সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
এবছরও দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিতে চাইছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে তাদের থিম নারায়ণের ‘জ্ঞান চক্র’। এই থিমের মাধ্যমে মানুষের কাছে সমাজ সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন ক্লাব সদস্যরা। বাঁশ, বাটাম, কাপড়, প্লাইউড দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রায় ৫৯ ফুট দীর্ঘ এবং ৩২ ফুট উচ্চতার পুজো মণ্ডপ। ফাইবারের কাস্টিং আর ফোমের ডিজাইনের মাধ্যমে নারায়ণের জ্ঞান চক্রের যে সাতটি উপদেশ আছে, সেগুলি থিমের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে ১৪ ফুট উচ্চতার সাবেকি প্রতিমা। প্রতিমার সমস্ত সাজ থাকবে মাটির। রংবেরঙের আলোক সজ্জায় আলোকিত করে তোলা হবে পুজো মণ্ডপ। শক্তি সমিতি ক্লাবের সংস্কৃতি সম্পাদক শঙ্কর দেবনাথ বলেন, পুজোর দিনগুলিতে এলাকার কচিকাঁচারা মণ্ডপের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কেউ আবৃত্তি, কেউ গান, কেউবা নাচ পরিবেশন করে। এছাড়া পুজো যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ হয় সেজন্য ক্লাব সদস্য রাজু দেবনাথ, ঈশ্বদ্যান দেবনাথ, সুরেশ দেবনাথরা অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে সব সময় নিজেদের পুজোর মধ্যে নিয়োজিত রাখে। প্রতিমা আনা থেকে শুরু করে বাজার হাট সব কিছুই দায়িত্ব নিয়ে করে থাকে। পুজোর দিনগুলিতে মণ্ডপ থেকে দর্শনার্থী বা স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রসাদ বিলির ব্যবস্থা করা হয়।
ক্লাব তথা পুজো কমিটির সম্পাদক মিঠুন দেবনাথ বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে এই এলাকার অধিকাংশ পুজো কমিটিকে একটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় মণ্ডপ শিল্পীরা বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য বাইরে কাজে চলে যাচ্ছেন। এর ফলে স্থানীয় পুজো কমিটিগুলিকে বাইরের শিল্পীদের দিয়ে প্যান্ডেল করাতে হচ্ছে। তাতে প্যান্ডেল খরচ অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে। আমাদের অনুরোধ স্থানীয় প্যান্ডেল শিল্পীরা যাতে স্থানীয়স্তরে প্যান্ডেলের কাজ করেন। পুজো কমিটির সভাপতি সাধন দেবনাথ বলেন, পুজোর দিনগুলিতে এলাকার মহিলারা সকাল থেকে উপবাস থেকে সমস্ত আয়োজন করে থাকেন। খুব ধুমধাম করে পুজোর কয়েকটা দিন কাটে। সকলকে পুজো দেখতে আসার অনুরোধ করছি।