বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকায় বেআইনি নির্মাণ সহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এলাকায় জনসংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ফলে জলের চাহিদাও প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় সেই জলের চাহিদা কমাতেই বাসিন্দাদের একাংশই বেআইনিভাবে এই জল চুরি করছে। কিন্তু, কীভাবে এই জল চুরি করা হচ্ছে? স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাইরে থেকে জল চুরির ঘটনা কেউ দেখতে পাবেন না। বিভিন্ন বাড়ির সিঁড়ির নীচে ছোট ছোট ঘর করা হয়েছে। সেই ঘরগুলি সবসময় বন্ধ থাকে। বাইরে থেকে কিছু দেখা যায় না। সেই ঘরের মধ্যেই বিভিন্ন ক্ষমতার পাম্প মেশিন রয়েছে। সেই পাম্পগুলির সঙ্গে বাড়ির একেবারে পাশ দিয়ে যাওয়া জলের লাইনের গোপন কানেকশন রয়েছে। কিন্তু, সেগুলি মাটির তলা দিয়েই করা হচ্ছে ফলে বাইরে থেকে কেউ কিছু দেখতে পাচ্ছে না। পুরসভা থেকে যখন জল দেওয়া হয় এলাকায়, তখন সেই সমস্ত বাড়িতে পাম্প চালিয়ে অতিরিক্ত জল বাড়ির উপরের ট্যাঙ্কে মজুত করা হচ্ছে। এর ফলে এলাকাতে বহু বাড়িতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পাওয়াই যাচ্ছে না।
নাওভাঙা এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এবিষয়ে পুরসভাকে গত কয়েকমাসে বহুবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। এমনকী পুরকর্মীরা এবিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য কয়েকবার এলাকাতেও এসেছিলেন। সেই সময় তাঁদের ঘিরে বাসিন্দারা বিক্ষোভও দেখান। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। পুরসভা সূত্রের দাবি, শুধুমাত্র ৩৫ বা ৩৬ নং ওয়ার্ড নয় অশ্বিনীনগর, ন-পাড়া, জ্যাংড়া, জগৎপুর, জর্দাবাগান, কেষ্টপুরের কয়েকটি জায়গা এবং রাজারহাট-গোপালপুরেরও কিছু কিছু জায়গা থেকে মাঝে-মধ্যেই এই অভিযোগ আসছে। তবে সবথেকে ৩৫/৩৬ নং ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ বেশি আসছে। বছর দুয়েক আগে এবিষয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল, কিছু পাম্পও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, ফের এই অভিযোগ আসছে।
পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, এবিষয়ে ধারাবাহিক তল্লাশি করার জন্য দু’বছর আগে জল এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে একসঙ্গে নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, কর্মীর অভাবে এখনও পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। ফলে পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হয়নি। এখানেই বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দেদারে জল চুরি চলছে অথচ পুরসভা হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। বাড়িতে জলের লাইন থাকলেও, অধিকাংশ সময়েই জল পাওয়া যাচ্ছে না। রাস্তায় গিয়ে জলের লাইনে দাঁড়িয়ে জল আনতে হচ্ছে। ফলে বহু বাসিন্দারাই সমস্যা পড়েছেন। পুরসভার জল বিভাগের মেয়র পারিষদ বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, এরকম কিছু অভিযোগ তাঁদের কাছেও এসেছে। বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। সম্প্রতি মেয়র বদল হয়েছেন। নতুন মেয়রের সঙ্গেও এবিষয়ে আলোচনা করা হবে। দ্রুত টাস্ক ফোর্স গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।