Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এবার নতুন চক্রান্ত: বাঙালি খেদাও
তন্ময় মল্লিক

আর জি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে বাংলা। ন্যায়বিচারের দাবিতে শুধু চিকিৎসকরাই নন, গোটা রাজ্য এককাট্টা। অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা  বেরিয়ে আসবে সিবিআই তদন্তে। অপরাধীর সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু, আন্দোলনকারী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলেই একটা বিষয়ে একমত, এমন জঘন্য অপরাধের একমাত্র শাস্তি, ফাঁসি। এমনই পরিস্থিতির মধ্যে নতুন করে বাংলায় অশান্তির সলতে পাকানো শুরু হয়েছে প্রতিবেশী রাজ্যে। ওড়িশায় গেরুয়া ব্রিগেড দ্রুত মজবুত করছে বিভাজনের ভিত। শুরু হয়েছে বেছে বেছে বাঙালিদের উপর অত্যাচার। তা সহ্য করতে না পেরে রুজিরুটি খুইয়ে শয়ে শয়ে মানুষ ফিরছে বাংলায়। একদা একযোগে উচ্চারিত হতো বাংলা-বিহার-ওড়িশার নাম। সেই ওড়িশাতেই শুরু হয়েছে ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযান।
কোটা আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরই এপার বাংলায় ঘণীভূত হয়েছিল আশঙ্কার কালো মেঘ। অনেকেই মনে করেছিলেন, একাত্তরের পুনরাবৃত্তি হবে। বাংলায় আছড়ে পড়বে বাংলাদেশি শরণার্থীর ঢেউ। তাতে বদলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সমীকরণ। সেই আশাতেই জনগণের ভোটে গোহারা বিজেপি শরণার্থীদের জানিয়েছে আগাম স্বাগত।
বঙ্গ বিজেপি ভেবেছে, বাংলাদেশ ইস্যুতে উত্তপ্ত হবে রাজ্য। তারজন্য সীমান্তবর্তী জেলায় সুড়সুড়ি দেওয়া শুরু করেছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের কথা প্রচার করে এখানেও পাল্টা কিছু করার আশায় ছিল। একথা ঠিক, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশে লাগাতার হিংসার ঘটনা ঘটছে। আক্রান্তদের মধ্যে আছে হিন্দু, আছে মন্দিরও। 
কিন্তু মৃতের লম্বা লিস্টে মুসলিমও প্রচুর। বরং আওয়ামি লিগের সঙ্গে যুক্ত মুসলিম নেতারাই খুন হয়েছেন বেশি।
একটু তলিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, বাংলাদেশে আক্রান্ত হচ্ছেন আওয়ামি লিগের নেতা ও কর্মীরা। তাঁরা খুন হচ্ছেন, তাঁদের বাণিজ্য কেন্দ্রে লুটপাট চালানো হচ্ছে। বিএনপি এবং জামাতদের রাগ আওয়ামি লিগের উপরই। কারণ তারা অন্য দলের তুলনায় কিছুটা হলেও ধর্মনিরপেক্ষ। হিন্দু সহ অন্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেয়। সেই জন্য বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরাও আওয়ামি লিগকেই সরকারে চায়। এই বিষয়টি ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে। তাতে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এরাজ্যের সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগও কমছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোড়াতেই জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লির পথেই হাঁটবে রাজ্য। একথা বলায় বাংলাদেশ ইস্যুতে মমতাকে প্যাঁচে ফেলার রাস্তাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিজেপির। দিল্লির সরকার জানে, দরজা হাট করে খুলে দিলে শরণার্থীর ঢেউ শুধু বাংলায় নয়, আছড়ে পড়বে ত্রিপুরা, অসম প্রভৃতি রাজ্যেও। সেখানে ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকার। তাও সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা ডাবল ইঞ্জিন সরকারের ক্যাপ্টেনদের নেই। তাই দিল্লির সরকার উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ে নিয়েছে ‘ধীরে চলো’ নীতি। তা বলে বাংলাদেশ ইস্যুতে বিজেপির বাংলাকে ব্যতিব্যস্ত করার ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি।
