Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। ১০০ দিনের কাজের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন বিমল। দু’বছর হল সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। টাকা অবশ্য পেয়ে গিয়েছেন তিনি। সরকার দিয়েছে। কোন সরকার, কেন দিয়েছে, অত মাথা ঘামান না বিমল। খাটনির দাম পেলেই হল। এখন রাজমিস্ত্রির জোগানদানের কাজ করেন। তবে ঠিকাদারকে বলা আছে... পুজোয় তাঁকে ছাড়তেই হবে। ঢাকের মায়া কাটেনি যে এখনও। ভাদ্র মাস পড়লেই ফোন আসতে শুরু করে তাঁর। বায়নার ফোন। হাতটা বেশ মিষ্টি বিমলের। বাজাতে বাজাতে ঘোর লেগে গেল এখনও বাচ্চা-বুড়ো জড়ো হয়ে শোনে। গর্ব নেই, তৃপ্তি আছে। গত বছরই ঢাকের চামড়া পাল্টেছেন বিমল। কিন্তু এবার একটাও ফোন আসেনি এখনও। ভাদ্রের মাঝামাঝি ফাইনাল হয়ে যায় তাঁর। এখন বুকে একটু কাঁপুনি ধরছে। সবাই চারদিকে কীসব বলাবলি করছিল... এবার পুজো নিয়ে নাকি খুব দুশ্চিন্তা। লোকজন রাস্তায় নেমে পড়ছে। হাততালি দিয়ে, নেচে নেচে কীসব বলছে। সবচেয়ে বড় কথা, বড় বড় লোকেরা হাঁক পাড়ছে... ‘এই অবস্থায় পুজো হয় নাকি? বয়কট করুন।’ মাথার মধ্যে কালো মেঘ জমাট বাঁধছে বিমলের। ওই পাঁচটা দিনের জন্য তিন-চার হাজার টাকা ইনকাম হয় তাঁর। আট বছরের ছেলেটাও দু’বেলা দুটো ভালো খাবারের আশায় কাঁসি হাতে ছুটে যায় তাঁর সঙ্গে। পুজোর শেষে বকশিসের সঙ্গে মেলে পুরনো ভালো ভালো জামাকাপড়ও। এই তো পাঁচটা দিন মাত্র! গরিবের এইটুকু সুখও সহ্য হয় না বড় লোকগুলোর?
বিমল বাদ্যকর আপনার-আমার সবার চেনা। নামটা শুধু বদলে দিন। পুজোর সময় এই বিমলকেই আমরা দেখতে পাই। কখনও ঢাকি হিসেবে, কখনও ফুলের দিদি, আবার কখনও কুমোরটুলিতে দেবীকে ম্যাটাডোরে তুলে দেওয়া মুটে রূপে। পুজো মানে এদের কাছে রেস্তরাঁয় খাওয়া, প্যান্ডেল হপিং বা আউটিং নয়। পুজো মানে এদের কাছে জামা-জুতোর নতুন স্টক বা বোনাসও নয়। দুর্গাপুজোর পাঁচটা দিন মানে এরা বোঝে বাড়তি কয়েকটা টাকা আয়ের সংস্থান। ঢাকিদাদা ভাবে, টাকাটা পেলে মেয়েটার স্কুলের নতুন জুতো হবে। জলায় নেমে পদ্ম তুলে আনা নিতাই হিসেব কষে... আর এক ডজন তুলে দিতে পারলেই মায়ের জন্য একটা ছাপা শাড়ি হয়ে যাবে। পাড়ার মণ্ডপের পাশে রোলের ঠেলাগাড়ি দেওয়া বেকার যুবকটি স্বপ্ন দেখে, এর লাভের টাকা জমিয়েই একটা দোকান দেওয়ার মতো সংস্থান হয়ে যাবে। এরা কেউ সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে লেখে না। এরা বিপ্লব করে না। এরা উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান তুলে পথেও বসে না। এদের বলা কথাগুলোয় কোনও শব্দ নেই, আছে শুধু আকুতি... ‘মা, এই পুজোয় বন্যা দিও না’... ‘এবার পুজো কমিটিগুলোর যেন টানাটানির সংসার না হয়’... ‘এবার যেন বায়নাটা ভালো হয়।’ এই মানুষগুলোর সংখ্যা কত জানেন? কয়েক লক্ষ। বিলাসিতা করা এদের সাজে না। দেওয়াল লেখাও নয়। প্রতিদিন এদের লড়াই। বেঁচে থাকার। প্রতিদিন এদের যুদ্ধ জাস্টিসের জন্য। বড়লোকদের কাছে। সমাজের কাছে। কারা আজ তুলছে আওয়াজ দুর্গাপুজো বন্ধের? বয়কটের? কী স্বার্থ তাদের? কোন গিমিকে গা ভাসিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের পেটে লাথি মারতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা? বড় জানতে ইচ্ছে করে।
