৩০ বছর আগেও খুব বেশি সামাজিক চিন্তনের পার্থক্য চোখে পড়ত না। অনেকটাই একে অন্যকে চিনত। বুঝত। সেই কারণে দেখা যেত, সাংস্কৃতিক বোধের ক্ষেত্রেও অনেকটাই মিল পাওয়া যেত। একই বাংলা গান এলিট এবং নন এলিটের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে। যেহেতু বাঙালিয়ানা মিশে ছিল পুরোদস্তুর। একই বাংলা সিনেমা শহর এবং গ্রাম উভয় ভৌগোলিক এবং সামাজিক স্তরেই সুপারহিট হয়েছে। 
বাংলার যাত্রাকে মনে করা হয় সম্পূর্ণ গ্রামীণ সংস্কৃতি। অথচ আটের দশকেও যাত্রা মফস্‌সল ও শহুরে সংস্কৃতিরও অঙ্গ ছিল। বিভিন্ন জেলা শহরের নিজস্ব ময়দানে যাত্রার আসর বসত নিয়ম করে। সার্কাস ছিল সর্বত্রগামী। 
মহুয়া রায়চৌধুরী, তাপস পাল, প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিৎ, দেবশ্রী রায়, শতাব্দী রায়, স্বপনকুমার, বীণা দাশগুপ্তাদের দুই সমাজের মানুষই মেনে নিয়েছে প্রিয় তারকা হিসেবে। পাশাপাশি চলেছে আর্ট ফিল্ম অথবা প্যারালাল সিনেমা, গ্রুপ থিয়েটার। কিন্তু দুই সমাজের পার্থক্যটা প্রবলভাবে প্রকট ছিল না। আজ যতটা হয়ে পড়ছে ক্রমাগত। 
ক্রমেই আরবান অটোক্রেসি গোটা সমাজকে দুই ভাগে বিভাজিত করে দিয়েছে অনেক বেশি প্রকারে। আমরা লক্ষ্য করলাম ধীরে ধীরে হাতিবাগান শ্যামবাজার পাড়ায় কমার্শিয়াল থিয়েটার বন্ধ হয়ে গেল। গিরীশ ঘোষ, অমৃতলাল বোস, বিনোদিনী দাসীরা যা জনপ্রিয় করেছিলেন, সেই কমার্শিয়াল থিয়েটারে উত্তমকুমার থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা অনুপকুমাররা অভিনয় করতেন। আম বাঙালি পুজোর বাজার এবং থিয়েটার একসঙ্গে উপভোগ করতেন উত্তর কলকাতার পাড়ায়। সেসব বন্ধ হল। তারপর বন্ধ হয়ে গেল তরুণ মজুমদার থেকে অঞ্জন চৌধুরী ধাঁচের আদ্যন্ত বাঙালির সিনেমা। আরবান এলিট থিয়েটার এবং সিনেমা ঢুকে পড়ল সংস্কৃতির চালিকাশক্তি হিসেবে। 
সমাজে যে দুই শ্রেণি বাস করে তাদের মধ্যে একটি শ্রেণি সরকারের উপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল। চিকিৎসায় নির্ভরশীল। শিক্ষায় নির্ভরশীল।  যাতায়াতে নির্ভরশীল। কিন্তু অন্য অংশটি যারা মূলত আরবান মিডল ক্লাস ও এলিট, তারা সরকারের উপর নির্ভরশীল নয়। এই অন্য অংশটি প্রাইভেট ডাক্তারকে ভিজিট দিয়ে চিকিৎসা করে, স্বাস্থ্য বিমার মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রাইভেট ক্লিনিকে ডায়গনস্টিক পরীক্ষা করায়। প্রাইভেট স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়ায়। সরকারি স্কুল হলে হাই প্রোফাইল বিখ্যাত স্কুলে। সাধারণ পুরসভা পরিচালিত স্কুলে পড়ে অন্য শ্রেণির ছেলেমেয়েরা। প্রাইভেট ট্রান্সপোর্টে সফর করতে পারে। অ্যাপ বেসড ক্যাব কিংবা এয়ারলাইন্স অথবা বন্দে ভারত। 
একটি শ্রেণি সরকারের থেকে যখন আর্থিক সহায়তা নেয় সেটিকে শহুরে এলিটের কিয়দংশ ভালো চোখে দেখে না। অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে এটা ভুল পদক্ষেপ, এরকম বলে থাকে। কেউ কেউ ভিক্ষা বলে বেশি ক্রুদ্ধ হয়ে। 