কী সেই ষড়যন্ত্র? প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় শুরু হয়েছে ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযান। ওড়িশা প্রতিবেশী রাজ্য। তাই জীবিকা ও চিকিৎসার প্রয়োজনে বাংলা ও ওড়িশার বাসিন্দাদের উভয় রাজ্যেই যাতায়াত আছে। তাছাড়া পুরী এবং জগন্নাথদেবের মন্দির তো বাংলার কোটি কোটি মানুষের কাছে অতি প্রিয় ও পবিত্র স্থান। পুরীর হোটেলগুলি টিকে আছে বাংলার জন্য। আবার ওড়িশার প্রচুর মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে বাংলায় আছে। উভয়েরই উভয়কে প্রয়োজন। তা সত্ত্বেও বিজেপি শাসিত ওড়িশায় পাকানো হচ্ছে বাংলায় অশান্তি সৃষ্টির সলতে। ওড়িশা থেকে তাড়ানোর জন্য পায়ে পা লাগিয়ে ঝামেলা পাকিয়ে বাঙালিদের পেটানো হচ্ছে। 
ওড়িশায় গেরুয়া ব্রিগেড এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কী আচরণ করছে, তা শোনা যাক ভুক্তভোগীদের মুখে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার সাধুয়াপোতা গ্রামের আসাদুল শাহ পাঁচ বছর ধরে ওড়িশায় ছিলেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভাঙা লোহা, টিন কিনে মহাজনকে বিক্রি করতেন। কিন্তু মার আর হুমকিতে তিনি বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। আসাদুল বলেন, এর আগে ওড়িশার মানুষ আমাদের সঙ্গে কখনও খারাপ ব্যবহার করেনি। দীর্ঘদিন থাকার সুবাদে চেনাজানা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন ওরাই আমাদের ‘বাংলাদেশি’ বলে মারধর করছে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড কিছুই মানছে না। 
মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জের পানানগর গ্রামের রেজাউল শেখ এখনও ওড়িশায় আছেন। তবে, বাড়ি ফেরার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, আমি রাজমিস্ত্রির কাজ করি। এখানে ১৭ বছর আছি। নবীন পট্টনায়কের সময় ওড়িশার পরিস্থিতি ভালো ছিল। কোনও দিন সমস্যায় পড়তে হয়নি। করোনার সময়েও এখানেই ছিলাম। বাড়ি যাইনি। প্রশাসন প্রতি সপ্তাহে এত খাবার সামগ্রী দিত যে তাতে দু’সপ্তাহ চলে যেত। বিজেপি আসার পর সেই ওড়িশাই কেমন যেন বদলে গেল! এখন বাঙালি দেখলেই মারধর করছে। এই আতঙ্ক নিয়ে থাকা যায়? আমাদের ওখান থেকে আসা ৯০ ভাগ লোকই ফিরে গিয়েছে। আমিও যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি।
আতঙ্কের কথাই বটে। পেটের দায়ে বের হওয়া লোকজনকে কোনও কারণ ছাড়াই দুমদাম পিটিয়ে দিলে ভয় তো হবেই। ওড়িশায় বাংলাভাষী ফেরিওয়ালা দেখলেই পেটানো হচ্ছে। তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড দেখিয়ে, বাড়ির ঠিকানা বলেও রেহাই পাচ্ছে না। বেধড়ক পিটিয়ে ওড়িশা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। বেশিরভাগটাই হচ্ছে বজরং দলের নাম করে। কাজও হচ্ছে হুমকিতে। প্রাণ বাঁচাতে দলে দলে বাংলায় ফিরছে বাঙালি। বাংলায় ফিরে তাঁরা প্রতিবাদে ফেটে পড়ছেন।
আসাদুল আর রেজাউলের নাম শুনে হয়তো অনেকেই দুই আর দু’য়ে চার করতে পারেন। ভাবতে পারেন, কেবল মুসলিমদেরই বিজেপি হেনস্তা করছে। হিন্দুদের কিছু বলবে না। কিন্তু, ভাবনাটা ভুল। ওড়িশার পরিস্থিতিটা একটু অন্যরকম। শুধু মুসলিম নয়, হিন্দুদেরও ওরা পেটাচ্ছে। বাংলায় কথা বললেই হল। বাঙালি বুঝতে পারলেই তাঁদের গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘বাংলাদেশি’ তকমা। তারপর দেওয়া হচ্ছে ওড়িশা ছেড়ে চলে যাওয়ার ফরমান। কেউ ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের কথা বললেই জুটছে বেধড়ক মার।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার সুজিত মাইতি বহু বছর ধরে ওড়িশায় মশারি, বেডশিট প্রভৃতি বিক্রি করেছেন। ‘বাংলাদেশি’ দেগে দিয়ে ওড়িশা ছাড়ার ফতোয়া দেওয়ায় তিনি দেখিয়েছিলেন তাঁর আধার কার্ড। সঙ্গে সঙ্গে এসেছে উত্তর, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাল আধার কার্ড করে এখানে পাঠিয়েছে। এসব দেখিয়ে লাভ নেই। বাঁচতে চাস তো বাংলায় ফিরে যা।’ একথা শোনার পর আর সেখানে থাকার সাহস 
