Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতি থামিয়ে দ্রুত বিচার চাই
হিমাংশু সিংহ

আর জি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে তা বাঙালির কাছে লজ্জার। মানবতার এমন পরাজয়ে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে আমাদের সবার। শিউরে উঠেছে বিবেক। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় মানুষ কি দিনদিন পশু হয়ে যাচ্ছে? অল্পবয়সি এক ডাক্তারের এমন মর্মান্তিক পরিণতি আমাদের যত্নে লালন করা বাঙালি অস্মিতাকেই সজোরে আঘাত করেছে, রক্তাক্ত হয়েছে যাবতীয় বোধ, বুদ্ধি, অনুভূতি। তার চেয়েও বড় ধাক্কা হাসপাতালজুড়ে ১৪ আগস্ট রাতের পৈশাচিক ভাঙচুর। এই জোড়া ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে ক্রমাগত গুজব ছড়ানোও কম বড় অপরাধ নয়। কিছু একটা ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারলেই যেন তৃপ্তি! সামাজিক ব্যাধি ও মানসিক বৈকল্যের বিরুদ্ধে শুরুতে যে আন্দোলন ছিল ষোলোআনা অরাজনৈতিক, তাতে আকস্মিক রাজনীতির রং লাগা মোটেই অভিপ্রেত ছিল না। একের পর এক লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে বিরোধীদের ঘোলা জলে মাছ ধরার প্রবণতা কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়। হরেক কিসিমের মিথ্যে ছড়িয়ে জনমানসে অবিশ্বাস তৈরি করাও শাস্তিযোগ্য। এই কানাগলিতে সাধারণ ঘরের এক মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের ইতিবৃত্ত পথ হারালে তার চেয়ে শোচনীয় পরিণতি আর কিছু হতে পারে না। তখন সুবিচার দেবে কে? দ্রুত বিচার করে ফাঁসি দিতে না পারলে নিষ্পাপ মেয়েটার আত্মা শান্তি পাবে তো! দোষীদেরই বা কী হবে? সিবিআই কিন্তু বোফর্স থেকে শুরু করে কবিগুরুর নোবেল পদক উদ্ধার, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। কে না জানে, তদন্ত চালিত হয়েছে দিল্লির শাসকের মর্জিতে।
কী অপরাধ ছিল মেয়েটার? সবে তিরিশের কোঠা পেরনো এক মেধাবী ছাত্রী। অনেক স্বপ্ন নিয়ে জেলা থেকে পা রেখেছিল কলকাতার নামী হাসপাতালে। একদিন চেস্টের বড় স্পেশালিস্ট হবে, দিনরাত এক করে রোগী দেখবে, সেই লক্ষ্যকে ছুঁয়ে দেখারই নিরন্তর লড়াই ছেয়েছিল তার নিষ্পাপ দু’চোখ ঘিরে। সোদপুরের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে এমবিবিএস শিক্ষা। এই উত্তরণের প্রতিটি সিঁড়িতেই ছিল অজানা বিপদ, অনিশ্চয়তা, পা পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা। সামান্য পরিবার। সেই কারণে শুরু থেকেই পথ মসৃণ ছিল না। বাবার সাইকেলের পিছনে বসে এ টিউশন থেকে অন্য টিউশনে। সঙ্গতি অল্প, স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার। সেই ‘ফোকাস’ টলে যায়নি শেষদিন পর্যন্ত। মূলধন মেধা, সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম এবং দায়বদ্ধতা। সেই সুবাদেই জয়েন্টে চান্স মিলেছিল ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, দুই বিভাগেই। যাঁরা হালের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফলাফলের খোঁজ রাখেন তাঁরা জানেন কাজটা মোটেই সহজ নয়। কিন্তু কলকব্জা, যন্ত্রের বাহাদুরিতে নয়, তাঁর মন আগে থেকেই তৈরি হয়ে ছিল ডাক্তার হওয়ার জন্য। ইমার্জেন্সি, আইসিইউয়ের চার দেয়ালের ঘেরাটোপে মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচানোর সেবায় নিজেকে উজাড় করার সঙ্কল্পে। কল্যাণী থেকে ভালো নম্বর পেয়ে সেই লক্ষ্যেই গোল্লাছুট কলকাতার কেতাদুরস্ত সরকারি হাসপাতালে স্নাতকোত্তর শিক্ষার জন্য। এমবিবিএস পাশ করার পর আর জি করের চেস্ট বিভাগ। