Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কতটা শাস্তি হলে তবে সিস্টেম বদলানো যায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নির্ভয়াকে মনে আছে আমাদের? সেই যে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। বাড়ি ফিরছিল বন্ধুর সঙ্গে। দোষের মধ্যে, রাতটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর রাত বাড়লেই যে মানব সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা পশুগুলো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। সেবারও এসেছিল। সীমা ছাড়িয়েছিল নৃশংসতা। মানুষ নামে উন্নত পশু আবার দেখিয়েছিল, নারী শরীর শুধুই ভোগ্য। আবার কেন? এই শক্তি প্রদর্শন যে যুগে যুগে হয়ে আসছে। বারবার। মনে নেই বানতলার অনিতা দেওয়ান? কিংবা সিঙ্গুরের তাপসী মালিক? নাকি হেতাল পারেখও বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছে? বদায়ুন, উন্নাও, নয়ডা, হায়দরাবাদ... প্রতিবার আমরা কান পেতে শুনেছি, চোখ বড় বড় করে সংবাদমাধ্যমে পড়েছি, মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে চুক চুক শব্দ, প্রশ্ন তুলেছি নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে। কখনও-সখনও মোমবাতি মিছিলও করেছি। তারপর? ভুলে গিয়েছি।
আসলে পাবলিক যে চরিত্রগতভাবেই বড্ড ভুলোমনা। আমরা ইস্যু খুঁজি। জীবনের চেনা ছক ভেঙে কিছুক্ষণের জন্য... কিছুদিনের জন্য বেরিয়ে আসার। হেতাল পারেখ আমাদের ‘কাপ অব টি’ নয়। আমরা খুঁজি ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে। কী হয়েছিল? কীভাবে হয়েছিল? বারবার জানতে চাই। ধনঞ্জয়দের ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে অসীম আনন্দ পেয়ে থাকি। কিন্তু একবারও তার গোড়ায় যাই না। ভেবে দেখি না, কেন একজন ধনঞ্জয় তৈরি হয়? ‘তৈরি হয়’ কথাটাই এখানে ভীষণ লাগসই। কারণ ধর্ষকের, খুনির জন্ম হয় না। সমাজই তাদের তৈরি করে। এর দায় অশিক্ষার, অকারণ গোপনীয়তার। আমরা কি আমাদের সন্তানদের মানব শরীর নিয়ে সঠিক শিক্ষা দিয়ে থাকি? কোনও স্কুলে কি শিক্ষকরা তাঁদের পড়ুয়াদের খোলা মনে বুঝিয়ে থাকে জীবনচক্রের খুঁটিনাটি। না। এই শিক্ষা আমাদের সমাজে নিষিদ্ধ। তাই কেউ উপযাচক হয়ে এগিয়ে এলেও আশপাশ থেকে ভেসে আসে হাসির শব্দ। কেউ ভুরু কুঁচকায়। কেউ নাক সিঁটকে সরে যায়। তখন তারা ভুলে যায়, নিষিদ্ধের প্রতিই মানুষের স্বাভাবিক আকর্ষণ। একদিন তাদের মধ্যে কারও সন্তানই ধর্ষণের দায়ে দাঁড়ায় আইনের কাঠগড়ায়। আইন তাকে শাস্তি দেয়। কিন্তু তাতে কি অপরাধের প্রবণতা মানব সমাজ থেকে মুছে যায়? না... যায় না। কারণ, আইন সমাজকে বাঁধতে পারে, নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু সংশোধন করতে পারে না। তার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। আমরা ছেলেমেয়েদের ফরাসি সভ্যতা পড়াব, পিথাগোরাসের থিওরেম মুখস্ত করাব, কানাডায় কীভাবে গাছ কাটা হয়... সেটাও শেখাব। অথচ, রাস্তায় কেউ বিপদে পড়লে যে এগিয়ে যেতে হয়, সেটা বোঝানোর প্রয়োজন বোধ করব না। নারী মানেই যে ভোগ্য নয়, সেই শিক্ষা দেব না। একবারও বলব না... তুমিও এমন এক জঠর থেকেই বেরিয়ে এসে পৃথিবীর আলো দেখেছ। একে সম্মান করতে শেখো। আর তাই কোনও নির্ভয়া, অনিতা দেওয়ান বা আজকের আর জি করে নৃশংস মৃত্যুর শিকার ওই মেয়েটির দায় আমরাও ঝেড়ে ফেলতে পারি না। পারব না। 
