বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
১৯৯৮ সালে বন্ধুর সঙ্গে কাশ্মীরি শাল বিক্রি করতে মালদহে পা রেখেছিলেন শ্রীনগরের বাসিন্দা পারভেজ আহমেদ লোন। তারপর থেকে মালদহেই কার্যত স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন তিনি। রবীন্দ্র অ্যাভিনিউতে ভাড়া নেওয়া বাড়িতে তিনি মেয়েদের জামাকাপড় বিক্রি করেন। বিয়ে করেছেন মালদহেরই মেয়েকে। দুই পুত্রের মধ্যে বড় রিয়ান পড়াশোনা করে কাশ্মীরে।
স্ত্রী’কে পাশে বসিয়ে পারভেজ বলেন, বাড়িতে ৬৮ বছরের বৃদ্ধ পিতা মহম্মদ ইয়াসিন লোন রয়েছেন। তিনি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহের পর থেকে ব্যাহত হয়েছে টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। তাই বারবার চেষ্টা করেও অসুস্থ বাবা এবং পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র বড় ছেলের খোঁজ নিতে পারছি না। পাঠাতে পারিনি মাসিক আর্থিক সাহায্যের ১০ হাজার টাকাও। সব মিলিয়ে চরম উদ্বেগে দিন কাটছে।
নিজেকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সমর্থক বলে দাবি করা পারভেজের বক্তব্য, মালদহে অভাবনীয় ভালোবাসা পেয়েছি। ইচ্ছা আছে এই রাজ্যেই থেকে যাওয়ার।
রবীন্দ্র অ্যাভিনিউতে জামাকাপড় বিক্রি করা আরেক কাশ্মীরি যুবক আব্দুল জলিল বাটও চিন্তিত তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। শ্রীনগরের লালবাজারে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বাবা, মা এবং বড় ভাইয়ের পরিবার। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার মালদহে আসা আব্দুল মালদহে থাকেন স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে।
তিনি জানান, মা বাবা, দাদা’র সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও কথা বলতে পারেননি। ফলে উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে তাঁরও। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই ফের কাশ্মীরে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের দেখা করে আসব।
তবে পশ্চিমবঙ্গ যে সত্যিই সবাইকে আপন করে নিতে পারে তা স্বীকার করতে কুণ্ঠা নেই এই কাশ্মীরি ব্যবসায়ীর। তিনি বলেন, এই রাজ্য অন্যন্য রাজ্যের থেকে আলাদা। মানুষ রুচিশীল ও উদার। এজন্যই এখানেই বাড়ি কিনে স্থায়ীভাবে রয়ে গিয়েছি।