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতার দরুন দ্রুত নজরে পড়ে গিয়েছিল সিনিয়রদের। তাই ডিউটির চাপও বাড়ছিল। শিক্ষক ও সহপাঠীদের বয়ান অনুযায়ী কারও সঙ্গে ঝগড়া কিংবা ঝামেলা দূরঅস্ত, জীবনে কোনওদিন একটা পিঁপড়ের ক্ষতি করতেও দেখা যায়নি তাকে। কারও লেজে পা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। একইসঙ্গে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করাও যে লেখা নেই রক্তে। স্বপ্নের কয়েকটা সিঁড়ি পার করার পর সঙ্কল্পও হয়ে গিয়েছিল অনেক পরিণত। তবে কি বেশি ভালো হওয়াটাই কাল হল তার। বাজারচলতি দেওয়া নেওয়ার লাভজনক সিস্টেমের অংশ হতে না পারার দরুনই কিংবা হয়তো কোনও ‘মৌচাক’ চিনে ফেলেছিল সে! জেনে ফেলেছিল, কোনও গোপন লেনদেনের অদৃশ্য ঠিকানাও। তাই এমন ভয়ানক পরিণতি তাড়া করল বড় ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নে মশগুল ৩১ বছরের তরুণীকে। সম্ভবত বহু পুরনো সেই আপ্তবাক্য তার মনে ছিল না, ‘ সামনে যা ঘটছে তুমি তার কিচ্ছুটি দেখনি। শোনোওনি।’
কিন্তু এর দায় কার? নিছকই একটা খুন ধর্ষণের ঘটনা নাকি শিকড় আরও গভীরে। হাসপাতালে ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও অঙ্গ কেনাবেচার ঘুঘুর বাসা তাকে খতম করল নাকি আরও বড় কোনও চক্র। শুধুই একটা সরকার ও পুলিসের ব্যর্থতা নাকি এই সমাজে আজ দুর্বৃত্তরা যতটা সঙ্ঘবদ্ধ, ভালো মানুষেরা ততটাই একা, অসহায়, তাই এমন পরিণতি! প্রতি সপ্তাহেই লিখতে হয় টাটকা কোনও ইস্যু নিয়ে। সে রাজ্যের হোক কিংবা এখানকার গণ্ডি পেরিয়ে দেশ, বিদেশেরও হতে পারে। রাজনীতির ওঠাপড়া, সামাজিক উত্থান পতন, নেতানেত্রীদের সাফল্য এবং পদস্খলনের খতিয়ান। ক্ষমতার নিরন্তর হাতবদল ও অক্ষরেখা পরিবর্তনের সঙ্গে সব হারানো কুশীলবদের নির্মম ধারাভাষ্য। ক্ষমতার এটাই নিয়ম, একুল ভাঙে আর অন্যকুল গড়ে! কিন্তু এ সপ্তাহে প্রেক্ষিতটা যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন। ৩১ বছরের এক সাহসী কন্যার কথা লিখতে গিয়ে আবেগে থেমে যাচ্ছি বারবার। শব্দ-বাক্য সব অসংলগ্ন হয়ে যাচ্ছে যেন! তার অপরাধ, টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটির পর ভোররাতে শরীরটা এলিয়ে দিয়েছিল অভিশপ্ত চারতলার সেমিনার রুমে। ক্লান্ত শরীরে দু’চোখ বেয়ে ঘুমও নেমে এসেছিল দ্রুত, যা খুবই স্বাভাবিক। কে জানত সেই ঘুমই শেষ ঘুম হবে। রাত জেগে নরখাদকরা রয়েছে তার অপেক্ষায়। একজন কর্তব্যরত ডাক্তারের উপর খোদ হাসপাতালের ভিতর এমন নৃশংস অপরাধ পূর্বপরিকল্পিত না তাৎক্ষণিক, তা বলবে সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তে গাফিলতি ছিল কি না, কেন প্রথমে তার বাড়িতে ফোন করে আত্মহত্যার কথা বলা হল? যিনি ওই ফোন করেছিলেন তিনি কার নির্দেশে ওই কাজ করেছিলেন। হয়তো এসবই জানা যাবে একদিন। চরম শাস্তি শেষ পর্যন্ত হবে কি হবে না, সবই ভবিষ্যতের গর্ভে। শুধু সে আর ফিরবে না কোনওদিন এই পথে। দেখা যাবে না আবার স্টেথো কাঁধে ঝুলিয়ে ধীর পায়ে ইমার্জেন্সির ডিউটিতে। নরখাদকরা একজন ছিল না একাধিক সেই প্রশ্নেরও মীমাংসা হবে কি না জানি না। শুধু জানি এই ঘটনা সভ্যতার লজ্জা। কোনও অজুহাত, কোনও সাফাই, কোনও দুঃখপ্রকাশ এই ঘটনার অভিঘাত ঢেকে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়।
কিন্তু ৩১ বছরের সাধারণ এক মেয়ের এই আত্মত্যাগ কি বিফলে যাবে? এককথায় উত্তর না। স্বাধীনতার আগের রাতে যখন রাত বারোটা নাগাদ অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলাম তখন রাস্তায় শুধু মানুষের ঢল। সেখানেই টের পেয়েছি তার শক্তি। নিত্য ব্রিগেড, শহিদ মিনার, স্ট্রিট কর্নারে ঘোরা নাগরিক সমাজের এমন নিচুতারে বাঁধা বলিষ্ঠ প্রতিবাদ ও ধিক্কারের প্রতিধ্বনির স্বতস্ফূর্ত চেহারা বড় একটা দেখিনি কলকাতার রাজপথে, যার অভিঘাত পৌঁছে গিয়েছে দূর জেলাতেও। মধ্যরাতে একদিনের নোটিসে এমন সঙ্ঘবদ্ধ ধিক্কার নিঃসন্দেহে নাড়া দিয়েছে গোটা সমাজকে। রাজনীতি ও ধর্মের পাঁকে নিমজ্জিত নাগরিক মন এই একটা ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ। এমনকী বিদেশেও গর্জে উঠেছে প্রতিবাদ। নাগরিক আবেগের বাঁধভাঙা