শহর-শহরতলির মোড়ে মোড়ে আজ আমরা দেখছি সাদা অ্যাপ্রন গায়ে ছেলেমেয়েদের। তাদের দাবি অনেক। একটাও অন্যায় নয়। অসঙ্গত নয়। কিন্তু তারা কি দেখছে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালগুলোর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শুকনো মুখ? কেউ অসুস্থ ছোট্ট সন্তানকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ শুয়ে আছেন অ্যাম্বুলেন্সে... বুক আঁকড়ে। তাঁরা জানতে পারছেন, চিকিৎসা হবে না। কারণ, আন্দোলন করছেন ডাক্তাররা। যাঁদের ঈশ্বরের পরের আসনেই আম জনতা বসিয়ে রাখে... যাঁদের মুখের দিকে অপার বিশ্বাসে তাকিয়ে থাকে তারা... সেই ডাক্তাররাই তালা দিয়েছেন হাসপাতালে। ইমার্জেন্সিতে। প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁরা দাঁড়িয়ে পড়েছেন রাস্তার মোড়ে। ন্যায়বিচার চাইছেন। তাঁদের নিহত সহকর্মীর জন্য। কী সেই ন্যায়? কেমন সেই বিচার? ফাঁসি? আরও একটা ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। প্রশাসন থেকে বিদ্বজ্জন—সবাই ফাঁসির কথাই বলছে। কেউ বলছেন দৃষ্টান্তমূলক সাজার কথা। কী সেই সাজা? কেমন হবে সেই দৃষ্টান্ত। পারেন কেউ দিশা দেখাতে? এমন কোন সাজা সমাজটাকে বদলে দেবে? সচেতন করবে মানুষকে? বদল আনবে শিক্ষায়? কেউ প্রস্তাব করছেন না। করবেনও না। তাঁরা চাইবেন নিরাপত্তা। সরকার তাঁদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। নিশ্চিত, নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবশ্যই আরও নিশ্ছিদ্র হওয়া উচিত। আরও সিসি ক্যামেরা, আরও বেশি পুলিসকর্মী। একটু ভেবে দেখবেন, এতে নিরাপত্তার মোড়কটা মিলবে। অন্তর শুদ্ধ হবে না। শাস্তি হবে অপরাধীর। অপরাধের নয়। বরং এই বিক্ষোভ, আন্দোলন, কর্মবিরতিতে সাজা হবে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষের। কেউ ঘরদোর বেচে বেসরকারি হাসপাতালে পরিজনকে নিয়ে যাবেন। কেউ ওই হাসপাতাল চত্বরেই কাটিয়ে ফেলবেন জীবনের শেষ কয়েকটা মুহূর্ত। সেই মৃত্যুর জন্য কোনও এফআইআর হবে না। ময়নাতদন্ত হবে না। রাজনীতির কারবারিরা তাঁদের বাড়ি গিয়ে আশ্বাস বা ক্ষতিপূরণও পৌঁছে দেবেন না। তখন সেই দায় কে নেবে? নিতে হবে আমাদের। এই লোকদেখানো, দৃশ্যত পরিপাটি, অন্তঃসারশূন্য মানব সমাজকে।
তাই আন্দোলন করতে হবে, কিন্তু সিস্টেমে বদল আনার জন্য। সমাজ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের জন্য। কারণ, সরকার কড়া আইন করবে। নতুন থানা বা ফাঁড়ি হবে। বদলে যাবে পুলিস কর্তা। ট্রান্সফার হবে আধিকারিকদের। কিন্তু তাতে সিস্টেম বদলাবে না। আমরা বদলাব না। সিস্টেমের ফাঁক আজ ফাটল হয়ে গিয়েছে। বন্ধ করতে হবে তাকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আড়াল করা হচ্ছে কাউকে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট যা বলছে, তাতে আর জি করের নৃশংসতা একজনের কাজ কি না, প্রশ্ন উঠছে সেটা নিয়েই। তাই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তের গ্রেপ্তারি চলে যাচ্ছে পিছনের সারিতে। প্রশাসনের সাফল্য নয়, আড়ালের ব্যর্থতার বিষ তীব্রতর হয়ে উঠছে। ডাক্তাররা বলছেন, সত্যি সামনে আনতে