আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
দুর্গাপুজো মানে আমার কাছে ‘ত্রিধারা’। আজন্ম এই পুজোতেই থেকেছি। আসলে পুজোর পাঁচদিন কলকাতার বাইরে বা আমাদের প্যান্ডেল ত্রিধারার বাইরে কিছু ভাবতে পারি না। ফলে এবারও ত্রিধারাতেই থাকব। ছোট থেকে বড় হয়েছি এখানে। এখন আমার গুরুজনেরা বৃদ্ধ হয়েছেন। দিদাকে দেখলে সেটা ভালো বুঝতে পারি। এখনও প্রত্যেকদিন পুজোর সময় প্যান্ডেলে আসেন। কিন্তু বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেন না। বলেন দু’ঘণ্টা পরে বাড়ি চলে যাব। বুঝতে পারি শরীরে সেই জোর আর নেই। ওঁদের বয়স হবেই। এটা তো অনিবার্য। কিন্তু ওঁদের দেখলে যেন নিজের ছোটবেলার কথা আরও বেশি মনে পড়ে।
এবছরের পরিস্থিতি একটু আলাদা। ত্রিধারায় সাধারণত দু’দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এবার হয়তো একদিন হবে। ত্রিধারার যে মিউজিক ভিডিও তৈরি হয় প্রতি বছর, এবছর সেটা করিনি। আসলে মন চায়নি। এখনও নিজে কোনও শাড়ি কিনিনি। কারও জন্যও উপহারও কেনা হয়নি। কিছু নতুন শাড়ি আছে। মনমেজাজের যা অবস্থা কিছু কিনতে ইচ্ছে করেনি। তবে কিছু তো কিনতে হবে। পুজোয় কিন্তু ট্র্যাডিশনাল সাজই আমার চিরকালীন পছন্দ। গৌরবের থেকে প্রথম পুজোয় যে শাড়িটা পেয়েছিলাম, সেটা যেমন আজীবন স্পেশাল হয়ে থাকবে।
আমি ফিটনেস নিয়ে সারা বছর সচেতন থাকি। কিন্তু পুজোর সময় কোনও ডায়েট নয়। নবমীর লাঞ্চে পাঁঠার মাংস খেতেই হবে। অষ্টমীতে নিরামিষ। সেদিন সাধারণত পোলাও খাওয়া হয়। তাছাড়া কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিরিয়ানি, ফুচকা তো থাকবেই। পুজোর পাঁচদিন জিমেও যাই না।
এক বছরের অপেক্ষার পর আবার মা আসছে। একটাই প্রার্থনা, মা আসুক, এই অশান্ত পরিবেশ থেকে মুক্ত করুক।