সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
প্রায় সত্তর ছুঁইছুঁই বয়স হারু ঘোষের। তিনিই জলপাইগুড়িবাসীর মন ভুলিয়েছেন মিনি শিঙাড়ায়। বললেন, ২৬ বছর আগে প্রথম যখন দোকান শুরু করি, তখন শিঙাড়ার দাম ছিল ৫০ পয়সা। ২০০০ সাল থেকে ১ টাকা দাম করি। এখনও সেই দামেই চলছে।
ফি সন্ধ্যার ছবিটা একই। দম ফেলার ফুরসত থাকে না হারু ঘোষের। বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে আছেন। কিন্তু নিজের হাতেই সবটা করেন। বললেন, রেসিপিটা আমার নিজস্ব। আসল হল, শিঙাড়ার ভিতরের পুর। ওটা ঠিকঠাক না হলে জমবে না। তাই ওটা আমি কারও হাতে ছাড়তে চাই না।
মিনি শিঙাড়ার অর্ডার দিয়ে দোকানের পাশে অপেক্ষা করছিলেন পৌলমী কর্মকার, রাজশ্রী বসু। বললেন, হারু জেঠুর দোকানের মিনি শিঙাড়ার কাছে অনেক বড় দোকান জাস্ট ফেল। আমরা তো প্রায়ই খাই। বাড়িতে কেউ এলেও চায়ের সঙ্গে থাকে এই স্পেশাল শিঙাড়া।
গরম গরম শিঙাড়ার উপর হালকা নুন ছড়িয়ে দিতে দিতে হারু ঘোষ বললেন, ‘হাজার পিস তো তিন ঘণ্টাতেই উঠে যায়। আরও বানাতে পারলে বিক্রি হয়ে যাবে। কিন্তু একা হাতে এর চেয়ে বেশি আর বানানোর সময় হয়ে ওঠে না।
নিজের দোকানের এক টাকার শিঙাড়া নিয়ে নিজে বেশ গর্বিত হারু ঘোষ। বলেন, আমার দেখাদেখি পাশেই একজন মিনি শিঙাড়া বানাতে শুরু করেছেন। দোমোহনি বাজারেও একজন ভাজছেন। জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিসের পাশে একজন মিনি শিঙাড়া বানাচ্ছেন এখন। কিন্তু আমার দোকানেই সবচেয়ে ভিড় বেশি। ক্রেতারা চেখে দেখেছেন, কোন দোকানের শিঙাড়া কেমন?
তিস্তার পাড়ে দোমোহনি বাজারে এক টাকার মিনি শিঙাড়া দিয়ে দোকান শুরু করেছিলেন সনাতন পাল। তবে এখন দাম বাড়িয়ে দু’টাকা করেছেন।কিন্তু হারু ঘোষ এখনই দাম বাড়াতে চান না। বললেন, আমার এক টাকার শিঙাড়াই হিট। (শিঙারা ভাজছেন হারু ঘোষ। - নিজস্ব চিত্র।)