Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জাস্টিস ফর আর জি কর
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জাস্টিস ফর অভয়া।
আপনি কি অভয়ার আসল নাম জানেন? তার হাতের লেখা কেমন ছিল? কিংবা তার ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর? মৃত্যুর পর কেমন দেখতে হয়েছিল তাকে? হয়তো জানেন। সৌজন্যে? সোশ্যাল মিডিয়া। অথচ, এমন কোনওটাই আপনার-আমার জানার কথা ছিল না। দেশের আইন অন্তত তাই বলে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, নির্যাতিতার নাম, ছবি, ঠিকানা এবং এমন কোনও কিছু আমরা প্রকাশ করতে পারি না... যাতে সে চিহ্নিত হয়ে যায়। দিল্লিতে নির্ভয়াকে নারকীয় অত্যাচারের প্রতিবাদেও কিন্তু গোটা দেশ পথে নেমেছিল। কিন্তু আপনি কি জানেন, নির্ভয়ার আসল নাম কী? কবে জানতে পেরেছিলেন? দেখেছিলেন কি তাঁর ক্ষতবিক্ষত ছবি? কেন জানতে পারেননি জানেন? কারণ, তখন আমরা সত্যিই সুনাগরিকের ভূমিকা নিয়েছিলাম। আর সবচেয়ে বড় কথা, মোবাইল ফোন তখন ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার ছিল না। ফরওয়ার্ড, শেয়ার করে আমরা তখন নির্ভয়াকে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে আরও বেশি লাঞ্ছিত করিনি। তাঁকে রাস্তায় টেনে নামাইনি। কিন্তু আজ? কী করছি আমরা? আর জি করের সেই চিকিৎসকের ছবি আজ মোবাইলে-মোবাইলে। সোশ্যাল মিডিয়াওয়ালারা অনেকেই তাঁকে চেনেন, জানেন। পুলিস সেই সব বিশেষজ্ঞ এবং ‘তদন্তকারীদের’ নোটিস পাঠাচ্ছে। এফআইআর করছে। তারপরও আমাদের হেলদোল নেই। ষড়যন্ত্র চলছে। ওই মুঠোফোনে। আমাদের অনেকের মধ্যে এখন বিপ্লবের ভূত ভর করেছে। বিদ্রোহী আমরা। সরকারের বিরোধিতায় সরব। পক্ষে বলা চলবে না। বলতে হবে বিপক্ষে। তাহলেই তুমি আমাদের দলের লোক। বাস্তবসম্মত চিন্তা-ভাবনা করলে, কিংবা বিজ্ঞানভিত্তিক কথাবার্তা বললে তুমি অন্য দলে। যদি বলো রাজ্যটাকে বাংলাদেশ করে দেওয়া যাবে না... তাহলে তুমি চটিচাটা। কারণ, এটাই এখন নতুন ইস্যু। বিরোধিতা। তাই বদলাচ্ছে আবহ... প্রতিবাদের।
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যু আজ পিছনের সারিতে। চুপিসারে। সেটা আমরা বুঝেও বুঝছি না। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রশ্ন তুলছি না যে, কতটা এগল তারা। চার্জশিট কবে হবে? এই নৃশংস, নারকীয় কাণ্ডের কুশলীর ফাঁসি কবে হবে? আর কেউ কি ছিল তার সঙ্গে? কোনও ঘটনা বা ব্যক্তিকে কি সত্যিই আড়াল করা হচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো এখন আর শোনা যাচ্ছে না। প্রশ্নবাণে বিঁধে দেওয়া হচ্ছে না সিবিআইকে। উঠছে শুধু আওয়াজ—উই ওয়ান্ট জাস্টিস। কেমন সেই জাস্টিস? কীভাবে মিলবে? তদন্তে? নাকি বাংলাকে অচল করে দিয়ে?
আম আদমি হিসেবে দাবি করছি, ন্যায়বিচার চাই। আলবাৎ চাই। ওই মেয়েটির জন্য শুধু নয়, আগামী প্রজন্মের জন্য। আপনার-আমার ঘরের ওই কন্যাসন্তানের জন্য। তার স্বাধীনতার জন্য। নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু আন্দোলনকারীদের মাঝে যে রাজনীতির শুঁয়োপোকা নিঃশব্দে জায়গা করে নিয়েছে! তার প্রতিবাদ হবে না কেন? ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল, তা এখন রাজনীতির কানাগলিতে লাট খাচ্ছে। পিতা, স্বামী কিংবা দাদা হিসেবে স্বতঃস্ফূর্ত যে পা-গুলো ‘রাতের দখল’ নিতে পথে নেমেছিল, তাদের ঘিরে ফেলেছে লাল-নীল-গেরুয়ার মেলা। একটি মোমবাতি নিয়ে মিছিলে আসা কিশোরী হঠাৎ দেখতে পাচ্ছে, তার হাতে তেল চকচকে বিরাট একটি ফ্লেক্স। অজানা-অচেনা কেউ ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছে। হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ন্যায়বিচারের আশায় বুক বেঁধে হাজির হওয়া যুবক পিছিয়ে গিয়েছে ‘প্রফেশনাল’দের সৃষ্টিতে। মাস তিনেক আগে হয়তো তাঁরা ভেবেছিলেন, আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর জন্য। কিন্তু না, এসে গিয়েছে সুযোগ। আবার। তাই আমরা... এই আম জনতা একবারও ভাবিনি, ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় সোদপুরে হঠাৎ কেন ভেঙে দেওয়া হল পুলিসের গাড়ি? কে ভাঙল? শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে কারা ইট ছুড়ে রক্তাক্ত করল বিধাননগর পুলিসের কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিককে? মাথা থেকে, চোখের কোণ ফেটে রক্ত বেরচ্ছিল তাঁর...। কী ছিল অপরাধ? তিনি তো ডিউটি করতেই এসেছিলেন। আপনি যাতে কোনওরকম অশান্তির মধ্যে পড়ে না যান, তাই পাহারায় ছিলেন তিনি। তাহলে কেন এই আক্রোশ? পুলিস বলে? ‘দলদাস’ বলে? যুগে যুগে পুলিস তো দলদাসই। রাজ্য হোক বা কেন্দ্র। এটা সিস্টেমের দোষ। মানুষের নয়। আপনার নয়। কিন্তু হ্যাঁ, শম্পারও নয়। পুলিসেরও আগে তিনি একজন মহিলা। ওই রাতটা তাই ছিল শম্পারও। তারপরও কোনও একটা শ্রেণি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ-আন্দোলনের সুযোগে রক্তাক্ত করেছে তাঁকে। হামলা চালিয়েছে আর জি কর হাসপাতালে। একইসঙ্গে দাগ লাগিয়েছে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে। আর দায় চেপেছে? প্রশাসনের ঘাড়ে। পুলিসি ব্যর্থতা এগিয়ে এসেছে সামনের সারিতে। আর সিবিআইয়ের তদন্ত? আবডালে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়ে পোস্ট পড়ছে। রাস্তায় নেমে পড়েছে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বিচার চাইছেন। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পথে নামছেন। তা সত্ত্বেও উঠছে স্লোগান। কিন্তু ঘোলা জলে রাজনীতির মেছুরেরা একবারও বলছে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেই অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে না। তাহলে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রতিদিন একবার করে পদত্যাগ করতে হতো। রাজনীতির কারবারিরা একবারও বলছেন না, এই বিপ্লবের শেষে বাংলার ভবিষ্যৎ কী? এজেন্ডা কী এই রাজনীতির? বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন? উত্তর নেই। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকেও এই ভাবনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য সবকিছু করছে তারা। আর আমরাও ভেসে চলেছি স্রোতে। ভুলে যাচ্ছি, এরপরও তো নির্বাচন হবে রাজ্যে। তখন সবচেয়ে বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসবে কারা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নিশ্চয়ই ওই স্রোতমুখী মানুষ ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু যদি তা না হয়? রাজনীতির তল্পিবাহকরা রাজ্যে এবং সমাজে নৈরাজ্য চাইবেই। মানুষকে বুঝে নিতে হবে তার সন্তানের ভবিষ্যৎটা। ন্যায়বিচার যেমন তাঁদের সন্তানের জন্য, একইভাবে প্রযোজ্য তাঁদের রাজ্য-জন্মভূমির জন্যও। ২০১১ সালের পর ঘেরাও-ধর্মঘটের যে রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় নিয়েছিল, সেই রাজ্যই এখন অচলাবস্থার প্রাণকেন্দ্র। দেশের আনাচে-কানাচে তো বটেই, ইউরোপ আমেরিকার শহরেও মানুষ বাংলা নিয়ে ছিছিক্কার করছে। এতে কি আমাদের মাথা নিচু হয়ে যায় না? 
জাপানে শ্রমিকরা প্রতিবাদে নামলে বাড়তি কাজ করেন। কারণ, তাতে বেড়ে যাবে কোম্পানির উৎপাদন। বাজারের চাহিদার থেকে বেড়ে যাবে সরবরাহ। কোম্পানিকে হয় মাল ফিরিয়ে নিতে হবে। না হলে দাম কমাতে হবে। তাতেও সুরাহা হবে না। ফল? ব্যাপক লোকসান। মালিক বাধ্য হয় শ্রমিকদের দাবি শুনতে। আর জাপান শেখায়, আন্দোলন মানেই অচলাবস্থা নয়। আন্দোলন মানেই অবরোধ, ভাঙচুর, ঘেরাও নয়। আন্দোলন মানে কর্মবিরতি নয়। বুকে কালো ব্যাজ, কিংবা মুখে কালো কাপড় বেঁধেও আন্দোলনের অংশীদার হওয়া যায়। মুমূর্ষু রোগীদের না ফিরিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েও হয় আন্দোলন। নিজের মাটিকে, রাজ্যকে, দেশকে দুনিয়াদারির সামনে হেনস্তা না করেও আন্দোলন সম্ভব। আর যদি রুখে দাঁড়াতেই হয়, তাহলে কেন এই আন্দোলন, বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ভিনেশ ফোগাট বা সাক্ষী মালিকের