বিস্ফোরণ যেন। ওই রাতে যাঁদের রাস্তায় থাকাটা বেমানান সেই ক্রাচে কিংবা অন্যের কাঁধে ভর দেওয়া প্রবীণ প্রবীণাদেরও দেখলাম। নিঃশব্দে হাঁটছেন। কেউ খোঁড়াচ্ছেন। তবে বেশিটাই তরুণ তরুণীদের আবেগ। অনেকেই প্রাপ্তবয়স্ক হননি এখনও। সবার মুখে একটাই স্লোগান, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। যে কোনও মূল্যে বিচার চাই। রাস্তায় নয়, রেল প্ল্যাটফর্মেও নয়, মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার এক তরুণী ডাক্তার নিরাপদ হাসপাতালের চৌহদ্দিতে। এক সময় মনে হচ্ছিল আমরা বুঝি সবাই অপরাধী। একটা স্বপ্নকে কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ওঠার আগেই হত্যা করার দায় এড়াতে পারি না আমরাও। অন্তত যাঁরা নিজেদের তথাকথিত শিক্ষিত দাবি করি।
কিন্তু নাগরিক সমাজের সেই গগনচুম্বি প্রতিবাদ পেরিয়ে বাড়ি পৌঁছতেই বদলে গেল ফোকাস। 
কোন রাজনীতি চোনা ছড়িয়ে দিল এমন এক বলিষ্ঠ প্রতিবাদের মধ্যে! আর জি করের ইমার্জেন্সিতে 
পাশবিক ভাঙচুর। লক্ষ লক্ষ টাকার মেশিন, ওষুধ, মনিটর, দুষ্প্রাপ্য পরিকাঠামো সব ভেঙে চুরমার। এ তো গরিব মানুষের জন্য, তাহলে ভাঙচুর চালালো কে? সেদিন রাতে বলা হল দুষ্কৃতী সংখ্যা ৩০, আদালতে সরকার বলল ৭ হাজার। এত লোকের জমায়েত হল, পুলিস কিছুই আঁচ পেল না। আরজি করের এই নয়া ইমার্জেন্সির বয়স কিন্তু বেশি নয়। মাত্র দেড়, দু’বছরের। এত দামি দামি মেশিন ভাঙতে কষ্ট হল না একটুও। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুষ্কৃতীরা যারা এসেছিল তাদের চেয়ে পুলিসের সংখ্যা ছিল বেশি। তাহলে আটকানো গেল না কেন? কেনই বা পুলিস প্রাণ বাঁচাতে বাথরুমে পর্যন্ত লুকিয়ে পড়ল। অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। শুধু ধর্ষকদের নয়, যারা মধ্যরাতে ভাঙচুর করেছে তাদেরও। একাজে কোনও রং দেখা চলবে না। আর বিরোধীদেরও কথা দিতে হবে, এমন মানবিক বিপর্যয়ের সময় তারা সস্তা রাজনীতি থেকে বিরত থাকবেন। রাজ্যের বদনাম করে আমি-আপনি কেউ কিন্তু বাঁচতে পারব না। সর্বনাশ হয়ে যাবে। 
একটা কুঁড়ির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নগুলোর উত্তর মেলেনি। তথ্য লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। মিথ্যাও ছড়াচ্ছে পাল্লা দিয়ে। সত্যিটাকে সামনে আনার নামে মিথ্যার বেসাতিও কিন্তু কোনও নাগরিক সমাজ মেনে নিতে পারে না। তদন্ত করে সবাইকে বিচার দিতে হবে। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ আজ নাগরিক আন্দোলনের অভিমুখ। তা যেন শুধু কথার কথা না হয়। এই নাগরিক আন্দোলন শুধু এক রাতের দখলে থেমে গেলে সবচেয়ে দুঃখ পাবে ওই নির্যাতিতাই। 
রবীন্দ্রনাথের রক্তকরবীর নন্দিনীর মতোই সেই তরুণীও যেন আজ সশব্দে বলছে, ‘আমার সেই মরা তোমাকে মারবে। আমার অস্ত্র নেই, আমার অস্ত্র মৃত্যু।’
18th  August, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ভিয়েতনাম। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত  ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও ১৪০ জন। ভিটেমাটি হারিয়ে পথে বসেছেন শয়ে ...

ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...

শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হবে বলেই আমরা আশাবাদী: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:55:00 PM

আজ আলোচনা হওয়া দরকার ছিল: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

আমরা চেয়ারের জন্য আলোচনা করতে আসিনি: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই হতাশ: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি কেন তা জানায়নি প্রশাসন: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:53:00 PM

আমরা খোলা মনে আলোচনার জন্যই এসেছিলাম: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:52:00 PM