সমস্যা হল, সেই ৩০ বছর আগের মতো এখন আর গ্রাম শহর এলিট মিডল ক্লাস নিম্নবর্গ নির্বিশেষে সংস্কৃতির কোনও একটি অঙ্গ সকলের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এরকম আর হয় না। ভাগাভাগিটা প্রবল হয়ে গিয়েছে। আরবান এলিট ও মিডল ক্লাসের জন্য একরকমের সিনেমা তৈরি হয়। গান শোনা যায়। নাটক হয়। আধুনিক শহুরে সিনেমাকে ঝকঝকে নাগরিক তৈরি করার জন্য বাঙালি পরিবারের মেলোড্রামাকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু তাই বলে তো আর অঞ্জন চৌধুরী কিংবা সুখেন দাসদের সেই ফর্মুলা রাতারাতি  মন থেকে উধাও হয়ে গিয়ে নবজাগরণ আসেনি বৃহত্তর বাঙালি সমাজে!  সেই কারণেই কি বাঙালি ওই সমাজ দৈনিক টিভি সিরিয়ালে খু্ঁজে পেয়েছে হারানো মেলোড্রামাকে? ।  
এই কথাগুলি বলতে হল কেন? কারণ আর জি কর ইস্যুতে নাগরিকদের কাছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিচার চাওয়ার আন্দোলনে চমৎকার একটি সুযোগ এসেছিল এই আরবান মিডল ক্লাস ও এলিটদের সঙ্গে তুলনামূলক নিম্নবর্গের ভিন্ন সংস্কৃতির বাঙালি সমাজের একটি মেলবন্ধন ঘটানোর। অর্থাৎ এই আন্দোলনকে ভরকেন্দ্র করে সামগ্রিকভাবে বাঙালি সমাজের একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপ দেখিয়ে দেওয়ার।  
অথচ হল না। হাজার হাজার নিম্নবর্গ এবং আরবান এলিট সমাজের বাইরের গ্রাম শহরের মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেল না। তাদের পরিবারের সদস্যরা একে একে বিনা চিকিৎসায় মারা গেল। অপারেশন হচ্ছে না। এটা কিন্তু ঠিক উল্টো হতে পারত। এই মানুষগুলিকে আরও বেশি করে কাছে টানার সুবর্ণ সুযোগ ঘটেছিল। অর্থাৎ আন্দোলন চলুক। জুনিয়র ডাক্তারদের বিচারের দাবিতে কর্মসূচি একইরকম হোক। কিন্তু একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতালে গরিবদের চিকিৎসা আরও বেশি করে করা যেত। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আরও বেশি বার্তা দেওয়া যেত যে, ডাক্তাররা সত্যিই কতটা মানবিক ও ঈশ্বরপ্রতীম। সেটা দেখে গরিব মানুষ দ্বিগুণ আশীর্বাদ ও আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে যেতেন। কেন হল না সেটা একটা রহস্য! 
সমাজের একটি অংশের জীবনে একটি শব্দ আছে। উইকএন্ড। ওই শব্দ যেদিন আসে, সেদিন অফিসে যেতে হয় না। কাজে যেতে হয় না। ছুটির দিন। নিজের মতো করে কাটানো যায়। সমাজের অন্য অংশ আছে, যাদের কাছে উইকএন্ড বলে কোনও শব্দ নেই। তাদের প্রতিদিন বেরনো এবং প্রতিদিন কাজ করে আয় করা। একটু চোখকান খোলা রাখলেই জানা যাবে আমাদের আশপাশে এরকম কী কী পেশা রয়েছে যেখানে এই উইকএন্ডহীন মানুষদের জীবন জীবিকা জড়িত। প্রতিদিন মিছিল, ধর্না, আন্দোলন হতেই পারে। কিন্ত নিয়ম করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে সর্বাত্মক একটি বন্ধ পরিষেবার চিত্র নির্মাণ করে নয়। 
 সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের যাতায়াতের অনিশ্চয়তায় প্রবল পেশাগত সঙ্কট সৃষ্টি না করেই আন্দোলন করা হলে সমর্থনের পরিধি কিন্তু আরও বাড়বে। নিম্নবর্গের মানুষও বেশি করে যোগ দেবে। নয়তো এই যে নন এলিট অংশ এরা ভাববে আমাদের জীবন সম্পর্কে এরা যেমন জানে না, আমাদের সমস্যা নিয়েও এদের মাথাব্যথা নেই। 
এই যে শোনা যায় একটি বাক্য, ‘যাই হোক না কেন, ডাক্তাররা যেন কর্মবিরতি চালিয়ে যায়। কিছুদিন চিকিৎসা না পেলে কিছু এসে যাবে না।’ এই বাক্যগুলি শুনলেই সৎ ও প্রকৃত বিচারপ্রার্থীদের কিন্তু সতর্ক হতে হবে। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে যে, এটা কারা বলছে? কেন বলছে? তার উদ্দেশ্য আসলে কী? সে ঠিক কী চাইছে? গরিবের অসুবিধা করে, আমাদেরই রাজ্যবাসীকে প্রতিদিন বিপদে ফেলতে চাইছে কারা? ক্রমেই অচলাবস্থা সৃষ্টি হোক, এই ব্যাপারটা কাদের ঠিক কী ধরনের মুনাফা দেবে? সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা, গরিবের পরিবহণ ব্যবস্থা, এগুলো যদি দিনের পর দিন, মাসের পর মাসের বন্ধই থাকে কিংবা অনিশ্চিত হয়ে যায়, তাহলে সবথেকে বেশি প্রফিট হবে কাদের? 
নাগরিক আন্দোলন কীসের বিচার চাইছে? ঘৃণ্যতম অপরাধের। সিবিআই তদন্ত করছে। ধর্ষণ এবং হোমিসাইড। সবথেকে কঠিন একটি অপরাধের মামলা। অসংখ্য স্তর আছে তদন্তের। গ্রেপ্তার, চার্জ ফ্রেম, চার্জশিট, এক্সিবিট পেশ এবং এভিডেন্স। সেইমতো সিবিআই অগ্রসর হচ্ছে। সময়সাপেক্ষ। আইনে আছে এসব মামলায় দু মাসের মধ্যে চার্জশিট দিতে হবে। তারপর হবে শুনানি। সাক্ষ্য। বিচার। রায়। উচ্চ আদালতে যাওয়া। আইনের প্রক্রিয়াটি আমাদের বুঝতে হবে। তাহলে রাগ, আবেগের সঙ্গে আসবে বাস্তববোধ। আসবে ভাবনার সুস্থিতি। না জেনে নয়। আইনি প্রক্রিয়া জেনেই তদন্ত ও বিচারের দ্রুততার দাবিতে লাগাতার নাগরিক আন্দোলনের এই চাপ বজায় রেখে যেতে হবে। 
নাগরিক আন্দোলনের অভিমুখ হোক মানবিক। যারা আন্ডারপ্রিভিলেজড সমাজ, তাদের কাছে টেনে নিয়ে সবরকম সাহায্য দেওয়া হোক। নাগরিকরা যে তাদের পাশে আছে যে কোনও বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সেই বার্তা তাদের দেওয়া হোক। গরিব নিম্নবর্গকে যারা ঠকাচ্ছে, তাদের যারা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে, তাদের যারা প্রতারণা করছে সেইসব কিছুর প্রতিবাদ ও সুরাহার হাত বাড়িয়ে দিক নাগরিক সমাজ। বৈষম্য কাকে বলে, কারা করছে বৈষম্য এসব বোঝানো হোক তাদের। শামিল করা হোক অন্যায়ের প্রতিবাদে। তাদের কাছেও যেন আমরা শিখি জীবনবোধ এবং সংগ্রাম। আমরা সব জানি, তারা কম জানে, এরকম ভাবা নির্বুদ্ধিতা। তাই তাদের যেন বঞ্চিত করা না হয়। 
এসব না করে নিজেদের অজান্তেই তাদের কি দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না আরও? যেভাবে গত ৩০ বছর ধরে ক্রমেই তারা সরে গিয়েছে এলিট ও মিডল ক্লাস থেকে!  
06th  September, 2024
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
একনজরে
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে বিচার পর্ব শুরু হল। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে দীর্ঘসময় ধরে ওই শুনানি চলে। ...

