বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
কেন্দ্রের তরফ থেকে যথেষ্ট সতর্কতা না-নেওয়াই কি কালো টাকা বৃদ্ধির কারণ? রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের কথায়, কালো টাকা উদ্ধার এবং রোধে কেন্দ্র একাধিক শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কালো টাকা উদ্ধারের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করাও হয়েছে। এর পাশাপাশি নিজের থেকে উদ্যোগী হয়ে বিদেশে সরকারের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান এবং দ্বৈত করফাঁকি চুক্তি, কর সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া-নেওয়া নিয়ে চুক্তি ও বহুস্তরীয় চুক্তিও করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা চিহ্নিত করতে ডেটা অ্যানালিটিক্সের ব্যবহার এবং তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত করার মতো সিদ্ধান্তও নিয়েছে কেন্দ্র। করফাঁকি আটকানো এবং কালো টাকার লেনদেন বন্ধ করতে প্যান ও আধার নাম্বার যোগ করাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৫ সালের ব্ল্যাক মানি (আনডিজক্লোজড ফরেন ইনকাম অ্যান্ড অ্যাসেটস) অ্যান্ড ইম্পোজিশন অফ ট্যাক্স আইন প্রণয়ন করা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। বিদেশে গচ্ছিত হিসাব বহির্ভূত অর্থের মোকাবিলা করার জন্য ২০১৫ সালের জুলাই থেকে এই আইন কার্যকর করা হয়। এছাড়া, ২০১৬ সালের বেনামি ট্রানজাকশনস (প্রোহিবিশন) অ্যামেন্ডমেন্ট আইনও উল্লেখযোগ্য। এই আইনের মাধ্যমে বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা এবং বেনামিদার ও সুবিধাভোগী মালিকের শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। নগদ ২ লক্ষ টাকা বা তার বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি, নগদ অনুদানের পরিমাণ ২,০০০ টাকা ছাড়ালে আয়কর আইনের ৮০জি ধারায় করছাড় বন্ধ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা নির্বাচনী ঋণপত্র ছাড়া কোনও রাজনৈতিক দলকে ২,০০০ টাকা বা তার বেশি অনুদান দেওয়া বন্ধ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও করেছে কেন্দ্র। কিন্তু, এরপরও কীভাবে লোকসভা ভোটের সময় বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিপুল কালো টাকা! ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ে নির্বাচন কমিশন বাজেয়াপ্ত করেছিল ১২০০ কোটি কালো টাকা। ২০১৯ সালে কালো টাকার সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৩৯ কোটিতে। খোদ নির্বাচন কমিশনের তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কালো টাকার লেনদেনে তালিকার শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ু। এখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯৫০ কোটি টাকা। এর পরেই নাম রয়েছে গুজরাতের। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫৫২ কোটি টাকা। তৃতীয় নম্বরে রয়েছে দিল্লি। উদ্ধার হওয়া কালো টাকার পরিমাণ সেখানে ৪২৬ কোটি টাকা। তাহলে কালো টাকার বিষ থেকে রেহাইয়ের উপায় কী? প্রশ্ন আম জনতার।