পাননি সুজিতবাবু।
খেজুরির বসুদেব মান্না প্রায় ২৪ বছর ধরে ওড়িশার গ্রামে ঘুরে ঘুরে ভাঙা লোহা, টিন কেনাবেচা করেন। এখনও তিনি ওড়িশায়। তবে ভাড়াঘরে একপ্রকার বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। মারধর খেয়ে তাঁর সঙ্গীদের অধিকাংশই বাড়ি ফিরেছেন। তিনিও ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বসুদেববাবু ফোনে বলেন, ‘এভাবে ক’দিন আর ভয়ে ভয়ে ঘরে বসে থাকব? মারধরের ভয়ে মাল কিনতে যেতে পারছি না। মালপত্র, টাকা পয়সা কেড়ে নিচ্ছে। বাংলা থেকে আসা বেশিরভাগ লোকই ফিরে গিয়েছে। আমিও দু’চারদিন দেখে চলে যাব। বহুবছর এখানে আছি। কিন্তু ওড়িশা এমনটা ছিল না।’ 
ভারতবর্ষজুড়ে এক রাজ্যের মানুষ অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করে, এটা দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি। বিভাজনের অস্ত্রে তাকে ভেঙে চুরমার করতে চাইছে বিজেপি। বাংলায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে গরিবের পেটে আগেই লাথি মেরেছে বিজেপি। এবার বাঙালি যাতে অন্য রাজ্যে কাজ করতে না পারে, শুরু করেছে সেই চক্রান্ত। বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে ওড়িশায় ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযান তারই মহড়া। এর পিছনে রয়েছে মস্ত বড় অঙ্ক।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বঙ্গ বিজেপির মনে জাগিয়েছে ঘুরপথে বাংলা দখলের খোয়াব। ওড়িশার পাল্টা বাংলায় শুরু হলেই ৩৫৬ ধারা লাগুর দাবিতে লম্ফঝম্ফ জুড়ে দেবে বিজেপি। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ‘হেথায় আর্য, হেথা অনার্য, হেথায় দ্রাবিড় চীন-/ শক-হুন-দল পাঠান-মোগল এক দেহে হল লীন।’ পড়ে বড় হয়েছে বাঙালি। তাই ঩বিজেপির পাতা ফাঁদে কিছুতেই পা দেবে না বাংলা।
17th  August, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...

লজ্জা। বিশ্বাস করুন, আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের রায় শোনার পর প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলারের স্বার্থ দেখা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কর্তব্য। অথচ তার উল্টো পথেই হাঁটছে তারা। ফুটবল হাউস রাজনীতির আখড়া। জাতীয় দল নিয়ে ন্যূনতম পরিকল্পনাও নেই। ...

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ভিয়েতনাম। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত  ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও ১৪০ জন। ভিটেমাটি হারিয়ে পথে বসেছেন শয়ে ...

এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে ‘ফাঁকিবাজ’ চিকিৎসকদের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রীতিমতো বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স ঘেটে গত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হবে বলেই আমরা আশাবাদী: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:55:00 PM

আজ আলোচনা হওয়া দরকার ছিল: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

আমরা চেয়ারের জন্য আলোচনা করতে আসিনি: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই হতাশ: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি কেন তা জানায়নি প্রশাসন: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:53:00 PM

আমরা খোলা মনে আলোচনার জন্যই এসেছিলাম: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:52:00 PM