আসলে বিমল বাদ্যধর বা নিতাইদের অ্যাকাউন্টে মাসের ১ তারিখ বেতন ঢুকে পড়ে না। তারা বিদেশে শ্যুটিং সেরে ফিরে মহামিছিলে পা মেলায় না। আবার বাবার হোটেলে খেয়ে আইফোন হাতে প্রতিবাদী সেলফি তুলে ফুটানিও মারে না। অথচ তারা আছে এই সমাজেই। এরাই দিনের শেষে সমাজ-গাড়ির চাকা। নিঃশব্দ চালিকাশক্তি। একটা সমাজের ঢুকে থাকা অন্য এই সমাজটাকে আমরা দেখেও দেখি না। এটা আমাদের ব্যর্থতা? নাকি নির্বুদ্ধিতা? উত্তর অবস্থা বিশেষে বদলে যায়। বদলায় না এদের জীবনযাত্রা। এরা জানে, আট কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতে মেয়েটার কী কষ্ট হয়। এরা জানে, মাসে হাজার টাকা জোগাড় করতে রক্ত জল হয়ে যায়। তবু মেলে না। আর ‘ভিক্ষার দানে’ যদি কেউ এমনিই অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পৌঁছে দেয়? ওটাই তাদের কাছে আশীর্বাদ। শহর, শহরতলি বা সিস্টেমকে অচল করে দেওয়ার মধ্যে কোনও বাহাদুরি নেই। সত্যিই যদি সমাজের জন্য কিছু করতে হয়, এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। হঠাৎ একটা হুজুগ তুলে এদের পেটে লাথি মারার মধ্যে দিয়ে জাস্টিস আসে না। আসবে না। মোদ্দা কথাটা হল, প্রতিবাদের মূল মঞ্চ এখন দখল করে নিয়েছে রাজনীতি। এখানে সমাজ, মানুষ গুরুত্ব পায় না। প্রথম এবং একমাত্র শর্ত হয়ে দাঁড়ায় রাজনীতির বাঁশে ক্ষমতার পতাকা ওড়ানো। অভয়া, ডাক্তারি, খেটে খাওয়া মানুষ, পুজো... এই সবই রাজনীতির দাবাখেলায় ঘুঁটির ভূমিকায়। এক পক্ষ লাগাতার চাল দিয়ে চলেছে। অন্য পক্ষ ধৈর্য ধরছে। অপেক্ষায় আছে পাল্টা চালের। সবটাই ক্ষমতার লড়াই। আর ঘুঁটিরা ভাবছে, আমরাই তো সব করছি। রাজনীতি এবং বাংলাকে পঙ্গু করে দেওয়ার উদভ্রান্ত দৌড়ে আমরা মাথা তুলে একবারও তাকাচ্ছি না বারাণসীর দিকে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র। আইআইটি-বিএইচইউয়ের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার বিজেপির আইটি সেলের কর্মী সাত মাসেই জামিন পেয়ে গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তাদের রীতিমতো ফুল-মালা দিয়ে সংবর্ধনা হয়েছে। আপ্যায়ন করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই মেয়েটির জন্য একটি মোমবাতিও কি আমরা কেউ কিনেছি? স্লোগানে বা প্ল্যাকার্ডে কি লেখা হয়েছে ‘দফা এক, দাবি এক, মোদির পদত্যাগ’? সেখানকার পুলিস কাকে আড়াল করেছে? সেই তদন্ত হচ্ছে না কেন? সিবিআই কেনই বা সেখানে কোনও সঞ্জয় বা সন্দীপ ঘোষকে খুঁজে বের করার