সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
স্থানীয় মড়ার গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান মোক্তার খান বলেন, ১নম্বর ক্যাম্পে নয়ানজুলি ভরাট করা হয়েছে। আমরা পঞ্চায়েত থেকে নালা কাটার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তাতে আপত্তি তোলায় তা করা সম্ভব হয়নি। প্রশাসনের তরফে এদিন জেসিবি দিয়ে নালা কেটে জল বের করার চেষ্টা করা হয়। দুর্গত পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি।
আজমীরা মণ্ডল বলেন, আমার স্বামী ১৪ বছর আগে মারা গিয়েছেন। চার মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দুই মেয়ে ও আমি বাড়িতে থাকি। পাঁচদিন আগে প্রথম জল চুঁইয়ে মেঝেতে ঢুকতে শুরু করে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি যত বেড়েছে। ততই মেঝেতে জলের উচ্চতা বেড়েছে। বাড়ির প্রতিটি ঘরে হাঁটু সমান জল। দুর্ঘটনার ভয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রান্না করা, ঘুমোনো, খাওয়া সবেতেই কষ্ট পাচ্ছি।
কলেজ পড়ুয়া আরিফা মণ্ডল বলেন, গত চার বছর ধরে প্রতিবার বর্ষার সময় ঘরের ভিতরে জল জমে যায়। তাই এবার পাঁচদিন আগে যখন জল চুঁইয়ে ঘরে ঢুকতে শুরু করে তখনই বুঝে গিয়েছিলাম, এঘরে আর থাকা সম্ভব হবে না। তাই মা ও বোনকে নিয়ে আত্মীয় বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আত্মীয় বাড়িতে কদিন আর থাকবে! তাছাড়া সেখান থেকে কলেজে যেতেও সমস্যা হচ্ছিল। তাই ফিরে এসেছি। বইপত্র ভিজে যাচ্ছে। খাটের উপর ঘুমালেও আতঙ্কে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। খাটের উপরেই রান্না খাওয়া সবই করতে হচ্ছে। এদিন প্রশাসনের লোকজন এসেছিলেন। তাঁরা নালা কেটে জল বের করার চেষ্টা করছেন।
এদিন ১ নম্বর ক্যাম্পে গিয়ে দেখা গেল, ৬০নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই আজমীরা মণ্ডলের এক তলা পাকা বাড়ি। রাস্তার ধার থেকে ২০ফুট দূরেই বাড়ির উঠান। সেখান থেকেই জল জমে রয়েছে। বারান্দা সহ তিনটি ঘরের মেঝেতে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাড়ির শেষ প্রান্তে রয়েছে একটি পুকুর। পুকুরের জল আর বারান্দা প্রায় একাকার হয়ে গিয়েছে। বাড়ির পিছনের দিকে তাকাতেই দেখা যায় জানালার ঠিক নীচেই জল। জলেরস্তর আর সামান্য বাড়লেই জানালা দিয়েও জল ঘরে ঢুকবে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রশাসনের তরফে তড়িঘড়ি নালা কেটে জল বের করার চেষ্টা হয়। আজমীরা বলেন, আমাদের বাড়িটা প্রায় ৪০বছর আগে তৈরি। আগে জল জমার সমস্যা ছিল না। পরে জল বেরনোর পথ সংকীর্ণ হওয়াতেই আমরা প্রতিবছর ডুবে যাচ্ছি। -নিজস্ব চিত্র