পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
উপনিষদের ঋষির ঘোষণাঃ—না, মৃত্যুতেই তোমার সব শেষ হয়ে যায় না। হতাশ হওয়ার কোন কারণ নাই। চিরকালের মত এত এই দ্বন্দ্ব-খেলার অধীনস্থ হয়ে থাকার জন্য তোমার জন্ম নয়। সত্তার পূর্ণরূপ এক পরম সত্তা আছে যেখানে তুমি এই মর্তজীবনেই পৌঁছাতে পার। সেখানে তুমি মরণোত্তর জীবনের সন্ধান পাবে, তোমার আদর্শের পূর্ণতা প্রাপ্তি ঘটবে। সেখানেই তোমার জ্ঞানের পর্যবসান, তোমার প্রেমের পরিপূর্ণতা, সেখানেই পূর্ণ বিশ্রাম এবং অখণ্ড শান্তি। সেখানে যে আলো জ্বলে তা কখনও নিষ্প্রভ হয় না, আনন্দ সেখানে সীমাহীন। কেমন করে মানুষের সে অবস্থাপ্রাপ্তি হয়? এই জীবনেই, এই মরজীবনকে নিয়ন্ত্রিত করে সে অমৃতত্ব লাভ করতে পারে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ঋষিদের এই হল বাণী।
নেহাৎ অল্পসংখ্যক মানুষ ভগবান লাভের পথ অনুসরণ করেনি। এইভাবে চরম সত্যের অনুসন্ধানে খুব কম সংখ্যক লোক রত হয় নি। জগতে যতদিন মৃত্যু আছে, যতদিন মন্দ ছাড়া বিশুদ্ধ ভালর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না, ততদিন এই দ্বন্দময় মানবজীবনের অতীত পরম-সত্তার অনুসন্ধান চলতে থাকবে। এটি থামান যাবে না। এই অনুসন্ধান মানব-মনে থেকেই যায় কারণ মানুষের অন্তরতম সত্তা এর সঙ্গে একসুরে বাঁধা।
ভাল এবং অধিকতর ভালর মাধ্যমে মানুষ অবিরত সবচেয়ে ভালকে খুঁজছে, মহৎ এবং মহত্তরের মাধ্যমে মহত্তমকে সর্বদা খুঁজছে। উচ্চ এবং উচ্চতরের মধ্য দিয়ে উচ্চতমকে অবিরাম খুঁজছে। অধিকতর ভাল থেকে সবচেয়ে ভালতে, মহত্তর থেকে মহত্তমতে, উচ্চতর থেকে উচ্চতমতে পৌঁছুবার পুনঃ পুনঃ প্রচেষ্টা করতে করতে তার ভ্রান্তির নিরসন ঘটে। অবশেষে সে বোঝে ভাল এবং অধিতর ভাল, মহৎ এবং মহত্তর, উচ্চ এবং উচ্চত্তর অবস্থার সংখ্যা অনন্ত হতে পারে, কিন্তু সবচেয়ে ভাল, মহত্তম, উচ্চতম অবস্থা কেবলমাত্র একটি। সেই ‘এক’ই হল পরম সত্তা।