দাবিতে আদালতের কাছে আর্জি জানাচ্ছে না? উত্তর আছে—ওখানে যে রাজনীতি করার কেউ নেই। মোদি হটাও বা যোগী হটাও স্লোগান বারাণসীতে পড়ে না। কেউ প্ল্যাকার্ড হাতে তাই বিচারও চায় না। ধরে নেওয়া গেল, উত্তরপ্রদেশে প্রতিবাদ গড়ে তোলার মতো কোনও জেনারেশন নেই। সমাজ নেই। বাংলায় তো আছে! তাহলে সিস্টেমের এই দৈন্য কেন অভয়ার প্রতিবাদ মঞ্চে উঠে আসছে না? কেন একটা প্ল্যাকার্ডেও ভেসে উঠছে না বারাণসী ওয়ান্টস জাস্টিস?
বাজারে একটা ভিডিও ক্লিপ চলছে। একটি অনুষ্ঠানে শ্রুতি হাসান পারফর্ম করছেন। আর দর্শকাসনের সামনের সারিতে বসে কুৎসিক অঙ্গভঙ্গি করছেন দক্ষিণের নামজাদা অভিনেতা মোহনলাল। পাশে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন মামুট্টির মতো বর্ষীয়ান অভিনেতাও। শ্রুতি তো মোহনলালের মেয়ের বয়সি। অনুষ্ঠানে তাঁকে যে ক্যামেরা ফলো করবে, সেটাও তিনি খুব ভালো করে জানেন। তারপরও এমন আচরণে তাঁর বাধল না? আসলে সিস্টেমটাই এমন। অশিক্ষিত। প্রবৃত্তিনির্ভর। গোটা দেশ তোলপাড় পড়ে গিয়েছে মালায়লম ফিল্ম ইন্ডাস্টির যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে। সৌজন্যে, হেমা কমিটির রিপোর্ট। বহু প্রথম সারির অভিনেতা ও পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছে এই কমিটি। কারা তারা? সেই নাম প্রকাশ্যে খুব একটা আসেনি। সবটাই ভাসা ভাসা। কেরল সরকার ইতিমধ্যে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছে। সামান্থা রুথ প্রভু একইভাবে তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির রোশনাইয়ের নীচে জমাট বেঁধে থাকা অন্ধকার প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছেন। অর্থাৎ, প্রতিবাদ হচ্ছে। সঙ্গে তদন্তও। ইন্ডাস্ট্রির ভিতর এবং বাইরে... প্রত্যেক সাধারণ মানুষ বিশ্বাস রাখছেন, বিচার পাওয়া যাবে। তার জন্য রাজনীতি না করলেও চলবে। কেরলে দুনিয়ার সামনে হেনস্তা করে ক্রেডিট নিতে হবে না। বাংলায় অবশ্য যার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, তিনিই মিছিলে হেঁটে জাস্টিস চাইছেন। টিভি চ্যানেলের বুমের মুখে দাঁড়িয়ে সিস্টেমের বাপান্ত করছেন। কে তৈরি করেছে এই সিস্টেম? আপনি নিজেও কি তার কারিগর নন? পুলিসকে ঘুষখোর বলে বিষ উগরানোর আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন তো, ঘুষটা তাকে কে দেয়? কারা তৈরি করেছে এই ঘুষের সিস্টেম? এটাও কি রাজনীতি নয়? শুধু পার্টি করলেই রাজনীতি হয় না। প্রতিদিন ঘটে যাওয়া হাজার হাজার অপরাধ থেকে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাওয়াটাও রাজনীতি? সুনাগরিক হিসেবে সঠিক কথাটা সর্বত্র বলতে হয়। শুধু মিছিল বা অবরোধে নয়। আমরা প্রত্যেকে জানা-অজানায় এই রাজনীতিরই শিকার? প্রতিবাদ রাজনীতি। সম্প্রতি এই বাংলার একটি গ্রামেই আদিবাসী এক যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁর জন্য মিছিলে কিন্তু একটাও মোমবাতি দেওয়া হয়নি? একবারও তাঁর জন্য ওঠেনি স্লোগান? কেন, তাতে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ হবে না? নাকি স্টেটাস আসবে না?
