মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
সময়ের সদ্ব্যবহার
ভগবদ্ভাবনায় আবিষ্ট অনন্য ভক্ত তাঁর বাণী দিয়ে নিরন্তর ভগবানের প্রার্থনা করেন। তিনি তাঁর মন দিয়ে নিরন্তর শ্রীকৃষ্ণের কথা চিন্তা করেন এবং তাঁর দেহ দিয়ে তিনি হয় ভগবানের শ্রীবিগ্রহকে প্রণাম করেন অথবা অন্য কোন সেবায় যুক্ত থাকেন। এই রকম ভাবময়ী কার্যকলাপের সময় কখনও কখনও তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়ে। এইভাবে তাঁর সমস্ত জীবন ভগবানের সেবায় যুক্ত হয় এবং একটি মুহূর্তও তিনি অন্য কোন কার্যকলাপে নষ্ট করেন না।
সহিষ্ণুতা
নানা রকম গোলমালের মধ্যেও যখন কোন মানুষ অবিচলিত থাকেন, তখন তাঁকে বলা হয় গম্ভীর ও সহনশীল। এই সহনশীলতা ও গাম্ভীর্যের একটি দৃষ্টান্ত শ্রীমদ্ভাগবতের প্রথম স্কন্ধে মহারাজ পরীক্ষিতের আচরণের মধ্যে পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যুর সময় সমবেত মুনি-ঋষিদের সম্বোধন করে মহারাজ পরীক্ষিৎ বললেন, “হে ব্রাহ্মণগণ, আপনাদের শরণাগত সেবকরূপে আপনারা আমাকে গ্রহণ করুন। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণারবিন্দে আমার হৃদয় ও আমার আত্মা অর্পণ করার জন্য আমি গঙ্গার তীরে এসেছি। আপনারা কৃপা করে আমাকে আশীর্বাদ করুন, যাতে মা গঙ্গাও আমার প্রতি প্রসন্না হন। আমার প্রতি ব্রাহ্মণ-বালকের অভিশাপ আমার উপর নেমে আসুক—তাতে আমি বিচলিত নই। আমার একমাত্র অনুরোধ হচ্ছে, আপনার আমার জীবনের অন্তিম সময়ে কৃপা করে ভগবানের দিব্যনাম কীর্তন করুন, যাতে আমি তখন তাঁর অপ্রাকৃত গুণাবলী উপলব্ধি করতে পারি।”
মহারাজ পরীক্ষিতের এই আচরণ তাঁর জীবনের অন্তিম সময়েও ধীর ও প্রশান্তচিত্ত গাম্ভীর্যের একটি অপূর্ব সুন্দর দৃষ্টান্ত। যে ভক্তের হৃদয়ে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি দিব্যভাবের উদয় হয়েছে, তাঁর মধ্যে এই সমস্ত গুণাবলী প্রকাশিত হয়।