হবে। কিন্তু সত্যিটা কী জানেন? আপনাদের-আমাদের মধ্যেই আরও কোনও সঞ্জয় রায় লুকিয়ে আছেন। তিনি ধরা পড়েননি। ক্যামেরার ছবি কি মুছে গিয়েছে? তিনি কি প্রভাব খাটিয়ে অন্তরালে চলে গিয়েছেন? সেটা হলেও দায় আমাদের। এই সমাজের দায়। আমরা তাদের এমন শিক্ষাই দিয়েছি। আমরাই তাদের প্রশ্রয় দিয়েছি ক্ষমতার কলকাঠি কাজে লাগিয়ে নিজেদের জামাকাপড় দাগমুক্ত রাখার। নাম জেনেছি। কিন্তু বলিনি। প্রথম যেদিন তার মানসিকতার আঁচ পেয়েছি, শুধরে দিইনি। হয়তো ভয়ে। হয়তো পরের ছেলে পরমানন্দ ভেবে। আর তাই তৈরি হয়েছে সঞ্জয় রায়। তৈরি হবে সঞ্জয় রায়। আমাদের ঘরে ঘরে। 
সুনীতা কৃষ্ণানের নাম কি আমরা শুনেছি? ১২ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সুনীতা। বোঝার বয়স তেমন ছিল না। কিন্তু যন্ত্রণা চিরে দিয়েছিল তাঁর শরীরকে। মনকে। ঘেন্না ধরে গিয়েছিল আশপাশের লোকজন, সমাজের উপর। কিন্তু সেই রাগকেই জেদে বদলে দিয়েছিলেন সুনীতা। পড়াশোনা করেছেন, বড় হয়েছেন, আর তারপর নিজেই খুলেছেন একটি এনজিও। তারা কাজ করবে মানব পাচারের বিরুদ্ধে। সুনীতা বুঝেছিলেন, যে সিস্টেম তাঁকে খাদের কিনারে দাঁড় করিয়েছিল, বদলাতে হবে তাকেই। আজ তাঁর সংগঠন পুলিস-প্রশাসন এবং এজেন্সির সঙ্গে মিলে নারী পাচার, মানব পাচার বন্ধের জন্য দিনরাত খেটে চলেছে। সুনীতার লক্ষ্য, সমাজকে সচেতন করতে হবে। সমস্যার গোড়ায় আঘাত হানতে হবে। তবেই ভেন্টিলেশনে চলে যাওয়া সমাজ সাড়া দেবে। 
নিলুকেও আমরা খুব একটা চিনি না। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে মন্দিরেই থাকত সে। ১৫ বছর বয়সে ধর্ষণ করা হয় তাকে। তার থেকে গর্ভবতী। তাও মন্দির ছেড়ে যায়নি সে। ছোট্ট কন্যাসন্তানকে নিয়ে থাকার বিনিময়ে সবার রান্না করে দিত। তখনই এসেছিল প্রস্তাব। এক ‘ভদ্রলোক’ বলেছিল, পুনেতে তার বোনের বাড়ি। ২৪ ঘণ্টার লোক দরকার। নিলু কাজ করবে কি না। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে রাজি হয়ে গিয়েছিল নিলু। কিন্তু আবিষ্কার করল, যেখানে তাকে আনা হয়েছে, সেটা বোনের বাড়ি নয়। নিষিদ্ধপল্লি। প্রতিরোধ ভেঙে গেল কয়েক মাসে... মদ, মাদক, আর মারের চোটে। মেনে নিয়েছিল নিলু। টিবি রোগ ধরল। তারপর এইডস। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মেনে নিল সেটাও। বারবার ভাবল, গলায় দড়ি দেওয়ার কথা। কিন্তু হতাশার অন্ধকার ঝেড়ে ফিরে এল জীবনে। নিলু সেদিন বুঝে নিয়েছিল, মেয়েটাকে বড় করতে হবে। শিক্ষা দিতে হবে। সঠিক শিক্ষা। যেন এই সমাজে আর একটা নিলু তৈরি না হয়। যেন কোনও মেয়ে নিলু হতে বাধ্য না হয়।
আর জি করের নৃশংসতার শেষটাও তেমনই শিক্ষায় কেন হতে পারে না? কেন বদলাতে পারে না সমাজ? সিস্টেম? আমরা অলস নই। ভীতুও না। অপেক্ষা শুধু স্থবিরতা ঝেড়ে উঠে দাঁড়ানোর। নতুন কোনও সঞ্জয় রায় আমরা চাই না। আমরা দেখতে চাই না আর জি করের সেমিনার রুমে নিথর পড়ে থাকা কোনও দেহও। এই বার্তাই কি মেয়েটি দিয়ে গেল না? চোখ খোলার সময় এসেছে। সমাজের। আন্দোলনকারীদের। আমাদের মধ্যে না থেকেও শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে সমাজকে... ‘অভয়া’।
13th  August, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
নীতিহীন সমাজে নৈতিকতার আস্ফালন
সন্দীপন বিশ্বাস

একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়।  সেই কেসের তদন্তে পদ্মপুকুর থানা থেকে আসেন সাব ইনসপেক্টর তিনকড়ি হালদার। চন্দ্রমাধব সেনের অভিজাত পরিবারের কেউ কেউ অসহায় মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত কি না, তারই তদন্তে এসেছেন তিনকড়ি। বিশদ

04th  September, 2024
পুজোয় গরিবের পেটে লাথি মারাটা জাস্টিস তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আশ্বিন এলেই বিমল বাদ্যকর ঢাকটাকে নামিয়ে ঝেড়েঝুড়ে রোদে দিয়ে রাখেন। সবার আগে বেশ কিছুক্ষণ ওটির গায়ে হাত বোলান। ঠিক সন্তানের মতো। আগে এই ঢাকই যে ছিল তাঁর অন্নদাতা। সময় বদলেছে। পুজোর কয়েকটা দিন বাদে ঢাক মাচার উপরই বেঁধে রাখা থাকে। বিশদ

03rd  September, 2024
পেনশন নিয়ে দোলাচলে কেন্দ্র, রাজ্য, দল
পি চিদম্বরম

পেনশনের প্রশ্নে, কেন্দ্রের শাসক দলসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন।  ভারতের একটি নির্দিষ্ট বয়সের সকল নাগরিক পেনশন পান না। একজন নাগরিকের জন্য পেনশন প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় ভারতে এমন কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নেই।
বিশদ

02nd  September, 2024
বিচার ছেড়ে লাশের রাজনীতি কি অভয়ার প্রাপ্য!
হিমাংশু সিংহ

শুরু থেকেই যে আশঙ্কাটা করছিলাম তাই সত্যি হল। এখন খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মাও বোধকরি একমাত্র কন্যার মৃত্যু নিয়ে এই রাজনীতিতে অনুতপ্ত। কারণ একটাই, তাঁদের বিচারের দাবি পথ হারিয়েছে রাজনীতির কর্দমাক্ত কানাগলিতে। লাঠি, আগুন আর অশান্তির ত্র্যহস্পর্শে। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তিন নাবালক সহ মোট পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ডোমজুড়ের ওই কিশোরীর বন্ধুরা ...

ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...

শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হবে বলেই আমরা আশাবাদী: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:55:00 PM

আজ আলোচনা হওয়া দরকার ছিল: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

আমরা চেয়ারের জন্য আলোচনা করতে আসিনি: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই হতাশ: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:54:00 PM

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি কেন তা জানায়নি প্রশাসন: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:53:00 PM

আমরা খোলা মনে আলোচনার জন্যই এসেছিলাম: আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা

07:52:00 PM