আর জি কর হাসপাতালের দেওয়ালে বেশ কিছু গ্রাফিত্তি ছিল। সচেতনতা প্রচার। কোথাও হাত ধোওয়ার পরামর্শ, কোথাও ভিড়ে মাস্ক পরার, আবার কোথাও হেঁচে-কেশে জীবাণু না ছড়ানোর। সেই সব লেখা বদলে গিয়েছে। আসল লেখার উপর রঙের পোঁচ পড়ে ফুটে উঠেছে নতুন লেখা। ওয়াশ ইওর হ্যান্ড হয়ে গিয়েছে ওয়াশ ইওর মাইন্ড। মন পরিষ্কার করার ডাক। কে করবে মন পরিষ্কার? উত্তরপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্র, বাংলা... প্রবৃত্তি এবং তারপর বৈষম্য—এই চেইনটাই আজ সব রাজ্যের, সব সমাজের আইডেন্টিটি কার্ড। দগদগে এই ঘা সর্বত্র। ডাক্তার, আদিবাসী বা কাগজকুড়ানি, প্রত্যেককে আমরা আজও এক আসনে বসাতে পারিনি। আর এই সুযোগই নিয়ে চলেছে রাজনীতির কারবারিরা। সমস্যাটা সমাজে, মানসিকতায়। সেটাই জন্ম দিচ্ছে নোংরা রাজনীতির। আমাদের প্রত্যেকের মনেই যে স্বার্থান্বেষী চিন্তাভাবনা আর বৈষম্যের ঘুণপোকা বাসা বেঁধেছে। খেয়ে ফেলছে তারা সাধারণ ভাবনাচিন্তাকেও। ভুলে যাচ্ছে তারা, যে থালায় খাই, সেই থালাতেই মলত্যাগ করা যায় না। যে রাজ্য আমার জন্মভূমি, তাকে বদনামের এভারেস্টে বসালে আমারই শিক্ষা-সংস্কৃতির অপমান। ফুটবল খেলায় সবচেয়ে থ্যাঙ্কলেস জব গোলকিপারের। চারটে ভালো সেভ করার পর একটা মিস করলেই সব দায় তার কাঁধের উপর চেপে বসে। বাছাই করা শব্দে এবং বিশেষণে ভরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। আমরা ভুলে যাই, এই গোলকিপারই ৮৮ মিনিট আমাদের রক্ষা করেছে। আর এখানে ‘আমরা’ কারা? যারা প্রচার চাই... রাস্তায়, সোশ্যাল মিডিয়ায়, গাড়ির জানালার কাচের ওপারে। সবার আগে চাই রাজনীতি। অচল সমাজে দুর্বৃত্তায়ন সহজতর হয়। সেই চেষ্টাই চলে নিরন্তর। কেউ ফাঁদে পা দেয়, কেউ দেয় না। আজ আমরা সেই ফাঁদেই পা আটকে বসে আছি। কিন্তু জালে জড়িয়ে যাওয়া এমন মানুষের সংখ্যা কত? মেরেকেটে ৫ শতাংশের বেশি নয়। বাকিরা? পেটের জ্বালায় দিনরাত ছুটে যাওয়া গরিব প্রান্তিক মানুষ। ফোন কেনার জন্য তারা রোজগার করে না। দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়াটাই তাদের স্বস্তি। পুজো তাদের কাছে বিলাসিতা নয়। কয়েকটা টাকা রোজগারের জন্য বছরের একমাত্র উৎসব। রাজনীতির অলিন্দে কে বিচরণ করবে, সেটাও কিন্তু এরা ঠিক করে। নিঃশব্দে। আঁতলামোয় তাদের পেট যেমন ভরে না, প্রভাবিতও করা যায় না। 
03rd  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
একনজরে
আবার হিট অ্যান্ড রানের ঘটনা বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে। দ্রুতগতির গাড়ি পিষে দিল দুই বাইকযাত্রীকে। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন বছর সতেরোর এক কিশোর। গুরুতর জখম তাঁর ...

