মেয়াদি সঞ্চয় বা পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে ধনাগম যোগ দেখা যায়। কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও আর্থিক দিক ... বিশদ
এই মত কি ওমের অভিমানকে আড়াল করার কৌশলী প্রয়াস? ১০ বছরের কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত ছবির সংখ্যা ২৫। গোটা চারেক সিরিয়াল। কলকাতায় জন্ম, বেড়ে ওঠা, লেখাপড়া করলেও ইন্ডাস্ট্রিতে ওমের পরিচয় একজন ‘অবাঙালি অভিনেতা’। পারিবারিক সূত্রে বিহারি ওম বেদনাহত গলায় বললেন, ‘বাইরে থেকে এসে বাংলা ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। এটা এখনও অনেকে মানতে পারেন না। ঈশ্বরের আশীর্বাদে ২৫টির মতো ছবিতে অভিনয় করে ফেললাম, তারপরও আমাকে আউটসাইডার হিসেবেই ধরা হয়। এতগুলো ছবি, সিরিয়ালের পরও নাকি আমি নতুন। জেনেও না জানার ভান করে সঠিক জায়গাটা তাঁরা দিতে চান না। এটা আমি বুঝতে পারি। তারপরেও তো কাজ পাচ্ছি। সংসার চলছে।’
ওমের শেষ অভিনীত ছবি ‘হাঙ্গামা ডট কম’। শ্যুটিং চলছে ডেবিউ পরিচালক শুভদীপ জানার বাণিজ্যিক ছবি ‘আদিত্য’র। ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওর খোলা চত্বরে হোলির গানের দৃশ্যের একপ্রস্থ শ্যুটিং সেরে ছবির হিরো ‘অর্ক’ বললেন, ‘এই প্রথম হোলির গানের দৃশ্যে নাচলাম। দারুণ অভিজ্ঞতা।’ ওমের মতে, ‘কোভিডের পর মানুষ চাইছেন হালকা বিনোদন বা কল্পজগতের কাহিনি কিংবা মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবি। ‘আদিত্য’ সেই রকম পুরোদস্তুর কমার্শিয়াল ছবি।’ অভিজ্ঞ ওমের পর্যবেক্ষণ, ‘ইন্ডাস্ট্রি এখন একটা পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।’ কীরকম? ‘এবার প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রটা ধীরে হলেও প্রস্তুত হচ্ছে। তবে তার আগে সম্ভ্রমের জায়গাটাও তৈরি হওয়া দরকার। এখনকার উঠতি অভিনেতারা সিনিয়রদের সম্মান করতেই শেখেনি।’ ওমের সাফ কথা, ‘আগে সহবত শিখতে হবে। নাহলে ইন্ডাস্ট্রি কোনও দিনই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।’ ওম জানালেন, ‘আদিত্য’তে লাবণী সরকার, খরাজ মুখোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু, রিমঝিম গুপ্তর মতো অভিনেতারা রয়েছেন। ওঁদের সঙ্গে কাজ করাটা তাঁর কাছে সৌভাগ্যের। ‘এই সুযোগগুলোকেই কাজে লাগাতে পারছে না এখনকার অভিনেতারা। তাই একটা সিরিয়াল বা সিনেমার পর আর খুঁজে পাওয়া যায় না তাদের’, বললেন ওম।