জন্য হয় না? বিশ্বের দরবারে ভারতের মাথা গর্বে উঁচু করে ফেরার পরও রাজধানীর রাজপথে তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কেন? যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে তাঁরাও তো নালিশ করেছিলেন! জাস্টিস ফর ভিনেশ বা সাক্ষী কি এতটাই দূরের গ্রহের? মণিপুরের সেই তরুণীকে যখন গণধর্ষণ করে নগ্ন দেহে প্যারেড করানো হয়, তখন পথে ফ্লেক্স দেখা যায় না। উন্নাও বা হাতরাসের প্রতিবাদে যখন কোনও সাংবাদিককে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে জেলবন্দি করে রাখা হয়, তখনও বাড়ে না মোমবাতির বিক্রি। নির্ভয়া, অভয়ার জন্য যদি প্রতিবাদ হয়, তাহলে আন্দোলন তো ওঁদের সম্মানের জন্যও হওয়া উচিত। এই দেশ তো ওঁদেরও। এই রাত তো ওঁদেরও। ন্যায়বিচার প্রাপ্য ওঁদেরও। এরপর কি তাহলে আশা করব আর জি কর সেই পথ দেখাবে? ভিনেশ, সাক্ষী, মণিপুর বা হাতরাসের ‘জাস্টিসে’র জন্যও নামবে দেশ? গর্জে উঠবে?
সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন তিনি। ঘুরতেন একের পর এক বাড়িতে। সবাই গরিব। ওষুধ কেনা বা ফি দেওয়া তো দূরঅস্ত, পথ্যের টাকাও থাকত না অনেকের কাছে। নিজের পকেট থেকেই টাকা গুঁজে দিয়ে আসতেন হাতে। প্লেগের মড়কেও দমদম থেকে বেলগাছিয়া ছুটত তাঁর সাইকেল। চেনাজানা লোকজন বলত, সময় নষ্ট কোরো না। শুনতেন না তিনি। বন্ধুরা অবাক হতো, বিলেতফেরত ডাক্তার হয়ে কি না এই দশা! পসার হবে কীভাবে? কান দিতেন না তিনি। বুঝেছিলেন, এভাবে হবে না। গরিব মানুষের জন্য হাসপাতাল চাই। যেখানে বিনা পয়সায়, আর বিনা দ্বিধায় সমাজের এক কোণে পড়ে থাকা মানুষগুলো চিকিৎসা করতে আসতে পারবে। কিন্তু হাসপাতাল তৈরির জন্য অত টাকা ছিল না তাঁর কাছে। হাত পাতলেন তিনি। ভিক্ষা করলেন। দাঁড়িয়ে থাকলেন বড়লোকের অনুষ্ঠানবাড়ির বাইরে। তাতেও হল না। নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে তিলে তিলে টাকা জমিয়ে কিনে ফেললেন জমি। তাতে তৈরি হল ৩০ বেডের হাসপাতাল। ঠিকানা, ১ নম্বর বেলগাছিয়া রোড। সেই ডাক্তারের নাম, রাধাগোবিন্দ কর। আর সেই হাসপাতাল? আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ। রাধাগোবিন্দ করের নামেই। একজন রোগীও যেন ফিরে না যায়... এই ছিল তাঁর শপথ। আজকের আন্দোলন কি তাই কর্মবিরতির হতে পারে? নাকি তার উদ্দেশ্য হতে পারে বাংলার সম্মান ভূলুণ্ঠিত করার? ছায়ার মতো আর একটা নিঃশব্দ লড়াই যে তাই সমান্তরালে চলছে। স্লোগান আছে তারও।
জাস্টিস ফর বেঙ্গল। জাস্টিস ফর আর জি কর। 
20th  August, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...

শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

লজ্জা। বিশ্বাস করুন, আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের রায় শোনার পর প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলারের স্বার্থ দেখা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তব্য। অথচ তার উল্টো পথেই হাঁটছে তারা। ফুটবল হাউস রাজনীতির আখড়া। জাতীয় দল নিয়ে ন্যূনতম পরিকল্পনাও নেই। ...

এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে ‘ফাঁকিবাজ’ চিকিৎসকদের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রীতিমতো বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স ঘেটে গত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হবে বলেই আমরা আশাবাদী: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:55:00 PM

আজ আলোচনা হওয়া দরকার ছিল: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

আমরা চেয়ারের জন্য আলোচনা করতে আসিনি: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই হতাশ: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি কেন তা জানায়নি প্রশাসন: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:53:00 PM

আমরা খোলা মনে আলোচনার জন্যই এসেছিলাম: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:52:00 PM