টানা বৃষ্টির জেরে আসানসোল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত। পুজোর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। রবিবারও ছুটির দিনে বৃষ্টিতে পুজোর বাজার দফারফা করে দিয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া এদিন মানুষজন বাড়ি থেকে বের হননি। ঝড়-বৃষ্টির জেরে জিটি রোডের উপর একের পর এক গাছ ...

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারস্থলের কাছেই চলল গুলি। রবিবার ফ্লোরিডা গল্ফ ক্লাবের বাইরে দুই ব্যক্তির মধ্যে গুলির লড়াই বাধে। জানা যাচ্ছে, ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ট্রাম্প ক্লাব ...

আরজি কর কাণ্ডে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে বাম, অতিবাম, কংগ্রেস, বিজেপি সহ তামাম বিরোধী দল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ওজোন স্তর রক্ষা দিবস
১৭৩৬ - পোলিশ ডাচ পদার্থবিদ তথা প্রকৌশলী ও থার্মোমিটার উদ্ভাবক ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইটের মৃত্যু
১৮১২ - মস্কো শহরে এক অগ্নিকাণ্ডে এক দিনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহর পুড়ে গিয়েছিল
১৯০৮- জেনারেল মোটরস কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা
১৯১৬- ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর জন্ম
১৯৩১- হিজলি ক্যাম্পে বন্দিদের উপর গুলিতে হত দুই বিপ্লবী সন্তোষকুমার মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত
১৯৩২- নোবেলজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রসের মৃত্যু
১৯৪৫- রাজনীতিবিদ পি চিদাম্বরমের জন্ম
১৯৫৩- যুক্তরাষ্ট্রের রক্সি থিয়েটারে বিশ্বের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘দ্য রোব’ প্রদর্শিত
১৯৫৫- আন্তর্জাতিক কপিরাইট কনভেনশন চালু
১৯৮৭- বিশ্বের ২৭টি দেশ ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু মন্ডলকে রক্ষা করার জন্য ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস ব্যবহারে বিধিনিষেধ প্রয়োগে চুক্তিবদ্ধ হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৪ টাকা ১১২.১৯ টাকা
ইউরো ৯১.৫৩ টাকা ৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী ২৪/২০ দিবা ৩/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৭/৪৫ দিবা ৪/৩৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
৩০ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩৫ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মহারাষ্ট্রের পালঘরে মহিলাকে গণধর্ষণ, অভিযোগ দায়ের
মহারাষ্ট্রের পালঘরের নালাসোপারা এলাকায় এক মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ। নির্যাতিতা ...বিশদ

15-09-2024 - 10:30:00 PM

আর জি কর কাণ্ড: রবিবার রাতে বৃষ্টিতে ভিজেই মহিষাদলে মহিলাদের মশাল মিছিল ও নাচের মুদ্রায় প্রতিবাদ

15-09-2024 - 10:13:17 PM

আইএসএল: কেরল ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারাল পাঞ্জাব এফসি

15-09-2024 - 09:51:35 PM

গঙ্গা, যমুনায় হু হু করে বাড়ছে জলস্তর, ভাসছে উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকা, উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ

15-09-2024 - 09:09:00 PM

দু’দিনের সফরে দিল্লি থেকে গুজরাতে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

15-09-2024 - 08:45:00 PM

উত্তরপ্রদেশের লখনউতে পুলিসের ফ্ল্যাগ মার্চ

15-09-2024 - 08:44:00 PM