রাজধানীর আসন্ন নির্বাচন বিজেপি-কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই হাত শিবিরকে কটাক্ষ করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। ...

২৬ তম বঙ্গভূমি কাপ আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আন্দুলের উর্মিশা দাসের। গত ১২ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগেই সোনা জিতেছে সে। ক্যারাটের স্বপ্নে ভর করেই আগামী দিনে বাংলা ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। ...

পারদ নামতেই পৌষমাস মাটি মাফিয়াদের! স্থলভাগের জমি কেটে পাচারের কথা বহুশ্রুত। মাটি মাফিয়াদের নজর এখন নদীর জলে। মাঝ নদীতে গিয়ে জলের তলার অংশের মাটি তুলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় সেনা দিবস
৩৭: রোমের রাজা নিরো জন্মগ্রহণ করেন
১৫৫৯: ইংল্যান্ডের রানি হলেন প্রথম এলিজাবেথ
১৭৫৯: লন্ডনে মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতির জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৫৩ সালে
১৭৮৪: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল
১৮৩২: আইফেল টাওয়ারের স্থপতি গুস্তাভ আইফেল জন্মগ্রহণ করেন
১৮৭৩: বাংলার দ্বিতীয় সাধারণ রঙ্গালয় ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের উদ্বোধন
১৮৭৫: ভারতীয় মৌসুম বিজ্ঞান বিভাগ সংক্ষেপে আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫: কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান ইংরাজী দৈনিক পত্রিকা সংযুক্তরূপে প্রকাশ শুরু
১৮৭৮: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারীরা প্রথম ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান
১৯৩৪: ভারতের বিহারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়
১৯৩৮: ফুটবলার চুনী গোস্বামীর জন্ম
১৯৫৬: বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জন্ম
২০০১: অনলাইনভিত্তিক বহুভাষার মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু
২০০৯: দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার মৃত্যু
 ২০১৮: শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.০৫ টাকা ১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.৩০ টাকা ৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া ৫২/৩৩ রাত্রি ৩/২৪। পুষ্যা নক্ষত্র ১০/১৩, দিবা ১০/২৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/৫৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৪ গতে ৩/০ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১ মাঘ, ১৪৩১, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৫২। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ১১/১৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে ১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ১/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৬ মধ্যে।   
১৪ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি-এনসিআর এলাকায় কুয়াশার দাপট, সকাল থেকে বাতিল ৭টি বিমান, দেরিতে ১৮৪টি উড়ান

10:37:00 AM

ভূস্বর্গে ঠান্ডার কাঁপুনি, শ্রীনগরের ডাল লেকে হালকা বরফের আস্তরণ

10:37:00 AM

বেলা বাড়লেও কুয়াশায় ঢাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের  পিংলা

10:26:00 AM

মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা, পাকড়াও ৩ পাচারকারী
ফের মালদহ টাউন স্টেশন দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা। জিআরপি'র জালে ...বিশদ

10:24:12 AM

আজ কংগ্রেসের নতুন সদর দপ্তর ইন্দিরা ভবনের উদ্ধোধন, উপস্থিত হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

10:18:00 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:07:00 AM