বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম বাদল দাস(৩৬)। তিনি ময়নাগুড়ির দক্ষিণ খাগড়াবাড়ির বাসিন্দা ছিলেন। মৃতের পরিবারের দাবি, এদিন বুকে ব্যথা নিয়ে বাদলবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। একজন চিকিৎসক ওঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে একটি ইঞ্জেকশন দেন। পরে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে নিয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে বাদলবাবু ফের অসুস্থ হয়ে যান। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ফের হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
মৃত বাদল দাসের কাকা সুভাষ দাস বলেন, চিকিৎসার গাফিলতির কারণে আমার ভাইপো মারা গেল। ছেলেটি বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল। চিকিৎসক ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়াতেই তরতাজা ছেলেটি প্রাণ হারাল। আমরা এর বিচার চাই। যতক্ষণ অভিযুক্ত চিকিৎসক শাস্তি না পাবে ততক্ষণ আমরা মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বের করব না বলে জানিয়ে দিয়েছি।
জলপাইগুড়ির মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, চিকিৎসায় গাফিলতির বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার। হাসপাতাল থেকে আমি শুনেছি, সকালে বুকে ব্যথা নিয়ে ওই রোগীকে আনা হয়েছিল। চিকিৎসক রোগীকে প্রাথমিক পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন গ্যাসের ব্যথা হয়েছে। তিনি ইঞ্জেকশন দেন। লেবার রুমে ডাক পড়লে চিকিৎসক সেখানে চলে যান। রোগীর পরিবার অপেক্ষা না করেই নার্সদের বলে হাসপাতাল থেকে চলে যান। চিকিৎসক পরে ইমার্জেন্সিতে এসে দেখেন রোগী বাড়ি চলে গিয়েছে। পরে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ময়নাতদন্ত না হলে প্রকৃত কারণ বলা সম্ভব নয়। আমি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি।
ডিএসপি জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।
বাদলবাবুর মৃত্যুর ঘটনা গ্রামে জানাজানি হতেই হাসপাতালে একেএকে গ্রামের লোকজন ভিড় জমাতে শুরু করেন। যে চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন তাঁর খোঁজ শুরু হয়। পরিবারের লোকেরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে শ’খানেক লোক জমায়েত হয়ে যায়। তারা হাসপাতালের ভেতরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ডিএসপি মৃত বাদল দাসের পরিজনকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে বলেন এবং তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।